পাখি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: রবি, ২৪/০১/২০১০ - ১২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চলে গেছ দেখে খারাপ নেই আমি। ভালই আছি। শুধু মাঝে মাঝে এক কাপ চায়ের জল বসাতে গিয়ে দুই কাপ বসিয়ে ফেলি ভুলে। তারপর একটা অদ্ভুত জিদ হয়। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি জল ফুটছে ফুটছে ফুটছে। জল শুকায়। চা-টাকে হতে না দিয়ে ঘরে চলে আসি। চলে গেছ দেখে খারাপ নেই আমি। এখনো ঠিক এক ঘন্টা ধরেই স্নান করি। যত্ন করে চুল আঁচড়াই। মনে করে সুগন্ধি দেই। তারপর পাখি বেরিয়ে পড়ে। তোমার পাখি উড়ে বেড়ায়, চোখে চোখ রেখে কথা বলে, মিষ্টি করে হাসে, সাথে অন্যদের। এ ওড়া বেশ ওড়া। সাথে তুমি নেই। তোমার বলা নেই, এদিক নয়, ওদিক নয়। ওদিকে ঝড়, যেও না। ওখানে পারিজাত, যাও। বেশ আমি গোত্তাগাত্তা খাই, খানাখন্দে পড়ি। তারপর সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধুয়ে ফেলি। তবে সন্ধ্যাবেলা একটা ঝামেলা হয়ে যায়। নিজের দরজা নিজের খুলতে হয়।খট করে কানে লাগে লক খোলার শব্দ। মাথা ধরে যায়। ফোন করব ভাবি তোমাকে। করা হয় না। ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমে দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্নে তুমি। দেখি তোমার মোমের পাখা গলে গলে পড়ছে। তুমি বুঝে গেছ আর ওড়া হবে না। আর না।

অনেক কিছুই হচ্ছিল না। ঠিকঠাক। যেমন হওয়ার কথা ছিল। তুমি যেমন ভাবছিলে। আমি যেমন ভাবছিলাম। ভাবনাগুলো শুধু রেললাইন হয়ে যাচ্ছিল। আর সেই অসুখ আমাদের প্রতিদিনকার পাউরুটি, বই, টুথপেস্টে ছড়িয়ে পড়ছিল। তোমার জ্বরে থার্মোমিটার না খুঁজে আমি খুঁজতে থাকি সন্ধ্যার পার্টির পারফিউম। হাত কেটে গেলে ‘স্যাভলন লাগাও’ বলে তুমি দায়সারা সরে যাও। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি রক্ত পড়ছে, পড়ছে, পড়ছে। তারপর আমাদের বাড়ির চন্দ্রমল্লিকা, বারান্দার দুটা চেয়ার, বিনয়ের কবিতা সব, সব শুধু লাল হয়ে যায়। অথবা কালো। আমি বা তুমি কেউ আর রঙগুলো আলাদা করতে পারি না। কথাগুলো আলাদা করতে পারি না। ছবিগুলো আলাদা করতে পারি না। আমাদের সব কথা, ছবি, রঙ পাবলিক হয়ে যায়। রাকিব, সুমনারা বোঝাতে আসে। বাবা মা’রা বারবার কথা বলতে চায়। আমরা ব্যস্ততার ভান করি।

তারপর? তারপর আমরা সেই প্রথম ও শেষ উপপাদ্যে বিশ্বাস রাখি। পাখিকে ছেড়ে দাও, সে যদি ফিরে আসে, সে তোমার। সে যদি ফিরে না আসে, সে কখনোই তোমার ছিল না।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

দারুণ !

লেখার মধ্যে একটা চমৎকার প্রিসিশন খুঁজে পেলাম হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

শেখ নজরুল এর ছবি

অনেক কিছুই হচ্ছিল না। ঠিকঠাক। যেমন হওয়ার কথা ছিল। তুমি যেমন ভাবছিলে। আমি যেমন ভাবছিলাম। ভাবনাগুলো শুধু রেললাইন হয়ে যাচ্ছিল। আর সেই অসুখ আমাদের প্রতিদিনকার পাউরুটি, বই, টুথপেস্টে ছড়িয়ে পড়ছিল। তোমার জ্বরে থার্মোমিটার না খুঁজে আমি খুঁজতে থাকি সন্ধ্যার পার্টির পারফিউম। হাত কেটে গেলে ‘স্যাভলন লাগাও’ বলে তুমি দায়সারা সরে যাও। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি রক্ত পড়ছে, পড়ছে, পড়ছে।

অসাধারণ লেগেছে এ বাক্যগুলো।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। আপনার সাথে মিল পাচ্ছি, অনেক বেশি। পাখি উড়িয়ে দিয়েছি, অন্যান্য অনেক পাখির মতোই আর ফিরে আসবেনা জেনেই!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হুম চিন্তিত । ফিরে আসবে, ফিরে আসবে। আর না আসলেও ক্ষতি নাই :)।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হ! যেইয়া মোর ছিলোই না অইয়া আইলে কী আর না আইলেই কী!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তুলিরেখা এর ছবি

তারপর? তারপর আমরা সেই প্রথম ও শেষ উপপাদ্যে বিশ্বাস রাখি। পাখিকে ছেড়ে দাও, সে যদি ফিরে আসে, সে তোমার। সে যদি ফিরে না আসে, সে কখনোই তোমার ছিল না।

আসলে কোনো পাখিই চিনি না। খুব কাছের অচিন পাখিটাকেও তো চিনি না।

লেখা চমৎকার! ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

"খুব কাছের অচিন পাখিটাকেও তো চিনি না"

খুব ভাল বলেছেন।
ভাল থাকবেন আপনিও।

জি.এম.তানিম এর ছবি

কবিতার মতো... চলুক
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভাল লাগসে! প্রথমে মনে করসিলাম ঘ্যানঘ্যানানি-প্যানপ্যানানি, পড়ে ভুল ভাংসে...

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

যাক ভুল ভাংসে খাইছে

স্নিগ্ধা এর ছবি

আনন্দী - ভয়ংকর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা আমি করি না সাধারণত, আজকে সেটাই করার ইচ্ছে হচ্ছে!

পাঠকের কোথায় বেঁধে শুধু তাই নয়, কোথায় বেঁধাতে হয় আপনি সেটাও জানেন - এবং খুব অল্প কথায়। এরকম শক্তিশালী গল্প লিখিয়েকে এমনকি ঈর্ষাও করতে পারছি না হাসি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

লইজ্জা লাগে লইজ্জা লাগে

টিউলিপ [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা পড়তে আসলেই ভাল লাগল। কিন্তু তা গল্প কি? বা সফল গল্প কি?

টিউলিপ [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা পড়তে আসলেই ভাল লাগল। কিন্তু তা গল্প কি? বা সফল গল্প কি?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হুম এটা নিয়ে আমারও সন্দেহ আছে চিন্তিত

তিথীডোর এর ছবি

কাব্যের ধাঁচে গল্পের সুর...

কোথায় যেন পড়েছিলাম;
"যে যায় সেতো চলেই যায়, হাতের উল্টোপিঠে চোখ মুছে হাসি আনতে হয়... বহুযত্নে আর কষ্টে এ চোখদুটো মুছেছি, আর তাকে নুতন করে ভেজাতে চাইনা!"

ভাল্লাগলো!!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধনেপাতা তিথী হাসি

রেশনুভা এর ছবি

হমম। সেটাই ... ফেরার হলে ফিরবে।
ভালো লাগলো অনেক।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দুনিয়া পুরাটাই হলো আসলে ভাবের কারখানা! সব ভাব আর মায়া যখন আলাদা করা যায়, পড়ে থাকে কেবল 'আপন'। সবকিছু ঘুরে এই আপনাকে ঘিরেই। তাইলে কী দরকার হুদাকামে পাখি আসলো না গেলো, উড়লো না ফিরলো— এইত্তা চিন্তায় মশগুল থাকার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হাহাহাহা....ঠিকই বলেছেন।

দময়ন্তী এর ছবি

সুন্দর৷ অসম্ভব সুন্দর৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য।

প্রবাসিনী এর ছবি

পাখিকে ছেড়ে দাও, সে যদি ফিরে আসে, সে তোমার। সে যদি ফিরে না আসে, সে কখনোই তোমার ছিল না।

কি সুন্দর। আহা।

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

ইবরাহিম যুন [অতিথি] এর ছবি

আবার যখন ফিরে আসতে চায় তখন তার জন্য তৈরি করা খাঁচাটাতে মরিচা পরে সেই থাকাটাও তার জন্য আর আরামদায়ক হয়না । যখন অনেক নিরবতা তখন চোখ বন্ধ করে কান পাতলে শোনা যায়__ দী....র্ঘ...শ্বা......স

পাখিকে ছেড়ে দাও, সে যদি ফিরে আসে, সে তোমার না, সে যদি ফিরে না আসে, সে কখনোই তোমার ছিল না।

এত সুন্দর করে লিখলেন। অনেক আবেগময়তায় লিখেছেন। খুব ভালো লাগলো

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

না ফিরুক।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

চিন্তিত । ধন্যবাদ পড়বার জন্য।

ফকির লালন এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে, ঝরঝরে।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটাতো পুরাই কবিতা। অসাধারণ লাগলো।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পিপিদা হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তোমার জ্বরে থার্মোমিটার না খুঁজে আমি খুঁজতে থাকি সন্ধ্যার পার্টির পারফিউম।
এই লাইনটার গভীরতা মুগ্ধ করলো। দারুণ লিখেছেন।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এখানে আসার সময় স্যাভলনটা আনতে ভুলে গেছি।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারান লিখেছেন। কবিতার মত করে ভালবাসার আবছায়াকে..।

===অনন্ত===

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

রাফি এর ছবি

দারুণ লেখা। এইটা আগে পড়ি নাই ক্যান???
*****

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য হাসি

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ছন্দপতন ঘটে, সুর কেটে যায়।
পাখি উড়ে যায়, কোন অজানায়।
বেশ ভালো লাগলো লেখাটি।

-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

ইকারুস এর ছবি

আমাকে নিয়ে গল্প লিখেছেন বলে ধন্যবাদ D:

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ওহো তাইতো !!! হাসি

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

লেখাটা মনের মত হয়েছে।
ভাল!

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই গল্পেরও শেষ অনুচ্ছেদ ক্লিশে লাগলো। অথচ গোটা গল্পটা কী কাব্যিক, কী হৃদয়ছোঁয়া! আবুল হাসানের অল্প কিছু গদ্য আছে যেখানে এই ধাঁচের ভাষা দেখেছি।

পরিণতি মাথায় রেখে বা কোন চুম্বক লাইন মাথায় রেখে লিখতে গেলে লেখক নিজেই নিজের পাতা ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন।

খুব কম কবি আছেন যারা ভালো গল্প লিখতে পারেন (যারা পারেন তারা নমস্য, সব্যসাচী)। এই কবির গল্পও ভালো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

এই গল্প লেখার সময় শেষটাই প্রথমে মাথায় এসেছিল হাসি

বুঝতে পারছি ক্লিশে, কিন্তু শেষের কয়েকটা লাইন আমি খুব বিশ্বাস করি, না লেখার লোভ সামলাতে পারিনি মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।