তীর্থের কাক ২০

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ২৭/০৮/২০১২ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের ভাষায় শীত নিয়ে উল্লেখ যোগ্য কোন কবিতা, গান, সাহিত্য কিছু নেই। কিন্তু সময়টা ভীষণ কাব্যিক। কাপড়ের অভাবে ভাল ভাবে কখনো শীত উপভোগ করতে পারি নি। তবুও পিঠা-পুলি আর সবজীর বৈচিত্র্য আসলে শীতেই। এখানে শীত নিয়ে কাব্য করা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার মানুষের পক্ষে কঠিন। তুষার নেই যে দেখে বোঝা যাবে শীত। বাইরে হলে ঠাণ্ডায় কান ব্যথা করে। চোখ নাক দিয়ে পানি পরে আপনা থেকেই। হাতমোজার ভেতরে হাত জমে যায় শীতে। আমাদের মৌসুমি বৃষ্টির মতো দিনের প্রায় সবটা সময় সূর্য ঢাকা থাকে মেঘে। মানুষের নব্বই ভাগ কাপড়ের রং কালো। জন্মের জন্য প্রভু যীশু এই সময়টা কেন বেছে নিলেন, তা ঈশ্বরই ভাল জানেন। আমাদের পোড়া চোখে মহা প্রভুর প্রস্থানের মতই বিস্বাদের মনে হচ্ছে তার প্রবেশ। সেপ্টেম্বর থেকেই বড় দিনের কেনা কাটায় চাকের উপর বসা মৌমাছির মতো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে দোকানে।

কাজ বেড়ে গেছে অনেক। নভেম্বর থেকে কাজে গেলে মনে হয় দোজখে ঢুকেছি। বড় দিনে (ডিসেম্বরের ২৪/২৫) রাস্তা-ঘাট এক দম ফাঁকা। হাট-বাজার-দোকান-পাট সব বন্ধ। আমাদের রেস্টুরেন্টও বন্ধ। লাখ দেড়েক লোকের এই শহরে এখন ডজন খানেক লোক পাওয়া কঠিন। এতই ফাকা শহর। দুটো-দিন শুধু ঘুমিয়ে কাটালাম।

কাজ নেই। মানে গেস্ট প্রায় শূন্য। কিন্তু তার পরেও কাজের অভাব নেই। বেতলেহেমের গরু ঘরে যে শিশু জন্মে ছিল তার জন্ম দিনকে অর্ব্যথনা জানাতে এতো সাজ সাজ রব দেখে অবাকই লাগে। সাদা চামড়ার মানুষের হিসাব মতে বছরের শেষের দিকে কোন এক অন্ধকার রাতে জন্মে ছিল যীশু। বিশ্বাসঘাতকতার আগে ইউডাস যে সন্ধ্যাভোজে যীশুর সাথে এক পাতে খেয়েছে তার কাল্পনিক ছবি এঁকে বিখ্যাত হয়েছেন মিখেল এঞ্জেলো। নৈতিক ভাবে আমাদের কাজটা তার চেয়ে অনেক মহান। যীশুর আগমনকে অভ্যর্থনা করতে আমাদের সব আয়োজন। ৩১ ডিসেম্বরের সন্ধ্যাভোজে সবাই এক পদের খাবার পাবে। শুরুর খাবার গোলাপী-গোস্ত। গরুর পিঠের মাংস পানি দিয়ে মাখা ময়দার লম্বা স্তূপের মতো। নাম মাত্র মশলায় তেলে ভেজে বাইরেটা একটু বাদামী। ভেতরের কাঁচা মাংস আর রক্ত মিলে গোলাপী একটা রং। মেশিনে পাতলা করে কেটে বাসনে ছড়িয়ে রাখছি। আধা কিলো ওজনের চিংড়ি মাছ। সেটা জীবিত অবস্থায় সালাদ পাতা দিয়ে সাজানো বাসনে আগে গেস্টকে দেখাতে হবে। তারপর রান্না। ভীষণ দামী দামী খাবার। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আমাদের দেশে বড় লোকের বৃদ্ধ পিতামাতা মারা গেলে গ্রামের সব মানুষকে খাওয়ানো হতো। কলাইয়ের ডাল, গরুর গোস্ত আর দই। কিন্তু ধনীদের অবতার জন্মগ্রহণ করেছেন। তার অভ্যর্থনার খাবার অতো সহজ হলে চলবে কেন। তবে তা বিনা মূল্যে নয়। জন প্রতি একশ মার্ক। আমাদের আরাম হচ্ছে; সব গেস্টের খাবার দিলেই কাজ শেষ। থালা-বাসন যা যেভাবে আছে, সেভাবে রেখেই আমরাও যোগ দিতে পারব সে মহাযজ্ঞে।

মহা প্রয়াণে (২৪/২৫ ডিসেম্বর) কোন তুষারপাত হয় নি। এ যেন পুষ্প বিহীন ফল! কিন্তু এখন জানালা দিয়ে শুধু তুষার ছাড়া আর কিছু দেখবার উপায় নেই। ডুস-ডাস শুরু হয়ে গেছে গত পরশু থেকে। আশ্বিন মাসের কী একটা পূজার সময় আমাদের হাটে ঘাটে বাঁশের কঞ্চিতে বাঁধা ছোট একটা বারুদের কুণ্ড শক্ত-পোক্ত কাঠে বাঁশে বাড়ি দিয়ে ফুটানো হতো বা এখনো হয়তো হয়। সে রকম মত খানেক এক সাথে করলে যেমন শব্দ হবে, সেই রকম ভীষণ-ভয়াল-বিকট শব্দে ফুটছে বিস্ফোরক। কিন্তু মাঝে মাঝে। হয়তো এক মিনিটে পাঁচটা ফুটলো তো ঘণ্টা খানেক কোন শব্দ নেই। শুরু হয় আবার। আবার থেমেও যায়। আমাদের দেশে হরতাল-আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি আর তার জবাবে ক্যাডারদের জর্দার কৌটার ফোটানের মতো। প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল নাতো! থোরা সবুর কুরুক্কা, দেখবায়নে কিতা অয়। আস্বস্ত করলেন তাওহীদ ভাই। এখনো সত্যিকারের উৎসব শুরু হয়নি।

জিয়াকুমো, মিমো আর ওদের সব সহকর্মী (শুধু আজকের সন্ধ্যায় কাজ করার জন্য কয়েকজন সুন্দরী ওয়েটার এসেছে) সবাই নতুন এবং সুন্দর পোশাক পরেছে। রাত দশটার দিকে চিকন মুখের উঁচু গ্লাসে সেক্ট (শ্যাম্পেইন-এর জার্মান সংস্করণ) নিয়ে হাসি মুখে মালিকনী। প্রোষ্ট ছেলেরা বলে এগিয়ে দিল গ্লাস। আজকের দিনে ব্যবহারের জন্য বিশেষ কারুকার্যে খচিত থালা-বাসন ময়লা ফেলে বেসিনে রাখলাম। কিনারে সোনার প্রলেপ দেয়া রূপোর চামচ ডুবে রইল বালতির পানিতে। সবার শেষে ডাক ‌এলো আমার। এই মাসের বেতন ২২শ মার্ক। সাথে ১শ মার্ক বড় দিনের বোনাস। মনে মনে বলি; আহা যীশু প্রতি দিন না হোক প্রতি মাসে অন্তত: তোমার একটা জন্মদিন থাকলে তো কোন ক্ষতি ছিল না। শুনেছি হিন্দুদের বার মাসে তের পূজা। রোমান এবং গ্রীক ধর্মেও অনেক দেব-দেবী ছিল। হয়তো সেই সময়ের কাজের পারিশ্রমিকের সাথে সব দেবতাদের সম্মানে কিছু বাড়তি বোনাস পেতো কাজের লোক। একেশ্বরবাদী ধর্মগুলো নির্জলা ফ্যান্টাসি হীন! হয়তো অর্থ অপচয় রোধকল্পেই এই সব ধর্মের আবিষ্কার হয়েছে।

কাজের কাপড় বদলে টয়লেট থেকে বের হয়ে দেখি বেশ কয়েকটা পানীয়ের বোতল নিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে মালিকনী। ভিকি বা তাওহীদ ভাই কিছুই নিলেন না। পাঁচ লিটার ওয়াইনের বোতল! সাথে আরো দুটো ছোট বোতল। তার একটায় লেখা ওল্টা-পাল্টা (বেড সিক্সটি নাইন) ৬৯। পলিথিনের থলেতে বোতল ভরে ছুটলাম আস্তানার উদ্দেশ্যে। পথ-ঘাট সাদা। বাড়ি-গাড়ির ছাদ সাদা। সাদা আকাশ। পত্রহীন খরায় শুকিয়ে যাওয়া গাছের মতো ছিল এতদিন গাছ গুলো। এখন শাখা-প্রশাখা সমেত সব সাদা তুলোয় আচ্ছন্ন। অচেনা কোন নক্ষত্রে যেন এসে পড়েছি পথ ভুলে। দূর আকাশের তারার মতো অথবা নিভু নিভু প্রদীপের শিখার মতো, আলোর নাচন। আলোক মালায় সাজানো বাড়ি-ঘর, দোকান থেকে তুষার বেধ করে আসা বিচ্ছুরিত আলোকচ্ছটা অমাবস্যায় জোনাকির উপস্থিতির মতো ভূতুরে করে তুলেছে পরিবেশ। সাথে থেকে থেকে বারুদ ফোটার ঠুস-ঠাস শব্দ। জগতের আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রন নাকী যুদ্ধ যাত্রার দামামা বোঝা মুস্কিল।

একটা বর্ণ জার্মান জানিনা। তার উপর এমন পরিস্থিতিতে আর পড়ি নাই, তাই অনুমান করতে পারছি না, মানুষগুলো কীসের অপেক্ষায়! সবাই কেমন খুশী খুশী। পুলিশের উপস্থিতি আমাদের দেশের হরতালের সময়ের মতো। মাঝে এম্বুল্যান্স কান ঝালাপালা করা শব্দে ছুটছে। দুএকটা দমকল বাহিনীর গাড়ি। কৌনিক্স প্লাট্স এসে অবাক হয়ে দেখছি। সব জায়গার মতো এখানেও এই ভয়ঙ্কর শীতে জড়ো হয়েছে শহরের সব যুবক-যুবতী। সবার হাতে সেক্ট বা বিয়ারের বোতল। রাত এগারটা পার হয়ে গেছে। জাহিদ ভাই, জসিম, মাসুদ, কারো কোন দেখা নেই। আমার মতো এতো হাই কোয়ালিটির রেস্টুরেন্টে এরা কাজ করে না। তাই সব কাজ শেষ করে আসতে হবে হয় তো। অথবা এই জনতার ভিড় ঠেলে বাস-ট্রাম এগুতে পারছে না। অজানা অপরিচিত পরিস্থিতি সুখের হবে ভেবেও মানুষ দুশ্চিন্তায় থাকে। আর এখানে কী ভাবে কী হতে যাচ্ছে সেটা অনুমান করার কোন উপায় আমার নেই। এতোগুলো মাতাল মানুষ যাদের প্রায় সবাই আমার চেয়ে বেশী শক্তিশালী, সবাই মিলে যদি আমার উপর ক্ষেপে যায়; তুই এখানে এসেছিস কেন? যে কেউ একজন শুরু করলে আর রক্ষা নেই। পুলিশ অবশ্য এখানে একটা ভরসা। কেন যেন আনন্দের চেয়ে ভয় বেশী হচ্ছে। সাথে আছে সব মিলিয়ে হাজার তিনেক মার্ক। আমাদের দেশে টাকার জন্যও মানুষ মেরে ফেলে। তুষারপাত একটু কমলো। সবার আগে এলো জসিম। তার কোন ভয় নেই। সে দিব্যি মজা করছে বিশেষ করে যুবতীদের নিয়ে। কে কেমন হবে বিছানায়? এইসব অনুমান নিয়ে ভাল কাটল সময়টা। এর মধ্যে বাকীরা চলো এলো। সবাই লাগারের দিকে হাটা দিলাম। রাত বারটা বেজে গেছে। সে কী শব্দ! মনে হয় পৃথিবীর সব এটম-হাইড্রোজেন বোমা এক সাথে ফেটে গেছে। খৈ ভাজার মতো। খোলায় যে ভাবে সব ধান ফেটে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে ভাবে। প্রথমে থতমত খেলেও বিপদের কোন আভাস না পেয়ে ভালই লাগল। তুষার আরো কমে গেছে। আকাশ লাল-সবুজে ছেয়ে আছে। এত সুন্দর এতো ঝলমলে আকাশ জীবনে কখনো দেখিনি। এক অদ্ভুত ভাল লাগায় অভিভূত হয়ে গেলাম। এই শহরে আজ কোন দুঃখী মানুষ নেই। সার্থক জনম যীশুর। পৃথিবীর অনেক মানুষ যীশুর পক্ষে বিপক্ষে যুদ্ধ করে প্রাণ হারিয়েছে। আজকের এই আয়োজনে হয়তো একটা এ্টম বোমা বানানোর মতো খরচ হয়নি। কোন পশু-পাখি-প্রাণী জীবন দিতে হয়নি। সবাই, হয়তো পৃথিবীর সব মানুষ কোন না কোন ভাবে উপকৃত হয়েছে, আনন্দ পেয়েছে। বোধ করি মানুষের জন্ম যীশুর আগে হয়ে থাকবে। মানুষের জন্ম উপলক্ষে এমন একটা আয়োজন হলে মন্দ হতো না। কিন্তু সে হবার নয়। মানুষ তো মানুষ হয়েই সুখী নয়। তাদের গোত্র-ধর্ম-বর্ণ আছে। আছে ধন-দৌলত থাকা না থাকার বিভেধ।


মন্তব্য

রংতুলি এর ছবি

চলুক সুন্দর গোছানো লেখা আপনার। ভাষায় শালীনতার পরিচয়। বর্ণনা স্পস্ট এবং সহজ। লেখাতেও মানুষের মানসিকতা ফুটে উঠে। আগেও 'তীর্থের কাকে'র কয়টা পর্ব পড়েছি, ভালো লেগেছে কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। সময় করে বাকিগুলো পড়ে ফেলবো।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ রংতুলি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সত্যপীর এর ছবি

চমত্কার চলুক চলুক

..................................................................
#Banshibir.

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ পীর সাহেস।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

চলুক

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দারুচিনি এর ছবি

অনেক আগের স্মৃতি নাকি? মার্ক বলেছেন তো তাই বললাম. আমি মিউনিখ থাকার সময় একই কথা মনে হয়েছিল ! কিন্তু এখন স্মল সিটি তে সেই উল্লাস নাই
দারুচিনি

পুতুল এর ছবি

অনেক আগের ৯১-৯২ এর কাহিনী তাই মার্ক। এখন আমি মিউনিখে। ছোট কোন শহরে থাকেন। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দারু্রিনি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কল্যাণ এর ছবি

ভাল্লাগছে।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

পুতুল এর ছবি

আপনাকে আবার দেখে আমারও খুব ভাল লাগছে। এখন থেকে নিয়মিত থাকবে তীর্থের কাক।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমাদের ভাষায় শীত নিয়ে উল্লেখ যোগ্য কোন কবিতা, গান, সাহিত্য কিছু নেই।

সত্যি কি তাই ? 'ঝরা পালক' ও 'ধুসর পাণ্ডুলিপির' প্রায় পুরোটা জুড়েই তো দেখি হেমন্ত ও শীতের খেলা।

আপনার স্মার্ট গদ্য পড়ে সুখ পেলাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পুতুল এর ছবি

বৃষ্টি বা বর্ষা নিয়ে যত আছে শীত নিয়ে তত কাবিতা, গান নেই তাই বলতে চেয়েছি। দুর্ভাগ্যক্রমে ঝরা পালত ও ধুসর পাণ্ডুলিপি পড়া হয়নি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তারপরে ঐ বোতলগুলি কেমনে কেমনে খালি হইল ঐ গল্প কন ... দেঁতো হাসি

পুতুল এর ছবি

কইতাসি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।