Sohel Lehos এর ব্লগ

আমার স্মৃতি কথন: হিজরত টু আমেরিকা -০১

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১১/২০১৪ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চৈত্র মাসের এক ভয়াবহ গরম দুপুরে খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পড়ে পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার বাবা অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছেন। পাশ কাটিয়ে পাশের রুমে যাবার সময় আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি হেনে আমার মা'কে যেয়ে বললেন,"ওরে বল ফালটা দুইটা ঢাইকা রাখতে"। টাংগাইলের ভাষায় ফালটা মানে হল লাঠি। সেই আমলে আমার খুব বডি বিল্ডারের মতন শরীর ছিল। বডি বিল্ডার মানে রবিউল কিংবা টেলি সামাদের মতন বডি আর কি। হাল আমলের ছেলে পেলেরা রবিউল কিংবা টেলি সামাদ সম্পর্কে অবগত কিনা জানি না, তবে আমি নিশ্চিত গুগল করলে উনাদের কিছু ছবি পাওয়া যেতে পারে।


বুনো পশ্চিমঃ মৃত্যু উপত্যকা-২

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১১/২০১৪ - ৬:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


20141020_133055

বুনো পশ্চিমঃ মৃত্যু উপত্যকা-১

হোটেল থেকে বের হতেই হেমন্তের নীল আকাশের প্রখর রোদ এসে চোখ ঝলসে দিল। আলো সয়ে আসতেই দেখলাম দূরে কালো পাথুরে পর্বতের সারি। কোথাও কোন গাছ নেই। ঘাস নেই। আছে শুধু অফুরান্ত মরুভূমি। জানি সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আপেক্ষিক। কিন্তু এখানে তিনশ ষাট ডিগ্রী জুড়ে ছড়িয়ে আছে সার্বজনীন সৌন্দর্যের সুতীব্র বহিঃপ্রকাশ। মানব দেহের ইন্দ্রীয় যন্ত্রের গ্রহণ ক্ষমতা এত সীমত যে সে সৌন্দর্য মুহূর্তের ভেতর ভোতা করে দেয় সমস্ত অনুভূতি। অথর্বের মত হা করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। পৃথিবীর কোন ক্যামেরার পক্ষে সম্ভব নয় ফুটিয়ে তোলে ব্যাখ্যাতীত সে সৌন্দর্য। মিনিট পাঁচেক ওভাবেই দূরের দিকে তাকিয়ে থেকে এক সময় আমাদের সম্বিত ফিরে এল। আমরা গাড়িতে চড়ে বসলাম।


বুনো পশ্চিমঃ মৃত্যু উপত্যকা-১

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৯/১০/২০১৪ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_4476
ভূমিকাঃ
কখনও ভ্রমণ কাহিনী লিখিনি। আমার দৌড় দুই-একটা ফুচকা টাইপের গল্প লেখা পর্যন্ত। সচলে দেখি অনেকেই সুন্দর করে ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। পড়ে বেশ আনন্দ পাই। সপ্তাহ খানেক আগে আমেরিকার পশ্চিম অংশের বিস্তীর্ণ এলাকার পাহাড়-পর্বত, এবং মরুভূমি দাবড়িয়ে এসে পেটের ভেতর ভ্রমণ কাহিনী লেখার তীব্র ইচ্ছা মোচড় দিয়ে উঠল। বাথরুম পর্ব শেষ করে দৌড়ে এসে টেবিলে আধুনিক কাগজ কলম মানে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। যেহেতু এ ব্যাপারে আমি একেবারেই নবীন তাই আশা করছি আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কেউ ক্ষমা অসুন্দর (!) দৃষ্টিতে দেখবেন না।


প্রায়শ্চিত্ত

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/১০/২০১৪ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাচীন সাবিনো গাছের ডাল পালার ফাঁক দিয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। সিঁদুর লাল সূর্যটা এক রকম তাড়াহুড়ো করে ডুবে গেল। এক ঝাঁক পাতি হাঁস প্যাক প্যাক করে ডুবন্ত সূর্যটাকে ধাওয়া করে উড়ে গেল পশ্চিম দিকে। সূর্য মরে যাবার পরও হালুদ লাল একটা আভা ঝুলে রইল আকাশের ক্যানভাসে। আস্তে আস্তে আঁধার হল চারদিকে। বড্ড ক্লান্তি নিয়ে রাত নামল ওয়াহাকা'র আকাশে।


দ্বিতীয় পৃথিবী

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রফিক হা করে সাবেরের দিকে তাকিয়ে থাকল। লোকটা নিজেকে সাবের হাসান নামে পরিচয় দিয়েছে। পদবী নিউ এরাইভ্যাল এডমিনসট্রেটর। সাবের মৃদু হেসে বলল,

আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না, না?

রফিক কি বলবে ভেবে পেল না। তার একবার মনে হয়েছিল এসব ভাওতাবাজি। কোথায় না কোথায় এসে পড়েছে। এরা তাকে ভোদাই বানিয়ে মজা নিচ্ছে। রফিক আমতা আমতা করে বলল,

না মানে...এ কি করে হয়? আমার বয়স কত বল্লেন?

সাবের বলল, পয়ত্রিশ বছর তিন মাস।

রফিক বলল, আমার জন্ম তারিখ ১৮-১০-১৯৭৭। ভাই, সে হিসাবে আমার বয়স চৌত্রিশ।

সাবের দৃঢ় গলায় বলল, আপনার বয়স পয়ত্রিশ বছর তিন মাস। আমাদের মেশিন যেভাবে ক্যালিব্রেট করা আছে তাতে ২/১ মাসের হেরফের হতে পারে, কিন্তু এক বছর অনেক বড় ব্যাবধান। এত বড় ভুল হবার কথা নয়।

রফিকের ধাই করে তখন একটা জিনিস মনে পড়ে গেল। তার সার্টিফিকেটের বয়স আর সত্যিকারের বয়স এক নয়। সরকারি চাকুরির বয়সসীমা থাকার কারণে অনেকেই এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় বয়স কমিয়ে দেয়। তার বাবাও দিয়েছিল। সত্যিকারের বয়স হিসেব করলে তার বয়স দাঁড়ায় পয়ত্রিশ বছর তিন মাস। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তার হাত ঘেমে গেল।


মনে নেই

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩০/০৮/২০১৪ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিস্ট। যা যা কিনতে হবেঃ

১) চা।
২) দুধ।
৩) সকালের নাস্তাঃ ব্যাগল এবং ক্রিম চীজ।
৪) এনভেলপ।
৫) অরেঞ্জ জুস।
৬) মাংসঃ গরু এবং মুরগী দুইটাই।
৭) হলুদ।
৮) ডিশ ওয়াশিং সোপ।
৯) পেঁয়াজ।
১০) গার্বেজ ব্যাগ।


যে ভূত নাক ডাকে

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৮/০৮/২০১৪ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভয়ংকর নাক ডাকা ভূতের খপ্পরে পড়ে কিভাবে আমি নাজেহাল হয়েছিলাম আপনাদের আজকে সেই গল্প শোনাব। সে বহু কাল আগের ঘটনা। তখন আমি আমেরিকার এক জন বিরান এলাকায় থাকি। জন বিরান মানে পুরাই জন বিরান। দিন দুপুরেও রাস্তা ঘাটে লোক জন নেই। এখানাকার লোকেরা একে শহর বলে। খেয়ে দেয়ে আর কাজ নাই। বাংলাদেশের গাঁও গেরামের ভাবসাবও এর থেকে অনেক ভাল। বাংলাদেশের অজ পাড়া গাঁয়েও আজকাল স্টার জলশায় নাটক না দেখে কেও ঘুমাতে যায় না। আর এই খানে রাত আটটার মধ্যেই দোকান পাটে বাতি নিভিয়ে দিয়ে লোকজন কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ে।