দেশের শিক্ষার মান কি আসলেই বাড়ছে?

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ ধরনের প্রশ্ন উঠছে। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে-- সত্যিই কি সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মেধা কিংবা লেখাপড়ার মান বৃদ্ধির ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে? থাকলে সেটা অবশ্যই ভালো; কিন্তু খোদ রাজধানীর অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ যখন এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বা আশ্চার্যান্বিত হন, তখন এ আলোচনা নতুন মাত্রা পায়।

শিক্ষার্থীদের মেধা বা শিক্ষার মান বৃদ্ধি-সম্পর্কিত আলোচনায় একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো, জাতীয়ভাবে শিক্ষার মানের গ্রহণযোগ্য কোনো সংজ্ঞা বা সূচক নেই। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা যেহেতু প্রান্তিক যোগ্যতা-নির্ভর, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত প্রান্তিক যোগ্যতাগুলো অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার মান নিয়ে কিছু কথাবার্তা বলা যায় (যদিও দেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নব্যবস্থা প্রান্তিক যোগ্যতাভিত্তিক নয়)। অপরদিকে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নির্ধারিত কিছু শিখনফল ছাড়া সেরকম কোনো প্রান্তিক যোগ্যতাও নেই, যাকে ভিত্তি ধরে মোটামুটি আন্দাজ করা যাবে এই স্তরের শিক্ষার অবস্থা কীরূপ। ফলে শিক্ষার মান বা শিক্ষার্থীদের মেধা বাড়ার বিষয়টি কীভাবে আলোচিত হবে, সে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় সবাইকে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ ৫ অর্জন করা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা প্রকাশের সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত। সে হিসেবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার মান বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দেয়; কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি সেই সাক্ষ্য দেয়?

যে অধ্যক্ষ জিপিএ ৫-পাওয়া শিক্ষার্থী বাড়লেও শিক্ষার্থীদের মেধা বাড়ছে না বলে আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন, তিনি সম্ভবত এই বাস্তব অবস্থাকে ভিত্তি ধরেই তাঁর বিস্ময়টুকু প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এক লেখায় জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের ইংরেজির অবস্থা করুণ। তাছাড়া যে সমস্ত শিক্ষার্থী এসএসসিতে জিপিএ ৫ পায়, যথাযথ মেধা থাকলে তাদের একটি বড় অংশেরই এইচএসসিতে একই ধরনের ফলাফল করার কথা। এটা ঠিক, এসএসসির পর অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে, অনেকে নানা কারণে পরবর্তী স্তরের পড়ালেখায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না বা নানা বাধা আসে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই বলা যায়, এই শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এইচএসসিতে গিয়ে তুলনামূলকভাবে খারাপ ফল করে। এসএসসি পরীক্ষার ফল যদি সত্যিকার অর্থেই শিক্ষার মানের নির্দেশক হতো, তাহলে এইচএসসির ফলাফলেও সেই প্রতিফলন দেখা যেত।

অন্যদিকে রাজধানীরই আরেক সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মনে করেন, শিক্ষার্থীদের মেধা আসলেই বাড়ছে। তিনি মনে করেন, আগে যেভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো, তার চেয়ে বর্তমান মূল্যায়ন পদ্ধতি অনেকটাই ব্যতিক্রম; যে কারণে আগের চেয়ে এখন জিপিএ ৫-পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ের মান বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে এনেছেন।

এটা ঠিক, প্রতিনিয়ত নানা উপাদান আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছে। শিক্ষাবিষয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, পাঠদানপদ্ধতির নতুন নতুন দিক সম্পর্কে শিক্ষকরা অবহিত হচ্ছেন, মূল্যায়নপদ্ধতি সম্পর্কে চিরায়ত ধারণাগুলোও বদলে যাচ্ছে। আগে গণিত বা বিজ্ঞানের মতো কিছু বিষয় ছাড়া অন্যগুলোতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নম্বর দিতে চাইতেন না; ফলে বাংলা বা সমাজবিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোতে ৮০ শতাংশের ওপর নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী পাওয়া যেত কালেভদ্রে। এখনকার শিক্ষকদের অনেকেই সেই সনাতনী ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেচেন। তাঁরা মোটামুটি সব বিষয়কে একইভাবে দেখার চেষ্টা করছেন এবং এর প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার ফলাফলে। শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে না-- তা নির্ধারণ করার চেয়ে তারা কতটুকু জানে, উত্তরপত্র মূল্যায়নে এই মনোভাবই শিক্ষকদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হয়, যদিও এটা সারাদেশের সাধারণ চিত্র নয়।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের এই বিপুল সাফল্যকে ভিত্তি ধরেও যদি শিক্ষার মানের ব্যাপারে মানুষের মনে সংশয় রয়ে যায়, তাহলে প্রকৃতপক্ষে পুরো মূল্যায়ন ব্যবস্থাটিই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। এক্ষেত্রে খুব গভীরভাবে চিন্তাভাবনা না করেও বলা যায়, আমাদের দেশে শিক্ষার্থীরা এখনও যথাযথভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে না। শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার নতুন নতুন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন, কিন্তু সে অনুপাতে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে তা নিয়ে শিক্ষকদের দক্ষতাবৃদ্ধির বিষয়টি তুলনামূলকভাবে উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা সহজ কোনো বিষয় নয়; বরং অনেকক্ষেত্রে পাঠদানের চেয়েও কঠিন। একে তো শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা নিয়ে দেশের শিক্ষাসেক্টরে তাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক গাইডলাইনের অভাব রয়েছে, অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের জন্য শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তিরও (প্রাথমিক স্তরের জন্য যেমন প্রান্তিক যোগ্যতা) অভাব রয়েছে। এ স্তরে শিখনফলকে ভিত্তি ধরে শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা যায়, কিন্তু শিখনফলের সংখ্যা এতো বেশি যে, এটি ধরে মূল্যায়ন শুরু হলে কোনটি রেখে কোনটি মূল্যায়ন করা হবে তা নির্ধারণ করাই মুশকিল হয়ে যাবে। বর্তমান পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেখানে মূলত শিক্ষার্থী কিছু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর ওপর কতোটুকু জ্ঞান অর্জন করলো, তা যাচাই করা হয়; শিক্ষার্থীর সার্বিক দক্ষতা উপেক্ষিত থাকে। উপরন্তু শিক্ষার্থীর উচ্চতর অর্জনদক্ষতাগুলোও যাচাই করার সুযোগ না থাকার পাশাপাশি নির্ধারিত বিষয়বস্তুর বাইরে সমপর্যায়ের অন্য বিষয়বস্তুতে শিক্ষার্থীরা কতোটুকু দক্ষতা দেখাতে পারে, তারও পরিমাপের সুযোগ নেই। ফলে এ ফলাফল শিক্ষার্থীদের দক্ষতার একটি অংশের প্রতিফলন ঘটায় মাত্র, সার্বিক অর্থে তাদের সক্ষমতার কোনো চিত্র প্রকাশ করে না। যতোদিন না এই সক্ষমতার চিত্র পরীক্ষার ফল থেকে পাওয়া না যাবে, ততোদিন পরীক্ষার ফলকে ধরে শিক্ষার মান বাড়ছে কি কমছে, সে সিদ্ধান্তে পৌঁছা যাবে না বা যাওয়া উচিত নয়।

এ বছর দুটি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলোতে কীভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে জানা নেই, কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে, সৃজনশীল পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা অনেকটাই দুরূহ। প্রথমত এতে যেহেতু শিক্ষার্থীর উচ্চতর শিখনদক্ষতা যুক্ত থাকে, সুতরাং এটি মূল্যায়ন করতে গেলে শিক্ষকেরও সমানভাবে শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয় এবং তাদের মননশীলতাকে প্রশ্রয় দিতে হয়। আবার একেক শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা ও মননশীলতার প্রকাশ একেকরকম। কোনোরকম পক্ষপাত না করে এক শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতার সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতার তুলনার বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হয়। দ্বিতীয়ত, শিক্ষকের যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকলে সৃজনশীল উত্তরপত্র মূল্যায়ন খুবই কঠিন। এ বছর যারা ওই দুটো বিষয়ের পরীক্ষার খাতা দেখেছেন তাঁদের সবাই কি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন? না হলে শিক্ষার্থীর যথার্থই সৃজনশীল উত্তরকে বাজে উত্তর মনে করে শূন্য দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনিতেই শিক্ষকরা যে পদ্ধতিতে গণিত পড়ান, শিক্ষার্থী অন্য পদ্ধতিতে গণিতের উত্তর দিলে তা পুরোপুরি কেটে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে; সেখানে বাংলা কিংবা চিন্তাশ্রয়ী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত জবাব যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়েছে বা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ তাই থেকে যায়।

বেনজামিন ব্লুমের তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রশ্নপত্রকে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন-- এই ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রশ্নপত্রে এই ভাগগুলোর সুসমন্বিত উপস্থাপনাই সৃজনশীল প্রশ্ন। উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীরা এগুলোর প্রতিফলন কীভাবে ঘটাতে পারে সে সম্পর্কে শিক্ষক যদি সম্যক অবহিত না থাকেন, তাহলে জ্ঞানের প্রশ্নকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সংশ্লেষণের প্রশ্নও সেভাবেই মূল্যায়িত হবে। এবারের সৃজনশীল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিষয়গুলোর উত্তরপত্রগুলো থেকে শিক্ষাবোর্ড একটি কাজ করতে পারে। যেহেতু মাত্র দুটি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, তাই এই উত্তরপত্রগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা পুনরায় পর্যালোচনা করে সে আলোকে পরীক্ষকদের সে বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। বলা বাহুল্য, এই প্রশিক্ষণের আওতায় আস্তে আস্তে সব শিক্ষকদের নিয়ে আসতে হবে।

IPO-Model

অপরদিকে শিক্ষার মান কিন্তু এককভাবে শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল নয়। দেশের সব শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও বলা যাবে না যে দেশের শিক্ষা গুণগত মানের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে। শিক্ষার মান অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে ইউনেস্কোর একটি ইনপুট-প্রসেস-আউটপুট বা আইপিও নামক একটি ফ্রেমওয়ার্ক আছে যাতে দেখা যায় এই তিনটি অংশের প্রতিটিতেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূচক রয়েছে। এই সূচকগুলোর প্রত্যেকটিরই গুণগত মান সার্বিকভাবে শিক্ষার মানকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শিক্ষার্থীর ফলাফল এসমস্ত সূচকের একটিমাত্র। সুতরাং হাজার হাজার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখেই শিক্ষার মানের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়। বরং এ বিষয়ে আরো গভীর আলোচনা দরকার। শিক্ষার মান বাড়ছে না বলে যারা মত প্রকাশ করেছেন, তাঁদের বক্তব্যকেই গুরুত্ব দিয়ে এ আলোচনা শুরু করা উচিত।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ ৫ অর্জন করা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা প্রকাশের সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত। সে হিসেবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার মান বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দেয়; কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি সেই সাক্ষ্য দেয়?
শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর গাউসিয়ান বিন্যাস অনুসরণ করে কি না সেটা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও আমার ব্যক্তিগত মত হলো এত এত জিপিএ কোন মতেই শিক্ষার মান উন্নয়নকে নির্দেশ করেনা। এত এত ছাত্র-ছাত্রী যে মাপকাঠিতে "আউটস্ট্যান্ডিং" সেই মাপকাঠি নিয়েই আমার সন্দেহ আছে। আমার মন্তব্যটিকে সংকীর্ণ মনে হলেও আমি এই ধারণা থেকে সরে আসার কোন যৌক্তিকতা পাইনি। কেউ ধরিয়ে দিলে ভালো হয়।

গৌতম এর ছবি

ধরানোর কিছু নেই। আপনার সন্দেহ যথার্থ। সাধারণ হিসেবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়াটা মান বৃদ্ধির অবস্থাকে চিহ্নিত করার কথা; কিন্তু আমার মূল প্রশ্নটা ছিল সেখানেই- বাস্তব অবস্থা সেটা বলে না। যে কারণেই পরবর্তী কথাগুলো বা এই লেখাটা তৈরি করা।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

FZ এর ছবি

গ্রেডিং পদ্ধতির নামে গত ৫ ৬ বছরে যা চলছে, তা আমাদের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার মানদন্ডকে দারুনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। এ বছর ৮০ হাজার ছাত্র জিপিএ ৫ পেলো। আমাদের সময়কার (৯০ দশকের মাঝামাঝি হতে ২০০০ পর্যন্ত) ধারা অনুযায়ি প্রায় ৫০ - ৬০ হাজার ছাত্র প্রথম বিভাগ পেত। ছাত্র সংখ্যার বৃদ্ধিকে হিসাবে আনলেও মোটামুটি ভাবে বলা যায় বর্তমান জিপিএ ৫ পূর্ববর্তী প্রথম বিভাগ বা খুব বেশি হলে ৬৫০ এর সমতূল্য। এই ৬৫০ থেকে ৯৫০- বিশাল স্পেকট্রামের ছাত্রদের একই পাল্লায় মাপার কারনে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

১। বিভিন্ন বছরের পরীক্ষার্থীদের তুলনা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কারণ ২০০৩-৪ এ জিপিএ 4.5 প্রাপ্ত ছাত্র কিন্তু বর্তমানের ৫ পাওয়া অনেক ছাত্রের তুলনায় ভাল, যা রেজাল্টে বোঝা যাচ্ছে না।

২। ৮০ পাওয়া ( বিজ্ঞান বিষয়ে) তুলনামূলকভাবে সহজ, যেমন বেশ কিছু chapter বা extra বাদ দিয়েও সহজেই ৮০ পাওয়া যেতে পারে। এ কারণে অনেক ছাত্রই পুরোপুরি সিলেবাস না পড়ে optimization এর প্রবণতা দেখাচ্ছে।

৩। একই কারণে সত্যিকারের exceptional ছাত্ররা extra effort দিতে উৎসাহী হচ্ছে না। ভিকারুন্নিসার ফার্স্ট গার্ল ৫ পাচ্ছে, ৫০০ তম জনও সেই ৫ ই পাচ্ছে। তাই অযথা বাড়তি ঝামেলাতে কে যেতে চায়। কিন্তু এর প্রভাব পরবর্তী জীবনে পড়বেই।

৪। সবচাইতে ভয়ঙ্কর বিষয় হ্ল বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রদের মান যাচাই করতে এখন আর পাবলিক পরীক্ষার ফল কোন মূল্যই রাখেনা। যেমন আমার জানা মতে, মোনাশ বিশ্ব্বিদ্যালয়ের মালেয়শিয়া শাখায় আগে HSC পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে apply করা যেত। কিন্তু ২০০৬ থেকে HSC রেজাল্ট নয়, বরং এ লেভেল দিতেই হয়। এভাবে আমাদের বাংলা মিডিয়ামকে হাস্যকর বানিয়ে শেষ বিচারে ইংরেজি মিডিয়ামকেই সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

আমি গ্রেডিং পদ্ধতির পক্ষে, কিন্তু এই এজমালি রেজাল্টের প্রহসন কে অতিসত্ত্বর বন্ধ করা জরুরী। মুড়ি মুড়কীর এক দর, তা কেবল হবুচন্দ্রের রাজ্যেই খাটে।

গৌতম এর ছবি

আপনার প্রতিটি কথার সাথে একমত।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাব্বানী [অতিথি] এর ছবি

*সঠিক ভাবে মূল্যায়নে সক্ষম কতজন শিক্ষক আছেন সেটা আমরা মনে হয় ভালই জানি।
*আমার ধারনা শিক্ষকদের বড় একটা অংশ (বিশেষতঃ যারা গ্রামের স্কুলগুলোতে পড়ান) শিক্ষক হওয়ার যোগ্যই না। প্রশিক্ষন তাদের মূল্যায়ন দক্ষতা কতটুকু বাড়াবে?
*যেখানে ৮০ এবং ১০০ নম্বরের মধ্যে পার্থক্য নাই সেখানে ফলাফলের গাঊসিয়ান বিন্যাস আর কেমন হবে?

গৌতম এর ছবি

একটা জায়গায় কিছুটা দ্বিমত করি। শিক্ষকদের একটি বড় অংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক না কেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদেরকে দক্ষ বানানো সম্ভব। এই উদাহরণ আছে, আমাদের দেশেই। প্রশ্ন এটা যে, বিপুল পরিমাণ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার মতো কী পরিকল্পনা সরকার নিচ্ছে? কিংবা আদৌ কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মেধার চর্চা আর বিকাশের সুযোগ নেই। সবাই ব্যস্ত বাক্সের মাপে নিজেকে তৈরি করতে। সেই বাক্সের মাপ যখন দুদিন পরপর বদলে যায় গিনিপিগেরা পড়ে বিপদে। মাথার মাপ তো আর হুট করে বদলানো যায় না।

আমার চেনা এক মেয়ে, যখন সে খুব ছোটো নিজের খেয়ালখুশিমতো হাবিজাবি ছবি আঁকত। হাতেখড়ির পর তার জোড়াতালি দিয়ে লেখা চিঠি এখনো আছে আমার কাছে। কিন্তু আজ সে নিজে থেকে একলাইনও লিখতে পারে না, কিংবা লিখতে চায় না। কোচিং সেন্টারের দেওয়া নোট মুখস্ত করেই যদি কাজ চলে তাহলে ভাবনার পেছনে শ্রমব্যয় করবে কেন? ছবি আঁকার নিজস্ব ঢং-ও হারিয়ে ফেলেছে সে। ওদের ড্রয়িং টিচার শিশুদের উপযোগী করে যে সরলীকৃত ছবি এঁকে দেন, ও সেটাই অনুকরণ করে।

সবাইকে এক ছাঁচে ঢেলে দিলে শিক্ষকদের সুবিধে হয়। এত ছেলেমেয়ের এতরকমের উত্তর আলাদা আলাদা করে বিচার করতে হয় না। কিছু কিছু শিক্ষক অংকের উত্তর মিললেই নাম্বার দেন। মাঝে কোথাও ভুল হলে পার্শিয়াল মার্কিং-এর সুযোগ থাকে না।

ইংরেজিতে বিশুদ্ধ ব্যাকরণ ছেঁটে ফেলে যে কম্যুনিকেটিভ সিস্টেম চালু হয়েছে তাতে যে কদ্দূর ইংরেজিজ্ঞান বাড়ছে তার নমুনা দেখেছি মফস্বল শহরে। ইংরেজি এক বর্ণও বোঝে না, প্রশ্নের সাথে প্যারাগ্রাফ মিলিয়ে দেখে কোথায় শব্দের মিল আছে। তারপর গোটা লাইন ধরে তুলে দিয়ে আসে। অ্যাপ্লিকেশানের গায়েগতরে কিছু না দিয়ে শুধু কঙ্কাল দিলেই নাম্বার দিয়ে দেয়। তাই পাশ করার জন্য অন্তত ইংরেজি শিখতে হয় না।

শিখতে চাওয়ার চেয়ে রেজাল্টের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য। আগেও ছিলো, এখনো আছে। পার্থক্য শুধু এটুকুই যে আগে সবাই নাম্বারের পিছে ছুটত, এখন ছোটে গ্রেডের পেছনে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অবস্থা আসলে আরো খারাপ। ইংরেজিতে ২৫ মার্কসের যেকোনো টেস্টে ওদের কন্ট্রোলড রাইটিং এর জন্য থাকে ১৫। আর গাইডেড রাইটিং এর জন্য ১০। এখানে রিঅ্যারেন্জ, টেবল, ফিলিং গ্যাপস, এসবে ১৫ তে ১২-১৫ পাওয়া খুবই সহজ। কিন্তু গাইডেড রাইটিং এর জন্য যখনই ওদের একটা সেনটেন্সও নিজে থেকে লিখতে হচ্ছে। ওরা হাবুডুবু খায়। সেখানে বেশিরভাগই পাচ্ছে ২-৪। যেহেতু একটা সেনটেন্সও শুদ্ধ না লিখে ওরা ১৭-১৮ মার্কস পেয়ে যাচ্ছে, কাজেই ওগুলো আরো ভালো করে শেখার ব্যাপারে ওদের আগ্রহও অতি অল্প। ইয়ে, মানে...
এই কমিউনিকেটিভ সিস্টেমের ইফেক্ট নিয়ে একটা লেখা দিতে ইচ্ছে করছে। চোখ টিপি
...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

বাউলিয়ানা এর ছবি

এই কমিউনিকেটিভ সিস্টেমের ইফেক্ট নিয়ে একটা লেখা দিতে ইচ্ছে করছে।
আমারও জানতে ইচ্ছে করছে। লিখে ফেলুন।

গৌতম এর ছবি

এই লেখাটা কবে পাব? আরও তেত্রিশ বছর পার হলে?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ইকরাম আনাম এর ছবি

দাদা,
সংকীর্ণ অর্থে মূল্যায়ন করার প্রয়োজন অথবা সেরা নির্বাচন করার প্রয়োজন পড়ে মূলত পরবর্তী অপেক্ষাকৃত সংকুচিত স্তরে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ করার জন্য। কিন্তু সেরাদের সংখ্যা যদি ব্যাপক হয়ে যায় তাহলে রবীন্দ্রনাথের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে হয় যে, ভাল বেশি হয়ে গেলে তা নিজের ভিড়েই হারিয়ে যায়। আমাদের মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে ভালভাবে লক্ষ্য করলে মনে হয় যে তাকে দক্ষ জনশক্তি কিংবা পরবর্তী স্তরের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থী সরবরাহ করার উদ্দেশ্য সৃষ্টি করা হয়নি বরং পাবলিক পরীক্ষাগোলোই যেন শিক্ষাজীবনের শেষ ও চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং এখানে ভাল গ্রেড পেলেই সব হয়ে গেল।

আরেকটি প্রসঙ্গে কথা না বললেই নয়। সেটি হল, মননশীলতা বা সৃজনশীলতার মূল্যায়ন। আমি নিজে সৃজনশীল না হলে সৃজনশীল উত্তর মূল্যায়ন করব কী করে? আর দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের সমাজের সৃজনশীল ও প্রকৃত অর্থে মেধাবীদের খুব বেশি অংশ প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক হন না। এর পেছনে অর্থ নয় বরং পদমর্যাদার দ্বন্দ্বই মূলত কাজ করে। আর শুধুমাত্র শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদানের বিষয়টিকে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়, পাঠ্যক্রম তৈরি এবং অপেক্ষাকৃত শ্রেয় মূল্যায়ন অভীক্ষা পদ্ধতি উদ্ভাবন নিয়ে ততটা গুরুত্ব দেয়ার সংস্কৃতি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এখনও সৃষ্টি হয়নি। আর যদি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল এতই গুরুত্বপূর্ণ ও অথেনটিক হত তাহলে তো উচ্চশিক্ষার প্রবেশদ্বারে আর কোন চেকপোস্ট রাখার প্রয়োজন হত না। "জিপিএ-৫ অনেকেই পায় কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পড়াশোনা করার সুযোগ কয়জন পায়?"- সে প্রশ্নে পাবলিক পরীক্ষার সাফল্যের গল্প নিজেকে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। সবশেষে বলতে চাই, নির্দিষ্ট শিক্ষাস্তর শেষে তার মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে গবেষণা করার জন্য যেন প্রকৃতঅর্থে কাজ জানে এমন লোককেই দায়িত্ব দেয়া হয়। সর্ববিষয়ে বিশেষজ্ঞ বুদ্ধিজীবি এবং আমলাদের উপস্থিতি এক্ষেত্রে একেবারেই কাম্য নয়। ধন্যবাদ।

গৌতম এর ছবি

শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থা কিন্তু শিক্ষাকার্যক্রমের বাইরের কিছু নয়। কিন্তু আমাদের একটা অদ্ভুত ধারণা আছে যে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা সব শেষ করার পরই তাকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং যেটা হবে একতরফা। ফলে এই পুরো বিষয়টিই পঠনপাঠন প্রক্রিয়ার বাইরে চলে যায়। যে জিনিসটা পদ্ধতির বাইরে থাকে, সেটা তো স্বাভাবিকভাবে দলছুট হবেই।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সজল [অতিথি] এর ছবি

একটা ফ্লোটিং গ্রেডিং সিস্টেম করলে কেমন হয়? যেখানে কোন ধরাবাঁধা গ্রেডিং ব্যবধান থাকবেনা। প্রতি বিষয়ে নাম্বার দেয়ার পর, ওই বিষয়ে পার্সেন্টাইল র‌্যাংক করা হবে। অথবা সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নাম্বার কে ১০০ তে কনভার্ট করে, এই পরিবর্তিত নাম্বারকে ফিক্সড স্কেলে গ্রেডিং করা যেতে পারে।

সজল

গৌতম এর ছবি

আমাদের প্রথম দুটো বর্ষে (আইইআর, ঢাবি) এই সিস্টেম ছিল। পরে শুনি রেজিস্ট্রার ভবন এবং কিছু শিক্ষক এই পদ্ধতি বুঝেন না বলে পুরো সিস্টেমটাকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মনে আছে, একটা বিষয়ে ৮২ পেয়ে বি+ এবং আরেকটা বিষয়ে ৫৭ পেয়ে এ+ পেয়েছিলাম।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আলমগীর এর ছবি

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ ৫ অর্জন করা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা প্রকাশের সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত। সে হিসেবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার মান বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দেয়; কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি সেই সাক্ষ্য দেয়?

আমার ধারণা ছিল সনাতন পদ্ধতিতে প্রথম/দ্বিতীয়/তৃতীয় বিভাগের পর যে মেধাতালিকা করা হতো তাতে বহু শিক্ষার্থীর প্রতি অবিচার করা হতো। সে ধরনের মূল্যায়নের চেয়ে প্রচলিত গ্রেডিং সিস্টেম কম অবিচার করে। জিপিএ ৫ মানেই মেধাবী তা সরাসরি বলা যাবে না, আবার আগের প্রথম বিভাগের সাথে সরাসরি তুলনাটাও করা যাবে না। আগে পত্রিকার পাতায় গুটিকয়েক মুখ দেখা যেত, এখন হাসিমাখা অনেকগুলো মুখ দেখা যায়। এটাকে আমি ভালই বলতে চাই।

অপরদিকে শিক্ষার মান কিন্তু এককভাবে শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল নয়

এ ব্যাক্যটাই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। চারদিকে এত এত কামান তাক করা, মানের প্রমাণ দেয়া কঠিন।

গৌতম এর ছবি

সেটাই। তবে গুটিকতেক মুখের জায়গায় কয়েক হাজার মুখ হলে হয়তো একটা ভারসাম্য অবস্থায় রয়েছে বলা যেত, কিন্তু এখন অবস্থাটা যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটাকে স্বাভাবিক বলা যায় না। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

বাউলিয়ানা এর ছবি

খুব ভাল একটা বিষয় সামনে নিয়ে এসেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

আমার মনে হয়, দশ/পনের বছর আগের একজন ছাত্র/ছাত্রী থেকে এখনকার সমবয়সী ছাত্র/ছাত্রীরা অনেক বেশি জানে। সেটা তথ্যের অবাধ প্রবাহ হতে পারে অথবা আমাদের পারিবারিক বা সামাজিক পরিবেশের উন্নতির কারনেও হতে পারে। কিন্তু তাদের মূল্যায়নের সঠিক পদ্ধতি বের করা বোধহয় এখনো হয়ে ওঠেনি। যার ফলে আমরা প্রতি বছরই জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে দেখছি। কিন্তু ব্যাপারটাতো এমন না যে প্রতি বছর আমাদের ছেলে-মেয়েদের মেধা একই হারে বেড়ে চলেছে। বরং একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সংখ্যাটা কাছাকাছি থাকাই স্বাভাবিক।

গৌতম এর ছবি

ঠিক। যতো দিন যাবে, ছাত্রছাত্রীরা ততো বেশি জানবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবকিছুরই একটা স্বাভাবিক ছন্দ থাকবে, নিয়ম থাকবে- এর ব্যত্যায় হলেই প্রশ্ন জাগে। যে পদ্ধতিতে বছর কয়েক আগে মাত্র কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেত, সেই একই পদ্ধতিতে এখন কীভাবে আশি হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পায়? উদ্বেগটা সেখানেই।

আপনার মন্তব্যের সাথে একমত।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কতো অল্প মেধা নিয়ে যে জিপিএ ফাইভ পাওয়া যায়, এটা উপলব্ধি করে আমি রীতিমতো আতংকিত। রুট লেভেলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে যতোটা বুঝি, ভালো রেজাল্টের সংখ্যা বাড়লেও মেধার মান মোটেই বাড়ছে না। কিন্তু তথাকথিত এই ভালো রেজাল্ট নিয়ে স্টুডেন্টদের কলার ঝাকুনি দেখেও ভয় পাই। এরা জানেই না যে, এদের আসল যোগ্যতা কতোটুকু। খারাপ লাগে যখন দেখি, খুব ভালো একটা স্টুডেন্ট আর গাধা টাইপ স্টুডেন্ট সেইম রেজাল্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

গৌতম এর ছবি

খুব ভালো একটা স্টুডেন্ট আর গাধা টাইপ স্টুডেন্ট সেইম রেজাল্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে
সমস্যা হলো, ঢাকার কিছু বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এবং সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের মানুষরা এটা মনে করে না। মন খারাপ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শিক্ষার মান বাড়ছে কিনা জানি না, তবে সার্টিফিকেটের ইজ্জত বেড়েছে এটা পরিষ্কার।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

গৌতম এর ছবি

সার্টিফিকেটেরও ইজ্জত বাড়ে নি, আগে প্রথম বিভাগ সার্টিফিকেটের যে মর্যাদা ছিল; এখন জিপিএ ৫-এর সেই মর্যাদা নেই। মন খারাপ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শামীম এর ছবি

চমৎকার লেখা।

শিক্ষকদের দুইটা গুরুদায়িত্ব থাকে। একটা হলো কোচ, আরেকটা হল গেটকিপার।

কোচের কাজ হল প্রশিক্ষণ দান, যেন মাঠে ভাল খেলা খেলতে পারে। আর গেটকিপারের কাজ হল কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা, এটা সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা।

আমার মতে ইদানিংকালে গেটকিপিং করা হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল/উপযুক্ত কর্মী (প্রাক্তন ছাত্র) বাছাই করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ফাঁক গলে ভাল জিপিএ নিয়ে বের হওয়া ছাত্র বেছে নিয়ে দেখা গেল সে ক অক্ষরের গরু, তবে তাকে ঘষে মেজে অন্য একটা পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, একটা বিশেষ কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার রাসায়নিক উপাদানযুক্ত কাঁচামাল দরকার। এর চেয়ে কম মানের কাঁচামালে উদ্দিষ্ট বস্তু তৈরী হবে না। এখন বাজার থেকে কাঁচামাল কিনতে গিয়ে দেখা গেল সবই এ গ্রেড। বাধ্য হয়ে ওখান থেকে কিছু কাঁচামাল কিনে আনা হল ... আর দেখা গেল পুরা প্রক্রিয়াটাই ভেজালের কারণে ভন্ডুল হয়ে গিয়েছে। অথচ, ভিন্ন মাত্রার কাঁচামাল দিয়ে করার উপযুক্ত+ভালো অন্য কাজ ছিল।

আর ওদিকে মেধাবী ছাত্ররা যদি দেখে যে অত পরিশ্রম না করেই এ গ্রেড পাওয়া যায়, তবে আর খাটা খাটুনির দরকার কি? ... ... এই কর্মে অনীহা সৃষ্টির যে একটা প্রভাবক তাদের জীবনে যুক্ত করে দেয়া হল, দীর্ঘ মেয়াদে দেশের উন্নয়নে এটার কুপ্রভাব কতখানি ভয়ংকর হবে তা ভেবে শিউরে উঠি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

গৌতম এর ছবি

দারুণ মন্তব্য!

৮১-১০০ নম্বরের মধ্যকার যে বিশাল পার্থক্য, সেটাকে এক কাতারে ফেলা হলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হবেই। স্বাভাবিক জ্ঞানে বুঝি, ৮১ পেতে যতোটুকু কষ্ট করতে হয়, ৯০-এর উপরে নম্বর পেতে তার অন্তত দ্বিগুণ কষ্ট করতে হয়। এখন কম কষ্টে ৮১ নম্বর পেলেই যেখানে চলে, সেখানে কে আর বাকি কষ্টটুকু করতে যায়‍! কিন্তু এই বাকি কষ্টটুকুই যে জীবনটাকে গড়ে দেয়, সেটা তাদের কে বুঝাবে?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রেনেট এর ছবি

হ বাড়ছে।

I is a kollage graduat
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

গৌতম এর ছবি

I is a kollage graduat
ডারুণ!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রণদীপম বসু এর ছবি

এটাও ভুললে চলবে না যে-
I is a pronoun.

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

গৌতম এর ছবি

হ। ভুল্লেই শাস্তি! চোখ টিপি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

মোটের ওপর শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার স্তর উর্ধমুখী। কারন, খুব স্পষ্ট। তথ্যের প্রবাহ বেড়েছে। পরিবেশ এবং সমাজ আগের চেয়ে সচেতন হয়েছে। আগের জমানার একজন মানুষকে ভংচং দেয়া যতো সহজ ছিলো, এখন তার চেয়ে কম সহজ। বুদ্ধিমত্তার বিষয়টা অনেকাংশে পারিপার্শ্বিকতার উপর নির্ভর করে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো পরীক্ষার ফলাফল কি মেধার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে? সোজা উত্তর, 'না'। এটা গ্রেডিং'র সমস্যা নয়। আগে যখন মেধা তালিকা করা হতো, তখনও ফলাফল মেধার প্রতিফলন ঘটাতো না। জীবনে বহু রাম-গবেট দেখেছি ডবল স্ট্যান্ড করা। পরবর্তী জীবনে স্ট্যান্ড করার দেমাগেই তেনারা বসতে পারতেন না। খাড়ায়ে থাকতেন।

আমার মতে পরীক্ষায় নম্বর পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সিলেবাস এই সব কিছুর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সমাজের এই সম্পর্কিত ধ্যানধারনা। একটা ছেলে ফার্স্ট হয়েছে, বলতে আমাদের সমাজ কি বোঝে? যে ছেলেটা সেকেন্ড হলো, সে কি তাহলে ফার্স্ট হওয়া ছেলেটার নীচে?? আমাদের সমাজে সংখ্যাগুলোকে এভাবে interpret করার প্রচলন রয়েছে। মারাত্মক ভুল ধারনা।

আমার মতে সমাজে এমন একটা আবহ তৈরী করা উচিত যেখানে, সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে শিক্ষার্থীদের কৌতুহল, কৌতুহল মেটানোর জন্য শ্রম ব্যয় করার মানসিকতা, সেই শারীরিক ও মানসিক দৃঢতা এবং সবশেষে একজন শিক্ষার্থীর accomplishments.

দু:খের বিষয়টা হলো এদেশে, খাড়ায় যাওয়া বা গোল্ডেন/ডায়মন্ড পাওয়াটাকে accomplishment এর শীর্ষে ধরা হয়। দুনিয়ার কোন পরীক্ষা দ্বারাই মেধা সনাক্ত করা সম্ভব নয়। যদি তাই হতো, তাহলে জগতের সবচেয়ে বড়ো বড়ো প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় তুখোড় রেজাল্টের মাধ্যমে বেরিয়ে আসতেন।

তবে হ্যাঁ। পরীক্ষার ধরন পরিবর্তন করে অনেক সময় সুফল পাওয়া যায়। যেমন, যারা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় যান, তাদের এক ধরনের বিশেষ দক্ষতা অর্জিত হয়। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় যে ধরনের সমস্যা দেয়া হয় এবং যে পদ্ধতিতে তা হয়, তার জন্যই এই skill টা develop করে। কিন্তু, তারও মারাত্মক রকমের দুর্বলতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বহু অধ্যাপক এগুলো নিয়ে গবেষণা করে দেখিয়েছেন, এর দুর্বল দিকগুলো কি। যেমন, প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট গুলো ছাত্রদেরকে well defined and structured সমস্যা সমাধান করতে দেয়। একজন বুদ্ধিমান ছাত্র, একটু চিন্তা করলেই ধরতে পারবে, এটা Dijkstra অথবা topological sort ইত্যাদি। কিন্তু, বাস্তবে গবেষণা কর্মে বা পেশাগত ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো well defined না। তখন অনেক ছাত্রই ধরা খেয়ে যায়।

সুতরাং, দেখা যাচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতি মেধার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনা। পরীক্ষা মোটামুটি এতোটুকু বলতে পারে, যে ঐ বিষয়ে আমার একেবারে জ্ঞান নেই, মোটামুটি জ্ঞান আছে, ভালো জ্ঞান আছে, খুব ভালো জ্ঞান আছে।
কিন্তু, সে জ্ঞান আমি কতোটুকু কাজে লাগাতে পারি সেটার ওপরে নির্ভর করছে আমার সাফল্য।

তাই সমাজের উচিত, পরীক্ষার ফলাফল মেধার একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে ধরে না নেয়া।

আমাদের সমাজে ব্যর্থতাকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। কারনটা অর্থনৈতিক। কিন্তু বাঙ্গালী সমাজ লক্ষ্য করেনি, এই মনমানসিকতার জন্যই বাঙদেশে, উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কেরানিরই আভির্ভাব ঘটেছে। কোন আবিষ্কারক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী না।

এই অবস্থার পরিবর্তন সেদিনই হবে, যেদিন মানুষ ব্যর্থতাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে শিখবে। যেদিন বাঙ্গালী সাহসী হবে।

বিদেশের নামকরা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের একটা লিগেসী আছে, অধিকাংশ সময় দেখা যায় তারা বংশানুক্রমিকভাবে ব্যবসাটা করে আসছে। তিন পুরুষ ধরে যারা একটা কাজ করে, আমি চার বছর কইষ্যা পড়াশোনা করে তাদেরকে পেছনে ফেলতে পারবো??

ধন্যবাদ
সাজ্জাদ বিন কামাল

গৌতম এর ছবি

আপনার কথাগুলো আবার নতুন করে ভাবালো। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে এনেছেন। বিশেষ করে ভালো আর খারাপ শিক্ষার্থীদের সমাজ কর্তৃক মূল্যায়িত হওয়ার যে প্রচলিত সিস্টেমটা রয়েছে, সেগুলোর ওপর আলোকপাত করেই আরো কিছু লেখা যেতে পারে। লিখবেন?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।