আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত এই একুশের মাস কোনদিন ভুলবোনা...

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: শুক্র, ২৭/০২/২০০৯ - ৬:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুই বলার নেই, চুপচাপ শোক জানানো ছাড়া! আব্দুল গাফ্‌ফার চৌধুরী হাসপাতালের ফ্লোরে পড়ে থাকা কোন এক অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখে লিখেছিলেন, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি?' আমি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, দেখিনি স্বাধীনতা যুদ্ধও! তবে ২০০৯ এ এসে যে নির্বাচারে বর্বরের মতো হত্যাজজ্ঞ দেখলাম তাতে এই একুশকেও আমার ভোলা সম্ভব নয়!
ভাইয়ের লাশের উপর দাড়িঁয়ে দাবী আদায় করতে শিখিনি; তা সে যতো অন্যায় করুক আমার সাথে। প্রায় দু'দিনের নির্ঘুম সময় পাড় করার পর ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়া শরীর ও মন নিয়ে শুধু এটুকু কামনা করি, আমাদের সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্র থেকে হানাহানি দূর হোক! আমার কলিগটি যেন দেশের মাটিতে পৌছেঁ তার ভাইকে জীবিত খুজেঁ পাই! ......যেসব সাধারণ নাগরিক, সৈনিক ও অফিসার নির্বিচারে খুন হয়েছেন তাদের প্রতি গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি জানাই সহানুভূতি। আমাদের সবার যেন দেশটার খাতিরে শুভবুদ্ধির উদয় হয় এই কামনাই করি। ..................ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত এরকম একুশ দেখতে চাইনি কোনদিন.........!


মন্তব্য

অম্লান অভি এর ছবি

দিন ভর এক চাপা উত্তেজনা। ক্লান্ত আমি টিভি দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়েছি তা জানি না। জানি শুধু এক চিৎকারে জেগে উঠলাম। না কোন ভিন গলায় নয়, আমারই চিৎকার তন্দ্রাচ্ছন্ন আমি দেখছিলাম দুঃস্বপ্ন! মৃত্যুর যে সংবাদ সারাদিন শুনেছি রেডিওতে আর সন্ধ্যায় দেখেছি টিভি'র পর্দায় তারই বিভৎস রূপ আমার দুঃস্বপ্নে চিৎকারের যোগান দেয়। (তারপর নিজের ভিতরে উত্তেজনা শব্দমালা পোষ্ট দেই সচলায়তনে)।
আমিও আপনার মত মুক্তিযুদ্ধ আর ভাষা আন্দোলন কালো হরফে পড়েছি মাত্র আর বিগত দুই দিন এর প্রত্যক্ষ করলাম (প্রায়)। যদিও দূরে বসে তবে যার অনুভূতি আলোড়িত করেছে মনে।
যারা আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করে তাদের এমন মৃত্যু কাম্য নয়। এমন অনাঙ্খিত ঘটনায় মৃত্যু কাম্য নয় কোন বাংলাদেশীর । শান্তির বাতাস বয়ে যাক আমাদের জানালায়। সমাহিতদের শ্রদ্ধায় শায়িত হোক অনন্তের হাতে। তাদের পরিবার পাক শক্তি- সহ্যের সমর্মিতায় উত্তরণের। মনের গভিরে না থাক কোন দাগ যে দাগ আবার কোন দুঃস্বপ্নে জাগিয়ে দেয় কোন মানুষকে।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

নিঘাত তিথি এর ছবি

আজ পেপারে নিহত অফিসারদের স্বজনদের প্রতিক্রিয়া দেখছি, আর অজান্তেই ক্রমাগত চোখ ভিজে উঠছে। নির্বিচারে হুলি চালানোর ফলে কত কত কত অহেতুক মৃত্যু ঘটে যেতে পারেম কতগুলো অমূল্য প্রান চলে যেতে পারে পাই তাই শুধু শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি...
পরশুদিনের ঘটনায় শুরু থেকেই বিডিয়ারের প্রতি সমবেদনা ছিলো, এখনও আছে, তাদের বঞ্চিত থাকার ইতিহাসের কারনে। কিন্তু সেই দাবি আদায়ে নিজের দেশের মানুষের ওপর এইভাবে নির্বিচারে গুলি চালানো? এইসব অফিসার, যারা মৃত্যু বরন করেছেন তাদের সবার অসততার গ্যারান্টিও কি বিডিয়ার দিতে পারবে?
আরো খারাপ লাগছে মানুষের সহমর্মিতা পাবার জন্য তাদের মিথ্যাচার দেখে, শুরুতে টিভিতে একজন জোয়ান বলেছিলেন, মাত্র একজন অফিসার মারা গেছেন, তার নাম বলা যাবে না। অথচ বিদ্রোহের শুরুতেই ৭০ জন (প্রথম আলো'র সংবাদ অনুযায়ী) অফিসারকে গুলি করে মারা হয়েছে। শুধু তাই না, তাদের গুলির পাশাপাশি বেয়নেট নিয়ে খুচিয়ে আঘাত করে হয়েছে। এই কি স্বাধীন দেশের মানুষের নিজের ভাইয়ের প্রতি আচরন? এইসব তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছিলো ! আহারে, মাত্র ১৭ জনের লাশ পাওয়া গেলো। বাকি লাশগুলোকে কি করা হয়েছে? তাদের কি দাফনও হবে না?

সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, সবাইকে শান্তি দাও। আর যেন রক্ত না বয়ে যায়। আমাদেরই ভাই এইসব আর্মি অফিসার, এই বিডিয়ার বাহিনী। যারা বেঁচে আছে, তাদের সবাইকে শান্তি দাও।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার দাবী এরা যেন সাধারণ ক্ষমা না পায়। মানুষ হত্যা করা নিশ্চয়ই সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়েনা। এরচে বেশি বলার মত মানসিক অবস্থা নেই। পরিচিত কিছু নামের জন্য হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

দৃশা এর ছবি

সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করা হয়েছে তারা যেই বিদ্রোহ করেছে সেই বিদ্রোহটাকে, তারা যে সকল ভয়াবহ অপকর্ম করেছে সেগুলোকে নয়। নিরস্ত্র মানুষদের এভাবে হিংস্র জানোয়ারদের মত হত্যা করা দাবী চাওয়ার নমুনা?

এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে জোয়ানদের দাবীগুলো মোটেও অন্যায্য নয় বরং বেশ যুক্তিযুক্ত। কিন্তু তাদের দাবী চাওয়ার পথটি নৃশংস। আসলেই এতোগুলো অফিসারকে হত্যা করা কি শুধুই তাদের দাবী পূর্ণ না হওয়ার প্রতিফলন? দাবী পূরন করার সৎইচ্ছা যদি থাকতই তারা এদের খুব বেশী থেকে বেশী জিম্মি করে নিজেদের দাবী দাওয়া সরকারের কাছে উত্থাপন করতে পারত। এতোগুলো মানুষকে মেরে সরকার সহ সাধারণ মানুষদের কাছে মিথ্যাচার করে (যে মাত্র ২,১ জন অফিসার মারা গেছে) সাধারন ক্ষমা লাভ করা মোটেও এতোটা নির্দোষ মনে হচ্ছে না যতটা তারা বলে আসছে।

এই সম্পূর্ণ ঘটনাটির পেছনে হয়তো আসলেই আছে গুটিকয়েক বিদ্রোহী বিডিআর। কিন্তু তারা সমস্ত বিডিআর বাহিনীর অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের করা অপকর্মকে শুধু মাত্র দাবী অপূরন আর অত্যাচারের ফলাফল হিসেবে দেখাবার চেষ্টা করছে। যদি ধরে নিই ওইসময় ১২০০০ সৈন্য পিলখানায় ছিল, তাদের মধ্যে কয়জন এ অপকর্মের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল? জোয়ানদের লাশ দেখলেই বুঝা যায় সবাই এই হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করেননি। ঘটনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, অফিসারদের কারো কাছেই অস্ত্র ছিল না, অথচ জোয়ানরা প্রচার করে বেড়াচ্ছিলেন যে আগে অফিসাররাই তাদের দিকে গুলি ছোড়ে। আসলেই হয়তো বেশীরভাগ জোয়ানকে এ কথা বলেই বিদ্রোহ করতে উস্কানি দেওয়া হয়। এসমস্ত মূল কালপ্রিটদের বের করে এদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া আবশ্যক, এরা কোন প্রকার সাধারন ক্ষমতার আওতায় পড়ার যোগ্য নন। তার জন্য সরকারের আগে প্রয়োজন তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে ঢালাওভাবে রিসাফেল করা। মাই ম্যান কনসেপ্ট থেকে বের হয়ে এসে যোগ্য মানুষদের নিযুক্ত করা। পার্লামেন্ট থেকে পাস করে নির্দলীয় তদন্ত কমেটি গঠন করা। এই তদন্তের অনেক নেগেটিভ দিকও আছে, এই প্রক্রিয়ায় হয়তো কিছু নির্দোষ লোকও পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তদন্ত কমেটির নিরপেক্ষ হয়ে তুমুল পারদর্শীতার সাথে সমস্ত অবস্টেকেল পার হয়ে আসা প্রয়োজন।

যাদের আমরা হারালাম সে সমস্ত দেশরত্নের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা ছাড়া আসলেই কিছু করার নেই আমাদের। তাদের পরিবারদের সান্তনা জ্ঞাপন করার ভাষাও আমার জানা নাই। কিন্তু স্বজনরা কি নিহিতদের যথাযত মর্যাদায় দাফন করার সুযোগটাও পাবে না? এ কি ধরনের বর্বরতা? তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের মরদেহের প্রতি এ কেমন বর্বর আচরণ? কালপ্রিটদের এহেন আচরণ কি সাধারন ক্ষমাভুক্ত হওয়ার আদৌ দাবী রাখে?
-------------------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

একমত @ দৃশা

সাধারণ ক্ষমাটা হচ্ছে পুরো কয়েক হাজারের দল যে বিদ্রোহটা করেছে, তার কোন শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত
কিন্তু, হত্যা, লুটপাট, ধর্ষন -- এসবের বিচার হতেই হবে। কেস বাই কেস।

নানান জায়গায় লোকজনের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে এ দুটি ব্যাপারের ডিফারেসন্সিয়েশনটা সবাই ঠিকমতো করতে পারছেনা। এটার ব্যাপক প্রচার হওয়া উচিত।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

খুব চেষ্টা করছি কান্না কান্না ভাব করতে, শোক অনুভব করতে। কিন্তু কিছুতেই হচ্ছে না। এই ১৬৮ সংখ্যাটির বিপরীত ইতিহাসের তেজ এত বেশি যে এই সংখ্যাটি, মিডিয়ার কল্যাণে প্রচার পাওয়া লাশের ছবি কোনোকিছুই তেমন আবেদন সৃষ্টি করতে পারছে না।

স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে কলঙ্কজনক সংগঠন এই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যা, সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা, দেশের ওপর বারবার সেনাশাসন চাপিয়ে দেয়া, সিভিল কর্মকান্ডে নাক গলিয়ে এমন একটি দুর্ণীতিবাজ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া, যার হিসাব চাওয়ার ক্ষমতাও সাধারণ জনগণ হিসেবে আমার নেই। এই অসহায় অবস্থার অনুভূতির কাছে ১৬৮টি লাশের কষ্ট তুচ্ছ হয়ে যায়। যে সেনাবাহিনীর ওপর ভরসায় আমি নাক ডেকে ঘুমাতে পারার কথা, তাদের প্রতি সৃষ্টি হওয়া এই মনোভাবের জন্য আঁতকে উঠি,নিজেকে আরো অসহায় মনে হয়।

সবকিছুর বিচার হোক। এর ভিতরে বৃহৎ কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তারও বিচার হোক। বিচার হোক দুর্ণীতিরও। এরকম মৃত্যু যেন আমাদেরকে আর দেখতে না হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি

বলাইদা,
আপনার কষ্ট দেখে খারাপ লাগছে। দয়া করে এত কষ্ট নিয়েন না।
কতগুলো নিরস্ত্র ও অপ্রস্তুত মানুষের প্রাণ যদি আপনার কাছে মানুষের চেয়েও সেনাবাহিনীর প্রাণ হিসেবে বেশি বিবেচ্য হয়, অথবা ১৬৮ বা এরকম আরও কিছু ক্ষুদ্র সংখ্যাই শুধু হয়, তাহলে শুনে রাখেন, আপনার এই কান্না কান্না ভাব বা শোকানুভূতির আমি নিকুচি করি।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কনফু, সেইটা তোমার অনুভূতি। এবং তোমার অনুভূতির ওপর আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রইলো। একইভাবে, কান্না না আসাটা আমার অনুভূতি। তোমার কাছে আর্মির চেয়ে 'মানুষ' পরিচয়টা বড় হিসেবে আসছে, আমার কাছে তার উলটো।

তবে এখানে একটা জিনিস ভাবা দরকার, এই উলটো অনুভূতিটা আসছে কেন। আমরা তো সবাই-ই চাই আমাদের সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ সবাইকে আপন ভাবতে, সবাইকে নিজের অস্তিত্বের, দেশপ্রেমের একটা অংশ ভাবতে। আমি নিরপেক্ষভাবেই বলছি, আমার মধ্যে সেই ভাবনাটা আসছে না। সেই ভাবনা না আসার জন্য যদি দোষটা আমার হয়, তাইলে আমার আত্ম অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে এবং সেটার ব্যপ্তি খুব সামান্য। আর যদি তার কারণ হয় সেনাবাহিনীর ইতিহাস এবং কর্মকান্ড, তাইলে সেটা খুব মারাত্মক হয়, তখন অছ্যুৎ বলাইয়ের একার সমস্যা থাকে না, একটা বৃহত্ জনগোষ্ঠির মধ্যেই ওই অনুভূতি বা সহানুভূতি বা আপন ভাবার চিন্তাটা না আসতে পারে এবং সেটা দেশের জন্য কোনো স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

অত্যন্ত মর্মস্পর্শী একটি লেখা এসেছে দৃষ্টিপাতের ব্লগে কমেন্ট হিসেবে এক সেনাবাহিনী অফিসারের থেকে। অনুমতি পাওয়া গেলে পুরোটাই পোস্ট হিসেবে দিয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু কোথা থেকে সেটা নেয়া যাবে জানি না, তাই উদ্ধৃতি তুলে দিলাম।

"ফিনিক্স ভবণ ধ্বসে পড়ল, গার্মেন্টসে আগুন লাগলো, লোকজন পানির অভাবে বিদ্রোহ করল, সিডর হল ,বন্যা হল, ভোটার লিস্ট হলো ……রাত নেই, দিন নেই, ঘুম নেই, নিজের পকেট থেকে মোবাইল বিল দিয়ে কাজ করেছি। আমি অফিসার, ৫০০/১০০ টাকা মোবাইল বিল চাওয়া আমার জন্য লজ্জার ব্যাপার। মাস শেষে ব্যাঙ্কে ওডি লেগেই আছে, বাবার নীরব অভিযোগ, ভাই বোনের অভিযোগ, আর্মি অফিসার অথচ ফ্যামিলিকে কোন সাপোর্ট দিতে পারে না। বুঝিয়েছি, সবাই মেনেও নিয়েছে। শুধু বলেছে, সম্মানের সাথে চাকরি কর, টাকা পয়সাই সব কিছু না।

"কিন্তু আজকে যখন বাড়ি থেকে ফোন পেলাম…সবার একটাই কথা, বাবা সাবধানে থাকিস, তোর চাকরির দরকার নাই। আমরা তোকে হারাতে চাই না। কয়দিন পর যে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে তোকেও ফেলে রাখবে না তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই। নিরব হয়ে থাকলাম, ভালো লাগছে না বলে ফোন টা রেখে দিলাম।

"মেজর মোশারফ স্যার এর চেহারাটা চোখের সামনে ভাসতে লাগলো, কিছুদিন আগেই কুয়েত থেকে ঢাকায় গিয়েছেন। আর তারেক স্যারকে, পাঠানো গতকাল এর লাস্ট এসএমএস…my 13 years service went in vain bro, they r taking me in the gun pit…….pl pray for my family…………"

বাকি কমেন্ট এখানে। -

------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অনিশ্চিত এর ছবি

এখন আমাদের সবার অনুভূতিগুলো গিয়ে মিশেছে তাঁদের প্রতি, যারা অকালে হারিয়েছে এই সুন্দর পৃথিবীটাকে। কোনোকিছুই তাঁদের স্বজনদের স্বান্তনা দিতে পারে না; তারপরও বলি- আমরা সকল যুদ্ধের বিপক্ষে, সকল হানাহানির বিরুদ্ধে, সকল সন্ত্রাস-সহিংসতা-রক্তক্ষয়ের বিরুদ্ধে।
‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

Arif [অতিথি] এর ছবি

"যে সেনাবাহিনীর ওপর ভরসায় আমি নাক ডেকে ঘুমাতে পারার কথা,,,,"..ki advut!!!

ধ্রুব হাসান এর ছবি

amra ai oi pokkho nia dola doli kori oshubidha nai. Ai muhurte jati ek bhoyaboho Ondokarer dike agacche.......shudhui ondhokar...

রানা মেহের এর ছবি

অচ্ছুত বলাই

বিভিন্ন লেখায় আপনার মন্তব্য পড়ছি
আর আশ্চর্য থেকে হচ্ছি আশ্চর্যতর।

যে ঘৃনার বলয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন আপনি
সেই বলয়ে অন্তত একদিন যেন আর্মি নামে
কিছু আমাদের মতো চার হাত পা মানুষকে দেখতে পান,
প্রার্থনা রইলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।