অরূপের প্রতি

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: রবি, ৩১/০৮/২০০৮ - ৭:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় অরূপ,
অথচ আপনি যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখন চেয়েছিলাম দেখা হোক। দেখা হয়নি। আমি তখনও জানতাম না, আপনি সচলের হৃৎপিণ্ডের একটি কুঠুরি। সাক্ষাতটা হল অবশেষে, ভার্চুয়াল সংঘাত দিয়ে। এবং মুগ্ধ হলাম। আমাকে বকাবাদ্যি করলেন, কিন্তু আমি দেখলাম ধার। সেসব দিন গত হয়েছে।

সচল ব্যানের সময় আপনারা যখন দিবারাত্র জাগ্রত হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন। এখানে তখন আমারো চোখে ঘুম ছিল না, ব্যস্ততায় _সচলের জন্য। বাকি ইতিহাস বুঝিবা নিয়তি নির্ধারিত।

ব্যানের দিন থেকে আমার কুরোসাওয়ার ‘দি ডাবল’ ছবিটার কথা মনে পড়ছিল: সম্রাট বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তিনিই সাম্রাজ্যের ঐক্যের প্রতীক। শত্রুরা তাঁর ভয়েই দূরে থাকে। সৈন্যরা তাঁর নামেই বীর হয়। তিনি আহত হলেন এবং মারা গেলেন। শত্রুরা যদি তা জানে, তাহলে রাজ্য আস্ত থাকবে না। তখনই মন্ত্রীদের মনে পড়লো কারাগারে বন্দি এক চোরের কথা। চুরির জন্য তার ফাঁসিই হতো, কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে রাখেন সম্রাট নিজেই। তার অপরাধ এবং গুণ একটাই: সে সম্রাটের চেহারার হুবহু আদলের। মৃত সম্রাটকে হৃদের মাঝখানে ডুবিয়ে দিয়ে এসে চোরকে সম্রাটের পোশাক পরিয়ে দরবারে আনা হলো, কুচকাওয়াজে দেখানো হলো। যুদ্ধ চললো অমিতবিক্রমে।

চোরটার প্রথম প্রথম অসুবিধা হতো। কিন্তু একসময় সে টের পায়, তার মধ্যে ঢুকে পড়েছে সম্রাটের আত্মা, তার মতোই দেশপ্রেম। ততদিনে মন্ত্রীরা বুঝে গেছে একে সামলাতে হবে। তারা তার কথা শুনলো না। সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়লো শত্রুর ফাঁদে। চোর বেচারা ‘দি ডাবল’ বেচারা তাদের সামনে আহাজারি করলো, ঠেকাবার চেষ্টা করলো। কেউ শুনলো না। চোখের সামনে পুরো বাহিনী শেষ হয়ে গেলে সে এগিয়ে গেল পতাকা হাতে।

ছবির শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, সেই হৃদের জলে সম্রাটের পতাকা ভেসে যাচ্ছে। তার প্রান্ত ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে সেই চোরের লাশ।

আমার একটি অভিসারের স্মৃতি যখন লিখি, তখনই যেন মনের মধ্যে শোকের ব্যথা জেগেছিল। স্নিগ্ধা বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলেন, প্রশ্নও করেছিলেন কেন 'স্মৃতি'?

এটা আমার হয়। যে দিন বগুড়া ছাড়লাম, তাকে ছাড়লাম সেদিনও হুহু করে কান্না এসেছিল। অথচ তখন সবই সুন্দরই দেখাচ্ছিল। কিন্তু মনোমধ্যে জেগেছিল ভবিষ্য স্মৃতি। তাতেই বুঝেছিলাম, সুতা ছিঁড়লো। ওটা লেখার সময়ও এরকমই বিষাদ ভর করেছিল। অচেতনে বোধহয় কোথাও আজকের দিনের স্মৃতি তরঙ্গ তুলেছিল।

আজ আমি বিদায় চাইছি। আমি যা বলেছি, করেছি, তার পর আর থাকা যায় না। আগের পোস্টের মাধ্যমেই আমার অভিযোগ-উৎকণ্ঠা ফুরিয়ে দিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করেছি। এবং নিজেকেও বাতিল করে দিয়েছি। এখন আমি শূণ্য।

পুনশ্চ: আমার ব্লগটা এখানেই থাক, আমার সমাধি হয়ে। মাঝে মাঝে যাতে দেখে যেতে পারি। সবাইকে ভালবাসা।


মন্তব্য

সবুজ বাঘ এর ছবি

কী হৈল কি? ইয়ার্কি ফাইজলামি কইরা পচাই দেইকা কি...ভালোবাসি না নাকি?

দৃশা এর ছবি

এইটা কি কারবার শুরু হইল?
ভাইজান আমরা মারামারি কাটাকাটি ফাটাফাটি কইরা ভাল খারাপ মিলাইয়া যদি একলগে এতোগুলান মানুষ একই দেশে থাকতে পারি তাইলে এইখানে থাকাটা কি খুব কঠিন? মনে তো হয় না। সুতরাং এসব মান অভিমান রাগারাগি ফাটাফাটি লইয়া আসেন সবাই একলগে থাকি। করলামই না হই কিছু কাইজ্জা কাফাস...হইলই না হয় কিছু মতভেদ...রইলই না হয় কিছু অভিমান...কিন্তু আমরা আমরাই তো ভাই...তাই না? নিজেও দুঃখ পাইয়েন না অন্যগোরেও দিয়েন না। আর এমুন চিন্তা মাথা থেইকা ঝাইড়া ফালায়ে দেন।
------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মন্জূ ভাই গেছে, ফারুক ভাইয়ের যাবার ঘোষণা আর মাঝখানে তিক্ত বিবাদ সব দেখে শুনে একজন অতিথি সচল হিসেবে মহাদেব সাহা'র কবিতাটিই বার বার ফিরে আসছে-

বিষাদ ছুঁয়েছে আজ মন ভালো নেই...

স্নিগ্ধা এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ - আপনার সাথে আমার যেমন একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি, তেমনি অরূপ বা অন্যান্য মডারেটরদের সাথেও তাই। লেখার কারণে কি ঘটনাসূত্রে আপনাদের কারো সাথে কম, কারো সাথে বেশী কথোপকথন হয়েছে - কিন্তু কখনই অপ্রীতিকর কিছু হয় নি। আপনার সাথে ঘটা আমার বাদানুবাদও কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়ে যায় নি।

সেই ভার্চুয়াল সুসম্পর্কের ভিত্তিতেই অনুরোধ জানাচ্ছি - এই ব্যাপারটা ইতোমধ্যেই অনেক বেশী দূর গড়িয়ে গ্যাছে, এবার চলুন সবাই থামাই এটাকে।

ব্যক্তি হিসেবে আমি তেমন ভালো নই, হাজারো সীমাবদ্ধতা আমার। তারপরও সব আহত অভিমান কি হতাশা নিয়েও এই আমিও কখনও কখনও ইরেজার দিয়ে ঘষে ফেলার মত করে আগের ঘটনা সব মুছে দেই - না, কোন বিরাট মহত্ত্বের কারণে নয়, নিজের মানসিক শান্তির জন্যই। তখন একটা জিনিষ খুব সহজ হয়ে যায়, দোষ আসলে কার ছিলো, বা কার বেশী ছিলো - এই ভাবনার স্ট্রেস থেকে আমি মুক্তি পাই।

এসব বিদায়ী কথা বার্তা চিরবিদায় নিক। আপনার কাছে অনুরোধ রইলো আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটা লেখা দিন আমাদের।

মুক্তমনা আর সচলায়তন ছাড়া আর কোন ব্লগ আমার পড়া হয় না, তাই অন্য কোথাও না দিয়ে সচলেই দিন।

ভালো থাকুন, আমরা সবাই ভালো থাকি, আর এইসব টুকিটাকি নিয়েই নিয়ে নাহয় কাটুক আমাদের এইসন দিনরাত্রি হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এগুলা কী শুরু হল? বুঝতে পারছি না কিছুই। কী থেকে কী হয়ে গেল? ফারুক ভাই, যেয়েন না। ব্যাস।

ক'টা দিন দূরে ছিলাম দেখে কিছুই জানি না। যাক, অন্য কিছু পোস্টে দেখলাম কথাবার্তা চলছে। নিজেরই তো লোক সবাই। নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নিন, প্লিজ। আপনি চলে গেলে আমরা অনেকেই অনেক বেশি বঞ্চিত হব। আমাদের জন্য হলেও কষ্টটুকু স্বীকার করুন।

পলাশ দত্ত এর ছবি

এইসব কী হচ্ছে?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমার আশঙ্কা ছিল এমন কিছু। সে যাক, ফারুক ভাই, আপনে না গেলে খুব ভাল লাগতো। এইটা ছাড়া আর কি কমু...

যাইয়েন না ভাই, যাইয়েননা। দয়া কইরা যাইয়েননা।

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

প্রিয় ফারুক ওয়াসিফ,
আপনি আমার শুভেচ্ছা জানবেন। আপনাকে এখানে এভাবে
লিখতে হবে, ভাবিনি কখনো। তারপরও লিখতে হচ্ছে।
না লিখে উপায় নেই বলে।
আপনি জানেন , আমরা যারা লেখালেখি করি, তারা একটা মৌলিক দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই একদিন পথে নেমেছিলাম। এই পথটা কিন্তু কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। এখনো নয়।
সমাজে সৃজনশীল মানুষের সংখ্যা কোনোকালেই খুববেশী ছিল না, এখনো নয়।
এখানে সবচেয়ে কাঁটাযুক্ত অধ্যায়টি হচ্ছে , মত পার্থক্য। মতের
দ্বান্ধিক পথ একই মহাসড়কে এসে মিলে যাবে এমন কোনো কথাও নেই।

আমি এই ব্লগের একজন নগণ্য ব্লগার। আমি সব বিষয়েই নজর রাখি, যদিও মন্তব্য সব সময় করার শক্তি, সাধ্য ও সাহস আমার নেই- তা স্বীকার করি অকপটে।
আপনাকে বিনীত অনুরোধ করি, আপনি এই ব্লগে থাকবেন।
যা ঘটে গেছে , তা দয়া করে ভুলে যাবেন।
তা নিছক ''মতপার্থক্য'' - ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রিয় ফারুক ,
আপনি প্লিজ এখানে লেখালেখি চালিয়ে যাবেন, তা আবারো
অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ফকির ইলিয়াস ভাইয়ের সাথে একমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
************************************

বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

খেকশিয়াল এর ছবি

ওয়াসিফ ভাই ধুর মিয়া আপ্নেরা কি লাগাইলেন, যাইয়েন না, আমি আপ্নাগো সব পোস্ট পড়সি, শুধুই ভুল বুঝাবুঝি মনে হইসে আমার কাছে আর কিছুই না । একটা জিনিস কেন আপ্নেরা ভুইলা যান আপ্নেরা যদি মুখামুখি বইসা সেই আলোচনাটা করতেন তাইলে কিন্তু এরকম সিচুয়েশন হইত না । ওয়েবে টেক্সট মেসেজিং, চ্যাট এইসব ভার্চুয়াল ব্যাপারগুলিতে আর যাই করা যাক পার্ফেক্টলি আলোচনা করা যায় না, আমি আগেও দেখসি । কারন বাস্তবে কথা বলতে গেলে চেহারায় অনেক কিছু ফুইটা ওঠে, যে জিনিসটা যে যেভাবে বুঝাইতে চায়, কথা কইলে যেম্নে হইত লেখায় তার কিছুই বুঝা যায় না । এইগুলি আপনেরাও জানেন, বুঝেন । সবচে বাজে কথাটা কইসেন আপ্নে নাকি শুন্য, হুরো মিয়া !! আপ্নে ছোট ভাই হইলে ভর্তা বানাইতাম মিয়া আমি আপ্নেরে হিহিহি দেঁতো হাসি
যাইয়েন না ফারুক ভাই, অনেক মিস করুম আমরা সচল ফারুক ওয়াসিফরে, প্লিজ যাইয়েন না ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

ফারুক ভাই, আপনি শেষ পর্যন্ত একজন যোদ্ধা।আপনি এভাবে যেতে পারেন না......


অলমিতি বিস্তারেণ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আজ আমি বিদায় চাইছি। আমি যা বলেছি, করেছি, তার পর আর থাকা যায় না। আগের পোস্টের মাধ্যমেই আমার অভিযোগ-উৎকণ্ঠা ফুরিয়ে দিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করেছি। এবং নিজেকেও বাতিল করে দিয়েছি। এখন আমি শূণ্য।

এরপরে আর থাকা যায় না জাতীয় কোন পরিস্থিতি কি আসলেই হইছে?

শেষের প্যারায় যা কইলেন সেইটা যে ভুল- সেইটা আপনে আপনার তাবৎ বন্ধু মহল (শত্রুমহলসহ) জানে। তারপরেও আপনার ক্লান্তি আসলে বড়জোড় ছুটি নিতারেন অনুর্ধ ৩ দিন। কিন্তু সচল ছাড়ার অবস্থানটা হঠকারী।

আপনার রাজনৈতিক জীবনের সবচাইতে হঠকারী সিদ্ধান্তগুলির একটা।



অজ্ঞাতবাস

ধ্রুব হাসান এর ছবি

বদ্দা এ কি শুরু করলেন? কোথাও যাচ্ছেন না আন্নে, আমগো লগে এইখানেই পৈইছা মরতে হইবো এইখানেই; এই ফকিং সীট সিস্টেমের বলির পাঠা হইয়া! লন একটা আমার অতি প্রিয় গান হুনেন.....................

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এইটা কি দেখি ফারুক ওয়াসিফ? চাইলা যাওয়া কখনোই সমর্থন করি না। কী অসুবিধা। গ্লাসে গ্লাসে ঠোকাঠুকি লাগে না?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আগের পোস্টের মাধ্যমেই আমার অভিযোগ-উৎকণ্ঠা ফুরিয়ে দিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করেছি। এবং নিজেকেও বাতিল করে দিয়েছি। এখন আমি শূণ্য।

পুনশ্চ: আমার ব্লগটা এখানেই থাক, আমার সমাধি হয়ে। মাঝে মাঝে যাতে দেখে যেতে পারি।

এটা কিন্তু ঘোষণা হলো না কবিতা হলো ফারুক

আপনার কথাগুলো জানা থাকল ভবিষ্যতের জন্য
এখন থাকেন
লেখেন

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমার তো মনে হয় না যে আপনার এভাবে চলে যাওয়াটা সচলায়তনের কারো কাছেই আনন্দকর ঠেকছে, এমনকি (ধারণা করি) যাঁদের সঙ্গে আপনার বাদানুবাদ হলো তাঁদের কাছেও না।

পুনর্বিবেচনা করবার অবকাশ কি একেবারেই নেই, ফারুক ভাই?

................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মুশফিকা মুমু এর ছবি

এইসব কি বলছেন ফারুক ভাই মন খারাপ না না আপনি যেতে পারবেন না। আপনাকে যেতে দেয়া হবেনা, আপনি প্লিজ আরেকবার চিন্তা করেন। সচলের সবাই আপনার লেখার ভক্ত আপনি প্লিজ যাবেন না ওঁয়া ওঁয়া
এসব কি শুরু হল মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কনফুসিয়াস এর ছবি

প্রিয় ফারুক ভাই,
ব্যাপারটা এখন এমন যে, কথা বললে কথা বাড়তেই থাকবে। মাঝখানে যখন "ভুল বোঝাবুঝি" এসে দাঁড়ায়, তখন কিন্তু নিজের জায়গায় সবাইই সঠিক থাকে।
তারচেয়ে বরং, সব ভুলে যাওয়া যায় না? আমাদের সবার বক্তব্যের বটমলাইনই হলো সচলায়তনের প্রতি ভালবাসা। যেমন করে আমরা আমাদের বাড়িটাকে ভালবাসি, বা দেশটাকে।
তো যাবতীয় সুর যখন একসাথে বাজে, দুয়েকটা বেসুরো শব্দকে মুছে দিলে কি হয়? অসম্ভবতো নয়, মোছা যায়ই তো।
এইসব তাহলে বাদ দেয়া যাক। ভুলে যাওয়া যাক। আমাদের সব আনন্দ, ব্যথা, ঝগড়া ঝাটি, সব নিয়েই এখানে থাকতে চাই আমরা। চলে যাওয়ার প্রশ্ন তবে কেন?
থেকে যান, প্লিজ। মনের মতন সঙ্গী পাওয়া বেশ দুরূহ, পেয়েও আমরা তা হারাতে চাই না।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

এখানে আসা সোজা, বেরোনো অসম্ভব ।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

অনিন্দিতা এর ছবি

কথায় শুধু কথা বাড়ে।
কি দরকার ভাই এসবের?
ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। কিন্তু এটা কে না মিটিয়ে জিইয়ে রাখা কি কোন কাজের কথা?
আমি একজন অতিথি সচল হলেও আপনাকে বিনীত অনুরোধ করি কোথাও যাবেন না।
সবাই মিলেমিশে থাকি পরস্পরের সুহৃদ হয়ে।
প্লীজ.........

অনিকেত এর ছবি

ফারুক ভাই, আবার যদি যাওয়ার কথা বলেছেন, তবে আমি আর খেকশিয়াল আর আরো যারা ইচ্ছুক---তারা সবাই মিলে এমুন মাইর দিমু---তখন কাইন্দা কুল পাবেন না-- হুহু----

খামাকা আমারে চেতাইয়েন না, কইলাম----

হিমু এর ছবি

ফারুক ভাই,

আমরা তো অনেক কথা বিনিময় করলাম। ভুল বোঝাবুঝির অবসানও তো এর মাধ্যমে ঘটার কথা ছিলো, নাকি?

বুথ সাহেবের বাচ্চার মতো কান্ডকারখানা বন্ধ করেন। ছাগলেরা খুরে খুরে তালি দিয়ে নাচতেসে আমাদের ঝগড়া দেখে।

গালাগালির পালা শেষ, আসেন এইবার গলাগলি করি। মোরা গুপি বাঘা দু'জন ভায়রা ভাই। আপনার তো শালি আছে, আছে না?


হাঁটুপানির জলদস্যু

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হিমু বাংলাদেশে এলে আমার কাছে টাটকা এক প্যাকেট শালি পাওনা রইল

হিমু এর ছবি

না বস, মাপ চাই, প্লাস্টিকের শালি দিয়া আমাদের খুশি করতে পারবেন না, যতোই টাটকা হোক না কেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অনিকেত এর ছবি

এই পোষ্টটার জন্যে ধন্যবাদ ,হিমু

আমি আরো আগেই অবশ্য এই পোষ্ট আশা করছিলাম---যাই হোক better late than never

আর ফারুক ভাই, ঘুম থাইকা ঊঠেন মিয়া---দরকার হইলে হিমু রে দুইটা চড় চাপড় মারার হইলে মাইরা কোলাকুলি করেন জলদি----

আমার আবার লোক জনরে মারতে আলসেমি লাগে---খামাকা আমারে সাধের আলসেমী থাইকা উঠতে দিয়েন না কইলাম-----

সাড়ে নয়- নম্বুরী বিপরদ সঙ্কেত---হু হু----

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় হিমু অসংখ্য ধন্যবাদ ইনিশিয়েটিভ টা নেবার জন্য ।

ফারুক হাসান এর ছবি

ফারুক ভাই,
খুব প্রিয় ব্লগারের কাছে একটি বিনীত প্রার্থনা...দয়া করে অভিমান ভেঙ্গে আবার লিখুন।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু (জার্মনের ১৬-৬০ সব মাইয়া আমার শালী, এলা কন কোনডা লাগব?), ফারাক ভাই এবার আসুন। একটা কোলাকুলি পোষ্ট দেন। আমরা অনেক আশংকার ভেতরে ছিলাম। আমাদের মুক্ত করুন। নাইলে আমিও "খেক শিয়াল" আর অনিকেতের লগে যোগদিমু (আপনের নিজেরই শালি আছে, তাই লোভ দেখানো থেকে বিরত রইলাম)।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রণদীপম বসু এর ছবি

যখন সে বললো- 'যাই তাহলে ?'
সে তো যাওয়া নয়, ফিরে আসা।

এটা যেনো কার উদ্ধৃতি ফারুক ভাই ? এর উত্তরটা আপনার কাছ থেকে পেলেই ভালো লাগবে আমার। আরো ভালো লাগবে, যদি নতুন একটা পোস্ট দিয়ে বলেন ! ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জমা রাখলাম সেই পোস্টের জন্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

হিমু বিদেশে থাকায় অসুবিধা দেখছি
নইলে ফারুক আর হিমুকে ধইরা
মিল মিশ করাইয়া
পার্টি দেয়া যেত
যতদুর মনে আছে
অরুপের বিদেশি মাল পান করানো্র কথা ফারুককে ।

নুরুজ্জামান মানিক
************************************

বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

কীর্তিনাশা এর ছবি

সচল সচল ভাই ভাই (বোনেরাও আছেন)
ভাই-এ ভাই-এ বিবাদ নাই!!

ফারুক ভাই,
খেকশিয়াল ভাই আর অনিকেত ভাই'র সাথে আমিও আছি কইলাম। তাড়াতাড়ি নতুন কিছু পোস্টান নাইলে কিন্তু .............

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।