খোকাবাবুর ক্ষমা প্রার্থনা!!!

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৫/২০০৯ - ১:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি পাতা (এখানে চাপ দিন)একটি পাতা (এখানে চাপ দিন)দুই জোড়া গরুর কান্দে মই জুইড়া ক্ষেতে মই দিতে কি আরাম! দড়াটা ধইরা পাজুন দিয়া সময় মত শুধু ডাইনে বায়ে খেদাইতে হয় গরুকে। গাড়ী-ঘোড়া চড়তে মনে হয় এরচেয়ে আরো বেশী আরাম! তাই গরুরে ঘাস খাইতে দিয়া, আদর্শলিপি বগলে চাইপ্যা গাড়ি-ঘোড়া চড়ার আশায় ইস্কুলে রওয়ানা দিলাম।

লিখতে-পড়তে শিক্ষা, শোষণ-বঞ্চনার নির্মম ইতিহাসের সাময়িকীতে যে কয়টা গল্প কবিতা রাখা হল, তার মধ্যে আমিও দিলাম একটা লেখা। রবিদার এসোসিয়েট প্রিন্টার্সের বুড়ো অজয়দা মৌচাকের মত কুঠুরি ওয়ালা একটা বাক্স থেকে, একটা একটা অক্ষর তোলে। আমার লেখাটা কম্পোজ হয়! আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি! মুজা খলিফার দোকানে স্কুলে যাবার প্রথম জামাটি যখন তৈরী হয়, তখনো কাপড় কাটা থেকে সেলাই পর্যন্ত, এভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। পাছে ভুল করে! বলাতো যায়না, মুজা খলিফা গজ-ফিতা ছাড়া আঙ্গুল দিয়ে জামার মাপ নিয়েছে! কিন্তু মুজা খলিফা বা অজয়দার কোন ভুল হয়নি।

অনেকদিন, ‘৮৮র বন্যার সময় পর্যন্ত আমার সাথে সেই সাময়িকীর কপিটি ছিল, কলেজে কবিতা লিখে পাওয়া নজরুলের অগ্নিবীণার সাথে। শিউলীদি লেখাটার এত প্রশংসা করলেন যে, ঢাকার কোন সাপ্তাহিকীতে সেটা পাঠাই এবং ছাপাও হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে শিউলিদীর সেই পরিচিত ভদ্রলোক ফোনে জানান যে আমার নামে ১৫০ টাকার একটা চেক রেডী আছে। শিউলিদী মুচকী হেসে বলে: কিরে লেখক হয়ে দিদিকে ভুলে যাবি নাতো! কুমিল্লা থেকে তিনবার ঢাকা গিয়েও সেই চেক আর পাইনি।

সময় এগিয়ে যায়। হাতের মুঠো থেকে বিশ্বজগৎ পায়ের নীচে গড়ায়। আমি সব সময় তার সাথে তাল রাখতে পারি না। হোঁচট খাই। এভাবে কখন যেন জীবনের ফয়সালায় নামতে হল। জিয়া গেল, এরশাদ গেল আমার পথ আর শেষ হয় না! পথের ধূলায় ক্লান্ত হয়েছি, নূর হোসেনের মত জীবনতো যায়নি! জীবনের তাগিদে পশ্চিমে এলাম শরনার্থী হয়ে। কিন্তু পড়ার ইচ্ছেটা তখনো সঙ্গ ছাড়েনি। পড়ি আর অবাক হই। এভাবেই ছোট্ট রাজকুমারের (যাকে আমি বাংলায় খোকাবাবু বলি) সাথে আমার পরিচয়।

বই প্রকাশের ঝামেলায় যাব এমন পরিকল্পনা প্রথম মাথায় আসে সম্ভবত কোন সচলের কমেন্ট পড়ে। এর আগে সাহস হয়নি। কারণ এই লাইনে আমি কিছুই জানিনা, তেমন বিশ্বস্ত বা পরিচিত কেউ নেই। ব্লগারদের উৎসাহ, বউয়ের সাহস সব মিলিয়ে লেখাটা পাঠালাম সচল মাহবুব লীলেনের কাছে। তিনি ধৈর্য্য ধরে পৃরোটা পড়ে চারটা লাইন দাগ দিয়ে, সেগুলো ঠিকঠাক করতে বললেন। আর বানানের ব্যাপারে সাবধান করলেন এই বলে যে, আগোগোড়া বানান দেখতে হবে। মাহবুব লীলেনের কাছে ইউনিকোড না থাকায় তিনি বানানটা ঠিক করে দিতে পারলেন না।

সচল সংকলন আর পূর্ণমুঠি দেখে এত ভাল লাগল! পড়ব কি! বই একটা দেখারও জিনিস! কী সুন্দর প্রচ্ছদ! আমার প্রজাপতি গুড্ডির মত। হাতে নিয়ে তাকিয়েই থাকতে হয়! বইয়ের মলাট লেখকের ললাট। কথাটা সম্ভবত আরিফ জেবতিকের। ভাবলাম, এমন লোকদের কাছে খোকাবাবুর দ্বায়িত্ব দেয়া যায়। শুদ্ধস্বরের রশিদ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হল।

ফোনে রশিদ ভাইয়ের সাথে কথা হল। আমার ইচ্ছে ছিল বানানটা মাহবুব লীলেন দেখে দেবেন। কিন্তু এর মধ্যে তিনি (মাহবুব লীলেন) ঘোষনা দিলেন যে, তাকে প্রায় গোটা বিশেক বই দেখতে হবে এবং কয়েকটি সম্পাদনাও করতে হবে। তাই রশিদ ভাইয়ের কথায় আশ্বস্ত হলাম। রশিদ ভাইয়ের পরিচিত অন্য যারা আছেন, তারাও নাকি যথেষ্ট প্রফেশনাল। কাজেই মাহবুব লীলেনকে আর কষ্ট দিতে ইচ্ছে হল না। এদিকে সময়ও ছিল খুব কম।

যাই হোক। মূল বইটার কপি, অন্তর্জাল থেকে সংগ্রহ করা সবগুলো ছবি এবং প্রচ্ছদ। সব রশিদ ভাইকে পাঠালাম। কথা হল বইটা পূর্ণমুঠির ফরমাটে বের হবে। রশিদ ভাইয়ের সাথে যখন কথা হয় তখন পূর্ণমুঠি আমার হাতে। পৃষ্ঠা কম-বেশী হতে পারে, কিন্তু খোকাবাবু পূর্ণমুঠির সাইজেই হবে।

প্রতিদিন রশিদ ভাইয়ের বই মেলার পোষ্টে চোখ রাখি। শুদ্ধস্বরের ষ্টলে সাজানো বইয়ের ছবি দেখে আমার বইটা খোঁজতে চেষ্টা করি। পরে জানলাম আমি যত সহজ ভাবি, বই তত সহজে ছাপা হয় না! দু:সহ অপেক্ষার পাহাড় পেরুনোর পর বই এল। আমার অনুরোধে এনকিদু খোকাবাবুর ছবি সহ একটি পোষ্টও দিলেন। আর আমি প্রথম ধাক্কাটা সামলানোর চেষ্টা করতে থাকলাম। বইটার প্রচ্ছদ আমি নিজেই পাঠিয়ে ছিলাম। সেটা কেন নেয়া হলনা বুঝলামনা! সাইজ বা ফরমাট পূর্ণমুঠির মত নয়! তার উৎসর্গেই ক্ষমা বানানটা ভুল!

কিছু বলার আগে বইটা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। আমার গুনধর ভাই এতই ব্যাস্ত যে, শুদ্ধস্বর থেকে খোকাবাবুর কপিই সংগ্রহ করতে পারলো না! অবশ্য এর আগে সচল সংকলন আর পূণূমুঠি পাঠাতে তাকে নয় হাজার টাকা নিজের গাঁট থেকে গুনতে হয়েছে। বিলম্বের সেটাও একটা কারণ হতে পারে। জন্মদিনে আপনাদের শুভেচ্ছা জোগাড় করে দিয়েছে তীরন্দাজ। আর উপহার হিসেবে আমার বেগম বইটা ভাইকে বাধ্য করে আনিয়েছে। বইটি আগে দেখে থাকলে চার হাজার টাকা ডাকমাশুল দিয়ে সেটা হয়তো আনাতো না। এত টাকার বই বিক্রি হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে!

বইটা পেয়ে মনটা খুব খারাপ হল। অজস্র বানান ভুল! চুড়ান্ত যে কপিটি বানান শুদ্ধ করার অনুরোধ করে রশিদ ভাইকে বইটি ছাপার জন্য বিজয়ে রূপান্তর করে পাঠাই, সেখানে ক্ষ এবং রু এই হরফ গুলো সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এখন দেখি বইয়ের প্রতিটি পাতায় সেগুলো সবই ভুল! হয়তো ছাপাখানার ভুত! কিন্তু ছাপাখানার লোকদের কি চোখ থাকে না?

প্রথম পৃষ্ঠায় ছবির নীচে লেখা “এটা আমার প্রথম ছবি” যা ঠিক নয়। অবশ্য এর পর থেকে ছবির নীচে আর কিছু লেখা নেই এবং লেখার দরকারও ছিল না। কিন্তু পরের পৃষ্ঠায় বিষয় বা কাহিনীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ছবি ছাপাই হয়নি। মূল লেখকের পরিচিতি একটি জরুরী বিষয়। সেটাও গায়েব! ছবি সহ অনেক খেঁটেখুঁটে লিখেছিলাম। অনুবাদকের ভূমিকাটুকুও কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গিয়েছে! বাংলা ভাবান্তরের উৎসর্গটাও সাথে নিয়ে গেছে আমাকে না জানিয়েই। আমার ধারনা, ছাপা হওয়ার আগে কেউ বইটা একবার দেখেওনি! মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি, রশিদ ভাইয়ের মত একজন সৃষ্টিশীল মানুষের হাত ফসকে এমন এক সৃষ্টিছাড়া আগাছা বের হল কি করে!

খোকাবাবুর বিকলাঙ্গ প্রসবের বেদনায় হেরমান হেসের “ডেয়ার ষ্টেপেনভল্ফ” হয়তো আর অনুবাদ করা হবে না। দৈনিক দশ-বারো ঘন্টা কায়িক পরিশ্রমের করি! তারপর লেখালেখি বা অনুবাদের চেষ্টা আমার মত ঘোড়ারোগে পাওয়া লোকই করে! নিজের খরচে সে চেষ্টার কুফল নিজেকেই ভোগ করতে হয়!

আগের সব অনুবাদকদের বই দিয়ে তাদের মাথায় মারতে চেয়েছি, এখন তাদের কাছে ক্ষমা চাই। হয়তো আমার মতোই ছাপাখানার ভূতের কারণে তাদের অনুবাদগুলোর এই করুন দশা হয়েছিল।

রশিদ ভাই বইটি আবার নতুন করে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি নতুন খোকাবাবু ছাপানোর সময় তিনি আর একটু যত্নশীল হবেন। আমাদের মতো ঘোড়ারোগে পাওয়া লোকেদের জন্যেতো আশাই একমাত্র ভরসা!


মন্তব্য

তীরন্দাজ এর ছবি

যে পাতাটি ছবি হিসেবে দিয়েছেন, দেখে আমাকেই কষ্টে বারবার চোখ বন্ধ করে ফেলতে হচ্ছে পুতুল। খুবই দু:খজনক। আমার জন্যেও, কারন খোকাবাবুর জন্মলগ্নে আমিও যে ছিলাম!

আপাতত: এটুকুই লিখলাম। পরে প্রবাসী লেখকদের বই নিয়ে বিস্তারিত কিছু লিখবো বলে ঠিক করলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শাহীন হাসান এর ছবি

কষ্টকর, দু:খজনক, আমার অপরাধবোধ বাড়ছে... দু:খিত পুতুল!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তানবীরা এর ছবি

পুতুলদা, খুব মনোকষ্টে আছেন। নিজের সৃষ্টির বেহাল দশা মানুষকে কি রকম ভোগায় তার কিছুটা অভিজ্ঞতা আমার আছে। সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো সামনে এগোনোর মানসিক শক্তিটা ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু জীবনের নিয়মেই মানুষ আবার একদিন ঝেড়ে উঠে। আমি আশা করছি আপনার সে দিন যেনো শীঘ্রই আসে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

s-s এর ছবি

তানবীরা আপুর সাথে একমত , সহানুভূতিশীল ঐকমত্য প্রকাশ করছি আপনার সাথে পুতুলদা। খারাপ লাগে- -- --

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

উপরে যে ছবি দিয়েছেন তাতে লাল কালি দিয়ে অনেক বানান ভুল দেখিয়েছেন। কিন্তু লেখাটির প্রথম শব্দটাই ভুল। আপনার চোখে পড়েনি। শব্দটি আগন্তুক হবে আগন্তক নয়।

আর অনুবাদ করতে যাবেন না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা কতটা দু:খবোধ থেকে তৈরি হয়েছে তা কিছুটা অনুমান করতে পারি। সহমর্মিতা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

শ্যাজা এর ছবি

বেশ কয়েকবার লিখলাম, মুছলাম তারপরেও বুঝতে পারছি না কী বলব।

আমিও আশা করছি বইটি আবার নতুন করে ছেপে আসবে আর তখন আরেকটু, না আরেকটু নয় অনেকখানি যত্ন নিয়ে প্রকাশ করা হবে।

------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...

কনফুসিয়াস এর ছবি

খারাপ লাগলো পড়ে।
আশা করি পরেরবার সব ঠিকমতন হবে।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জাহিদ হোসেন এর ছবি

লেখাটি পড়ে খারাপ লাগলো। ছাপাখানাতে ভূত সব সময়েই ছিল, থাকবেও তারা সব সময়েও। কিন্তু যেখানে বেশীর ভাগ সময়ে পুরো লেখাটি লেখক/অনুবাদক কম্পোজ করে দিচ্ছেন, সেখানে সামান্য একটু খেয়াল করলেই এগুলো এড়ানো যেতো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সিরাত এর ছবি

মন খারাপ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

রবিদার এসোসিয়েট প্রিন্টার্সের বুড়ো অজয়দা মৌচাকের মত কুঠুরি ওয়ালা একটা বাক্স থেকে, একটা একটা অক্ষর তোলে। আমার লেখাটা কম্পোজ হয়! আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি! মুজা খলিফার দোকানে স্কুলে যাবার প্রথম জামাটি যখন তৈরী হয়, তখনো কাপড় কাটা থেকে সেলাই পর্যন্ত, এভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। পাছে ভুল করে! বলাতো যায়না, মুজা খলিফা গজ-ফিতা ছাড়া আঙ্গুল দিয়ে জামার মাপ নিয়েছে! কিন্তু মুজা খলিফা বা অজয়দার কোন ভুল হয়নি।

বই প্রকাশের সময় ওই একইভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাই বোধহয় ভালো। বইমেলার হট্টগোলের অনেক আগে কাজটা গুছিয়ে নিতে পারলে তো কথাই নেই। কারণ মেলার সময় একেকজন প্রকাশকের 'ল্যাজের ঘায়ে কুত্তা পাগল' অবস্থা হয়।

আশাকরি দ্বিতীয় সংস্করণে বইটি আরো গুছিয়ে বের হবে। শুভ কামনা রইলো।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

বইটা কিনেছিলাম পুচ্চি মামাতো ভাইয়ের জন্য। ওর হাতে দেয়ার আগে ভাবলাম একবার দেখেনি। তারপর থেকে বইটা ঘরের এক কোনেই আছে। আর মামাতো ভাইকে দিয়েছি খোকাবাবুর পিডিএফ-এর প্রিন্টেড ভার্সন।

পুতুলভাই, লেখা ছাড়বেন না, এ অনুরোধটুকুই থাকলো। ছাপাখানার ভুতকে বাগ মানানো সম্ভব, কিন্তু কিশোরগল্পের সাবলীল অনুবাদ পাওয়া হয়ত অসম্ভব!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

খোকাবাবুর বিকলাঙ্গ প্রসবের বেদনায় হেরমান হেসের “ডেয়ার ষ্টেপেনভল্ফ” হয়তো আর অনুবাদ করা হবে না।...
আপনার যন্ত্রণা বুঝতে পারছি। তবু বলি, এতো হতাশ হবেন না, পুতুল। এরপর নিশ্চয়ই সবকিছু ঠিকঠাকমতো হবে। আপনি লিখে যান...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রথম হোঁচটে দমে গেলে কি আর বীরের দেখা বসুন্ধরা পেতো?
(যতোটুকু মনে আছে) টুটুল ভাই খুব সম্ভবতঃ মরার মতো অবস্থায়ও ছিলেন না তখন। খোকাবাবু'র প্রসব সময়টা বোধকরি ঐরকমই একটা প্রতিকূল সময়ে হয়ে গেছে। এটা আসলে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী করার মতো অবস্থা না। ব্যাপারটা এমন যে, "সবসময়, সবকিছু আমাদের অনুকূলে যায় না!"

এই কারণে পরবর্তী অনুবাদ থামিয়ে দেয়া ঠিক হবে না বলেই মনে হয়। অনুবাদ চলুক, প্রকাশিত হোক পরবর্তী বইমেলায়। অগ্রিম আশাবাদ জানিয়ে রাখলাম শুভকামনার সাথে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

“ডেয়ার ষ্টেপেনভল্ফ” এর অনুবাদ না হলে
আপনার খবর আছে রেগে টং
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পলাশ দত্ত এর ছবি

খোকাবাবু পুনরায় প্রকাশ করে এবারের অসঙ্গতি শোধরানোর সুযোগ আছে।

কিন্তু ডেয়ার ষ্টেপেনভল্ফ আপনি অনুবাদ না করলে আপনার হাতের অনুবাদটি আর পাওয়া যাবে না।

আশা করি অনুবাদটি করবেন।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রানা মেহের এর ছবি

শুভ আহমেদ

কাউকে অনুরোধ অথবা সমালোচনা করতে চাইলে
শিষ্ঠাচার লঙ্ঘন করা জরুরী নয়

আশা করি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আলাভোলা [অতিথি] এর ছবি

চিন্তিত

রানাপু, বুঝলেন ক্যাম্নে শুভ আহমেদ পরে এই ধরণের একটা কমেন্ট করবে? ম্যাজিক!

পলাশ দত্ত এর ছবি

পরে নারে ভাই, আগেই করছিলো একটা। ওই কমেন্ট নিচের কমেন্টের চেয়ে খারাপ ছিলো। রানার কমেন্টটা তারই জবাব ছিলো। পরে ওটা মোছা হয়েছে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হিমু এর ছবি

সমবেদনা আর সহমর্মিতা রইলো। আশা করি ত্রুটিমুক্ত একটি বই আপনি শিগগীরই পেয়ে যাবেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

...

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সহমর্মিতা রইলো পুতুল ভাই ।
অনাবাসী লেখকদের বই প্রকাশকালীন টেনশনের গল্প আমারও আছে কিছু বৈ কি !
আপনারটা আবার হবে । ভালোর চেয়ে ভালো হবে ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মূলত পাঠক এর ছবি

ঘটনা শুনে খারাপ লাগলো। নিজের বই প্রকাশের আনন্দ এভাবে বিষাদে ঢাকা পড়ে যাওয়া দুঃখের কথা।

দময়ন্তী এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে, এই পাতাটা দেখে, খুব খারাপ লাগল পুতুল৷ খুউব খারাপ৷

তবু বলি, অনুবাদ করা ছাড়বেন না৷
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শুভ আহমেদ এর ছবি

দেশে প্রকাশকের আকাল পরেছে কি,যে লেখা ছেড়ে দিবেন? যে আপনার সাথে এমন করলো-তার পাতে সামনেরবার দেখবেন ২টা বইও উঠবে না।

জেবতিক রাজিব হক [অতিথি] এর ছবি

ইহা কি স্বর্পরাজ জ্যোতিষসম্রাটের অব্যর্থ চ্যালেঞ্জ ?

আলাভোলা [অতিথি] এর ছবি

শুভ আহমেদ

কাউকে অনুরোধ অথবা সমালোচনা করতে চাইলে
শিষ্ঠাচার লঙ্ঘন করা জরুরী নয়

আশা করি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন

মুস্তাফিজ এর ছবি

দেশে প্রকাশকের আকাল পরেছে কি,যে লেখা ছেড়ে দিবেন? যে আপনার সাথে এমন করলো-তার পাতে সামনেরবার দেখবেন ২টা বইও উঠবে না।

এভাবে বলাটা ঠিক না।

যারা বাইরে থেকে বই প্রকাশের জন্য প্রকাশকের কাছে পাঠান উনারা একটু কষ্ট করে প্রকাশককে ছাপা হবার আগে বইয়ের PDF ভার্সন পাঠাতে বলবেন, এতে নিজের মনের শান্তি টুকু নষ্ট হবার ভয় থাকেনা। আরেকটা কথা যদি ফেব্রুয়ারীর মেলা টার্গেট থাকে তাহলে নভেম্বরেই বই দেবার চেষ্টা করাটাই উত্তম, এতে প্রকাশক সময় দিতে পারবেন।

বইটা আমিও কিনেছি।

...........................
Every Picture Tells a Story

দ্রোহী এর ছবি

শুভ ভাই চ্যাতলেন ক্যান? আপনার কী স্বার্থ? পুতুল ভাইয়ের নিজের বই তবুও তিনি নিজেই এতোটা উত্তেজিত হননি।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ছাপাখানার ভুত!
এখনতো মনে হচ্ছে ই-বুকই ভালো। ছাপাখানার ধার দিয়ে যাবার দরকার নেই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আলাভোলা [অতিথি] এর ছবি

মন খারাপ

পরেরবার অবশ্যই সব ঠিকমতো হবে।
“ডেয়ার ষ্টেপেনভল্ফ” এর অনুবাদ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

দ্রোহী এর ছবি

সমবেদনা জানাচ্ছি। আশা করি দ্বিতীয় সংস্করণে ভুলগুলো ঠিক করা হবে।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ইজি পুতুল ইজি।
আমার দেখছি বিরাট ভাগ্য। একেবারে চাঁছাছোলা সমালোচনাগুলো পাচ্ছি। কয়জনে পায় এমন! এসবই আমার চলার পথের পাথেয়। ২টা বই করি আর ২০০০টা বই করি, সাধ্যের বাইরে কিছুই করবো না। আমি জানি,আমি না বাঁচলেও শুদ্ধস্বর বাঁচবে।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

পলাশ দত্ত এর ছবি

বিষয়টা পুতুলের জন্য আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আপনার জন্যও। এরকম দু'একটা বইই অনেকগুলো ভালো বইয়ের সুনাম ঘুচিয়ে দিতে যথেষ্ট। যাই হোক, ভাবছি শুদ্ধস্বরের বইমেলা-যুদ্ধ নিয়ে একটা পোস্ট দিলে কেমন হয়? টুটুল ভাই নিজেই দিতে পারেন। আর রাজি না থাকলে নাহয় আমরাই কেউ দেব? চোখ টিপি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।