একটি অ-শান্তিপ্রিয় গল্প

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৪/২০১০ - ৮:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সোহেলকে খুব বেশি বোঝাতে হয়না। তার আগেই যা বোঝার বুঝে যান মুজাহিদ। দলের সবার মাথাই খুব পরিস্কার, আর বড়ই ঐক্য সবার মাঝে। এছাড়া এই দলের সবাই খুব শান্তিপ্রিয়, পিছনের গণ্ডগোলের কথা ভুলে গিয়ে, বিভেদ না বাড়িয়ে, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই সম্পর্কে তাদের বেয়াইন। কে বলে রক্তের দাগ মোছা যায় না? আর এখন কিছু নতুন কর্মী তৈরি হয়েছে, তাদের মেধা আর ঠাণ্ডা মাথা দেখে মুজাহিদের বড় স্বস্তি হয়।মুক্তি্যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবার আইডিয়াটা তো এদেরই। এইদেশের মানুষও মুজাহিদের মতনই, তারাও ক্যালসিয়ামের অভাবে নানারকম মেমরি লসে ভোগে। দলের পত্রিকায় এখন বড় বড় লেখকরা লেখে, দল এখন মুক্তি্যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়- এসব দেখে দলের বাইরেও কিছু “শান্তিপ্রিয়” মানুষ তৈরি হয়ে গেছে। হিন্দুয়ানি কাজকারবার হলেও শহীদ মিনারে, বিজয় দিবসে এখন দল ফুল দেয়। সোহেল ছেলেটা মুজাহিদকে বুঝিয়ে ফেলে পহেলা বৈশাখেও দলের কোন একটা বড় অনুষ্ঠান করা উচিৎ। নিজেদের দেশপ্রেমিক প্রমাণ করার প্রক্রিয়ায় এটা একটা বিশাল মওকা। ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকায় জায়গা পাওয়া মুশকিল, আর একটু রিস্কিও হয়ে যায়। বরং ধানমন্ডির মুক্তমঞ্চে করা যায়।প্রস্তাবের বুদ্ধিদীপ্ততায় উৎফুল্ল হয়ে জায়গাটা সরেজমিনে দেখার জন্য ড্রাইভারকে গাড়ি ঘোরাতে বলে মুজাহিদ।

মুক্তমঞ্চে তখন শেষ বিকাল। নানা বিচিত্র পেশা ও বয়সের মানুষ আরেকটি অপ্রয়োজনীয় দিন শেষ করে আনছে। বাদামওয়ালাটি, যার বাবাও একজন বাদামওয়ালা ছিলেন, ভাবছিল এই ব্যবসা বাদ দিয়ে পপকর্নের ব্যবসা ধরবে। প্যাসেঞ্জারের সিটে বসা রিকশাওয়ালাটি একের পর এক প্যাসেঞ্জার ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন, হয়ত ভুল করে মনে পড়ছিল ফেলে আসা পালপাড়ার দূর্গাঠাকুরের মুখ। আর ওই যে যত্ন করে ঠোঁট আর চোখ আঁকা গোলাপি জামা মেয়েটি, তাকে দেখে আপনারও মনে হবে এই মেয়ে অভিমান শব্দটার মানেই জানে না, বড় পরিপাটি। লেকের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন চৌধুরি দম্পতি, যে কোন কথাকেই টেনে নিজেদের ছেলের সাফল্যের গল্পে নিয়ে যেতে ভালবাসেন ওরা। ওজনমাপার যন্ত্রের লোকটা খুশিই ছিলেন, গল্প করছিলেন পাশের হাওয়াইমিঠাইওয়ালার সাথে। আর বাবার হাত ধরে পাঁচ-বছুরে এক বাচ্চা মনের সুখে চাখছিল গোলাপিমিঠাই।

ঠিক তখনই গাড়ি থেকে নামল সোহেল আর মুজাহিদ।হেঁটে হেঁটে মঞ্চের মাঝ বরাবর যাচ্ছিল ওরা। হঠাৎ সেই পাঁচ-বছুরে আঙুল তুলে বলে উঠল, রাজাকারের বাচ্চা। বহুদিন বাবাকে দেখেছে বলতে টিভিতে এই লোকটাকে দেখে। দারুণ আবিস্কারে মৃদু, রিনরিনে গলায় বলা সেই স্পষ্ট উচ্চারণ হঠাৎ সেই অপ্রয়োজনীয় দিনটাকে একটা প্রয়োজনীয় দিনে পালটে দিল। সেই রিকশাওয়ালা, গোলাপিজামা মেয়ে, চৌধুরি-দম্পতি, বাদামওয়ালা পায়ে পায়ে এগিয়ে আসতে লাগল মুজাহিদের দিকে। দেখতে দেখতে প্রায় শ’খানেক মানুষ ঘিরে ফেলল মুজাহিদকে, যাদের চোখে শান্তি বা মেমরি লসের ছিঁটেফোটাও নেই, আছে শুধু ঘেন্না। উল্টাদিকে ফিরে দৌঁড় দেবার সময় মুজাহিদের খেয়াল হয়, পায়ের পাতা পেছন দিকে, পালানো যাবে না আর। কে বলে রক্তের দাগ মুছে ফেলা যায়?

এই ঘটনার পর দেশের আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতে থাকে দলের আরও অনেক নেতাকে ঘিরে ফেলেছে শ’খানেক লোক, বিভিন্ন বিয়েবাড়ি, ফিতেকাটা, বাজারহাটে। কাকতালীয়ভাবে প্রতিটি ঘটনার শুরু করে একজন পাঁচ বছরের বাচ্চা, আঙুল তুলে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ঐ পাঁচ বছরের শিশুটি আঙুল তুলে দেখিয়ে দেয়ার আগে ওকে সত্য শিখিয়ে দেয়ার দায় কিন্তু তার বড়দেরই, ওদের জন্য ব্যাপক হারে লেখালেখি করা দরকার।

মর্ম

সচল জাহিদ এর ছবি

আনন্দী অসাধারণ লাগল প্লটটি। আপনাকে একটি অনুরোধ করি,

এই প্লটটি নিয়ে চমৎকার একটি মঞ্চনাটক হয়, বেশি না দুই অঙ্কের আট থেকে দশটি চরিত্র নিয়ে। এক অঙ্কে থাকবে মুজাহিদ আর তার লোকেদের দলের অফিসে মিটিং যেখানে সিদ্ধান্ত হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের। আর দ্বিতীয় অঙ্কে একটি পার্কে যেখানে থাকবে বাদামওয়ালা, রিকশাওয়ালা, পাচ বছরের মেয়েটি সহ অন্যরা।

নাটকের শেষে থাকবে নিচের কথা গুলি ( একটু বর্ধিত করে)

এই ঘটনার পর দেশের আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতে থাকে দলের আরও অনেক নেতাকে ঘিরে ফেলেছে শ’খানেক লোক, বিভিন্ন বিয়েবাড়ি, ফিতেকাটা, বাজারহাটে। কাকতালীয়ভাবে প্রতিটি ঘটনার শুরু করে একজন পাঁচ বছরের বাচ্চা, আঙুল তুলে।

আপনাকে অনুরোধ নাটকটি লিখে ফেলুন, দেখবেন একসময় আমরাই মঞ্চস্থ করব এটি।

লেখাটি ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

জীবনে কখনও নাটক লিখিনি মন খারাপ, ঠিক আছে তাও চেষ্টা করব। যারা নাটক লিখে অভ্যস্ত তারাও লিখতে পারেন যদি এই লেখাটাকে নাটক করবার উপযুক্ত মনে হয়।

হিমু এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

গুল্লি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

অসাধারণ!!!
বিশেষ করে

এইদেশের মানুষও মুজাহিদের মতনই, তারাও ক্যালসিয়ামের অভাবে নানারকম মেমরি লসে ভোগে।

---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

মুস্তাফিজ এর ছবি

জব্বর লাগলো

...........................
Every Picture Tells a Story

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

জোস প্লট একটা...

গুল্লি হৈসে...

_________________________________________

সেরিওজা

তাসনীম এর ছবি

দারুন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মনামী এর ছবি

ইশ! আমিও এরকম কিছু একটা ভাবছিলাম। কিন্তু আমারটা লিখতে শুরু করার পর অন্যরকম হয়ে গেল। অসাধারণ। এই ধরণের লেখা আরো অনেক আসা উচিৎ।

নাশতারান এর ছবি

অ-শান্তিপ্রিয় গল্পে উত্তম জাঝা!

শান্তিপ্রিয়তা কাপুরুষত্বের কাব্যিক নাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সবজান্তা এর ছবি

বাপরে ! আপনার লেখার হাত তো মারাত্মক রকমের ভালো !!

গল্পটার প্লটের কথা তো অনেকেই বললেন- আমি বরং তাকাই ছোটখাটো ডিটেইলের দিকে।

বাদামওয়ালাটি, যার বাবাও একজন বাদামওয়ালা ছিলেন, ভাবছিল এই ব্যবসা বাদ দিয়ে পপকর্নের ব্যবসা ধরবে।

এই যে কমার পরের অংশটুকু, "যার বাবাও একজন বাদামওয়ালা ছিলেন"- এইটুকু সূক্ষ্মতা আমি সবার লেখাতে দেখতে পাই না।

কিংবা যদি ধরি এই অংশটুকুর কথা -


লেকের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন চৌধুরি দম্পতি, যে কোন কথাকেই টেনে নিজেদের ছেলের সাফল্যের গল্পে নিয়ে যেতে ভালবাসেন ওরা।

এই ধরনের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাও সব লেখকের থাকে না।

সত্যি কথা বলতে কী, গল্পের প্লটের চেয়েও আমি বেশি মুগ্ধ আপনার ভাষা এবং বর্ণনার খুঁটিনাটিতে।

ভবিষ্যতে আপনার হাত দিয়ে এমন আরো চমৎকার গল্প বেরিয়ে আসুক- শুভকামনা রইলো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

এত প্রশংসা হজম হচ্ছে না। ডেফার করলাম হাসি

সবজান্তা এর ছবি

হা হা ...

আপনি দেখি পুরাপুরি 'বিনয় মজুমদার' !


অলমিতি বিস্তারেণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ। তাই দেখতাছি। পুরা বিনয় ম......

বোহেমিয়ান এর ছবি

উপরে মর্মের কমেন্টের সাথে একমত ।
বাবা মার দায়িত্ব ছোটদের শেখানো ।

চমৎকার , আসলেই চমৎকার চলুক
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার লাগল।
বুনোহাঁসের সাথে গলা মিলিয়ে বলি "শান্তিপ্রিয়তা কাপুরুষত্বের কাব্যিক নাম"।

তানভীর এর ছবি

দারুণ!

নিবিড় এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

খুবই খুবই ভাল লাগল! আপনি দারুণ লেখেন!

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মৃত্তিকা এর ছবি

দারুণ! সবজান্তার সাথে সহমত। আপনার বর্ণনার খুঁটিনাটি মুগ্ধ করেছে।
আসুক আরও এমন লেখা চলুক

জি.এম.তানিম এর ছবি

সবজান্তার সাথে কণ্ঠ মেলাই। প্লট তো ভালোই, কিন্তু খুঁটিনাটির দিকে এত দারুণ মনোযোগ লেখাটাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সত্যিই অসাধারণ লাগলো, প্রতিটা দৃশ্যের বর্ণনা এমন ভাবে দেওয়া... চোখ বটে... হাততালি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

রেনেট এর ছবি

চমৎকার!!!

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

চড়ুই এর ছবি

অনু গল্প কিন্তু আনবিক শক্তি ধারণ করে। চলুক

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

দুর্দান্ত! স্যালুট।

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু

সবজান্তার সাথে একমত। অসাধারণ ডিটেইল। মনে মনে পিকচার করতে একদম কষ্ট হয়না।

এইটা ছোট নাটক বানায়ে প্রচার করা দরকার। আপাতত খোমাখাতায় শেয়ার দিলাম।

==========
আশাহত

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

প্রত্যেককে ধন্যবাদ যারা ভাললাগা জানিয়েছেন। খবরটা পড়ে খুব মেজাজ খারাপ লাগছিল, তাই লিখেছি। অনেক তাড়াহুড়া করে লেখা, বানানও ভুল আছে।

শুধু মুজাহিদ কেন, আমরা সবাইই তো নানারকম স্মৃতিবিভ্রম, মানসম্মানবিভ্রমে ভুগছি। বাচ্চারা তো দুধ বেশি খায়, তাই মেমরি
লস কম হওয়ার কথা খাইছে, তাই ভাবলাম ওরাই আঙুলটা তুলুক।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বর্ণনা, থিম দুইই দারুণ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দূর্দান্ত... অসাধারণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শরতশিশির এর ছবি

চলুক

লেখতে থাকো, আনন্দী। খুব ভাল লেগেছে পড়ে। You know you've 'it' in you! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সংসপ্তক এর ছবি

অসাধারণ।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

স্বাধীন এর ছবি

দুর্দান্ত !!!!!!!!!!!!!

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সবাইকে আবারো ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

পথেপথিক এর ছবি

গল্পটা সত্য হতে কষ্ট আছে। ৭১ এ বাদামওয়ালা,
ওজনদার, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সহ ড্রাইভার-হেলপার,
পাহাড়াদার সব আপনাগো পক্ষে ছিলো।
কিন্ত এখন সব স্তরকে তাঁরা (ওয়াচিং)
ম্যানেজ করে নিয়াছে অথবা নিতাছে,
খোজঁ লইছেন।

রেশনুভা এর ছবি

সব আপনাগো পক্ষে ছিলো।

মানে কী? এখন সব কাদের পক্ষে?
আপনার মন্তব্য দেখে মনে হল তারা মনে হয় আপনাকেও ম্যানেজ করে ফেলেছে।
----------------------------------------------

আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।

নাশতারান এর ছবি

পথেপথিক,
আপনার মন্তব্যগুলো কখনোই বুঝতে পারি না আমি। একটু সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলবেন কি?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বর্ষা এর ছবি

খুব ভাল হয়েছে। রাজাকার নিধনে বা বরাহ শিকারে এটার ভিডিওরূপ বেশ কাজে দেবে বলে আমার মনে হয়। নজরুল ভাইএর কাছে এই ব্যাপারে দাবী জানাইলাম। আনন্দী কিন্তু পুরো শট ডিভিশনের মতোই বর্ণনা দিয়েছে- আমি পুরো ঘটনাটি দেখতে পেলাম মনে হলো।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

যেরকম আঙুল তুলে ঢাবি'তে নিজামীর দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেছিলাম আমরা উনিশশো নব্বইতে!!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নূরফ এর ছবি

আনন্দী
কল্যাণ হোক আপনার লেখনীর, প্রতিভার

নাহার মনিকা এর ছবি

দারুণ থিম, দারুণ লেখা!

রাহিন হায়দার এর ছবি

চমৎকার!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

সাফি এর ছবি

অসাধারন। অসাধারন। খুব ভাল লাগলো পড়ে

বইখাতা এর ছবি

দারুণ লিখেছেন। চলুক চলুক

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

এই ইমোগুলি ছাড়া আর কিছু বলার নাই -
চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক

বাবুবাংলা এর ছবি

স্বাধীনতাপন্থী রাজনৈতিক নেতা বেয়াইন-সম্পর্ক পাতায় রাজাকারের সাথে। আর এই লেখায় ওজনমাপারযন্ত্র-ওয়ালা খুশিমনে গল্প করছে "প্রবলমাত্রায় চিনিযুক্ত" হাওয়াইমিঠাই-ওয়ালার সাথে। বিপরীত মেরু আসলেই পরষ্পরকে আকর্ষন করে।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাই সম্পর্কে তাদের বেয়াইন।

-এখানে শুধু বেয়াইন না বলে "বেয়াই-বেয়াইন" বললে মনে হয় ঠিক হয়।

যাদুবাস্তবতার জনপ্রিয় ধারাগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে চরম বাস্তব ঘটনাবলীর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে যাদুকে ঢুকিয়ে দেয়া। যেন যাদুটাই অপারেটিং পয়েন্ট হয়ে যায়। এই গল্পের যাদুটা শুধু যাদু না থেকে কঠিন-কঠোর বাস্তবে পরিণত হোক।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পাণ্ডবদা, ধরিয়ে দেবার জন্য হাসি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

সবাইকে আবারো ধন্যবাদ হাসি

আলতাফ হোসেন এর ছবি

প্রিয় একজন লেখকের ভাষা ধার করে বলি, জবাব নেই।

মুজাহিদের তো আর সত্যি সত্যি মেমরি লস হয়নি, ভয়ানক অপরাধী যেমন সে, ভাণ করে ভুলে যাবার, কিন্তু আমাদের অনেকের হয়তো স্মৃতি লোপ পায়, অনেকে ইচ্ছা করেও ভুলে থাকি। শেষোক্তদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, বেড়েই চলেছে। সংবেদনশীল মানুষের কষ্টের তাই তুলনা হয় না।
তোমার জন্য এ ব্যাপারটি খুব ভালো যে, ক্ষোভ বা দুঃখ থেকে তোমার হাত দিয়ে সৃজনশীল লেখা তৈরি হয়।

চাই যেন সবসময়ই তোমার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।