সুরঞ্জনা এর ব্লগ

সংসারের টুকি-টাকি

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শনি, ২০/০৮/২০১১ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘সংসারের টুকি-টাকি’ বইটা হন্যে হয়ে খুঁজছে সোনালী।

খুব কাজের বই। এতে বলা আছে ধনে পাতা ফ্রিজে কি করে তাজা রাখতে হয়, জামায় হলুদ ভরলে কি করে সে দাগ ওঠাতে হয়, আলমারিতে পুরনো জামদানী কি করে নতুনের মতো রাখতে হয়...

সোনালী খুঁজছে ন্যাপথালিনের গুণ বর্ণনাকারী পাতাটা।


আমার মুক্তি আলোয় আলোয়..

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শনি, ১৩/০৮/২০১১ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকক্ষণ বসে থেকেও, লেখার মতো উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পেলাম না।

মনে হচ্ছে, প্রিয় কিছু হারিয়ে ফেলেছি।
হয়তো আসলেই হারিয়েছি।

আমাদের যেন আর কখনো যুদ্ধে যেতে না হয়, যুদ্ধ শেষে 'মুক্তির গান' বানাবার লোকটি যে আর নেই।

মুক্তমনের মানুষ তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।


'ফুঃ'

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ২:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

*

ভোরবেলা দুধ দিতে এসে দুধ-ওয়ালা কথাটা রাষ্ট্র করলো।
বেদেরা এসেছে নাকি শহরে।

উর্মির মা নাশতার টেবিলে খবরটা দিলেন উর্মির বাবাকে।
উর্মির বাবা শহরের পুলিশের বড়কর্তা। হাঁই তুলতে তুলতে বললেন, ‘তাই নাকি? খোঁজ করে দেখতে হয় তাহলে। দরজা-জানালা গুলো ভালো করে দিয়ে রেখো, ওগুলোকে কোনো বিশ্বাস নেই, সব চোর-ছ্যাঁচোড়ের দল।'


দ্য গ্র্যান্ড থেফট

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৬/২০১১ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা...

আজকাল পৃথিবীটা বোঝা বড় দায় হয়ে উঠেছে।

কেন বলছি এ কথা?

একটু বিশদ ব্যাখ্যা করতে হয় তাহলে।


প্রতিজ্ঞা

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: সোম, ২১/০৩/২০১১ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছবি আঁকতে সবচে ভালো লাগে।
তুলি ছাদে বসে বসে শেষ পর্যন্ত এটা স্থির করলো।

একটু আগে তুলিকে যখন ওই বুড়ো মত লোকটা জিজ্ঞেস করছিলো, নাম কি, কোন ক্লাসে পড়ো, তুলি ঠিক ঠিক বলতে পেরেছে। কিন্তু বড় হয়ে কি হতে চাও, এ প্রশ্নের উত্তরটা তখন ও দিতে পারে নি।

লোকটা স্নেহসিক্ত গলায় প্রশ্ন করলো, কি হতে চাও মা? ডাক্তার, টিচার?


ঈর্ষা

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শুক্র, ০৭/০১/২০১১ - ৭:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোট দুটো শয়তান, পা ছড়িয়ে বসে ছিলো, অন্ধকার ঘুপচি বারান্দাটার কোণে।
দুপুরবেলার রোদ, ঝাঁ ঝাঁ করছে ছাদ গুলোয়।
তবে, এ গলিটা ভালো। মাথায় মাথায় বাড়ি, কোনায় কোনায় পড়ে থাকা আবর্জনার ঢিবি। মুখ খোলা নালায় পাঁক খাচ্ছে অন্ধকার কালো কালো জল। রোদের ছায়াও নেই মুখোমুখি বারান্দা গুলোয়।

একটা শয়তান অলস আঙুলে একটা খয়েরি প্রজাপতির ডানা ছিড়ছিলো আস্তে ধীরে, প্রজাপতিটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। শয়তানের ঠিক হুঁশ আছে, মরতে দেয় নি প্রজাপতিটাকে।

'ধুস্...'

বিরক্ত হয়ে শব্দ করে আরেকজন।

ডানা ছেড়া সাময়িক ভাবে বন্ধ করে তার দিকে তাকায় শয়তান। কি হলো?

কিছু হলে তো আর এ প্রশ্ন ওঠে না, ঝাঁঝের সাথে উত্তর করে অন্য শয়তান।


সেই নির্দয় বেড়ালটা

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শনি, ১১/১২/২০১০ - ৭:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২. তুলির গল্প

একটা বেড়াল ছিল। সে একা একা থাকত, তার আর কারোকে ভাল লাগতো না, আর কারোরও তাকে ভাল লাগতো না। সবাইকে ছিল তার অপছন্দ, কিন্তু সবার মধ্যেও তার সবচাইতে অপছন্দ ছিল ছোট ছানা বেড়ালদের। কারণ ছোট ছানা বেড়ালদের সবাইকে ভাল লাগে, আর সবার ছোট বেড়ালছানাদেরও ভালো লাগে। তাই সে ছোট বেড়াল ছানা পেলে ছাদের কার্নিশে পাখি দেখাতে নিয়ে যেত , আর তারপর কার্নিশ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিতো।


চড়ুইভাতি

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১১/২০১০ - ৪:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 
দুপুরের খাওয়ার পর থেকে তুলিকে কেউ বাড়িতে খুঁজে পায় না।
আগে দুপুর বেলা খাওয়ার পর ঘুমানোর নিয়ম ছিল। শক্ত নিয়ম।
এখন সময় অন্যরকম। এখন হয়তো অনিয়ম করাই নিয়ম।
 
তুলিকে পেতে হলে ছাদে যেতে হবে। যদি কেউ পেতে চায় অবশ্য। চায় কি?
তুলির মনে হয় চায়। আর তাই ও ছাদে থাকে।
পাখিরা ঘরে গিয়ে তুলিকে ডেকে আনবে, এটা তুলি ঠিক আশা করে না।
 
পাখিরা বেশি শব্দ পছন্দ করে না।
তাই যখন ওরা ছ ...


কৌটোর গুণ

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের শহরে মায়েদের রান্নাঘরে থাক থাক তাক।
সেই তাকে রঙিন সুগন্ধী সারি সারি কৌটোয় মায়েরা তাদের মেয়েদের তুলে রাখেন।
 
সবার কৌটো মাপ মতো। সবার মনেই ভালবাসা, সবার মুখাবয়ব করুণাময়ীর।
তাহলেও...
কৌটো কেন?
কেউ হয়তো জিজ্ঞাসা করেন।
দেয়া-নেওয়ায় ভারী সুবিধে, আর বাসিও হয় না। প্রসন্ন জননীর সহাস্য উত্তর।
 
এই বাড়ির মা আজকে মেয়ে কে কৌটোয় তুলতে গিয়ে বার বার হেনস্তা হচ্ছেন।
...


দান

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: বুধ, ১৫/০৯/২০১০ - ৭:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 

সেদিন ঈশ্বরের নজর পড়ল পোড়ো বাড়িটার প্রতি। কে কবে ফেলে চলে গেছে, শূন্য অন্তর নিয়ে একলা দাঁড়িয়ে। 

আর তাই দয়ালু ঈশ্বর, এক খণ্ড হাহা-কার নিয়ে বাড়ির অন্দরে পুরে দিলেন। হাহা-কার বাড়ি ময় ঘুরে বেড়াতে লাগল।

ঈশ্বর ভাবলেন, যাক্, একলা তো আর নেই।

 

***