চাকরী -০১

দেবোত্তম দাশ এর ছবি
লিখেছেন দেবোত্তম দাশ (তারিখ: শুক্র, ০৭/১১/২০০৮ - ১০:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

smallএই বিদেশ বিভুঁইয়ে এসে আমার অনেক কিছু পাল্টেছে, শুধু চেহারারই পরিবর্তন নয় অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে, বয়েস এখনো অতটা হয় নি তাই বুঝতে পারছি না কতটা চুল হারিয়েছি, তবে যা অবস্থা তাতে অচিরেই পর্বত শিখর যে গড়ের মাঠ হয়ে যাবে, না তারও কোন গ্যারাণ্টী কেউ দিতে পারবে না।

তবু ভালো মন্দ মিলে খুব যে একটা খারাপ হয়েছে বা খারাপ আছি তা বলা বোধহয় ঠিক হবে না, বরং খারাপ আছি বলাটা অন্যায়ই হবে, যদিও সেই অর্থে খুব খারাপ কোনোদিনই ছিলাম না। তার পরেও কেন মনে হয় ভালো নেই, তাহলে কি আমি সত্যিই কিছু হারিয়েছি !

তবে কথায়ই আছে কিছু পেতে গেলে কিছু খোয়াতে হয়। আমিও খুঁইয়েছি। হারিয়েছি আমার চেনা মুখগুলো, হারিয়েছি সেই স্বপ্নভরা দিনগুলো, বেড়েছে ব্যবধান কাছের মানুষ গুলোর সাথেও।

হারিয়েছি গলি, পথ-মাঠ-ঘাট, সেইসব খেলার সহচর, পুরোনো লক্কর- ঝক্কর বাস। ট্যক্সিগুলোর আর মিনিবাস গুলোর হুঁস করে ছেড়ে যাওয়া ধোঁয়া, প্যাঁ-প্যুঁ আওয়াজ। রিক্সা ঠেলাগাড়ির আর তেড়ে আসা সাইকেল গুলোর প্রায় গায়ে তুলে দেওয়া। বুক ব্যাথা করা সেইসব হৃদয়হীন ললনাদের চাউনি। মায়ের হাতে বানানো পুলিপিঠা, পাটিসাপ্টা, বাবার রেগেমেগে বলা কথাগুলো।

এখনতো নিজের পিতৃপরিচয়টাও অবদি হারিয়ে যেতে বসেছে, শালাগুলো আমার নামের গুষ্টিমেরে বলবে দে-বটম (দেবোওম) ভেবে ভেবে একসার হয়ে গেছি, আর কতজনকেই বা আমার বটম দেবো ......... স্যারনেম তো বলেই লাভ নেই, দাশ কে বানিয়েছে ড্যাশ, কোন্দিন না আবার হ্যাশ বলে ফেলে। হালায় কোনদিন আয়নার দিকে তাকায়ে নিজেই আর নিজেকে চিনতে পারুম না।

তাই নিজের হতাশা চাপতে নিজেই নিজেকে বোঝাই যে আমার কিছুতেই কিছু হারায় নি, আমি কখনোই কিছু হারাই নি। লাভের অংশ আমার ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। কিন্তু লাভের সেই পুঁটলিটা কখন যে বিরাট বোঝা হয়ে আমার কাঁধে চেপে বসেছে সেটা ঠিক টেরই পাই নি। তাই একসময় ভাবি কি যে আমার হারায় নি, আমার কাছে কি আর হারাবার মতো অবশিষ্ট আছে, আমি কি তা হলে নিঃস্ব!! অতটা বলাটা বোধহয় ঠিক হবে না, না আবারো বলছি আমি সবকিছু হারাই নি।

এক বসন্ত গিয়ে যখন আর এক বসন্ত আসে মাঝখানের শীত তখন কিন্তু গাছের সব পাতা ঝরিয়ে নিয়ে যায়। পাতা ঝরানো সেই শীত না থাকলে কি আর প্রত্যেক বসন্তে নুতন করে গাছে গাছে বাহারি পাতা গজাতো ? কোকিল কি আর সুর করে নতুন বসন্তের গান গাইতে পারতো?

বর্তমান যখন অতীত হয়ে যায় তখন তাকে সরে গিয়ে নূতনকে আসার মত জায়গা করে দিতে হয়। ভবিষ্যত তখন আবার আহবান করে নুতনেরে। এটাই নিয়ম। নদীর জল কখনোই থেমে থাকে না, তাকে বয়ে যেতে গন্তব্যের আশায়।

যাযাবর আমি, আমিও করে চলেছি ঘুর্ণায়মান পৃথিবীর সাথে পরিভ্রমন। কবে শেষ হবে আমার থামা কবে শেষ হবে আমার পথচলা !! হয়তো সেদিন, যেদিন অন্তিম শয্যায় শুয়ে তোমাদের উদ্দেশ্যে শেষবারের মতো হাত নাড়াবো হাসিমুখে, চোখের তারা জানান দেবে “বিদায় বন্ধু, কে জানে আবার কখন, কোথায়, কিভাবে তোমার সাথে দেখা হবে ?

*****************

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ট্রেন আমার গন্তব্যস্থলে এসে হাজির তা টেরই পাইনি। তা আমার এরকম মাঝে মাঝেই হয়, আমি জানি প্রবাসের অনেকেরই, মনেহয় সকলেরই হয়। বিশেষ করে বেশ কয়েক বছর পরে সদ্য দেশ থেকে ঘুরে এলে। দেশে থাকার সময় মনে হয় কবে যে এই পোড়ার দেশ থেকে পালাবো, যেনো এক্ষুনি পালাতে পারলে বাঁচি, আর কয়েক বছর বাইরে থাকলেই আমাদের মতো ভেঁতো আর ঘরকুনো বাঙ্গালীরা হাঁপিয়ে ওঠে।

আবার শুনেছি আমাদের মতই অনেকেই যখন নিজের দেশে ফিরে গিয়ে ওখানে গিয়ে এডজাষ্ট করতে না পেরে আবার বিদেশে ফিরে আসেন। মহা সমস্যা হয় তখন। এ যেনো না ঘাটকা না পানিকা ঔর বিচ মেঁ গা*** মারানে-কা।

কারনে অকারনে মাঝে মাঝেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, কেউ একটু, একটুকু কিছু বললেই বুকে বড়ো লাগে। অজানা এক কষ্ট হয়। দেশের সবাই হয়তো ভাবে কত আরামেই না আমরা আছি, কত সুখেই না আমরা আছি, হায় কি করে বোঝাই আমরাও এখানে খুব সুখে নেই, পেটের দায় না থাকলে কি আর এতদূর পাড়ি দিয়ে আমাদের কখোনো আসতে হয়।

কবে আমার দেশ হবে সত্যিকারের সবার সেরা। কবে যে ফিরে যেতে পারবো আমার দেশে ? দীর্ঘশ্বাস বারিয়ে আসে আপনা আপনি।

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি

কবেই বা এই গান শুনে কষ্ট না পেয়ে খুশীতে আনন্দে মন ভরে উঠবে, কবে কোথাও কেউ এই গান চালালে খ্যঁক করে উঠে বলব না, বন্ধ করো এইসব ভুল্ভাল মিথ্যে কথার ছলনা। যদিও এখনো বলি না তবু আমি জানি এসব আসলে সত্য নয়, ভাবতেও কষ্ট হয়।

****************

অফিসে পোঁছেই কম্প্যুউটার খুলে বসলাম। রুটিন মাফিক ইমেইল খুললাম, রোজই গাদা গাদা ইমেইল আসে, প্রযুক্তির এই যুগে কত শত, হাজার, লক্ষ-কোটি কাগজ যে বেঁচে যাচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। কত অল্প সময়ের মধ্যে সবাই সবার সাথে যোগাযোগ করে ফেলছে ভাবতেও অবাক লাগে।

আজকাল আবার অনেকেই পরিবেশ রক্ষার্থে আর দুষনমুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন আর তার জন্য ইমেলের নিচে লেখে দেন।

 Please do not print this email unless it is absolutely necessary. Spread environmental awareness.
একান্ত আবশ্যক না হইলে দয়া করিয়া এই লেখা প্রিণ্ট (ছাপানো) করিবেন না, দুষনমুক্ত পরিবেশের আবশ্যকতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিন

ইমেইল চেক করতে করতে বসের ইণ্টারন্যল উইণ্ডস মেসেঞ্জার উঁকি মারলো। বসের মেসেজ।

বস ঃ - গুড মর্নিং ডেবস্, হাও আর ইউ, হোপ ইউ হেড নাইস উইকেণ্ড (ডেবস্ আমার নামের অপভ্রংশ ... দেবোত্তম হয়েছে দেব তার সাথে লেগেছে এস... সব মিলে হয়েছে দেবস্ ... আর ওরা দে কে বলে ডে, তাই দেবস্ হয়েছে ডেবস্‌)

উত্তর করলাম, “আমি ঠিক আছি, তুমি কেমন আছো আর তোমার উইকেণ্ডই বা কেমন কেটেছে” ?

বস ঃ- ভালো, ভাবছিলাম তোমাকে মনে করিয়ে দিই, রিক্রুটমেণ্ট এজেন্সির সাথে কথা হয়ে গেছে কি না ? আমাদের তাড়াতাড়ি ইণ্টারভিউর ডেট ফিক্স করতে হবে ? তুমি ফ্রী থাকলে আমার এখানে চলে আসতে পারো, তাহলে এব্যাপারে তোমার সাথে একটু আলোচনাও করে নিতে পারি।

আমি এখন ব্যস্ত নই বলে এক কাপ চা বানিয়ে বসের টেবিলের সামনে এসে জিজ্ঞেস করলাম চা চলবে কি না

কিছু মনে না করলে আমাকেও এক কাপ দিতে পারো, নির্লজ্জ বসের উত্তর, সত্যি কথা বললে আমার বসও মাঝে মাঝে আমাকে চা করে খাওয়ায়, আসলে এসব দেশের এই একটা মজা। এখানে বসরা বসিগিরি কমই করে, এরা অনেক সাধাসিধে সরল টাইপের হয়। আমাদের দেশের মতো অধস্তন কর্মীদের এরা পেরেশান করে না, যেটাকে এদের ভাষায় বলে স্ক্রু করা।

হেঁসে বললাম বসকে কখনো রাগাতে নেই, তাই কিছু মনে করলেও তোমাকে চা দিতেই হবে।

আমার এসব মস্করায় অভ্যস্ত বস বললো আমি তোমাকে বেশী সময় দিতে পারবো না, আধঘণ্টা পরেই আমার একটা টেলি-কনফারেন্স আছে, তাই দেরী না করে তাড়াতাড়ি চলে আসো।

কথা না বাড়িয়ে বসের জন্য আরো এক কাপ চা নিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসের টেবিলে বসলাম।

চা খেয়ে খেয়ে কম্পুউটারের মনিটারের দিকে তাকিয়েই বসের প্রশ্ন “রিক্রুটমেণ্ট এজেন্সির এর সাথে তোমার কথাবার্তা কতদূর গড়িয়েছে” ?

উত্তরে জানালাম এজেন্সী থেকে পাঠানো আবেদনপত্র (...) দেখে কয়েকজনকে এর মধ্যেই ইণ্টারভিউর জন্য বাছাই করা হয়েছে, আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই উনাকে মনোনীত আবেদনপত্রগুলি ইমেইল করে দিচ্ছি, তারপর বস ঠিক করবেন ইণ্টারভিউর জন্য কবে কাদের ডাকা যেতে পারে এবং ইণ্টারভিইউর দিন, তারিখ এবং সময় নির্ধারন করা যেতে পারে?

বস ঃ- কিছু মনে না করলে, তুমিই এজেন্সীর সাথে প্রাথমিক কথা সেরে নাও। আমরা কি ইণ্টারভিইউর জন্য সামনের সপ্তাহের যে কোন এক একদিন ঠিক করে নিতে পারি, তাহলে সেটা তুমিই বরং টিক করে আমাকে একটা এমেইল পাঠিয়ে দিও, তাহলে আমি আমার ডায়রীতে লিখে নিতে পারবো।

তথাস্তু, মানে ঠিকাছে বলে নিজের টেবিলে ফিরে এসে দেখি রিক্রুটমেণ্ট এজেন্সি থেকে আমাকে আরো বেশ কিছু সি ভি ইমেইল করেছে।

ইমেইল চেক করতে করতেই এজেন্সী থেকে ফোন এলো, কথা শেষে জানালাম সামনের সপ্তাহের সোমবারই ইণ্টারভিউ রাখা যায় কি না ?

“হোয়াই নট, উই উইল এরেঞ্জ এভরিথিং এণ্ড লেট ইউ নো একর্ডিংলি” এজেন্সীতে কাজ করা স্মার্ট ছেলেটি স্পষ্ট বিলেতী উচ্চারনে বলল ।

ঠিকাছে, ইণ্টারভিউর সময় আমি বসের সাথে আলোচনা বলে জানাচ্ছি বলে ফোন রেখেই বসকে একটা ইমেইল করে দিলাম, “সামনের সোমবার প্রথম রাউণ্ড ইণ্টারভিউ নেওয়া হবে, এখন সময়টা জানিয়ে দিলে সেটা এজেন্সীকে জানিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

বস সরাসরি জানালেন যেহেতু সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন তাই ইণ্টারভিউ বোধহয় দুপুরের পরই রাখা ভালো হবে।

আমিও আর দেরী না করে বসের ইমেইল এজেন্সীকে ফরোয়ার্ড (পাঠিয়ে) করে দিলাম। এবার বসের দেওয়া দায়িত্ব অনুসারে এজেন্সির পাঠানো সি ভি গুলো বসে বসে বাছাই করতে লাগলাম। আগামী সোমবার কাকে কাকে ডাকা হবে তার একটা লিষ্ট তৈরী করে এজেন্সিকে পাঠিয়ে দিতে হবে।

আবেদন পত্রগুলি একটা একটা করে খুলতে লাগলাম। সেখানে এক একজনের প্রফাইল দেখে আমার তো চক্ষু ছানাবড়া, কাকে ছেড়ে কাকে ডাকবো সেটাই বুঝতে পারছি না।

যাইহোক তার থেকেই বাছাই করলাম, তারপর বসের সাথে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে জনা পাঁচেক নাম এজেন্সিকে পাঠিয়ে দিলাম।

তৈরী হতে হবে, সামনের সপ্তাহেই ইণ্টারভীউ। আজকের মত কাজ শেষ, দুটোদিন এবার আমার জন্য, অফিসের কোন কাজ নয়। চলবে নাকি একটু সোমরস, অমৃতসুধা, চলুক তাহলে, আবার দেখা হবে সোমবার।

(চলবে ...)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম...... সোমবার তাইলে দেখা হবে পরের পর্বে ।
নিবিড়

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

সোমবারেই হবে, এখন সোমরস চলছে, চলবে নাকি একটু দেঁতো হাসি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দে-বটম

হো হো হো এইটা অমানবিক হইছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

নজু ভাই, বিপরীত লিঙ্গ বট্ম চাইলে অতটা খারপ লাগে না যতটা সমলিঙ্গ চাইলে লাগে। চোখ টিপি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

'দে-বটম' আসলেই অমানবিক হয়েছে! হো হো হো

আমার সবসময়ের ধারণা, বিদেশে যারা থাকেন তারা মানসিক শান্তির একটা বিরাট অংশ ত্যাগ করেই ওখানে থাকেন, বা বাধ্য হন থাকতে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। মাঝে মাঝে দেশের জন্য, ফেলে যাওয়া সবকিছুর জন্য খারাপ লাগবেই, দেবু'দা, এটাই স্বাভাবিক। তাই প্রার্থনা করি, যেন এর মাঝেও ভালো থাকতে পারেন।

দেখা হবে সোমবার... হাসি

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

প্রহরী ভাই, মন খারাপ হয়, আবার ভালোও হয়। তবে উইকএণ্ড এলেই মজা, সোমরস সব সাময়িক ভাবে ভুলিয়ে দেয়।

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রণদীপম বসু এর ছবি

ছোটবেলা আমাদের শহরে একটা নেংটা পাগলকে দেখতাম আর কাউকে নয়, নিজেই নিজেকে বলে বেড়াতো- শান্তি নাইরে পাগল, শান্তি নাই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলেও কোন উত্তর দিতো না বা তাকাতোও না। শুধু একটা বাক্যই বুঝি সে জন্মের পর শিখে এসেছিলো।

সেই পাগল এখন কোথায় জানি না। আদৌ বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। তবে আরো বড় হয়ে যখন সবার মুখ থেকে এই বাক্যই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, তখন বিস্ময়ের সাথে যে প্রশ্নটা নিজের ভেতরে তৈরি হলো, আসলে কি লোকটি পাগল ছিলো ?

হয়তো হাঁ, হয়তো না।
তাহলে আমরা কি সুস্থ ? হয়তো না, হয়তো হাঁ।
ঐ পাগলটির সাথে আমাদের কি কোন ফারাক আছে ? হয়তো হাঁ, হয়তো না।

কেউ আমরা নিজেকে পাগল ভাবি না, নিজের কথা নিজের কাছে অসংলগ্ন মনে হয না বলে।
তাই বলে আপনার কথা আমার কাছে কিন্তু অসংলগ্ন মনে হচ্ছে না দাদা। হয়তো আমিও দেশে থেকেও আপনার মতোই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

সুখ দুঃখ নিয়েই তো আমাদের জীবন। আমরা সবাই পাগল আবার আমাদের কেউই পাগল নই।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

কে জানে, আমারও হয়ত আপনার মতোই ভবিষ্যত অপেক্ষা করে আছে... ভালো লেগেছে লেখা...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কবে আসার ইচ্ছে, বিলেতে এলে ভালো হবে, ছুটির দিনগুলো আরো ভালো কাটবে, আরো মজা হবে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দিনপন্জিগুলো পড়তেই বোধহয় বেশি ভালো লাগে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ভুলভাল লেখা পড়েছ, তার উপর ভালোও লেগেছে তার থেকে আর বেশী কি চাইতে পারি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।