[justify]
পনেরো বছর আগেও এই জিনিস আমি খেতাম না, তিতকুটে লাগত। আর এখন এটা না খেলে সকালটা তিতা হয়ে যায়। আরও কত অভ্যাস মিলেমিশে এই প্রতিদিনের দিনরাত্রি তৈরি করছে, ভাবি। একটা শক্তপোক্ত মানে দাঁড় করাচ্ছে বেঁচে থাকার। এইসব কথাবার্তা পড়ে আমাকে আবার ভুল করে লেখক-টেখক ভেবে বসবেন না। আমিও কিন্তু সেই প্রবাসী-বাঙালি গোত্রের একজন স্যাম্পলমাত্র, গাড়িতে গান শোনা...
[justify]সেই বয়সটা, যখন কারণ ছাড়া কান্না পেত, মার সাথে ভীষণ ঝগড়া হত, আবার সারাদিনের সব কথা মাকে না বললে অস্বস্তি, অস্বস্তি। নতুন বিল্ডিং উঠবে দেখে কলেজের লাল-জবা গাছটা যখন কেটে ফেলল, ম্যাগাজিনের কাজ করতে গিয়ে, আমার আর সিস্টার শিখা, দুজনেরই চোখ ছলছল। তারপর কাটা পড়ল লাইব্রেরির মাধবীলতার ঝাড়, আর ওড়াউড়ি বাদ দিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে পা রেখে হাঁটা শিখলাম, সে আরেক গল্প।
সবগুলো কবিতাই ২০০১-২০০২...
[justify]সোহেলকে খুব বেশি বোঝাতে হয়না। তার আগেই যা বোঝার বুঝে যান মুজাহিদ। দলের সবার মাথাই খুব পরিস্কার, আর বড়ই ঐক্য সবার মাঝে। এছাড়া এই দলের সবাই খুব শান্তিপ্রিয়, পিছনের গণ্ডগোলের কথা ভুলে গিয়ে, বিভেদ না বাড়িয়ে, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই সম্পর্কে তাদের বেয়াইন। কে বলে রক্তের দাগ মোছা যায় না? আর এখন কিছু নতুন কর্মী তৈরি হয়েছে, তাদের মেধা ...
লেখকের লাশ ফেরিতে করে আমরা রওয়ানা দিই।
লাশেরা হাসে, কাশে ও ভালবাসে।
আমাদের পকেট উপচানো শ্রদ্ধা
ঝালমুড়ির প্যাকেটে প্যাকেটে বিলি করি অপর যাত্রীদের।
আমাদের কেবিনে কেবিনে নির্বাণ, নির্বাণ।
ধোঁয়া ওঠা ডিমসেদ্ধ ভেঙে এক টুকরো চোখ।
বিজবিজে ফেনায় ফেনায় বাদামখোসা আর ক্যারিকেচার আত্মা।
লাশেরা বলে ফরমালিনের গন্ধে ঘুম আসে না।
লাশেরা লেবুর শরবতের হাউস জানায়।
আমরা তাদের দেখাই কাম ও ...
জীবন অনেকরকম।
মৃতের নখ বা ঘাসের ফুল।
কখনও তোমার ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট এনে,
দেবে গুঁইসাপ।
কখনও ঘুম ভাঙাবে চুমি আঁখি।
প্রচণ্ড পলাশ দেবে খোঁপায়,
আর রাতের ডিনারে মৃত বেড়াল।
তাই বলি, বাঁচো।
ধুঁকে হোক, খুঁটে হোক, প্রেমে বা অপ্রেমে,
বাঁচো।
একদিন খুলে যাবে রাজপথ।
একদিন খুলে যাবে কৃষাণী।
যে তোমার চোখে আঙুল ঢোকায়,
দেবে তাকে গন্ধরাজ?
এ বিচার আমি জানিনা।
এ বিচার তোমার।
পথিক যদি জল চায়,
...
[justify]
ছোটবেলায় কাগজের নৌকা বানিয়ে জলে ভাসাননি এমন কেউ আছেন? তালদিঘীতে না হোক, বাসার সামনে জমে ওঠা জলে তো ভাসিয়েছেন। সেই কাগজ ভাঁজ করার খেলা এখন হাজার হাজার শিল্পী, বিজ্ঞানী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে করে চলছেন। যার নাম ওরগামি(origami), জাপানি শব্দ। বাংলা অর্থ হল কাগজ ভাঁজ করা। শুধু ভাঁজই করতে পারবেন। আর কিচ্ছুনা কিন্তু। কেঁচি বা আঠা ছোঁয়ান যাবেনা। একটা চারকোনা কাগজকে কতভাবে ভাঁজ করে কত...
[justify]চলে গেছ দেখে খারাপ নেই আমি। ভালই আছি। শুধু মাঝে মাঝে এক কাপ চায়ের জল বসাতে গিয়ে দুই কাপ বসিয়ে ফেলি ভুলে। তারপর একটা অদ্ভুত জিদ হয়। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি জল ফুটছে ফুটছে ফুটছে। জল শুকায়। চা-টাকে হতে না দিয়ে ঘরে চলে আসি। চলে গেছ দেখে খারাপ নেই আমি। এখনো ঠিক এক ঘন্টা ধরেই স্নান করি। যত্ন করে চুল আঁচড়াই। মনে করে সুগন্ধি দেই। তারপর পাখি বেরিয়ে পড়ে। তোমার পাখি উড়ে বেড়ায়, চোখে চোখ রেখে কথা ...
[justify]মাধবী যখন প্রথম আমাদের বাসায় আসল, আমরা দুবোন ওকে দেখে বেশ একটু নাক কুঁচকেছিলাম। লাল লাল চুল, নোংরা জামা, নাক-কান ফুটা করে সুতার দুল পরা, আর গায়ে একটা বিচিত্র গন্ধ। কিছুদিনের মাঝেই মা ওকে মানুষ করে ফেলল। গা থেকে সরষে ফুল, লক্ষীর পাঁচালী, নবান্ন টপাটপ ঝেড়ে “ কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি” তে ট্রান্সফার হয়ে গেল। পরভাষা ওকে কাঁদায়, হাসায়। বাংলা লেখা শেখাতে গেলেই নতুন কিছু বর্ণের সৃষ্টি হ...
[justify]“গঙ্গারামকে পাত্র পেলে? জানতে চাও সে কেমন ছেলে?”-স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে লাল সাদা চেকের সেই ফ্রকটা পরে ঝুটি নেড়ে নেড়ে আবৃত্তি। ফ্রকটার কথা মনে আছে তোলা ছবি দেখে। এরপর বাসায় কেউ আসলেই বাবা বলতো- ঐ ছড়াটা বলে দাওতো, মা- “মন্দ নয় সে পাত্র ভাল, রঙ যদিও বেজায় কাল”- আদিবা বলতে চায় কী না চায় তা না শুনেই দাঁড় করিয়ে দিত টেবিলের ওপর। এখন যেমন যেতে চায় কী না চায় তা না শুনেই শুক্রবার বিকাল চার...
সব গান ছেড়ে গেছে আমাকে
প্রভাতফেরির গান, বিজয়ের।
সব।
তোমাদের ল্যাবরেটরিগুলোতে
সকাল-সন্ধ্যা কিছুই বোঝা যায়না,
কি করে জানব ভূপালি গাইবার
সময় এসেছে?
তোমাদের সামাজিক সভাতে
মিথ্যা আর ভাণের এত রঙ্গিন শাড়ি,
এতবছর দেখেশুনে রাখা ‘সত্য বল,সুপথে চল..’
ভেংচি কাটে আমায়, এখন।
সা থেকে সা সার সার কোক, দুধ আর জুসের প্যাকেট।
অসুর ময়লা জুতা পড়ে গটগট ঢুকে পড়ে
সুরবাড়িতে।
রীডগুলো কাল পলিথিনে ব...