রাঙ্গামাটি ভ্রমণ: বিগল বিচি, কচি বাঁশ বা ক্যাবাং-এর রাত

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/১০/২০০৯ - ১১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২১.
রাঙ্গামাটির সাজেকে ভয়াবহ ইঁদুর বন্যার কথা নিশ্চয়ই খেয়াল আছে- মাত্র মাস কয়েক আগের কথা। পালে পাল ইঁদুর এসে সাজেক এলাকার সব বাঁশের ফুল খেয়ে ফেলেছিলো। এই ফুল খেলে ইঁদুরের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাহাড়ি মানুষরা মনে করেন। আর এরকম ঘটনা নাকি ২৫-৩০ বছরে একবার দেখা যায়।

বনরূপা বাজারে গিয়ে ছোট ছোট কচি বাঁশ দেখে ওই ঘটনার কথা মনে পড়লো। অসীম দাকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম, ওই কারণেই এ বছর কচি বাঁশ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি যে বাঁশের গুচ্ছ একসময় মাত্র দশ টাকা করে বিক্রি হতো, এ বছর সেগুলোর দাম আশি টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কথায় কথায় আরও অনেক কিছু জানা হলো- কীভাবে কচি বাঁশ রান্না করতে হয়, স্বাদ কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি। সুবলং থেকে ফেরার পর হোটেলে মাত্র ঢুকেছি, এমন সময় অসীম দা জানালেন, রাতে তার বাসায় খেতে হবে। তার বাবা ইতোমধ্যে কচি বাঁশসহ আরো কী কী যেন যোগাড় করেছেন এবং মা রান্না করতে বসেছেন। খাঁটি আদিবাসি কায়দায় রান্না করা হবে- বলেও অভয় দিলেন তিনি।

আমরা তো হতভম্ব! বলে কি! কখন এই ব্যবস্থা করলেন? আসলে আমরা যখন এসব বিষয় নিয়ে অসীম দার সাথে কথা বলছিলাম, তখনই আমাদের আগ্রহ দেখে তিনি মোবাইল ফোনে বাসায় আমাদের খাওয়ার কথা জানিয়ে দেন- আমাদের না জানিয়েই। তথ্যপ্রযুক্তির কী যে সুফল! আমরা অসীম আনন্দে রাজি হলাম! রাঙ্গামাটি শহরে এসেছি, আর কোনো আদিবাসি খাবার মুখে যাবে না- তা কি হয়?

২২.
রাতে সেজেগুজে অসীম দার বাড়ি গেলাম- একটু দেরি করেই। এর মধ্যে যে পর্যাপ্ত পরিমাণে দোচুয়ানি খেয়েছি, সেটার কথা কি বলব? না, থাক। সবকিছু বলা ভালো না। তবে বাঁচোয়া যে মুখে তেমন গন্ধ নেই এবং অসীম দা জানালেন, এটা কোনো সমস্যা না। এলাকার সবাই দোচুয়ানি খায়, তাই মুখে গন্ধ থাকলেও তার পরিবারের কেউ কিছু মনে করবেন না। এমনকি অসীম দাও বাড়িতে থাকলে প্রায় প্রতিদিন খেয়ে যান।

অসীম দার বাবা একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। ভদ্রলোক বেশ আলাপী এবং মিশুক প্রকৃতির। পনের মিনিটের মধ্যেই নানা বিষয়ে আলাপ জমে উঠলো। তিনিও ঘুরতে বেশ পছন্দ করেন; যদিও নানা কারণে খুব একটা ঘুরতে পারেন নি। তবে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ির নানা দুর্গম এলাকায় গিয়েছেন। নানা ধরনের হুমকির মধ্যেও কয়েক ঘণ্টা হেঁটে পাহাড়ে গিয়ে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব করতে গিয়ে কোথায় কোথায় কী সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন, সেগুলোও বর্ণনা করলেন। মোটামুটি রোমহর্ষক ব্যাপার। তবে কাছের কক্সবাজারেও যাওয়া হয় নি কখনো। রিটায়ারমেন্টে যাবেন কিছুদিন পরই, তারপর পরিবারের সবাইকে নিয়ে কক্সবাজারে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর।

এর মধ্যেই টেবিলে খাবার সাজানো শুরু হয়েছে। রাত হয়ে গেছে বলে কথা না বাড়িয়ে আমরা খেতে বসলাম। অনেকগুলো আইটেম, কিন্তু আমরা কেবল অপরিচিত আইটেমগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখালাম। শুরু করতে হয় নাকি বিগল বিচি দিয়ে- অসীম দা জানালেন।

বিগল বিচি দেখতে ছোট ছোট দানার মতো- হালকা তেলে ভাজা হয়েছে। এমনিতে এর কোনো স্বাদ নেই। এটি মূলত খেতে হয় শুটকি মাছ ও কাঁচামরিচের ভর্তার সাথে। তখনই আসল স্বাদ পাওয়া যায়। অসীম দার মা প্রচণ্ড ঝাল ভর্তা বানিয়েছেন- জানালেন এটি ঝালই খেতে হয়, না হলে পরের আইটেমটির স্বাদ ভালো পাওয়া যাবে না।

বিগল বিচির তরকারি
বিগল বিচির তরকারি, খেতে হয় ঝাল-শুটকির সাথে

পরের আইটেমটিই আসলে আমাদের আরাধ্য আইটেম। কচি বাঁশের তরকারি। এটি দু'ভাবে রান্না করা হয়েছে- একভাগে পুঁইশাকের সাথে সিদ্ধ করে তরকারি, আর আরেকভাগে ভাজি। দুটির স্বাদই অপূর্ব! কিংবা জীবনে প্রথম খাচ্ছি বলে আমাদের কাছে অপূর্ব লাগছে। যাই হোক, বেশ উপভোগ করেই খেলাম আমরা। পুঁই শাক খাওয়ার ঝামেলায় না গিয়ে একটা একটা করে বাঁশ ধরছি আর কচকচ করে খাচ্ছি। কচি বাঁশ খেতে খুবই নরম- মুখে দেওয়া মাত্র গলে যাচ্ছে। আসলে এগুলোর স্বাদ বলে বুঝানো যাবে না! বুঝতে হলে খেতে হবে!

কচি বাঁশের তরকারি
কচি বাঁশের তরকারি- পুঁই শাকের সাথে

কচি বাঁশের ভাজি
আর কচি বাঁশের ভাজি

এর পরের আইটেমটি ক্যাবাং। এখানেও বাঁশের কারবার। তবে এই বাঁশ খাওয়ার না। শক্তসামর্থ বাঁশের খোলের ভেতর কাঁচকি মাছ ভরে সেখানে তেল-মশলা দিয়ে বাঁশটিকে পোড়ানো বা ঝলসানো হয়েছে। এই পদ্ধতিতে আদিবাসিরা শূকরের মাংস রান্না করলেও আমাদের জন্য কাঁচকি মাছ রান্না করেছেন অসীম দার মা- শূকরের মাংস খাই কিনা এই সন্দেহে। তবে এটিও খেতে দারুণ হয়েছে। হাজার হলেও নতুন স্বাদ! বাঁশ যে শুধু দেওয়ার জিনিস না, এ দিয়ে আরও অনেক কিছু করা যায়- সেটি ভালোভাবে বুঝা গেলো।

ক্যাবাং- বাঁশের ভিতরে রান্না করা কাঁচকি মাছ
ক্যাবাং- বাঁশের ভিতরে রান্না করা কাঁচকি মাছ

আরও অনেক পদের রান্না ছিলো। মুরগির মাংস, মাছের তরকারি ইত্যাদি ইত্যাদি। খাওয়ার আগে অসীম দার বাবা বলছিলেন- খেয়ে যেন পেদা টিং টিং বলতে পারি। আমরা এতোই খেলাম যে, পেদা টিং টিং বলার মতো সামর্থ্যও নাই।

২৩.
রাত ১২টায় হোটেলে ফিরে আবারও একটু বেরুলাম। ব্যক্তিগত কারণে একটু অস্থির লাগছিলো। ভাবলাম একটু ঘুরে আসি। রাঙ্গামাটির দিন আমাদের যথেষ্ট আপ্যায়ন করেছে- রাতগুলো কি এই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করবে? শহরের উঁচুনিচু পথে আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে নানা কিছু ভাবছিলাম- কেন যে এসব ভাবনা আসে- ভাবছিলাম, এই যে এতোগুলো টাকা খরচ করে আসলাম, এ দিয়ে গ্রামের একটা পরিবারের গোটা মাসের খরচ চলে যায়! আর আমরা কিনা ফুর্তি করতে করতে টাকাগুলো উড়িয়ে দিচ্ছি। এটাই বোধহয় সভ্যতা, নগরায়ন কিংবা উন্নতির ফসল।

ঠিক তক্ষুণি মুসলধারে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো- প্রকৃতির কান্না, নাকি গরীবের কান্না বুঝতে পারলাম না। এগুলো হয়তো আদৌ কোনো কান্না না, কান্না ভেবে আমরা সুখ পাই।

লেখার সাথে এই ছবিগুলো ফ্রি
কী ফুল জানি না, পছন্দ হলো তাই তুলে ফেললাম
কী ফুল জানি না, পছন্দ হলো তাই তুলে ফেললাম

একই ছবি, এটি এডিট করা
একই ছবি, এটি এডিট করা- দুটির মধ্যে কোনটি ভালো লাগছে জানাবেন কি?

(আগামীপর্বে শেষ)


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ডাবল পোস্ট হইলো কেমনে?

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

গৌতম এর ছবি

সেইটা তো বুঝলাম না মুস্তাফিজ ভাই। যাই হোক, একটা পোস্ট মডারেটররা নীড়পাতা থেকে সরিয়েছেন, পরে আমি সেটা মুছে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

চউখে চমক আর জিব্রায় পানি..............

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

গৌতম এর ছবি

পোস্ট তাইলে স্বার্থক! আমি আনন্দিত। দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

এনকিদু এর ছবি

এডিট করা ছবিটা আমার বেশি ভাল লাগেনি । উপরের সবুজ ছবিটাই বেশি ভাল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

গৌতম এর ছবি

আমারও উপরেরটাই বেশি ভালো লেগেছে। কিন্তু ছবির পোস্টপ্রসেসিং করলে নাকি অনেক সময় বেশ ভালো দেখা যায়। তাই ফটোশপ থেকে কালার, লেবেল ও কনট্রাস্ট অটো করে দিয়েছি। তাতে অবশ্য ছবির মূল কালার পুরোটাই বদলে গেছে। মনে হচ্ছে, দ্বিতীয় ছবিটা তোলা হয়েছে রোদ আর ছায়ার মাঝে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

"ঠিক তক্ষুণি মুসলধারে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দিয়ে গেলো- প্রকৃতির কান্না, নাকি গরীবের কান্না বুঝতে পারলাম না। এগুলো হয়তো আদৌ কোনো কান্না না, কান্না ভেবে আমরা সুখ পাই" - ওস্তাদের মাইরটা শেষ রাইতে দিয়া দিলেন। দুর্দান্ত!!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

হা হা হা। ধন্যবাদ পাণ্ডব দা। গরীবের হয় ঘোড়া রোগ আর মধ্যবিত্তের ছিঁচকাঁদুনে রোগ। ফলে পানি দেখলেই অশ্রুর কথা মনে পড়ে! হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি

গৌতম ভাই, আপনার এই পোস্ট পড়ে খিদা লাইগা গেল তো। কবে যে আবার রাঙ্গামাটি যামু....
আমার কাছে দুটো ছবির দু রকম মজা লেগেছে। যেটা প্রসেস করেন নি, সেইটাতে সবুজ দারুন লাগছে। আবার প্রসেসিং করায় কালার অন্যরকম, এবং কনট্রাস্ট বেড়ে গিয়ে হলুদ কালারকে ফুটিয়ে আলাদা একটা ভাব এনেছে। তবে এখানে সবুজটাই ভালো। আর আমার মনে হয়, ফটোশপে অটোতে না দিয়ে ম্যানুয়ালি করা ভালো। তাহলে নিয়ন্ত্রন টা বেশি থাকছে।

আপনার রাঙ্গামাটির লেখাগুলো বেশ লাগছে। হাসি

----------------------------------------------------------------------------

ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ নির্জন স্বাক্ষর ভাই- আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য। ক্ষিধা লাগলে চলেন আবার ঘুরে আসি। হাসি

ফটোশপ আমি খুব একটা পারি না- অটো-তে করলাম জাস্ট দেখার জন্য যে, দুটোর ছবির মধ্যে পার্থক্যটা কী হয়? এ তো দেখি ভয়াবহ পার্থক্য! আমি নিজেই চমকে গেছি! আপনাদের কাছে হয়তো এগুলো দুধভাত- কিন্তু আমার এটা করে কিন্তু বেশ মজাই লেগেছে। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মূল আর এডিট করা একই ছবি'র মধ্যে মূলটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো।
বাঁশের তরকারি আমি খাইছি! দেঁতো হাসি জট্টিলেশ্বর মাল এইগুলান!

আজকে খালি ছবি দেইখ্যা গেলাম গৌতমদা'। আমার বাজে ব্যস্ততার মধ্যে আপ্নে য্যাম্নে বড় বড় বোম্ মারতাছেন উপর্যুপরি, আমি তাল রাখতে পারতেছি না। পরে আবার একবারে কোনো সময় আপ্নের রাঙামাটিসমগ্র পইড়া লমু আমি, পরমিজ খাইতেছি। হাসি
ভালো থাকেন।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

আসলেই পুরা জটিলেশ্বর হাসি

তবে আপনার পরের মন্তব্য দেইখ্যা টাশকি খাইলাম। এইগুলারে আমি লেখা কন? তাইলে ক্যাম্নে কী? রাবিশ শব্দগুচ্ছ আর বাক্যগুচ্ছরে লেখা কইলে তো মহামুশকিল!

তবে কথা অনুযায়ী পরে যদি আপনি রাঙ্গামাটিসমগ্র না পড়েন, তাইলে কিন্তু জরিমানাস্বরূপ চা খাওয়াইতে হইবে, আর যদি পড়েন, তাইলে জরিমানাস্বরূপ আমি আপনার দ্বারা চা পানে আপ্যায়িত হইবো। কেমন? দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এই টিরিক্স মারনের দরহার আছিন্ন্যা গো দাদা।
অত কাছে থাহুইন আম্নে হারাদিন, একটা মুবাইল কইরা আয়র্লেইত্ত অয়, চা কাওয়াইতাম্না কইছি কিনুদিন?! চোখ টিপি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

টিরিক্স নারে ভাই, অ্যাম্বেই কইলাম আর কি চোখ টিপি
খামুনে একদিন... হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তুলিরেখা এর ছবি

ইশ, এ লেখা দেখে আর পড়ে খিদা পায়। কচি বাঁশের কেমন সুন্দর তরকারি!
আপনেরে শেষে ওরা বাঁশ দিলো? চিন্তিত
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

গৌতম এর ছবি

আমি লেখি কী আর তুলি আফায় পড়েন কী! আমি কই অণোরণীয়ানের কথা, উনি পড়েন মহতোমহীয়ানের কথা! ক্যাম্নে কী? চিন্তিত

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কেন যেন এই লেখাটার কথা আমার হঠাৎ হঠাৎ মনে পড়ে। হয়তো কখনো না খাওয়া বিগল বিচি, ক্যাবাং আর কচি বাঁশের ভাজির জন্য। হয়তো চু'র জন্য। হয়তো রাঙামাটির জন্য। হয়তো অন্য কিছুর জন্য।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।