এই ইনুইট উপকথায় পাই পরিবেশের সঙ্গে মানুষের নিবিড় যোগের কথা, নির্ভরতার কথা, পরিবেশের প্রতি মানুষের দায়িত্বের কথাও।
ইনুইটদের কাছে সেডনা হলেন সমুদ্রের দেবী, সামুদ্রিক সব প্রাণীর তিনি মা। সমুদ্রের তলায় তিনি থাকেন, সব জলজন্তুরা তাকে মান্য করে। তার কথা শুনে বাসা থেকে বেরোয়, তার কথা শুনে বাসায় ঢোকে।
ইতালির এই উপকথার সাথে কোথাও কোথাও আমাদের অরুণ বরুণ কিরণমালা কাহিনির খুব মিল আছে। কোন দেশ থেকে কোন কাহিনি কোথায় গেছে তা বার করতে গেলে রীতিমতো রাখালদাসকে ডাকতে হয়।
বাইরে আলোছায়ার খেলা চলছে আর হাত ধরাধরি করে আমরা দু'জন পরিপার্শ্ববিচ্ছিন্ন হয়ে ফিরে গেছি আমাদের কিশোরীবেলায়। সেই তখন, যখন আমাদের বিশ্বাস ছিলো কাঁচা আর বিশুদ্ধ, যখন আমাদের মনের মোড়কটা কচ্ছপের খোলার মতন হয়ে যায় নি।
ঐ যে নীল পাহাড়ের চূড়া, তার কাছে আছে এক বিরাট হ্রদ, সেই হ্রদ থেকে পাড়ের একটা দিকের পাথরের বাঁধন কাটিয়ে নেমে এসেছে ঝর্ণা, সেই ঝর্ণা নদী হয়ে বয়ে এসেছে নিচে, তিনকূট পাথরের কাছে এসে হয়েছে সরোবর, সেই সরোবরে আছে ঘূর্ণী। জল সেখানে নিশিদিন ঘুরপাক খায়।
এটা সুরিনামের উপকথা। একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এ কাহিনি আমাদের দেশেও শোনা যায়। ইউরোপের নানা দেশেও একইরকম কাহিনি শোনা যায়।
এক রাজা এক রাণী। তাদের ছিলো বারোটি ছেলে। রাণীর আবার সন্তান হবে, রাজা এদিকে যাবে যুদ্ধে। এক গুণীন রাজাকে বললো, "রাজা, এই ছেলেদের মধ্যে একজন বড় হয়ে তোমাকে হত্যা করবে।" রাজা আতঙ্কিত হয়ে বললো, " কোন ছেলে?"
ইস্কুলবেলা লিখতে গিয়ে অনেক পাওয়া হলো আমার, কতকালের পুরানো বন্ধুরা উঠে এলো স্মৃতির জলরাশি সরিয়ে। মুখবইয়ে সত্যি করে উঁকি দিলো ছোটোবেলার বন্ধুরা। কাউকে চিনতাম প্রাইমারি স্কুলে, কাউকে পেয়েছিলাম সেকেন্ডারির বছর ছয়েক কাউকে বা এগারো-বারোতে।
এটা কোস্টারিকার উপকথা। তবে এই উপকথা একটু আলাদা আলাদা আঙ্গিকে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইউরোপ জুড়ে শোনা যায়।
এক তরুণ রাজা এক গ্রীষ্মের সকালে ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়েছে বনে শিকার করতে। বনে ঢোকার মুখে সে দেখলো একটা বিরাট সতেজ সবুজ কমলালেবুর গাছ। হাতের নাগালে ঝুলে আছে তিন তিনটে পাকা পাকা কমলালেবু। রাজা টপাটপ কমলা তিনটে পেড়ে কোমরের পেটিকায় রেখে দিলো। পরে সময় বুঝে খাওয়া যাবে।
এটা চীনের উপকথা। এক শিল্পী-মা আর তার স্বপ্নের গল্প, এক মায়ের জন্য এক ছেলের জীবন তুচ্ছ করে অভিযানের গল্প।
শীত আর কুয়াশামোড়া এক উপত্যকায় একটি ছোট্টো গ্রাম। গ্রামের একেবারে শেষপ্রান্তে একটি জীর্ণ কুটির। কুটিরে থাকে এক বিধবা মহিলা আর তার তিনটি ছেলে। বড় আর মেজো প্রায় যুবক, ছোটোটি এখনো কিশোর।
১। ডক্টর জীশান আমাদের যখন ডাকিয়ে পাঠালেন তখন বিকালবেলা। আমি, অঞ্জলি, সোমক আর জর্জ মিলে এক বিশেষ ধরনের শৈবালের নমুনা সংগ্রহ করছিলাম এক সরু খাঁড়ির প্রান্ত থেকে। এই শৈবাল ও খুব ইন্টারেস্টিং বেশ কদিন ধরে এই নতুন ধরনের শৈবাল নিয়ে পড়ে আছি আমরা কজন। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর সালোকসংশ্লেষক্ষমতা চেনাজানা অন্য উদ্ভিদদের তুলনায় অনেকটাই বেশী, শুধু সূর্যালোকে না, আমরা কৃত্রিম জোরালো আলোয় এমনকি মৃদু আলোতেও পরীক্
আমি মনে হয় একেবারে মুক্ত পাগল হয়ে যাচ্ছি, বদ্ধ পাগল স্টেজ পার হয়ে গেছে। আমাদের এক দিদিমণি আমাদের বোঝাতেন পাগল নানাপ্রকার- দিব্যোন্মাদ ভাবোন্মাদ বীভৎসোন্মাদ। এক সুরসিকা ছাত্রী বলেছিলো "না না দিদিমণি, শুধু এগুলো না, আরো দু'খানা আছে, বদ্ধোন্মাদ আর মুক্তোন্মাদ। " তারপরে কী হইলো জানে শ্যামলাল।