সার্কাসের মাঠে এক একটা আন্ধা বাঁদর

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: বুধ, ১২/০৩/২০০৮ - ১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্রিকেট মাঠে রাজনৈতিক রথী-মহারথীদের ঘন ঘন আনাগোনা শুরু হয় মূলত হাসিনার আমলে। ৯৭এর আইসিসি ট্রফিতে আকরামের একক নৈপূণ্যে হল্যান্ডকে হারানো এবং পরে কার্টেল ওভারের কল্যাণে কেনিয়ার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এক নতুন বন্দরে পৌঁছে দেয়। সাবের চৌধুরীদের লবিং স্ট্যাটাস বাড়ায়। ফুটবলের পাছায় লাথি মেরে সবাই ক্রিকেটের পেছনে দৌঁড়ায়, ক্রিকেট হয়ে যায় এক রাজনৈতিক পণ্য। ক্রিকেটের আসরে তাই নেতা-নেত্রীদের না থাকলে হয় না। সোনার ছেলেদের ক্রীড়া নৈপূণ্য হাসি হাসি মুখে না দেখলে ভোটের বাজারে ডিপ্রেসিয়েশন ঘটে। হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পরে বিদেশি ক্যাপ্টেনের হাতে চোখেমুখে হাসি নিয়ে জয়ের ট্রফি তুলে দিয়ে বোঝাতে হয়, হ্যাঁ, আমিই এই দেশের অমুক মন্ত্রী বটে!

বাতের ব্যাথা হোক আর চোখের সমস্যা হোক, খালেদার আমলে খালেদাও সুযোগ হাতছাড়া করেন নি। তবে পটল মিয়া বেহায়ামির চুড়ান্ত করেছেন। হাজারখানেক সদস্য-পাতিসদস্যের মন্ত্রীসভায় ক্রীড়া-প্রতি-মন্ত্রীর একমাত্র কাজ যে ক্রিকেট মাঠ পরিদর্শন, তা বুঝাতে তিনি প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই তার চাঁদবদন প্রদর্শন করেছেন। সাংবাদিকের ক্যামেরায় একবার রুবাবাদৌলার দিকে আড়চোখে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকানোর কেলেংকারি ধরা পড়ার পরেও তিনি নিরস্ত হন নি। আর খালেদার টাকলা পোলা তো মনে হয় ক্রিকেট বোর্ডের ডিসিশানে নাম্বার ওয়ান পারসন ছিলো।

তত্ত্বাবধায়ক সঙ সরকার আরেক কাঠি সরেস। ফুটবল নিয়া হাঁটুবাহিনীর কোনো টেনশন নাই, কারণ, তা গন কেস; কিন্তু ক্রিকেট হলো আভিজাত্যের বিষয়। অতএব, চালাও দখলাভিযান। তারা সঙ সরকারকে কানকথা দিলো, এই ক্রিকেটাররা খাইয়া খাইয়া গায়ে চর্বি জমাইছে। এইডাই ব্যর্থতার একমাত্র কারণ। আমাদের হাতে ছেড়ে দেন, কমান্ডো ট্রেনিং দিয়া চর্বি ছাড়াইয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জোয়ানদেন মত দেশপ্রেমিক বানায়া দিবো। সঙের কাজ মুখে আলতা মেখে নাঁচা, তারা নাঁচলেন। ক্রিকেট বোর্ড হাঁটুবাহিনীর অধিকারে গেলো, আশরাফুল বাহিনী ব্যাটবল ছেড়ে দড়িকাছি নিয়া পর্বতারোহন আর খানাখন্দক পাড়ি দেয়ার প্রাকটিস চালিয়ে গেলো।

ফলাফল কি হলো, তা বললে বলবেন যে বুইলছে। তয় লাউ আর কদুর মধ্যে তেমন পার্থক্য হয় নাই। ধোলাই আগেও খাইতো, এখনও খায়; ফ্রিতে চুনকাম আগেও হইতো, এখনও হয়। চুনকামের ইনটেনসিটি নিয়া আলোচনায় না যাই, টেস্টে ইনিংসে হারলো, না ১০ উইকেটে সেইটা নিয়া ক্রিকেট বোদ্ধারা বুদ্ধি দিতে দিতে নিজেরাই মহাবুদ্ধু হয়া যাক, আমরা সেই পথে পা না বাড়াই। আমাদের দৃষ্টি পড়ুক সরকারের সঙদের দিকে।

হ্যাঁ, সঙেরা এখনও নিয়মিত মাঠে তাদের খোমা দেখিয়ে পাবলিককে আনন্দ দেন। সুশীলরা ফতোয়া দিবেন সংস্কারকর্ম করতে করতে গলদঘর্ম তত্ত্ব সরকার একটু বিশ্রামের জন্যই ক্রিকেট মাঠে আসেন। তবে দুর্জনেরা, যারা দেশ ও জাতির ভালো দেখতে পারে না, তারা ইয়াজউদ্দিরে ঠিকই জুতা দেখিয়ে বলবে, এই বাঁদরটা কামকাজ ফেলে এখানে খোমা দেখাতে আসেছে কেন? এমনিতে পাবলিক বিলা। খেলার মাঠে বাংলাদেশের সোনার (পড়ুন, বরিশাইলা সোনা) ছেলেরা সোনাডা খেলতেছে। টেস্ট ওডিআই মিলাইয়া কোনো ইনিংসেই ২০০ পর্যন্ত করতে পারছে না। তার মধ্যে সেইদিন টেস্টের সময় দেখলাম, আজ আবার দেখলাম ইয়াজুদ্দির সদাহাস্যবদনমন্ডল।

পাবলিকেরও ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। সার্কাসে বাঁদর নৃত্য দেখতে মজা, তবে বাঁদরের সংখ্যাধিক্য এবং নির্লজ্জতা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এরকম ফলাফলে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি।
বললে বলবেন যে বুইলছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ফলাফল খারাপ হওয়ার দরকার আছে। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ জয় বাকি ম্যাচগুলোতে চরম হারের কারণ অনুসন্ধান করতে দেয় নাই। আমি চাই থার্ড ওডিআইতেও চরমভাবে হারুক। কারণ, ওটায় জিতে গেলে সবাই এত মাতামাতি করবে যে, পুরা টেস্ট আর ওডিআই সিরিজে উনারা যে খেলা খেলেছেন, তার 'যথার্থ' মূল্যায়ন হবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি

হা হা হা! জটিল মানপত্র!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হায় হায়! এইডা মানপত্র হয়া গ্যাছে!!!
ইয়াজুদ্দি তো তাইলে হাতের কাছে পাইলে প্রাইজ দিবে। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

ক্রিকেট মাটে রাজনীতিকদের আগমন ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশেই স্বাভাবিক ঘটনা। শুধু রাজনীতিক নয়... বিভিন্ন পেশার স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিজ দেশের ম্যাচগুলোতে মাঠে চোখে পড়ে।

টেস্ট স্ট্যাটাস সাবের চৌধুরীদের লবিং এর ফল নয় বলেই আমার বিশ্বাস। কিন্তু আমার মনে হয় বোর্ডের কিছু ভুল নীতির কারনে জাতীয় দল ঠিকভাবে পারফর্ম করতে পারছেনা। একটা খেলোয়াড় তৈরীর আগেই জাতীয় দলে ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে শেষ করে দেয়া হচ্ছে। সিনিয়র কিছু ভালো খেলোয়াড়কে জোড় করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আবার ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে কিছুই নেই আমাদের। শক্তিশালী মানসম্পন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট ছাড়া আমার ক্রিকেট এর মান ভালো হবেনা। কোচ যে-ই থাকুননা কেন।

ইয়াজউদ্দিন দেশের প্রেসিডেন্ট তিনি মাঠে যেতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো লোকটার মধ্যে কি ন্যূনতম লজ্জাবোধ নেই। এটা কি মানুষ না অন্য কিছু। এতো আকাম কইরা ভদ্রলোক আবার গেছে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে !!!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ক্রিকেট মাঠে রাজনীতিবিদরা যেতেই পারেন, আমি শুধু বলতে চাইছি, কারণটা রাজনৈতিক, ক্রিকেট ভালোবাসার সাথে তার সম্পর্ক খুব সামান্যই। ভালোবাসা থাকলেও এরকম ঘন ঘন কাজকর্ম ফেলে ক্রিকেট মাঠে পড়ে থাকাটা দৃষ্টিকটু।

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশী। তবে স্ট্যাটাসের ব্যাপারটা যতোটা না খেলায় পারদর্শিতা, তার চেয়ে বেশি লবিং এবং ক্রিকেট বোর্ডগুলোর রাজনীতি বলেই মনে হয়। ৯৭ এর আইসিসি ট্রফিতে আমরা জিতেছিলাম কার্টেল ওভারের কল্যাণে। তখন ৫০ ওভার কেন ১০০ ওভারেও কেনিয়ার ২৪১ রান তাড়া করে জেতার সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। কিন্তু এই ফ্লুক জয়ই বাংলাদেশ ক্রিকেটকে লাইমলাইটে নিয়ে আসে।

আপনিই যেমন বলছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে কিছুই নেই আমাদের। টেস্টস্ট্যাটাসপ্রপ্তির এত বছর পরেও এই অবস্থা। অথচ, আমি যতদূর জানি, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার একটি বড় শর্ত ঘরোয়া ক্রিকেটের শক্ত অবকাঠামো। নাহলে কেনিয়া আমাদের চেয়ে কিছুদিন আগ পর্যন্ত অনেক বেটার টিম ছিলো।

ক্রিকেট বোর্ডের অব্যস্থাপনা তো আছেই। পাইলট, সুমন, রফিকদের ক্যারিয়ার শেষ করার মহৎ দায়িত্বটি তারা সুন্দরভাবে পালন করেছেন।

আকাম হাসিনা-খালেদারাও কম করেন নাই। অতএব, ঐ কর্মূলায় আগালে ধরা। হাসি হোয়াইট ওয়াশ হওয়া খেলা দেখতে এসে হাসিনা-খালেদাও হাসি হাসি মুখে ক্রিকেট বোদ্ধার ভাব করতেন, ইয়াজুদ্দিও তা-ই করেন। সব বাঁদরই সমান বিরক্তিকর।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

গৌতম এর ছবি

আমাদের ক্ষমতা সীমিত, কিন্তু বৃহৎ আমদের মুখ... সেই মুখ দিয়ে আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে পারি, আর শোনাতে পারি আশার বাণী... আজ থেকে দশ বছর পর বাংলাদেশ হবে ক্রিকেটের অভিজাত দেশ... এই প্রচারণায় সাথে আছি প্রথম আলো টাইপ পত্রিকাগুলো... যারা কিছু কিছু মানুষকে প্রায়ই আকাশে উঠাচ্ছে অকারণে...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আশার বাণী খারাপ না। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো, আমরা বাণী দিয়েই দায়িত্ব শেষ করি। তার জন্য পরিকল্পনা এবং কাজের সমন্বয় সাধন হয় না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই উল্লেখিত দশ বছরের কথাতো গত কুড়ি বছর যাবৎই শুইনা আসতাছি। কবে যে শেষ হৈবো, আল্লাহ মা'বুদই জানেন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আইসিসি একদা শর্ত দিতো ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড কে স্বায়ত্বশাসিত হতে হবে, সেখানে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রভাব ফেলতে পারবেনা ইত্যাদি। সেদিন গিয়াছে মাঠে ময়দানে ঘুরিছে নেতার ছড়ি। ক্রিকেট আর বোর্ডের মাঝ থেকে কন্ট্রোল হারিয়েছে। খেলা রাজনীতির প্রেস্টিজ ইস্যু (সেইসাথে দুপয়সা তসরুফেরও) এটাই আসল কথা। খেলা কেমনে খেলে অত বুঝাবুঝির টাইম নাই। বিদেশী কোচ দিছি, মাঠ দিছি, (মোবাইল দিছি),পর্বতারোহন শিখাইছি, সোনারগাঁ হোটেলে সাঁতরাইতে দিছি আবার কি চান?



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ, ঘটনা ওইডাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নিঝুম এর ছবি

ফলাফল কি হলো, তা বললে বলবেন যে বুইলছে। তয় লাউ আর কদুর মধ্যে তেমন পার্থক্য হয় নাই। ধোলাই আগেও খাইতো, এখনও খায়; ফ্রিতে চুনকাম আগেও হইতো, এখনও হয়।

দারুন লিখসেন ভাই

---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধন্যবাদ, নিঝুম ভাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নজমুল আলবাব এর ছবি

চরম...

মিয়া সকালেই বইলা দিলেন ২শ পার হয়না। এই দুঃখেইনা আজকেও...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই পোস্ট লিখতে লিখতে সোনার ছেলেরা ১৭৩ রানে অলআউট।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখানেও ডান্ডায়ন পদ্ধতি....

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ডান্ডাই সকল সাফল্যের উৎস। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শেখ জলিল এর ছবি

সার্কাসে বাঁদর নৃত্য দেখতে মজা, তবে বাঁদরের সংখ্যাধিক্য এবং নির্লজ্জতা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
..মোক্ষম!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কাকু, ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পরিবর্তনশীল এর ছবি

একেবারে খাঁটি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আরাম!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ফলাফল অবশ্যই হৃদয়বিদারক। তবে আমি তা দেখার চেষ্টা করি প্র্যাকটিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমাদের প্রত্যাশা আর চাহিদা হতে পারে আকাশছোঁয়া, কিন্তু লড়ঝড়ে গাড়ি নিয়ে ফর্মুলা ওয়ান জেতার চেষ্টা অবান্তর - এই সত্যটি মাথায় রাখি আমি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গাড়ির পার্টসপত্র খারাপ না, সার্ভিসিং ভালো হইলেই ....

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফারুক হাসান এর ছবি

এই মাত্র ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে নিচের বার্তা পাইলেন আমাদের চিংকু কাশেম। সেইটাই তুইলা দিলাম-
এই আপনাদের নিয়া আর পারা গেল না। বিশ ত্রিশ হাজার লোক মাঠে গিয়া চিল্লাইবেন- টিভিতেও খেলা দেখাইবেন, আবার বলবেন যে তুমি আমার সোনাডা খেল....ক্যামনে কি। এত লোকের সামনে রান করতে আমাদের লজ্জা করে না বুঝি! আমি একবার বলেছি, আবারো বলছি..সাউথ আফ্রিকার লগে আমাদের পক্ষে এর চাইতে ভালো খেলা সম্ভব না। টেষ্টে হোগা মারা খেয়েছি। সেই ব্যথার উপর আবার ওয়ানডে, আর কত।
তার উপর নতুন কেনা সানগ্লাসটা নিয়া বিপদে আছি। ফিল্ডিংয়ের সময় নিচে তাকাইলে মাঠি আধহাত নিচে মনে হয়। ঠিক ঠাউর করতে পারি না। খালি গর্ত গর্ত লাগে।
আর আপনেরা এই সময় কি ফাউল প্যাচাল শুরু করছেন! মিয়া, একদিন খালি গার্ডার ছাড়া মাঠে নামতেন, তখন এই ব্লগাব্লগি .... দিয়া বের হইতো।

----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হা হা হা
আশরাফুল এবার দর্শকদেরকে তার লেগস্পিন খেলতে আহবান না জানালেই হয়। তাইলে ধোলাই খাইয়া প্রেসটিজের এক্কেরে দফারফা হয়ে যাবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এখন যদি শর্ত লাগাইলে হয় সানগ্লাস পইড়া করা বল সানগ্লাস পইড়া পিটান লাগবো ....দেঁতো হাসি



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।