যিনি লড়েছেন দেশের জন্য, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তাঁকে বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন অনেকে

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: রবি, ২৪/০৫/২০০৯ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুষ্ঠান মঞ্চ

১.
মৃত্যু এখন সবচেয়ে সহজ শব্দ
অসংখ্য মৃত্যু আসে প্রতিদিন খবরের কাগজ বেয়ে
আমরা পাশ কাটিয়ে যাই
কোন মৃত্যুই এখন যেন আর আমাদের টানে না
আমরা অপেক্ষা করি আমাদের স্বজনের মৃত্যুর জন্য
কান্নাটুকু জমিয়ে রাখি আত্মীয়-পরিজনের মৃত্যুর অপেক্ষায়
এই দুঃসহ সময়ে তবু কিছু বোকা তরুণ মুখোমুখি দাঁড়ায় মৃত্যুর
একটি মৃত্যুকে বাধা দেবে বলে শপথ নেয়...

...কেন?
আর কিছুই না, রক্তের ঋণ শোধ করতে।

মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদকে ঘিরে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের এ কথাগুলো যখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে সমবেত মানুষগুলোর সামনে একে একে উচ্চারিত হতে থাকে, তখন প্রতিটি মানুষই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন- যিনি লড়েছেন দেশের জন্য, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আমরা শামিল হয়েছি তাঁকে বাঁচানোর লড়াইয়ে।

মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদের সঙ্গে থাকুন

২.
মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদকে বাঁচাতে ২৩ মে বিকেল পাঁচটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থাপক আনিস মাহমুদ সবাইকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এরপর চট্টগ্রামের কবি ফণীভূষণের সমুদ্রে যাব কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান ‘চ্যানেল আই আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ছন্দে-আনন্দে’ অনুষ্ঠানের চ্যাম্পিয়ন মহিউদ্দিন শামীম। এছাড়া সৈয়দ শামসুল হক অনুদিত বার্টন্ড বেখস্‌ট-এর কবিতা অনুজ প্রজন্মের প্রতি আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম। মহিউদ্দিন শামীমের আবৃত্তির পর এ জে এস এম খালেদকে ঘিরে নির্মিত প্রামাণচিত্রটি প্রদর্শণ করা হয়।

হাসান ইমামের সাথে কথা হচ্ছে এস এম খালেদকে নিয়েই

কোনো কাঠামোবদ্ধতাকে কেন্দ্র করে এই অনুষ্ঠানটি চলে নি। কখনো বক্তব্য, কখনো গান, কখনো আবৃত্তি- সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানটি এগিয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী হেলাল মোর্শেদ তাঁর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার অঙ্গীকার করেন। সঙ্গীতশিল্পী লিলি ইসলাম তাঁর বক্তব্যে সহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এস এম খালেদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম উজ্জীবনীমূলক বক্তব্য দেন এবং এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই যে সবার আগে এগিয়ে আসা উচিত, সেটি উল্লেখ করেন। দৃষ্টিপাতের আসিফ সালেহ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ব্লগ কমিউনিটির মানুষরা যেভাবে এ কাজে এগিয়ে এসেছেন, তা দেখে তিনি প্রবল আশাবাদী হয়েছেন বলে জানান।

প্রকাশিতব্য দৈনিক কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি তাঁর বক্তব্যে অতীতে এ ধরনের কাজে মিডিয়ার সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে বলেন- মিডিয়া মানুষকে দারুণভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই ঢাকা শহরে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। সবাই যদি এক টাকা করেও দেয়, তাহলে অনেক টাকা হয়ে যায়। আমরা এক কোটি টাকাও চাই না। চাই শুধু মাত্র ৭০ লাখ টাকা।

ব্লগার ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, এটা শুধু একজন পিতা, একজন মানুষ বা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচানোর লড়াই নয়, এটা মুক্তিযুদ্ধ নামক একটা প্রতীককে বাঁচানোর লড়াই। এই লড়াইয়ে হারা যাবে না। মৃত্যু যেন মানুষকে নিয়ে খেলতে না পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী লীনা তাপসী, অভিনেতা শঙ্কর সাঁওজাল।

এছাড়া অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে গান গেয়ে শোনান নজরুল সঙ্গীত শিল্পী লীনা তাপসী, অরূপ রাহী ও শামসুল হুদা। আর এরই মাঝে উপস্থিত সবাই মিলে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। শুধু অর্থ নয়; মানুষের প্রতি সহমর্মিতাবোধের যে অন্তর্গত টান থেকে এখানে সবাই এসেছেন, সেই অনুভূতিকে কেন্দ্র করে সবার অংশগ্রহণের প্রতীক এই মোমবাতি প্রজ্বলন।

পুরো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় দর্শকদের অনুরোধে প্রামাণ্যচিত্র মোট তিনবার দেখানো হয়। প্রায় সাড়ে সাত মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রটিতে মুক্তিযোদ্ধা খালেদ নিজের মুখেই বলেছেন এই রোগের কথা, রোগটি কীভাবে প্রকাশ পেল সেই কথা। স্কয়ার হাসপাতালের ডিপার্টমেন্ট অব ডার্মাটোলজির কনসালটেন্ট প্রফেসর সামিউল হক পরামর্শ দিলেন এস এম খালেদকে সিঙ্গাপুর বা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সামসুল হক প্রকৌশলী ও মুক্তিযোদ্ধা এস এম খালেদকে কেন বাঁচিয়ে তুলতে হবে, সেই বিষয়টি তুলে ধরলেন প্রামাণ্যচিত্রে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা খালেদকে সহায়তার জন্য গার্মেন্টস সেক্টরের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে বক্তব্য না রাখলেও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষ থেকে সাহিত্য প্রকাশের জনাব মফিদুল হক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র, তরুণ ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে অনেকেই অঙ্গীকার ফর্মে মুক্তিযোদ্ধা খালেদের জন্য তাঁরা কী কী করতে চান, সে বিষয়টি জানিয়ে গেছেন।

৩.
এই অনুষ্ঠান থেকে আসলে আমরা কী পেলাম? উত্তর হবে- অনেক কিছুই। এতোদিন আমরা নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে, ব্লগে, ইন্টারনেটের অন্যান্য মাধ্যমে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি মুক্তিযোদ্ধা এস এম খালেদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য। কিন্তু এটাই প্রথম কাজ যেখানে ব্লগ ও ব্লগের বাইরের বেশ কিছু মানুষকে একত্র করে আমরা আহ্বান জানিয়েছি; বদলে তাঁরা আমাদের শক্তি দিয়েছেন, সাহস দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচানোর লড়াইয়ের মূল শক্তি যে মানুষের প্রেরণা, সেই প্রেরণা আমরা সবাই সবার কাছ থেকে নিয়েছি। সুতরাং এ অনুষ্ঠান আসলে আমাদের কাজের শুরু। অনুষ্ঠানে এসে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন কীভাবে এই কাজটিকে আরো বেগবান করা যায়, কোথায় কার কাছে যাওয়া যায়। অনেকে আরও সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গেছেন, যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়ে গেছেন। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে অঙ্গীকার করেছেন, উপদেশ দিয়েছেন, কৌশল বলে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, মুক্তিযোদ্ধা খালেদকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে ব্লগারদের পাশাপাশি তাঁরাও যে আছেন, সেই কথাটাই তাঁরা উচ্চারণ করেছেন বিভিন্নভাবে। সুতরাং আজকে যাদের কাছ থেকে এই অঙ্গীকারগুলো পেয়েছি, তাঁদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমেই কাল থেকে শুরু হবে নতুন কাজ। জানি না কতোদূর আমরা যেতে পারবো, কিন্তু আমাদের সবটুকু পথ আমরা যেতে চাই।

৪.
আজকের এই অনুষ্ঠান সফল হওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপস্থিত সবারই। সেজন্য আলাদা করে কাউকে নিছক আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জানানোর নেই; নিজেদের কাজের জন্য নিজেদেরকে ধন্যবাদ জানানোও যায় না। প্রত্যেকে এসেছিলেন তাঁর নিজ কর্তব্যবোধ থেকে। তারপরও যাদের জন্য এই অনুষ্ঠান সাবলীলভাবে এগিয়েছে, তাঁদের নামগুলো অন্তত উল্লেখ করতেই হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন রঞ্জন- যিনি প্রত্যেক শিল্পীকে সঙ্গ দিয়েছেন তবলা বাজিয়ে। প্রথম থেকেই প্রজেক্টর ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন উজ্জ্বল। চমৎকারভাবে শব্দ ব্যবস্থাপনার কাজটি করেছেন সমীর সাউন্ড সার্ভিসের বন্ধুরা। আর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ করে জাদুঘরের রফিক ভাই, আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম সেই সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই বিভিন্নভাবে সাহায্য করছেন। এ অনুষ্ঠানের জন্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কোনোপ্রকার ভাড়া বা চার্জ নেন নি। সবার এই আন্তরিক সহায়তায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে সফলভাবে।

৫.
হেরে যাওয়ার জন্য মানুষের জন্ম হয় নি, সুতরাং একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে আমরা জিতবোই।

×××
পুরোপুরি স্মৃতি থেকে লেখাটি লিখেছি। এতে যদি ভুলক্রমে কারও নাম বাদ পড়ে বা তথ্যগত ত্রুটি থাকে, সেটি জানালে সংশোধন করে নেওয়া হবে।

পোস্টার ছাড়া বাকি ছবিগুলো নিয়েছি রণদীপম বসুর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।


মন্তব্য

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এ লড়াইয়ে জিততে হবে।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

গৌতম এর ছবি

ঠিক টুটুল ভাই, এ লড়াইয়ে জিততেই হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

[ নজরুল ভাই আর তারেকের সাথে কথার প্রেক্ষিতে আমি একদিক থেকে একটা টুকরো দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছিলাম, প্রোগ্রাম আপডেট পোস্ট-এর। বসতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লিখতে লিখতে উঁকিও দিচ্ছিলাম এদিকে- অন্য কেউ পোস্ট দিলো কি না। তো, ফাইনালি একদম শেষ করেই যখন আরো একবার শেষবারের মতে দেখতে এলাম, তখনই দেখলাম এই মাত্রই পড়েছে গৌতমদা'র পোস্টটি। তাই, আমার লেখাটা আমি এই পোস্ট-এই কমেন্ট হিসেবে দিয়ে দিচ্ছি। গৌতমদা' কিছু মনে করবেন না আশা করি। হাসি ]

মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদ-কে বাঁচাতে হবে: প্রোগ্রাম আপডেট

যতোক্ষণ পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটা মানুষও কোনো একটা কারণের জন্য তাদের বিশ্বাস অটুট রেখে একাট্টা থাকে, সেটার কেবল একটাই ফল হতে পারে, এবং সেটা হচ্ছে বিজয়। - মহাত্না গান্ধি।

বয়সে তরুণরা সহজে অনেক বড় আশা করে, আবার সহজে হতাশও হয়। তাদের মধ্যে এক প্রকার তরুণ আবার আশা করে, অন্য প্রকারেরা আর আশা করেই না, দমে যায় আবার হতাশ হওয়ার ভয়ে। আর যাদের বয়স একটু বেশি, তারা আশাই করে না তেমন একটা। তাদের মধ্যে আবার একটা প্রকার আছে যারা যদি একবার আশা করে ফ্যালে, তবে অবশ্য সহজে ছাড়ে না সেটা, তরুণের চেয়েও তরুণ হয়ে গিয়ে ছাই মেখে ধরে রাখে সেই আশার পিঠ, কানকো আর প্রতিটা আঁশ। আর, আমার মতো যারা ওই দুইয়েরও মাঝামাঝি, যারা দেখতে তো নয়ই শরীরেও ততো বুড়ো না হয়েও শক্তিতে তরুণও নয়, তারা আবার হালের পালে এই রোদ এই বৃষ্টি আবহাওয়ার মতো কান্না-হাসি আর সম্ভব-না-সম্ভাবনার দোলাচলে চলতে থাকে- এই ভাবে হবে না কিস্সু, আবার এই উজিয়ে ওঠে- কেন হবে না!

তো, আনাড়ি-ঠাঠারি মিলিয়েও ওই সব প্রকারের সব বয়সের কিছু মানুষ যখন এক হয়ে কিছু একটাতে লাগে, সেখানে কিছু না কিছু একটা না হয়ে যায় না! হবেই কিছু একটা। এই চেতনেই “জাগো বাহে” হাঁক দিয়ে এক হওয়া, এই সাহসেই সত্যি সত্যিই করে ফ্যালা একটা কিছু। শেষ করা নয়, শুরু কেবল। যদিও এরই মধ্যে কর্মগুণে শ্রদ্ধেয় অনেক কমরেড তাদের নাওয়া-খাওয়া কাজ-বাজ বিপন্ন করেই এপর্যন্ত নিয়ে এসেছেন ব্যাপারটাকে, তবু আমরা সবাই জানি- আজকে যেটা হলো, সেটা সত্যিকার অর্থে শুরু হলো। মানে, যেটুকু করা হয়েছে তারচে'এখনও আরো যেটুকু করতে হবে সেদিকেই অর্জুনের তীরদৃষ্টি সবার।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আজ বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা এ জে এস এম খালেদের জীবনের জন্য যুদ্ধ ঘোষণার ওই সভাটি আজ অনুষ্ঠিত হয়ে গ্যালো। সফলভাবেই প্রথম জোয়ারটি ঘটিয়ে গ্যালো সূত্রধরের ভাষায় “কাঠামোহীন” অনাড়ম্বর আয়োজনটি। না, অনুষ্ঠান প্রতিবেদনের নিটি-গ্রিটি-তে আটকাতে চাই না আমি। যে পরিমাণে যে ওজনের অতিথিদের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণ আশা করা হয়েছিল, ততোটা পাওয়া যায়নি হয়তো। তবু কিছু তো হলো! কেউ তো এলেন! সৈয়দ হাসান ইমাম নিজে হতাশ কিন্তু ক্ষিপ্ত থেকেও তাঁর কথার জাদুতে পোকিং ব্লোয়ার মুখে যেন জোরে জোরে ফু-ইঁ দিয়ে গ্যাছেন “ইচ্ছের-আগুনে-জ্বলা” প্রতিটি অন্তরে। দশ-বছর বয়সে প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে প্রিয় স্বজন হারানো গোলাম মোর্শেদ, 'দৃষ্টিপাত'র আসিফ সালেহ, শংকর শাওজাল প্রমুখ আবেগের সাথে সাথে ডাকও দিয়েছেন, শক্তিও যুগিয়ে গ্যাছেন। রবীন্দ্রশিল্পী লিলি ইসলাম আর নজরুলশিল্পী লীনা তাপসী গানের সাথে আরো শুনিয়ে গ্যাছেন সহকর্মী হিসেবে কাছে থেকে দেখা আগাপাশতলা বীর মানুষ এস এম খালেদের বিশিষ্টতা আর বলিষ্ঠতার বিভিন্ন দিক। খালেদ চাচা'র যুদ্ধ আর কর্ম নিয়ে আর আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে বেশ স্পর্শী একটা তথ্যচিত্র নির্মাণ হয়েছে, যা বেশ কয়েকবার প্রদর্শিত হয়েছে এই মঞ্চে, যেন সবাই দেখতে পান। আরো আরো গান-আবৃত্তি-বক্তব্যের মধ্যে মধ্যেও সবাই ঘুরেফিরে একটিই মাত্র সোজাসাপ্টা জোরালো কথার মধ্য দিয়ে গ্যাছেন বারবার- এস এম খালেদকে বাঁচাতে হবে। উপস্থিতি আশার সমান না হয়ে থাকলেও, যারা এসেছিলেন তারা তাদের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি অন্য দুয়েকজন করেও কাউকে যদি জানান, আরো কিছু তো কাজ হলো। আর, অন্য যা যা পরিকল্পনা হয়েছে পরবর্তী সব ঝাঁপের জন্য, সেগুলোর রেজল্যুশনের মলাটেও এই শুরুটা এভাবেই অনেক কাজের হয়েছে। সচল বা ব্লগার ছাড়াও সেলিব্রিটি বা পারফর্মারের বাইরেও আরো উপস্থিত ছিলেন কিছু কিছু মুখ, যাদের মধ্যেও কিছু একটা করার ইচ্ছে শরণ নিচ্ছে নিশ্চয়। আমি ইচ্ছে করেই জড়িত এবং উত্সর্গিত কোনো সচলের নাম নির্দিষ্ট করে নিলাম না, তাতে কেউ অপরাধ নেবেন না আশা করি।

যা যা আরো করার কথা ছিল, সেগুলো তো এখন চালিয়ে যেতেই হবে। যারা ভীষণ কর্মোদ্দীপনায় তাদের সময় আর শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এই উদ্যোগে, তারা থামবেন না। এখনও অনেকেই পাশ কাটিয়ে আছেন আশেপাশে, শ্রেফ সময়ের অভাবেও হতে পারে। মনোযোগের অভাব এখনও থেকে থাকলে বলছি, এই তো মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টাও তো চলছেই, দেখা যাক সেই মনেদের যোগ কখন মেলে। সবখানে সবাইকে এটাই বলবো- আসুন, এখানে সবাই যে একইরকম কাজ করছে তা নয়, বুদ্ধি-পরামর্শ-সময়-শ্রম-অর্থ-যোগাযোগ এরকম আরো আরো বিচিত্র সব অস্ত্র নিয়ে চলছে যেই যুদ্ধ, সেখানে আপনিও যোগ দিন আপনার হাতে থাকা যেকোনো হাতিয়ারটি নিয়ে। আসুন আমরা আশপাশে সোচ্চার হই, যাকে বলা যায় তাকে বলি, আমাদের ইচ্ছাশক্তিগুলোকে কাজে পৌঁছাই, সবগুলো ন্যূনতম সম্ভাবনাকে একটু নাড়িয়ে দেখি- কোথায় জুটে যায় কী অমূল্য!

[আমার জানামতে পরবর্তী বৈঠকের দিন-তারিখ আজ ঠিক হয়নি (পরের কাজগুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যদি এর মধ্যেও কোনো একসাথে-বসার দরকার হয় আর কি)। তো, আমার অনুরোধ থাকবে, এই থ্রেডটিকে উপযুক্ত মনে করলে এখানে উত্থাপন করেও সেই সময়টা ঠিক হতে পারে মনে হয়।]

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

আরে না না সাইফুল ভাই, মনে করার কী আছে? বরং আপনি আপডেট লিখবেন জানলে আমি লিখতাম না। জাদুঘর থেকে আসার সময়ও কথা বলছিলাম একটা আপডেট দেওয়া দরকার। কে লিখবেন সেটা তখন কেউ বলেন নি। ফলে রাত ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর নিজেই লিখতে বসে গেলাম। আপনার লেখাটাও জরুরি, দরকার ছিলো এখানে।

বিশেষ আপনার শেষ পয়েন্টটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খুব তাড়াতাড়ি আবার বসা দরকার কীভাবে বাকি কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নজরুল ভাই, টুটুল ভাই, তারেক, সবজান্তা, এনকিদুসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি
ব্যাপার না।
আমার আলাপও ওইখানেই হৈছিল, তবে সবার মধ্যে একসাথে হয় নাই আরকি।
হ্যাঁ, আমার একটু বসতে দেরি হৈছিল বেশিই, একটু ব্যক্তিগত ক্যাচালে ছিলাম বলেই।
যাক, ঠিকাছে গৌতমদা'।
ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, এগিয়ে যেতে থাকতে হবে এখান থেকে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো লাগলো জেনে যে প্রচারণা ভালোই হয়েছে। এখন দরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা। আপডেট করবেন।

গৌতম এর ছবি

অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই কোনো না কোনোভাবে সাহায্য করবেন বলেছেন। নিজেরা সাহায্য করার পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগিতাও করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের কথায় আমরা আশাবাদী।

আর হ্যাঁ, নিয়মিত আপডেট জানানোর চেষ্টা করবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অবশ্যই জিততে হবে।
আর কোনো অপশনই তো নাই।
চলুক
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

ঠিক, সাইফুল ভাই। এই অনুষ্ঠানকে ধরে এখন এগিয়ে যেতে হবে, খুব তাড়াতাড়ি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিকেত এর ছবি

খুব ভাল লাগল শুনে--
সঙ্গে আছি, সাথেই আছি----

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, অনিকেত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রণদীপম বসু এর ছবি

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো মুক্তিযোদ্ধা এস এম খালেদের কনিষ্ঠ দুই সন্তান, স্বপ্ন আর বিষণ্নতা কতো পাশাপাশি মিশে আছে কৈশোরের চোখে...!

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

গৌতম এর ছবি

আমি ওদের সামনে যাই নি। যেতে পারি নি। গিয়ে কী বলবো? তাই দূরে দূরে ছিলাম। আশা করি এই অনুষ্ঠান থেকে ওরা সাহস পেয়েছে, দেখে গেছে, ওদের সাথে আছে অনেকেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুম।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রণদীপম বসু এর ছবি

গৌতম, সঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম না, নাম লীনা তাপসী হবে।

auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

গৌতম এর ছবি

রণদা, লিলি ইসলামও সঙ্গীত শিল্পী। যদিও তিনি গান করেন নি। তবে লীনা তাপসী অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তানবীরা এর ছবি

হেরে যাওয়ার জন্য মানুষের জন্ম হয় নি, সুতরাং একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে আমরা জিতবোই।

জিতবোই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

গৌতম এর ছবি

এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। এর তো কোনো বিকল্প নেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এটা সবে শুরু।
অনুষ্ঠান অনেক ভালো হয়েছে।
আরো অনেক কাজ সামনেই।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

গৌতম এর ছবি

সেটাই, মৃদুলদা। এখন বাকি কাজ নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বসা দরকার। সেটার একটা প্ল্যান করেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মুজিব মেহদী এর ছবি

লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। পারবও আমরা।
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

গৌতম এর ছবি

হ্যাঁ, এই আত্মবিশ্বাসটাই বড় পাওয়া। ধন্যবাদ মুজিব ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌খুব ভালো কাজ হয়েছে। জিততে হবেই।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

গৌতম এর ছবি

সেটাই। জিততে হবেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শামিল হয়েছিলাম, সামনে দিনেও থাকবো।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, পার্থ। সবাই শামিল হলে কাজ আরও দ্রুত হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দ্রোহী এর ছবি

যোদ্ধাদের প্রতি শুভকামনা রইলো। এ যুদ্ধে যে জিততেই হবে।

গৌতম এর ছবি

সবাই মিলে চেষ্টা করলে এ যুদ্ধে অবশ্যই আমরা জিতবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

জয় হোক!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

গৌতম এর ছবি

জয় হোক।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

সাথে আছি শেষ পর্যন্ত।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনাকে অবশ্য সবসময়ই পাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

কীর্তিনাশা এর ছবি

অফিসের কাজের ঝামেলায় ছিলাম বলে অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি বলে খারাপ লাগছে এখনো।

তবে যে কোন উদ্যোগের সঙ্গে আছি, থাকবো।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

গৌতম এর ছবি

খারাপ লাগার কিছু নেই। সবসময় তো আর প্রত্যক্ষভাবে থাকা যায় না। কিন্তু আপনি যে আছেন, সেটা আমরা সবাই জানি।

অনুষ্ঠান তো হলো, এখন ঠিক কী করা হবে, কী পরিকল্পনা- সেটা নিয়ে কেউ একটা পোস্ট বা আপডেট দিবেন? বিশেষ করে নজরুল ভাই, তারেক, টুটুল ভাই, লীলেন ভাই, কেউ কিছু জানান যে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।