দেশভাগ; কুৎসিত ইতিহাসের উপর দাঁড়িয়ে পাওয়া স্বাধীনতার আরেক নাম!

ধ্রুব হাসান এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব হাসান (তারিখ: সোম, ২৪/১১/২০০৮ - ৬:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশভাগ
ভারতের কাশ্মীরে জন্ম নেওয়া এ্যামি এওয়ার্ড পাওয়া পরিচালক ভিক সারিন বা তার অসামান্য ছবি পার্টিশন সম্পর্কে কিছু বলতে আসিনি আজ! এরকম ছবি দেখার পর কিছু লেখার মতো মানসিক অবস্থাও থাকেনা হয়তো! না, এই পরিচালকের গুণগান বা তার বানানো ছবি সম্পর্কে কোন বিস্তারিত আলাপের জন্যও আজকের এই লেখা নয়। শুধু একটি পুরোনো উপশম অযোগ্য ক্ষত বারে বারে হৃদয় ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ করে চলে বলে একটি ব্যক্তিগত ক্ষোভ জানিয়ে দিতে এলাম,
" ঘৃণা করেছি দেশভাগ, ঘৃণা করি দেশভাগ এবং আমৃত্যু ঘৃণা করে যাবো দেশভাগ"।
যদিও জানি এতে কিছু বদলাবার নয়; কিছুই না......


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

"কুৎসিত"
"দাঁড়িয়ে"
"মানসিক"
"গুণগান"
"ছিঁড়ে"

হাসি


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধ্রুব হাসান এর ছবি

ভাইরে অনেক ধন্যবাদ, আমার বাংলাসহ সমস্ত বানানে এতো ভুল হয়! কিন্তু কুতসিত বানান টা জেনেশুনে ভুল করা। ঠিকও করতে পারিনা। আপনি একটু হাত লাগান পারলে প্লিজ...

তারেক এর ছবি

কাশ্মীর নিয়ে ? আপনি বলছেন যখন তখন তো ম্যুভিটা দেখতেই হবে!
ঝিলম নদীর তীরে...দেশভাগ ও কাশ্মীর নিয়ে একটা দারুন উপন্যাস ছিল যাযাবরের।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রণদীপম বসু এর ছবি

ছাত্রবেলায় যাযাবরের গোটা অমনিবাসটা পড়ে ফেললেও কেন জানি 'দৃষ্টিপাত' ছাড়া তাঁর আর একটা উপন্যাসও মন টানে নি।
কে জানে ! দৃষ্টিপাতেই বেশি মজে গিয়েছিলাম বলেই হয়তো !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আলমগীর এর ছবি

এখানে আমার একটা কথা আছে।
আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্ব করি। সার্বভৌমত্ব আর স্বাধীনতা নিয়েও আপোষহীন।
ধরুন কোন একদিন আবার দেশমিলের উদ্যোগ হল। তখন আমাদের মনোভাব কী হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কলকাতার লোক হয়ে বাঙলাদেশের বাঙালীদের দেখে লজ্জা পাই । নিজেকে বাঙালী বলতে গর্বিত বোধ করি কিন্তু আমার শহর আমাকে সে সুযোগ দেয় না । দেশমিলের উদ্যোগ হলে আমি ওপার বাংলায় একখণ্ড জমি চাইব ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

@আলমগীর ভাই

আবার মিলনের উদ্যোগ নেয়া হলে আমি তার পক্ষেই দাঁড়াবো। আমি বলছি পুরো ভারতবর্ষের কথা। তবে এখানে কথা হচ্ছে ব্যাপারটা অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে এবং কোন পক্ষ সুবিধাভোগী হবে আবার কোন পক্ষ ঠকে যাবে, এমন হলে হবে না।

তবে এটা কোনদিনই মনে হয় সম্ভব নয়। সম্ভব হবে না।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আমি কোনো পক্ষের নাই রে ভাই। দেশ ভাগ হউক না হউক, মিলুক আর না মিলুক আমি এখন বৈদেশী হইয়া ওগো মাথায় তেল দেতেছি। আমি আমারে বিক্রী কইরে দেছি।

আইচ্ছা পশ্চিম জার্মানী আর পূর্ব জার্মানী মিলিয়া গেল, সারা ইউরোপে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হইয়া ওগো ভালো ইকোনমি শক্তপোক্তের রাস্থায় নিয়ে গেল আর আমরা না খেতে পাওয়া দেশ গুলি বড় বড় দেশে থেকে মারণাস্ত্র কিনি।

আমরা ভাবি কালকের কথা আর ওরা ভাবে পরশুর কথা।

আমি হিন্দু আর তুমি মুসল্মান। মারামারি না করলে কি আর আমাদের জাত রক্ষা হয় রে ভাই। আর কত রক্তক্ষয় করবো আমরা? আর কতো হাজার বছর আমরা বোকা হয়েই থাকব ?

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ফাহিম [অতিথি] এর ছবি

আমার ক্ষুদ্র-বুদ্ধিতে যা মনে হয় তা হলো আমাদের উপমহাদেশের এই অবস্থার পেছনের কারনটা হলো দারিদ্র। যতদিন দারিদ্র থাকবে, আমাদের কামড়া-কামড়িও থাকবে। অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা এবং অপর্যাপ্ত সম্পদ, সেই কারনে বেচে থাকার জন্য তীব্র লড়াই, একে অপরকে যে কোন ভাবে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া, এটাই ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের মানষের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়িয়েছে। আর কোন দেশের মানুষ যে রকমের, তারা নেতাও পায় সেই রকমের, সেই কারনে আমাদের উপমহাদেশের নেতৃত্বে আমরা বেশির ভাগ সময়ই অপরিণামদর্শী লোকজন পাচ্ছি, যারা এই মূহুর্তের ফায়দা লুটতে ব্যস্ত, দেশ এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করা বা অন্তত চিন্তা করার সময়ও তাদের নেই। বাংলাদেশের দুই নেত্রী, পাকিস্তানের মোশাররফ-জারদারী থেকে শুরু করে ভারতের বাজপেয়ী-আদভানী, কেউই এই কামড়া-কামড়ির ঊর্দ্ধে উঠে আসতে পারেনি। (মন্তব্যে কেউ আহত হলে আগাম দুঃখ প্রকাশ করে রাখছি।)

ইউরোপের উদাহরন খুব একটা পার্ফেক্ট না, কারন ওরা নিজেরাও ভদ্র হয়েছে কিছুদিন আগে। মিডায়েভেল পিরিয়ডে এক দেশ আরেক দেশ দূরে থাক, এক গ্রামের সাথে আরেক গ্রামের রক্তক্ষয়ী মারামারী লেগেই থাকতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এদেরই সৃষ্টি। এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারনে তারা একে অপরের সাথে মুখ দেখাদেখি করার মত ভদ্রতা অ্যাফোর্ড করতে পারছে।

আমাদের অঞ্চল যদি কোনদিন এরকম সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে, আমাদের শিক্ষার মান যদি ন্যূনতম একটা লেভেলে আসে, তাহলে আমরা এদের থেকেও ভাল উদাহরন গড়তে পারব, এটা আমার বিশ্বাস।

ফাহিম

ধ্রুব হাসান এর ছবি

এই বোধটাই হয়তো এতো রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করলাম! সুন্দর বিচারবোধের জন্য ধন্যবাদ চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কতদিন মুভি দেখি না... সময় কোথা পাই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কেবল মাত্র আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্য পুরো সিনেমাটা দেখা শেস করলাম এই মাত্র। মন্তব্যাতীত একটা সিনেমা।

দেশ বিভাগের মধ্যে কোনো কালিমা থাকতো না যদি পরবর্তীতে এই সিনেমাটা তৈরী হওয়ার মতোন কোনো পটভূমি'র সৃষ্টি না হতো। সেইসব শরণার্থীর আত্মার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম রইলো যারা সেই উত্তাল সময় গুলোতে কেবলই ফ্যানাটিজমের বলি হয়েছেন।

আপনারা শান্তিতে আরাম করুন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আপনি আন্তরিকতা নিয়ে ছবিটা দেখলেন বলে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলেই এই ছবিটা আমাদের আজকে যদি দেখতে না হতো আমি নিশ্চিত, আমাদের অনেকের ভালো লাগতো (এই বোধেরই কোন প্রয়োজন দেখা দিতো না)।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হয়তো আমাদের গরিবীর, বৃটিশদের ২০০ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন শোষনে এতোটাই নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছি যে নিজেদের সম্ভ্রম নিজের ভাইয়ের হাতেই হারাতে হয়!
উপরে ফাহিম সাহেবের মন্তব্যে হয়তো আরো ভালো ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ছবিতে নায়ক যেন ৫০ বছর পরের ভবিষ্যত থেকে ছবির গল্পে ফিরে গেছে । দেশভাগের সময় সে বুঝতে পারে সমস্যাটা কোথায় । অন্তত প্রতিশোধের স্রোতের বিরূদ্ধে দাঁড়িয়ে সে মানবিকতার জন্ম দেয় (শিশুটি তারই প্রতীক বলে মনে হয়েছে) এবং নিজে আধুনিক মনের "মানুষ" হয়ে ওঠে । সুন্দর ছবি ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।