আসলে এটা ঠিকঠাক লেখা বলতে যা বোঝায় তা না। আপডেট হওয়া নতুন ব্যবস্থায় ছবি দেওয়া যায় কিনা পরীক্ষা করে দেখছিলাম, শুধু ছবি তো আর দিতে পারি না, তাই কয়েকটা কথাও লিখে দিলাম।
এ শহরে এসেছিলাম গ্রীষ্মের শেষে, আমাকে সবাই বলেছিলো "ও, তুই ঐ ধোঁয়াপাহাড়ের কাছে যাচ্ছিস, তাহলে চারখানা মরশুম দেখতে পাবি। ওখানে গ্রীষ্মশরৎশীতবসন্ত সব আসে। "
কোথাও আজ বসন্ত, গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি। শিসমহলে সূর্য-দীঘল পালা। সেখানে কৃষ্ণকলি জাগে। সেখানে গাঁথা হয় নাগচম্পার মালা। সেখানে তমালবনের ভিতর দিয়ে সবুজ রেলের গাড়ি চলছে চিকনঝিকন রোদ্দুরজাল ছিঁড়ে। কাছের গ্রামযমুনায় বাঁশি বাজে। সেখানে পাখিরা খুব ব্যস্ত নতুন নীড় বাঁধার কাজে।
১
হাল্কা নীল ভোর, খুব মৃদু একটা আভা শুধু দেখা দিয়েছে। এখনও সূর্য উঠতে অনেক দেরি, পুবের আকাশে এখনো লাল রঙই লাগে নি। হাওয়ায় হাল্কা শীত-শীত ভাব। একটা ভোরজাগা পাখি সুরেলা গলায় ডেকে উঠলো, গানের প্রথম আখরটির মতন বাধো-বাধো ডাক।
অনেকদিনের অনেক পুরানো সব লেখা, হলদে হয়ে গেছে খাতার পাতাগুলো, কেমন যেন জীর্ণও হয়ে গেছে। কোণাগুলো ভেঙে ভেঙে গেছে, কাগজের গুঁড়ো জমা হয়েছে মধ্যের ভাঁজে ভাঁজে। ইচ্ছে করে হাত দিয়ে ছুঁতে, খুব সাবধানে হাত রাখি, হাত বোলাই। পাছে আরো ভেঙে ঝুরো ঝুরো হয়ে যায়, তাই এই সাবধানতা।
যে দিন গেছে চলে---। জীর্ণপাতার ওই খাতার মধ্যে রয়ে গেছে তার পায়ের চিহ্ন, ধানগন্ধী হেমন্তবেলা মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর, ইলিশগন্ধী বৃষ্টিবেলা ..... সবার চলে যাবার শব্দ রয়ে গেছে।
ফেরারী কথারা ফিরছে যখন ঘরে
বন্ধু মেঘেরা নীল বৃষ্টিতে ঝরে-
মায়াকথাদের সবুজ সবুজ জামায়
ছায়াসুখলতা রঙভোলা হাত নামায় .....
ফেরারী কথারা সেদিন ঘরে ফিরছিলো। অনেকদিনের পরে। সেই যে ঝরাপাতা অরণ্যের ভিতর দিয়ে, পথহীন পথে তারা পালিয়ে গেছিলো, দৌড়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলো কুয়াশাভরা অন্ধকারে, পিছনে গুলির শব্দ ছিলো, সঙ্গীরা আসতে পারলো না পড়ে রইলো দেখার সময় ছিলো না-সেই সময়টা এখন স্মৃতিমাত্র। অতীত, মৃত অতীত।
দু'হাতে জড়িয়ে রাখি রেশমী সুতো,
লুকিয়ে রাখি টুকরো টুকরো গোলকাঁচ
ঝুড়িতে রাখি মন্ত্রপাথর ও সুষমাচার-
উড়ে পালাতে থাকা রশ্মিকণারা
পালাতে পালাতে অবিরল হাসে।
অন্ধকার আকাশকে চমকে দিয়ে মুঠো মুঠো সোনালী ফুলের মতন তুবড়ি আর তুবড়ি। কতগুলো মস্ত মস্ত রঙীন ফানুস ভাসতে ভাসতে যাচ্ছে। বর্ষবরণ ২০১১। বছর আর দশক দুই ই শেষ হয়ে এলো। আজই শেষ রাত। কাল পহেলা জানুয়ারীর ভোর নতুন সালে।
নিজেকে পুরানো মনে হয়। কত স্মৃতি জমে গেছে মনে! এই না সেদিন ১৯৯৯ ছিলো? এই না সেই ওয়াইটুকে প্রবলেম নিয়ে লোকের কী কাঁপাকাঁপি? নাকি যেই না সালের ঘরে ০০ হয়ে যাবে অমনি দুনিয়ার তাব ...
" হ্যাঁ রে অন্বেষা, তোর ডাকনাম যে টেঁপি, এটা তো কস্মিনকালেও জানতে পারিনি আমরা কেউ গোটা ইস্কুলবেলায়!"
অন্বেষা হাসে, বলে, " আরে ওটা তো বাড়ীর ডাকনাম, ইস্কুলে তোরা জানবি কীকরে? দেবুস্যর তো মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ী যেতেন, তাই জেনেছিলেন।"
"আরে বলিস কী? উনি তোদের বাড়ী যেতেন? "
"মাঝে মাঝে। উনি বলতেন লোকে নাকি গল্প করতো আমার ঘরে আমি মাবাবাকে পর্যন্ত নাকি ঢুকতে দিই না, বই দিয়ে ঢাকা সেই ঘরের ম ...