ব্লগ

'মনিকা আবার কবে আসবেন?' : : অভিনন্দন হে বাবুরাম সাপুড়ে

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ৯:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


।1।
তিনি এসেছিলেন ।
জ্যাম জট,ধূলো, শ্যাওলা-ময়লার এই নারকীয় ম্যানহোলে ।
মার্কিন মুলুকে তিনি অনেক নাম কামিয়েছেন , অপেরাতে নাকি বাদ্য-বাজনা করেন ।
এই নারকীয় ম্যানহোলের জাতীয় মঞ্চে ও তিনি পিয়ানো বাজিয়েছিলেন । আমাদের মন্ত্রী-যন্ত্রী, আমলা-গামলা,বুদ্ধিজীবিরা সে বাজনায় বিমোহিত হয়েছিলেন । আমরা অভাজনরা টিভির পদর্ায় আর খবরের কাগজের পাতায় তার ছবি দেখে ই ধন্য হয়েছিলাম ।

তিনি ফিরে গিয়েছিলেন তাদের স্বর্গে ।
আহা তার বিদায় বেলায় বেদনায় সবথেকে কা


অভিনন্দন মুহাম্মদ ইউনুস

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ৮:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল শান্তি পু রস্কার পেলেন, আমার অনুভুতি মিশ্র, এর আগে আমরা যেভাবে অমর্ত্য সেন বাংলাদেশে জন্মেছে বলে একটা সান্তনা খুঁজছিলাম এই বৈশ্বিক গর্বে বাংলাদেশকে আত্তিকরনের জন্য এই হাহাকারটা কমে গেলো। একেবারে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন নাগরিক বৈশ্বিক স্ব ীকৃতি পেয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এই গর্বের অংশীদার আমি। তবে অন্য একটা প্রশ্নও মাথায় ঘুরছে। আমার অনুভুতি বলতে হলে আমি বলবো, একজন ব্রেইন সার্জন যদি তার নখ কাটার দক্ষতার জন্য পুরস্কৃত হয় যেমন লাগবে আমারও তেমন লাগছে। পুরস্কারের জন্য ভালো লাগছে তবে পুরস্কারটা আসলে সম্মানিত করলো নাকি অসম্মানিত করলো মুহাম্মদ ইউনুসকে এটা বুঝলাম না।মুহাম্মদ ইউনুসের মাইক্রোক্রেডিট প্রকল্প যত বড় সাফল্যজনক


নাকের বদলে নোবেল পেলাম

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড. ইউনুস আর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নোবেল শান্তি জিতে নিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন দস্তুরমতো নোবেলজয়ী দেশ।দারিদ্র্য ঘোচানোর জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার বৃহৎ যজ্ঞের আয়োজন করেই ইউনুস বাংলাদেশের ললাটে এই নোবেলতিলক এঁকে দিলেন। আগামীকাল বাংলাদেশের তিনকোটি ভুখানাঙ্গা মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠবে শূন্য উদর, গৌরবপূর্ণ বক্ষ, নোবেলজয়ের আনন্দে হাসিভরা মুখ, আর ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিশ্রুতিতে ভরপুর হৃদয় নিয়ে।আমি চোখ মুছি। আনন্দে, বেদনায়। দাতারাও হাসেন। কেন কে জানে।কত লজ্জা, কত দুর্নাম, কত কিছু রটে আমাদের নামে। আমরা, লড়তে লড়তে যাদের সবকিছু ফুরিয়ে আসে, হঠাৎ যেন ঝপ করে রাজকন্যার খোঁপায় বাঁধা পারিজাতের মালা এসে আমাদের হাতে পড়েছে। এ নিয়ে কী করবো আমরা ঠাহর করতে পারি না। লজ্জায় কাটা পড়া ন


উত্তরাধুনিকতার ব্যাবচ্ছেদ -২

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ১৩/১০/২০০৬ - ৩:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিচ্ছিন্নতার সুতায় গেঁথে মানবজীবন শুধু অনুভবগুলোকে একটা একটা করে তুলে আনা, উপর্যুপরি বিশ্লেষনের পর অবশেষে নিশ্চিত হওয়া আসলে মদ-মাংস এবং চামড়ার আড়ালে যা আছে সবটুকুই নিখাদ অনু-পরমানুর কোলাহল। বিচ্ছিন্নতার মানসিক অভিক্ষেপ পড়ছে, আমাদের প্রতিটা ভ্রমন এভাবেই একেকটা মনের কানাগলিতে গিয়ে থামছে, এই সাংস্কৃতিক বিবর্তনটা এক পর্যায়ে বস্তু এবং চরিত্র থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে একটা ধাঁধাঁ তৈরি ফেলে। সেই স্টেরিওটাইপড আইডিয়াগুলোকে আবার নিরিক্ষা করা, প্রয়োজন আছে কি নেই এসব যাচাই না করে আঙ্গিক এবং ভাষ্যের ক্রমাগত ভাঙচুড়।আমাদের মানসিকতার ভেতরে আড়ালের প্রয়োজন হয়ে গেছে, আমাদের বর্তমান ফ্ল্যাট কালচারের মতো, নাগরিক জীবনের সহাবস্থান এবং আপাতসংলগ্নতা সত্ত্বেও যে বিচ


তাহাদের ঈদী ফোনালাপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বুধ, ১১/১০/২০০৬ - ১১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


রাত বারোটার দিকে হঠাৎ মিসকল।একবার।দুইবার।তিনবার।নাম্বারটির দিকে তাকিয়ে খালেদা মুচকি হাসলো। ভাবলো সেও মিসকল দিবে। কিন্তু কী ভেবে জানি ফোন করে বসলো।ফোন রিসিভ করেই ওপাশে হাসির মাতম। হাসি থামিয়ে হাসিনা বলে- কী গো বইন ডরাইছো?- না, ডরামু ক্যান। তুমি মনে করছো তোমার নম্বর আমি জানি না?- নম্বর জানলে ফোন করো না ক্যান?- এই তো করলাম।- হ করলা... আমি মিসকল দিলাম বইলাই তো করলা।- মিসকল দিলে কী সবাই কলব্যাক করে কও? তোমার নম্বর দেইখাই কল ব্যাক করলাম।-যাউক আর কথা


দুই টাকার সেলিনা পারভীন, কয় টাকার বাংলাদেশ হে?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১০/২০০৬ - ৭:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অতটুকুতেই তাকে নিয়ে গল্প লিখা যেতো ।

1931 এ নোয়াখালীর রামগঞ্জে যে মেয়ের জন্ম হলো, বছর কয়েক পর সে চলে এলো ফেনী শহরে । মেট্টিক পরীক্ষা দিলো । পাশ করতে পারলোনা । একাডেমিক পড়াশোনো আর হলোনা তার ।
সেই মেয়ে, সেই সময়ে কি করে নিজেকে এতোটা স্বশিক্ষিত করে তোললো? রোকেয়া হলের মেট্টন হলো, 'ললনা' নামের পত্রিকার সাংবাদিক হলো, তার পর এক সময় নিজেই সম্পাদনা শুরু করলো সাহিত্য পত্রিকা 'শিলালিপি' । এর ভেতর একবার বিয়ে ও হলো । ভেঙ্গে ও গেলো (বাংগালী পুরুষ অন্যের


উত্তরআধুনিকতার ব্যাবচ্ছেদ-১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: সোম, ০৯/১০/২০০৬ - ৭:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সামাজিক বিবর্তন, সাংস্কৃতিক বিবর্তন, শব্দগুলো এখন সাধারনভাব প্রকাশ করে, তবে এই বিবর্তনের ক্ষেত্রে সবসময়ই যে শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতিই জয়ি হবে এমন কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। বরং এটা ধারাবাহিক একটা প্রক্রিয়া যেখানে সৃষ্টিশীল সত্ত্বাগুলো নিজস্বস্বর খোঁজার প্রয়োজনে অন্যদের থেকে আলাদা হওয়ার সচেতন চেষ্টা করছে। এই বিবর্তনের লক্ষ্য ইনডিভিজুয়ালিজম।মানুষকে সমাজের একক ধরা হবে নাকি পরিবারকে সমাজের একক ধরা হবে এ নিয়ে একটা বিতর্ক চলছে বিজ্ঞ মহলে, কোনো না কোনো ভাবে এই সমাজিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক বিবর্তনকে একটা রূপরেখা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা অস্ব ীকার না করেই এর এককটাকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা। একক মানুষ গতিশীল সত্ত্বা, তার ধারন করার ক্ষমতা, তার গ্রহন করার ক্ষমতা বেশি,


ভুল মিসটেকের ফাঁদে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: রবি, ০৮/১০/২০০৬ - ২:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কয়েকটা পোস্টের লিংক পাঠিয়েছিলাম। ভার্সিটির ক্লাসমেট অংকন মেইল করেছে - 'এতো ডিপ্রেসিং লেখা লিখিস না। মানুষের জীবনে তো কষ্টের শেষ নাই, আরো মন খারাপ করিয়ে দিয়ে কী লাভ?'তাই এবার হাসার কিংবা হাসানোর - সাথে সাথে মন ভালো করার একটা ভুল চেষ্টা। সব প্রিন্ট মিসটেক আর টাইপিং এররে ভুলে ভুলে ভরা - সংযম:গত রমজানের কথা।আমি দেশের বাইরে আসার পর প্রথম রমজান। ঈমাণী জোশে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ ক'জন বন্ধু ই-গ্রিটিংস কার্ড পাঠালো। এক বন্ধু মেইল করলো - ramzan-e valo moto s


বিবর্তন-২

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ০৬/১০/২০০৬ - ১০:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রশ্নটা খুবই স্বাভাবিক ভাবেই উঁকি দেয় মনে, প্রাকৃতিক নির্বাচন কিভাবে রাসায়নিক গঠনকে পরিবর্তিত করতে পারে, যদিও এটা ঘটতে দেখা যাচ্ছে অহরহই। উদ্ভিদজগতে আমরা দেখছি এই পরিবর্তন, দেখছি জীবের ভেতরেও।জেনেটিক পরিবর্তন উস্কে দেওয়ার পেছনে রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি এবং সেটা গ্রহন করার বিষয়টাই গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে আমার কাছে। আমাদের পুষ্টির চাহিদা আমাদের জেনেটিক পরিবর্তনের অন্যতম কারন। অবশ্য এটা আমার নিজস্ব অভিমত, কোনো শক্ত প্রমান হাজির করতে পারবো না এর সপক্ষে, কোনো গবেষণালব্ধ প্রমান বা পরিক্ষীত কোনো পন্থাও বলতে পারবো না যেটা এই বিশেষ বিষয়টাকে নিয়ে কাজ করছে। আমার এই অনুমানের পেছনের কারনটা খুব সাধারন, পৃথিবীতে জীবানুদের পরিবর্তন আমরা দেখছি, গবাদি পশুবাহ


ইন্টারলেকেনের বৃষ্টিভেজা বিকাল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০৬/১০/২০০৬ - ৯:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঝির ঝির করে যেরকম ধারায় বৃষ্টি পড়ছিল তার জন্য রেইনকোটই যথেষ্ট। কিন্তুদুজনের ভাগে ফোল্ডিং ছাতাটার যে অর্ধেকটা পড়ছিল তাতে কারো মাথাই রক্ষা হচ্ছিল না। ইন্টারলেক ইস্ট স্টেশন থেকে বেরিয়েই ছাতার খোঁজে আশেপাশের দোকানগুলোতে ঢুঁ মারছিলাম। যদিও জিনিভা বা বার্নে রোববারে দোকানগুলো বন্ধ দেখে এসেছি, পর্যটকদের বাজার বলেই কিনা এখানে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দোকান খোলা। তাতে অবশ্য আমাদের ছাতা কেনার কোনো সহজ সমাধান হচ্ছিল না। লন্ডনে 5 পাউন্ডে যে ছাতা পাওয়া যায় এখানে