গত তিন-চারবছর আমি শানত্দিমত ঘুমাতে পারিনি এমন উদ্ভট কোনো দাবী আমি করছি না তবে এই যে এতবড় একটা বোঝা আমি কাঁধ থেকে নামিয়ে সাউথওয়ার্ক ব্রিজ রোডের বাইন্ডার দ্য ডকুমেন্ট অফিসে রেখে আসলাম তার জন্য নিজেকে নিজের পিঠ চাপড়ে দেয়া বা যাকে বলা যায় উদযাপন করা উপলক্ষে ঘুমানো ছাড়া উত্তম কোনো পন্থা আমার মাথায় আসছে না। ঘটবো ঘটবো করেও যে ঘটনার সমাপ্তিকাল হিন্দি ছবির মত শুধুই সমপ্রসারিত হয়ে যাচ্ছিল তা শেষ পর্যনত্দ ঘটে গেল গতকাল দুপুরের দিকে যখন আমি 350 ও 350 পৃষ্ঠা
--'মোরশেদ ভাই'
--'অরূপ ! কি অবস্থা , কই তুমি?'
এই মাত্র কথা হলো অরূপের সাথে । ঘুম ভাঙলো ওর ফোন পেয়ে । বেচারা আমেরিকা থেকে যাচ্ছে মালয়েশিয়া । দীর্ঘ, বিরক্তিকর যাত্রা । হিথ্রোতে যাত্রা বিরতি ।
যাত্রা শুভ হোক অরূপ ।
1998 টা খারাপ হতে হতেও কেমন যেন ভাল'র দিকে মোড় নিল। সেবার জন্মদিনেও খুব সুন্দর একটা কার্ড পেলাম অপুর থেকে। বন্ধুত্ব নিয়ে একটা গানের কিছু লাইন কাগজে ছোট ছোট করে প্রিন্ট করে কার্ডে সেঁটে দিয়েছিল। কথাগুলো এখন ঠিক মনে পড়ছে না - যদিও এককালে ওর প্রায় সব কার্ডের কথা মুখস্থ ছিল। কে বলেছে কার্ড হচ্ছে একটা waste of money? নানা মন খারাপের বা একা থাকার সময় এই কার্ডগুলো আমার মন ভাল করে দিয়েছে। কার্ডগুলো ছিল যেন মন খারাপ রোগের super fast action ওষুধ। আজকে হঠা
[justify]
ঈশ্বর কটমটাইয়া তাকাইলেন আদমের পানে। আদম দিনকে দিন বেয়াদব হইয়া উঠিতেছে, শুরুর দিকে মিনমিন করিতো, ইদানীং ঘাড় বাঁকাইয়া রগ ফুলাইয়া কথা বলে। লক্ষণ ভালো নয়।তিনি গম্ভীর গলায় বলিলেন, "দলিল? কীসের দলিল?"
আদম গোঁ গোঁ করিয়া বলিলো, "সম্পর্কের দলিল।"
ঈশ্বর বলিলেন, "কীসের সম্পর্ক? সম্পর্কের আবার দলিল কী? এসি ল্যান্ড এর মতো কী বকিতেছো আবোলতাবোল? সম্পর্ক কি জলমহাল না দখলকৃত অর্পিত সম্পত্ত...
[
বিদেশ বিভূঁয়ে মাঝে মাঝে নি:শ্বাস ফিরিয়ে দেয় ডায়েরীতে টুকে রাখা কিছু প্রিয় কবিতা । এই কবিতাটা এখানে তুলে দিলাম আরেক ভালো লাগা স হ ব্লগার অরূপ এর জন্য
]
আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলাম
পুরুত রাজাদের হাত থেকে সে আমাকে রক্ষা করতে পারেনি;
আমি দ্্রোণকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলাম
আঙুলদক্ষিণা নিয়ে সে আমার সপ্তশরবিদ্যা হরন করছিলো;
আমি সিজারকে বিশ্বাস করে ঠকেছিলাম
সিংহাসন পাওয়ার পর সে তার দাসবন্ধুদের মনে রাখেনি;
এইচ এস সির রেজালট হয়েছে বেশ অনেক দিন হলো, এবার একে একে ভর্তিপরীক্ষার যুদ্ধ শুরু হবে, বাংলাদেশের সবকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা, প্রকৌশল মহাবিড্যালয়গুলোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা, বাংলাদেশে বেশ কিছু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ওসবের জন্য ভর্তি পরীক্ষা, এভাবে চলতে চলতে অবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা।যদিও সব ছাত্রেরই ইচ্ছা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা বুয়েট মেডিক্যালে পড়ার তবে এই ভর্তি পরীক্ষা নামক বাছাইয়ের খেলায় অনেকেই পিছিয়ে পড়বে। আমার পছন্দ না হলেও এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য যে খুব কম মানুষই তার পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়, হয় যেখানে এই বিষয়গুলো পড়ানো হচ্ছে সেখানে সীটের সংখ্যা কম, কিংবা ঐ একই সাবজেক্ট
শুক্কুরবার মোবাইলে কোন এক হতভাগা জানি বার্তা পাঠাইলো, "ইউনুস শান্তিতে নোবেল জিতিয়াছে! হুররে!"মনে মনে হাসিলাম। রোসো বৎস, অত ফূর্তির কিছু নাই। নো বেল, এই নোবেলের কোন বেল নাই। টাইপিং মিশটেকে হয়তো নোবেল কমিটি ভুল করিয়া এরূপ কীর্তি করিয়া বসিয়াছে। নইলে শান্তিতে ইউনুস কী করিয়া নোবেল জয় করিবে? নিশ্চয়ই কোন গলদ রহিয়াছে। অচিরেই শুদ্ধিপত্রে বাহির হইবে, ইউনুস নহে, ইউনান প্রদেশের মেয়র ইউ নুং নোবেল লভিয়াছে, তাহার প্রদেশে ছান্তিছিঙখলা বজায় রাখিবার জন্য। বাঙ্গালি জিতিবে নোবেল, তবেই হইয়াছে। ছোহ!কিন্তু কয়েক ঘন্টা কাটিয়া গেলো, শালার ব্যাটারা শুদ্ধিপত্রে কিছু কহিলো না। আমার বেজায় রাগ হইতে লাগিলো। নরওয়ের নরকূল এমন ছাগুপনা করে কিভাবে? এ-ও কী সহ্য করা যায়? বাঙ্গাল
ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থে মানুষ ও ঈশ্বরের সম্পর্কের এক পৌরাণিক ব্যাখ্যা আমরা পাই। মূল গল্প ওল্ড টেস্টামেন্টের। আরব অঞ্চলের ধর্মগুলো সে গল্প নিজেদের মত করে পরে অদল-বদল করে নিয়েছে। সেই গল্পকথার সূত্র ধরে আমরা জানি, স্বর্গোদ্যানে মহাসুখে বিচরণরত আদমকে বেআদব শয়তান কেবলি ফুঁসলাত। আদম সেই ধান্দায় পড়ে জ্ঞানবৃৰের ফল খায়। তারপর এই অপরাধে স্বর্গ থেকে আদম ও হাওয়ার পপাৎ ধরনীতল। ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের জন্য নাকি অনেক ইশারা আছে কিন্তু কিভাবে আদম
সাঁইজি কে নিয়ে একটা ভিডিও ক্লিপ পেলাম ।
সুমন মুখার্জীর নির্দেশনায় সুদীপ্ত চ্যটার্জীর একক পরিবেশনা । অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ বছর এপ্রিলে নিউইয়র্কে ।
মাধবী কখনো সিডিউল মিস করে না। তপুই বরং মাঝে মাঝে দেরী করে। কিন্তু আজ উলটো ঘটনা। তপু পনের মিনিট আগে এসে অপেক্ষা করছে। এ সময়টায় আর্চিস গ্যালারীর ভেতরে ভীড় হয়। তপু-মাধবী ঈদকার্ড কিনবে, কিন্তু শর্ত হলো ঈদের সকাল ছাড়া খোলা যাবে না। ঈদের সকালে ফোনে 'ঈদ মোবারক' বলতে বলতে খাম খুলতে হবে। গত কয়েকটা ঈদে এমন হচ্ছে।একটু পর মাধবীর রিকশা এসে থামে।- উঠ, রিকশায় উঠ...।- কোথায় যাবি? এখানেই তো আসার কথা ছিল।- আহ্! উঠ তো, তারপর দেখবি কই যাই। মাধবী তাড়া দেয়।তপু উঠে ব