চিঠি

দেবদ্যুতি এর ছবি
লিখেছেন দেবদ্যুতি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১৬ - ৪:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় শৈশব,

ঘরবন্দী হয়ে আছি অনেকগুলো দিন। অনেকগুলো দিনের চাইতে বলা ভালো অনেকগুলো মুহূর্ত, গুণতে ভুলে গেছি এমন অসংখ্য দিন আর রাতের প্রত্যেকটি ক্ষণ। ঘরবন্দী শব্দটি আক্ষরিক অর্থেই, কেবল যেটুকু একেবারেই না হলে নয়, সেটুকু প্রয়োজনে ঘর ছেড়ে বাইরে দু’পা বাড়ানো ছাড়া একদম ঘরেরই ভেতর। ঘুমাতে ঘুমাতে যেহেতু ঘড়ির কাঁটা এখনও মাঝরাত ছোঁয়, নিচ থেকে এলাকার পাহারাদারদের বাঁশির শব্দ এসে পৌঁছায় আমার জানালার ফাঁক গলে, সেহেতু ঘুম থেকে ওঠার অনেক আগে থেকেই সূয্যিমামা ভোরের টুকটুকে লাল শেষ করে আকাশে হলদে আলো বিলাতে শুরু করে। আমার চিলতে বারান্দার একটামাত্র গাছ ছোট টবটায় তখন জলের জন্য হাহাকার শুরু করে, আমি তড়িঘড়ি করে বোতলে জল ভরে আগে গাছের গোড়ায় ঢালি। এবাড়িতে ওটুকুই একমাত্র সবুজ, প্রাকৃতিক। ওতে জল ঢেলে সবুজতা ধরে রাখা তাই দিনের প্রথম কাজ। প্রায় প্রত্যেকদিন আমার সাথে সাথে দৌড়ে বারান্দায় আসে কুর্চি, বোতলে করে ফিল্টার থেকে জল এনে দেয় ও-ই। দু’বছরের পিচ্চিটা খুব ভালোবাসে গাছটা, একটাও ফুল ছেড়ে না কোনোদিন, একটাও পাতা ছেড়ে না। কী জানি, এ শহরের বদ্ধ ফ্ল্যাটে সারাদিন থাকতে থাকতে ওরও বোধহয় স্বস্তি মেলে এই সবুজ গাছটায় চোখ রেখে; তাই গাছটা বাঁচিয়ে রাখতে চায় ও সবকিছু থেকে।

আমাদের শৈশবে ফ্ল্যাটবাড়ি ছিল না, ছিল টিনের চালের টিনের বারান্দাওলা বড় বড় ঘর, তার দু’পাশে দু’টো বড় জানালা যাতে বাইরের আলো-বাতাস সব হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়তে পারত ঘরে, একেবারে আলমারি, চেয়ার-টেবিল ছাপিয়ে আমাদের বিছানায়। আর তার পর এতখানি উঠান, যতখানি হলে নিশ্চিন্তমনে দাঁড়িয়াবান্ধার কোট কাটা যায়, গোল্লাছুট খেলায় একজনের পর একজন হাত ধরে ছোট্ট গোল কোটটার চতুর্দিকে বনবন করে ঘোরা যায়, বউ-চি খেলায় বউ আর তার পক্ষের ছেলেপুলেদের জন্য নিরাপদ দূরত্বে দু’দিকে দুটো ঘর কাটা যায়, ততটা উঠান। আমাদের ছোটবেলায় বাড়িতে ঢোকার দরজাগুলোতে কপাট ছিল না কোনো, ইচ্ছেমতো এবাড়ি-সেবাড়ি ঘুরে আসা যেত অষ্টপ্রহরের যেকোনো সময়। আমরা টইটই করে ঘুরতামও সারাটাদিন, সন্ধ্যেবেলায় হ্যারিকেন জ্বেলে পড়তে বসার আগ পর্যন্ত তো বটেই, হ্যারিকেন হাতে করেও কখনও কখনও এবাড়ি-ওবাড়ি যাবার দরকার পড়ত তখন। তখনও আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি, তাই সন্ধ্যে হলেই হ্যারিকেন জ্বলত বাড়ি বাড়ি। লোকের বাড়ি বাড়ি দরজায় তাহলে কপাট পড়লো কখন? যখন আমরা আরেকটু বড় হলাম, হুট করে একদিন চোখে পড়লো সবার বাড়ি ঢোকার দরজায় একটা করে কপাট হয়েছে বটে, আমাদের বাড়িতেও। কারণটা তখন ভাবিনি, নতুন একটা জিনিসে হয়ত খুশিই হয়েছিলাম, আজকাল মনে হয়, সেই কপাট বানানোর হিড়িক না ছিল একটা ফ্যাশন, না ছিল তাতে নতুনত্বের চেকনাই; ওটা ছিল আসলে সকলের মনে যে চোরাকাটা বিঁধেছিল তলে তলে কেউ কাউকে বিশ্বাস না করবার, নিজের নিরাপত্তার দেয়ালটা আরেকটু মজবুত করে তুলবার, তারই প্রকাশ। না হলে যে পাড়ায় কোনোকালে কেউ অন্যের বাড়ি ঢুকবার আগে অনুমতি নেবার কথা ভাবেইনি একবারও, সেই পাড়ায়ই কেবল সন্ধ্যেটা পার হলেই অন্যের বাড়িতে যেতে হলে দরজায় ঠকঠক করে নিজের নাম-পরিচয় বাতলে তারপর ঢুকতে পারাটা কী করে রেওয়াজ হলো!

প্রিয় ছেলেবেলা, তোমাকে ভীষণ মনে পড়ে। তুমি জানো, আমি স্মৃতিকাতর এক সামান্য বাঙালি মাত্র। কাজে ডুবে থাকলেও, কাজ না থাকলেও তুমি এসে ঠিকঠিক হানা দাও রোজই। তোমার যখন তখন এসে পড়াতে আমি যে অখুশি না হয়ে বরং খুশিই হই, সে তুমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারার কথা। আর বিশেষ করে এই কিছুদিন, যখন আমার গতিবিধি এসে ঠেকেছে এই ইঞ্চি-ফুটের গোনাগুণতির ছোট্ট ঘর-বারান্দায়, তখন তুমি না এলেই বরং আমার যন্ত্রণা। কার্টুনপাগল কুর্চি বা আর কতটুকুই সময় কাটায় আমার সাথে? বা ওর মা! সে বেচারা অতিরিক্ত দুষ্টু বাচ্চাটাকে সামলে রান্নাবান্না গুছিয়ে আমাকে দেবার মতো সময়ই বা কতটুকু পায়? আজকাল বইও তেমন পড়া হচ্ছে না, হাতের কাছে রাখি, খুলি, দু’পাতা পড়েই আর মন টানছে না। সিনেমাও তথৈবচ। সুতরাং আমি চোখ বন্ধ করে একলা বিছানাটায় শুয়ে শুয়ে তোমার কথাই ভাবি বেশিটা সময়। তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই আমার ঘর ভরে যায় ছোট্ট ছোট্ট সাদা কানশিষা ফুলে, যেমনটা আগে ভরে থাকতো আমাদের গ্রামের আলপথগুলোর দু’পাশ সবুজের ফাঁকে দুধসাদা রঙে।

কানশিষা এখনও খুব টানে আমায়। আজকাল গ্রামে গেলেও কানশিষা খুঁজে পাওয়া দায়, আলের দু’ধারের ছোট ছোট সবুজ গাছের সাদা ফুলগুলো যেন কোন ডাইনি বুড়ির ইশারায় মিলিয়ে গেছে এক নিমেষে। তেমনি মিলিয়ে গেছে ভাঁটফুল, মান্দার, জবার ঝাড়, আর পাড়ার পূবদিকের বাগানের একলা চম্পা গাছটা। যে নাগেশ্বরের ফুলের কথা বললেই জানি না কেন অসম্ভব ক্ষেপে যেত ডাক্তার দাদু’, সেই নাগেশ্বরও হাওয়া হয়ে গেছে বছর কয়েক আগেই। এমন ফাল্গুন মাসে একেবারে রক্তলাল হয়ে থাকতো শিমুলের ডালগুলো, দেখেছি আমরা নিজেদের চোখে, আজ গোটা পাড়া ঘুরে একটাও শিমুল গাছ পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ। শরতে নাকি কাশফুলও ঠিকঠাক ফোটে না আজকাল, মা’র কাছ থেকে শুনতে পাই। সব ফুলগুলো কি একসাথে পালিয়ে গেল যুক্তি করে তবে?

মাঝেমাঝে খুব ফিরে যেতে ইচ্ছে করে তোমার কাছে। একদম যেমনটি ছিল তখনকার দিনে সবকিছু, সবকিছু ঠিক তেমনটি করেই ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে, একেবারে বুকের ভেতর খুব করে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে। ঠিক তেমন করেই সবাই মিলে রোজ বিকেলে ওপেন্টি বায়োস্কোপ খেলতে ইচ্ছে করে, পুকুরজলে দাপাতে ইচ্ছে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, রামদের কুলগাছটার একদম মগডালে উঠে ঝপ করে লাফ দিতে ইচ্ছে করে নিচের কাকচক্ষু জল পুকুরটায়। মণিকে নুনের বস্তা বানিয়ে দৌড়াতে ইচ্ছে করে ইচ্ছেমতো, ছুটির দিনে সারা গায়ে ধুলোমাটি মেখে এসে মার কাছে দুপুরের খাবারের আবদার করে মার রাগী মুখ দেখতে ইচ্ছে করে, খবরের কাগজ আগে পড়ব বলে দাদার সাথে ঝগড়া করতে করতে কাগজটাই ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে, হ্যারিকেনের আলোয় দিদির কাছে কাজল-লিপস্টিক-টিপে লুকিয়ে সাজতে ইচ্ছে করে আর বাবার আঙুল ধরে সেই একলা শিমুল গাছটার নিচের ছোট্ট আলপথ ধরে শর্টকাটে স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে খুব।

মা রোজ বিকেলে জলখাবার করত। এখনকার মতো একঘেয়ে হয়ে যাওয়া শহুরে খাবার নয়; সে একেবারে নিখাদ গ্রাম্য জলখাবার কিন্তু কী তার অসাধারণ স্বাদ! লবণ, মরিচ, পেঁয়াজ আর সর্ষের তেলে চিড়ের দোভাজা বা চালভাজা, কোনোদিন আরেকটু শখ করে চিড়ের বরফি, লম্বা করে কাটা নারকেল ফালির সাথে সর্ষের তেলে মুড়ি মাখানো খুব খেতে ইচ্ছে করে এখানেও কিন্তু তার স্বাদ হতে হবে একদম মা’র হাতের মতোই। মা’র আরেকটা চটজলদি বানানো খাবার এত খেতে ইচ্ছে করে- মুড়ি জলে ভিজিয়ে নিয়ে তাতে খুব সামান্য হলুদ গুঁড়ো ছিটিয়ে পেঁয়াজ-মরিচ আর তেল দিয়ে মাখাতো মা; দু’মিনিটের ম্যাগি নুডলসেরও আগে তৈরি হয়ে যেত সেই খাবার। ভয়ে নিজে কোনোদিন বানানোর সাহস হলো না, কী জানি, হলুদের পরিমাণ একটু চড়লেই জিনিসটা অখাদ্য হয়ে যাবে একেবারে।

প্রিয় শৈশব, আমি, আমরা বড় হয়ে গেছি বলে তোমার কোনো কষ্ট নেই বোধহয়, পৃথিবীর সবাই তো তোমায় ছেড়ে হুটহাট বড় হয়ে যায় একদিন। কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের মনেই বোধহয় তোমার জন্য একটা মমতামাখানো দক্ষিণের জানালা খোলা থেকে যায় আজীবন। সেই জানালা দিয়ে আসা বাতাসটুকু সারা জীবনের সমস্ত ক্ষতে আঙুল বুলিয়ে গা জুড়িয়ে দিতে পারে। আমার খুব কষ্ট হয় জানো, তোমায় আর কোনোদিন মুহূর্তের জন্যও ফিরে পাবো না বলে, কোনোদিন আজকের সমস্ত পরিচয়ের আবরণ ছুঁড়ে ফেলে সেই নির্মোহ নিখাদ ছোট্টটি হতে পারব না বলে। আর আমার সবচেয়ে কষ্ট হয় আমাদের কুর্চি, তুর্ণির মতো অগণিত বাচ্চা তোমার আসল রূপের দেখা পেল না বলে। তারা দেয়াল-দরজা-গ্রিলের ফাঁক গলিয়ে সম্পূর্ণ আকাশটা দেখতেই পেল না কোনোদিন, এই দুঃখ আমার জীবনেও যাবে না।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

খুব ভাল্লাগলো পড়তে। হাসি

আপনি কি বাই এনি চান্স উত্তরবঙ্গের মানুষ? জলখাবার শব্দটা সুনীল- সমরেশের উপন্যাসে পড়েছি, সরাসরি শুনিনি কখনো। অবশ্য অঞ্চলভেদে অপ্রচলিত বলে জানি, সেটা হতে পারে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আমি উত্তরবঙ্গেরই বটে; এই বাংলাদেশের একেবারে উত্তরবিন্দুর রংপুরের। জলখাবার বলে না আমাদের অঞ্চলে, নাশতাই বলে, লিখতে গিয়ে ‘নাশতা’ শব্দটা ঠিক ভালো লাগছিল না, তাই জলখাবার লেখা হাসি

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

হাজার ডানা হারিয়ে যখন কর্মব্যস্ত শত ডানা উপস্থিত হয় তখন সকলের সেই মুক্ত পাখির শৈশব ছেলেবেলা স্মৃতির ফটোগ্রাফে লেগে থাকে। লেখাটা পরে অনেক ভালো লাগলো।

আবেদ হোসেন অন্তন

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- একদম ঠিক বলেছেন, শৈশব ছেলেবেলা স্মৃতির ফটোগ্রাফ ছেড়ে সরে না কোথাও।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

Mohammad hassan  এর ছবি

লেখাটি সুখপাঠ্য ছিলো।

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর। এটা হয়তো চিঠিই তাই শেষ হতেই হয়। আরো একটু বড় হতো যদি, আরো একটু ব্যক্তিগত স্মৃতির রং লাগিয়ে আপনার মনোমুগ্ধকর এই বর্ণনায়। যিনি ভালো লিখেন তার কাছে প্রত্যাশা কেবল বেড়েই চলে। এই ভালো লাগাটা দেবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।

সোহেল ইমাম

দেবদ্যুতি এর ছবি

আর একটু বড় হতে পারল না যে চিঠিটা! এইটুকুতে এসেই হুট করে ছুটি নিয়ে নিলো। পাঠ আর মন্তব্যের জন্য অজস্র আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

নীড় সন্ধানী এর ছবি

স্মৃতিজাগানিয়া যে কোন লেখাই আমার ভালো লাগে। এই লেখা পড়ে আমার নিজের শৈশবকে নিয়ে একটি চিঠি লেখার ইচ্ছে জাগলো। খুব ভালো লিখেছেন। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- চিঠিটা তবে লিখেই ফেলুন না। আমাদের প্রত্যেকের শৈশবে এত আলাদা আলাদা রঙ আর গন্ধ থাকে, সেগুলোর কিছু যদি জানতে পারি তবে অনেক বেশি ভালো লাগবে হাসি

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্যুতি দা ফেলে আসা শৈশব আর হারিয়ে যাওয়া চিঠি সংস্কৃতি দুই মনে করিয়ে দিলেন। আমারও লিখতে মন চাইছে।
এ্যানি মাসুদ

দেবদ্যুতি এর ছবি

লিখেই ফেলুন না, এ্যানি আপু হাসি আপনি মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়েছেন, এজন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আর আমাকে দ্যুতিদা’র চাইতে দ্যুতিদি বললেই আমার বেশি ভালো লাগবে, কেমন? হাসি

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

জী দিদি, আমি আপনাকে কুর্চির বাপ ভেবেছিলুম দেঁতো হাসি

দেবদ্যুতি এর ছবি

আমি কুর্চির বাপের আর তুর্ণির মা’র বোন হই, আপু হাসি

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

অতিথি লেখক এর ছবি

"আর আমার সবচেয়ে কষ্ট হয় আমাদের কুর্চি, তুর্ণির মতো অগণিত বাচ্চা তোমার আসল রূপের দেখা পেল না বলে। তারা দেয়াল-দরজা-গ্রিলের ফাঁক গলিয়ে সম্পূর্ণ আকাশটা দেখতেই পেল না কোনোদিন, এই দুঃখ আমার জীবনেও যাবে না।"
এ্যানি মাসুদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

এক লহমা এর ছবি

চলুক ভাল লেগেছে।

আমার নিজের ক্ষেত্রে একটা জটীলতা আছে। আমার শৈশব আমায় ছেড়ে গেছে অবশ্যই। কিন্তু আমি শৈশবকে ছাড়তে পারিনি। আমার কুচো কুচো দোস্তরা মাঝে মাঝেই আমায় পরামর্শ দেয়, ইউ আর নট এ কিড এনি মোর, গ্রো আপ। তারপর তারা আস্তে আস্তে বড় হয়ে যায় আর আমি - আরও নূতন নূতন বন্ধু জুটিয়ে আমি সেই পিছনেই পড়ে থাকি। চিন্তিত

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দেবদ্যুতি এর ছবি

আপনার সাথে আমি আছি, লহমা’দা। সবাই বড় হয়ে যায় আর আমি পড়ে থাকি পেছনেই, একমুঠো রঙিন স্মৃতি বুকের মাঝে আঁকড়ে রেখে চিন্তিত

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

নিষ্ঠুর এই সময়ে আজ আমিও একখান চিঠি লেখার পণ করেছি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

দেবদ্যুতি এর ছবি

চিঠিটা লিখেছো, সাদিয়া’পু?

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।