ম্যাককেইন হাল ছাড়ছেন না কেন

জিজ্ঞাসু এর ছবি
লিখেছেন জিজ্ঞাসু (তারিখ: সোম, ০৩/১১/২০০৮ - ৮:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমেরিকার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেছেন তিনি হাল ছাড়ছেন না। বলেছেন, "ম্যাককেইনই ফিরে আসবে"। অর্থাৎ ওবামার পক্ষে যত গণজোয়ারই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত জয়ের মালা তিনিই পরবেন। এসব কথা বলার ভিত্তি কি?

তিনি একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তার কথা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তার কথার ভিত্তি আছে। ইতিপূর্বের দু'টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিডিয়ার পূর্বাভাষ ভণ্ডুল হয়েছিল। অত্যন্ত জনপ্রিয় থেকেও জন কেরি ও আল গোর নির্বাচিত হতে পারেননি। গত তিরিশ বছরে ডেমোক্র্যাটিক দলের একমাত্র প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনই দুই টার্ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাট সমর্থকরাও পরপর দুইবার হার মেনে নেয়ার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছে। তারা হয়তো আবারও হারতে চায় না। আবার হিলারি ক্লিনটনের অনেক সমর্থক আশাহত, মর্মাহত হয়ে এখন কেউ দ্বিধায়, কেউ বর্ণবাদি-ডেমোক্র্যাট হিসেবে ভাবছে 'আর যাই হোক ওবামাকে না'।

ইতিপূর্বের নির্বাচনে জরিপ সংস্থার ফলাফল যেমন অকেজো প্রমাণিত হয়েছে তেমনি এবারও তাদের জরিপ ভুল প্রমাণিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ম্যাককেইন। কিন্তু আমি ভাবছি জরিপের ফলগুলো কি ভুল ছিল? না কি অন্য কোন কারণ।

আমেরিকার নির্বাচনের আইন কানুন একেক রাজ্যে একেক রকম। নানান প্যাঁচগোঁজের মধ্যে ভোটারদের ফেলে দিয়ে কি কেউ ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করছে? স্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে এটা স্পষ্ট যে এর আগে ২০০০ সালে ফ্লরিডায় ব্যালটে সূক্ষ্ম কারচুপির কারণে পরে আদালতের রায়ে বুশ প্রেসিডেন্টের পদটি পেলেও সে রায় নিরপেক্ষ ছিল কি না সন্দেহের অবকাশ আছে। কারণ ব্যালটের কারচুপি ছিল স্পষ্ট। যাদের ভোট প্রদানের অভিজ্ঞতা আছে তাদের কাছে এটা পরিস্কার যে ব্যালটে প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে আপনি সিল মারবেন। কিন্তু ২০০০ সালে ফ্লরিডায় ব্যালট এমনভাবে ছাপানো হয় যে প্রার্থীর নাম এক কলামের শেষে ছাপা হয়েছে এবং সিল মারার ঘরটি চলে গেছে পরবর্তী কলামের শুরুতে। ভোটাররা যখন ইতিমধ্যে চার পাঁচ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অধৈর্য্য হয়ে ভোট বুথে ঢুকেছে তখন তারা রীতিমত কোনকিছু চিন্তা না করে নাম দেখে টপাটপ সিল মেরে এসেছে; যেসব ভোট পরে বাতিল হয়েছে।

আর ২০০৪ সালে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে যে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে সেখানে সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে কম্পিউটার প্রোগামে এমন সমস্যা ছিল যে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন তারা ভোট দেয়ার জন্য ক্লিক করেছেন যে ঘরে, সে ঘরে ভোট না পড়ে ভোট পড়েছে অন্য ঘরে। এধরনের কম্পিউটার গ্লিচের মাধ্যমেও সে বছর ওহাইওর ভোট জিতে বুশ দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েছে। আমার সন্দেহ এসব ইচ্ছাকৃতভাবে সাজানো কায়দা। পত্রিকান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, ব্যস ওই পর্যন্তই। তারপর সব ঠাণ্ডা।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ২০০৮ সালের ৪ নবেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রার্থীতার জন্য প্রায় ৩৭০ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন কমিশনে তাদের দরখাস্ত দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ব্যালটে স্থান পাচ্ছে মাত্র দশজনের নাম। তারা যেসব দলের হয়ে তাদের প্রার্থীতার আবেদন করেছেন এসব দলের মধ্যে রয়েছে বড় দুই দল রিপাবলিকান পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আরো আছে আমেরিকান পার্টি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি, সিটিজেনস্ পার্টি, কনস্টিটিউশনাল পার্টি, ফ্রি সয়েল পার্টি, গ্রিন পার্টি, ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি, লিবারট্যারিয়ান, নিউ পার্টি, নেটিভ আমেরিকান, অবজেক্টিভিস্ট, পিস এন্ড ফ্রিডম, প্রহিবিশন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, সোশালিস্ট পার্টি, সোশালিজম এন্ড লিবারেশন পার্টি, লাইট পার্টি, ইউ এস পেসিফিস্ট, ইউনাইটেড ফেসিবাদি ইউনিয়ন, উই দ্য পিপল ইত্যাদি।

এসব দল ছাড়াও স্বাধীন (নির্দলীয়) প্রার্থীতা এবং স্থানীয় বিভিন্ন ইন্টারেস্ট গ্রুপ থেকেও অনেকে নিজেদের প্রার্থীতার আবেদন করেছেন যদিও সকলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবেন না। আবার অনেক প্রার্থীর নামে রাইট ইন (write in) পদ্ধতিতে কেউ চাইলে ব্যালটে প্রার্থীর নাম লিখে দিয়ে সেসব প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। তবে ব্যালটে ভোটার নিজের নাম বা নামের অদ্যাক্ষর স্বাক্ষর করতে পারবে না। নাম স্বাক্ষর করা সকল ব্যালট বাতিল হবে।

প্রধান প্রধান যেসব প্রার্থী জাঁকজমক সহকারে এবং নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতার জন্য লড়ছেন এমন ছয়জন হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী জন ম্যাককেইন, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বারাক ওবামা, গ্রিন পার্টির সিনথিয়া ম্যাককিনি, লিবারট্যারিয়ান পার্টির রবার্ট বার (বব বার), কনস্টিটিউশন পার্টির চার্লস্ (চাক) বল্ডউইন, এবং নির্দলীয় প্রার্থী রালফ্ ন্যাডের। রালফ্ ন্যাডের অবশ্য নবগঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি এবং কোন কোন রাজ্যে পিস এন্ড ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় রাজ্যভিত্তিক অর্থাৎ প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল আলাদাভাবে গণনা করা হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরোক্ষ ভোটেরও একটা উদাহরণ। ভোটাররা সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে না এখানে। তারা বরং একদল নির্বাচকমন্ডলীকে (electors বা electoral college কে) ভোট দেয় যারা পরে তাদের সমর্থনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। জনসংখ্যার অনুপাতে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচকমন্ডলীর সংখ্যার তারতম্য হয়। কোন রাজ্যে যে দলের পক্ষে বেশি ভোট পড়ে সে দলের প্রার্থী উক্ত রাজ্যের সবক'জন নির্বাচকের সমর্থন লাভ করবেন। গুরুত্বপূর্ণ যেসব রাজ্যের ফলাফল আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে সেসব রাজ্যগুলো হলঃ অ্যারিজোনা (১০), কলোরাডো (৯), ফ্লরিডা (২৭), জর্জিয়া (১৫), ইন্ডিয়ানা (১১), মিসৌরি (১১), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫), ওহাইয়ো (২০), এবং ভার্জিনিয়া (১৩)। বন্ধনীতে প্রকাশিত সংখ্যাগুলো একেকটি রাজ্যের নির্বাচকমন্ডলীর সংখ্যা নির্দেশক। রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে ২০০৮ সালে এসকল রাজ্যের কোন একটিতে কোন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যদি হেরে যান তাহলে তার পরাজয় হবে।

বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপ সংস্থার ফলাফল অনুযায়ী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী বারাক ওবামা জনসমর্থনে এগিয়ে আছেন। তথাপি উপরে উল্লেখিত কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে যদি তাকে কোনভাবে পরাজিত করা যায় তাহলে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে যেতে পারে। এ কারণে যারা কারচুপি করতে আগ্রহী তারা একটা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যকে বেছে নিয়ে কারচুপির মাধ্যমে সেখানে জয় নিতে পারলেই দেশব্যাপী জয় তাদের পক্ষে যাবে।

ইতিমধ্যে আমেরিকার ভোটাররা কিছু রাজ্যে একমাসেরও বেশি আগে থেকেই আগাম ভোট প্রদান করতে পারছে। এক্ষেত্রে নানা নিয়ম রয়েছে। আরলি ভোটিং বলে বিবেচিত এই ব্যবস্থায় কোথাও কারণ দেখিয়ে আবার কোথাও কারণ দর্শানো ব্যাতিরেকে ভোটাররা সশরীরে বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসি ও ৩৪টি রাজ্যে তাদের ভোট প্রদান করছে। অনুপস্থিত ভোটাররা চিঠির মাধ্যমেও ভোট প্রদান করতে পারেন। ১৬ টি রাজ্যে কোনরকম আগাম ভোট অনুষ্ঠিত হবে না। এবছর আগাম ভোটে বেশ সাড়া পড়েছে। তবে ৪ নবেম্বরের আগে এসব ভোট গণনা হবে না। শেষদিনের ভিড় ও দীর্ঘ অপেক্ষার জ্বালা এড়াতেই মানুষ আগাম ভোট প্রদান করে। এবছর ভোটের দিনেও (৪ নবেম্বর) ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার ওবামা বিভিন্ন পোলিং সেন্টারে তার পোলিং এজেন্ট রেখেছেন। ওখানে কম্পিউটার ঝামেলা করলে তাৎক্ষণিক পোলিং এজেন্টগণ কম্পিউটার বাদ দিয়ে কাগজের ব্যালটে ভোটের জন্য চাপ দিচ্ছেন। প্রতারণা রোধের একটা উপায়।

একটু আগে এক স্প্যানিশ ভোটারকে জিজ্ঞেস করলাম - "কি রে ভোট দিছস"। সে আশাহত হয়ে বলল, "শনিবারে গিয়েছিলাম ভোট দিতে। আমার বউ ভোট দিছে। কিন্তু আমি দিতে পারি নাই।"
কেন? কারণ সে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত নয়। সে বলল, "আমি ভোট নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে নিজের নাম নিবন্ধন করে এসেছি। তারা আমার পরিচয় পত্র নিয়েছে। আমি জানি আমি ভোটার হয়েছি। কিন্তু এখন ভোট দিতে গিয়ে শুনি আমি নিবন্ধিত নই। আমার নাম ভোটার লিস্টে নাই।" জানতে চাইলাম আর কারও এমন হয়েছে কি না, সে বলতে পারল না।

যাই হোক এমন ঘটনাগুলো হয়তো ভোটের পরে ব্যাপক আকারে রিপোর্টেড হবে। তবে ততক্ষণে প্রেসিডেন্ট বিজয়ীর মালা পরে শাদা বাড়িতে উঠে যাবে।


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

জিজ্ঞাসু, নির্বাচনের দিন, মানে কাল, সচলায়তনে আমরা নাহয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পোস্ট চালু করবো।

সচলের যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাষ্ট্রে (স্টেটের বাংলা রাজ্য কেন বুঝলাম না) আছেন তারা নাহয় মাঠ থেকেই ভোটের হালনাগাদ তথ্য দেবেন। আমাদের দৃষ্টি অবশ্যই থাকা উচিত যে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোয় ফলাফল যেকোনো দিকে ঝুঁকতে পারে সেদিকে।

আপনি, ইশতিয়াক রউফ, এসএম৩ সহ আর কে কে কোথায় আছেন?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি আছি একদম মাঝমাঠে! ভার্জিনিয়া-র সাউথ-ওয়েস্ট অংশে। ইস্টার্ন টাইম অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭ টায়ই ভোট বন্ধ। এই অঙ্গরাজ্যে ভোট-গণনাও হয় খুব তাড়াতাড়ি। ওবামার কপাল বেশি ভাল হলে ক্যালিফোর্নিয়ার ভোটিং শেষ হবার আগেই ভার্জিনিয়া-পেনসিলভেনিয়া-ফ্লোরিডা পকেটে ঢুকে যেতে পারে!

আশা করি কালকে থাকবো সচলেই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি গতকাল ইন্ডিয়ানা থেকে সিনসিনাটি, ওহায়ো - কলম্বাস, ওহায়ো - হুইলিং, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া হয়ে পিটস্‌বার্গ, পেনসিলভিনিয়াতে পৌছলাম। সিনসিনাটি, ওহায়োতে গতকাল ওবামা গিয়েছিল। আর স্ক্র্যানটন, পেনসিলভিনিয়াতে গিয়েছিল প্যালিন। পুরোটা রাস্তা সিএনএন শুনতে শুনতে আসলাম। বাসায় পৌছে দেখি আমার দরজায় ওবামার ভোট রিকোয়েস্ট রেখে দেয়া। ভোট দিতে পারব না তবু ওবামার পোলিং এজেন্টদের সাথে দেখা হল না দেখে একটু হতাশ।

আমি ওবামার বড় ফ্যান। বাট, হি আর্নড ইট ফ্রম মি। নির্বাচনী সমস্যা আছে। তবে এবারে সেটা কতখানি ইফেক্টিভ হতে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

আমি লাইভ কাভারেজ করব আগামীকাল। আর এই পোস্টে আরো কিছু অবজারভেশন জুড়ে দিবো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গ্যালপ পোলের ডেইলী রেজাল্ট দেখুন। ১৩% আগিয়ে আছে। আগের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী আগিয়ে ছিল ১-২%, তাও টলোমলো ভাবে। ১৩% কিন্তু মুখের কথা নয়, কোটি কোটি ভোটার।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বজলুর রহমান এর ছবি

মার্কিন দেশে এমন একতরফা নির্বাচন স্মরণকালে বোধ হয় আর হয় নি। কোন কারচুপিই এই জোয়ার রোধ করতে পারবে না। কিন্তু আমি একটা বিপদ দেখতে পারছি। ওবামার মাথায় এখনই আত্মবিশ্বাস অহঙ্কারে পরিনত হয়েছে মনে হল। তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবরাও পরে অন্যায় সুযোগ নিয়ে বিপদে ফেলতে পারে। তা ছাড়া আততায়ীর আশঙ্কা তো থেকেই যাবে। ওবামা হয়তো দ্বিতীয় টার্ম পাবেন না।

শামীম এর ছবি

আমি এখন পর্যন্ত কখনই আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করি নাই। বিদেশ বিভূঁই বলে কথা। তবুও কিছুদিন যাবৎ আমার মনে হচ্ছিল যে বাংলাদেশ আর আমেরিকার মধ্যে চর্চাগত তেমন পার্থক্য নাই। পার্থক্য শুধু জনপ্রতি প্রাকৃতিক সম্পদে।

বাংলাদেশের মত ওখানেও রাজনীতি জনগনের পশ্চাদদেশে মলম লাগাতে বাধ্য করে। একই স্টাইলে দূর্নীতি করে। তবে পিচ্ছিলকারকের(পার ক্যাপিটা ইনকাম/ রিসোর্স) কোয়ালিটি ভাল হওয়াতে জনগণ তেমন একটা টের পায় না। ওখানেও নামি সন্ত্রাসীরা নেতা হয়, ওখানেও কারচূপি হয়।

তাই আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে .... নাহ্ ঐখানে গেলে বিদেশ মনে হবে না। জয় আমেরিকা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।