আউটসোর্সিং: যে সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠা জরুরি

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/১২/২০১০ - ২:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক দুঃসংবাদের মধ্যে বছরশেষে তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের দেয়া সুসংবাদটি অপ্রত্যাশিতই বটে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তালিকা অনুসারে ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিঙে বাংলাদেশ শীর্ষ ৩০টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তালিকায় ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার নয়টি দেশ রয়েছে। মূলত ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার তৈরি, কল সেন্টার, ডেটা এন্ট্রি, কাস্টমার কেয়ার, ডেটাবেজ তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েব সাইট তৈরি ইত্যাদি নানা বিষয়ে আউটসোর্সিং হয়ে থাকে। ভারত অনেক আগে থেকেই আউটসোর্সিঙের বড় বাজার দখল করে থাকলেও বাংলাদেশের তরুণরা এ সেক্টরে বেশ ভালো করছে। গার্টনারের তালিকায় বাংলাদেশের নাম তাই তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

এ সাফল্যের মূল দাবিদার যে তরুণরা তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মূলত ব্যক্তি উদ্যোগেই আউটসোর্সিং হচ্ছে বাংলাদেশে। সময়মত এবং মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করা আউটসোর্সিঙের প্রধান শর্ত এবং এ শর্ত ঠিকমতো পালন করছে বলেই আজকে বাংলাদেশ এ অবস্থানে আসতে পেরেছে। মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে এবং বাংলাদেশ এক্ষেত্রে আস্থা তৈরি করতে পেরেছে। কিন্তু সময়মত সরবরাহ করার বিষয়টি শুধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে না; এর সঙ্গে আরো অনেককিছু জড়িত। আউটসোর্সিঙে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ধরে রাখা বা উন্নতির জন্য আরো কিছু কাজ করা দরকার। যে সীমাবদ্ধতাগুলো প্রকাশ্য এবং আলোচিত, অন্তত সেগুলোর দিকে নজর দেয়া বিশেষভাবে জরুরি। এতে আউটসোর্সিঙের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চেয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি। মাত্র কয়েকটি সীমাবদ্ধতা দূর করতে পারলে আউটসোর্সিং খাত থেকেই বাংলাদেশ প্রতি বছর বড় অংকের আয় করতে পারে। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে এই আয় গার্মেন্টস সেক্টরকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সফল আউটসোর্সিঙের একটি অন্যতম প্রধান শর্ত। বাংলাদেশের বিদ্যুতের অবস্থা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। বিদ্যুতের কারণে অনেকে সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে পারে না। আউটসোর্সিঙের পুরো কাজটি যেহেতু ইন্টারনেটভিত্তিক, তাই কোনো প্রতিষ্ঠান বিদ্যুতের কারণে একাধিকবার পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে ক্রেতা তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সীমিত ইন্টারনেট ব্যবস্থাও সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারার একটি কারণ। ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ। সারাদেশ এখন একটিমাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত। কোনো কারণে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। ইন্টারনেটের গতিও বেশ ধীর। সব জায়গায় ইন্টারনেট নেই। মূলত এই দুটো কারণে পণ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের বেশ সমস্যা পোহাতে হয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারলে এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের অবস্থান আরো উন্নত করা সম্ভব।

ক্রেডিট কার্ডের সীমিত ব্যবহার আউটসোর্সিঙের আরেকটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ আদানপ্রদান বা বিদেশে কেনাকাটা করা যায় না। অথচ আউটসোর্সিঙের অধিকাংশ লেনদেনই করতে হয় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। এর বিকল্প পেপল নামক ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাটিও বাংলাদেশে নেই। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়, স্বীকৃত ও নিরাপদ এই অর্থ আদানপ্রদানকারী ব্যবস্থাটি বাংলাদেশে এখনো কেন অনুমতি পাচ্ছে না, তা বোধগম্য নয়। পেপলের ওয়েব সাইটে যেসব দেশের নাম রয়েছে, সেখানে স্বল্পপরিচিত অনেকে দেশের নাম থাকলেও বাংলাদেশের নাম না থাকাটা বেশ পীড়াদায়ক। যারা আউটসোর্সিং বা ইন্টারনেটে লেনদেনের সাথে যুক্ত, তারা সবাই বুঝতে পারেন এ সেক্টরে পেপলের প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু। শুধু পেপলের অনুপস্থিতির কারণে আরো অনেকের আউটসোর্সিং করার মতো দক্ষতা থাকলেও তারা তা করতে পারে না। হিসেবে করলে দেখা যাবে, যারা আউটসোর্সিঙের সাথে জড়িত, এ সংখ্যাটা তাদের চেয়ে বেশিই হবে। পেপলের নিরাপত্তা সিস্টেম এতোটাই সুরক্ষিত যে, বিদেশে অবস্থানকারী কারো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পেপল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও পেপল কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া প্রতিটি লেনদেনের হিসাব তো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে থাকছেই। বিএনপি সরকার তথ্যপাচারের আশঙ্কায় বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল লাইন নেয়া থেকে বিরত ছিল। সম্ভবত সেই একই ধরনের অর্থাৎ অর্থপাচারের আশঙ্কায় পেপলকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ব্যাংকের নিয়মকানুন মেনে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে লেনদেন করলে অর্থপাচার বা এ ধরনের আশঙ্কাটা পুরোপুরি অমূলক। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর বেশ কিছু ভালো কাজ করেছেন। দেশে এখন ইন্টারনেটে কেনাকাটা করা যাচ্ছে, সীমিত পর্যায়ে হলেও অর্থ আন্তঃব্যাংক লেনদেন হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হতে যাচ্ছে। গভর্নর যদি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ও পেপল ব্যবহারের সুযোগটি খুব তাড়াতাড়ি চালু করেন, আউটসোর্সিং খাতে দেশের উপার্জন বহুগুণে বেড়ে যাবে।

আউটসোর্সিঙের ক্ষেত্রে ডাকবিভাগও কিছুটা যুক্ত। প্রথাগত অর্থে আউটসোর্সিং না করে অনেকে নিজস্ব ওয়েব সাইটে নানা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে বেশ ভালো আয় করে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ কারো ওয়েব সাইটে গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে গুগল ব্যবহারকারীকে নিজস্ব আয়ের একটি অংশ প্রদান করে থাকে। শুধু গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে প্রতি মাসে প্রচুর আয় করছেন দেশে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু এই আয় তুলতে গিয়েও নানা সমস্যায় পড়তে হয়। গুগল অনলাইনে টাকা না পাঠিয়ে সরাসরি চেক পাঠায় যা প্রায়ই ডাকবিভাগ থেকে হারিয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে। আবার কিছু টাকা খরচ করলে সেটা ফেরতও পাওয়া যায়। ডাকবিভাগের ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ২৮ ডলার খরচ করে ডিএইচএলে চেক আনান। চেক ছাড়াও বিদেশ থেকে আসা নানা ডকুমেন্টসও ডাকবিভাগ থেকে হারায়। আউটসোর্সিঙের সঙ্গে যারা জড়িতরা তাই ডাকবিভাগের সেবা না নিয়ে বেশি টাকা খরচ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব আনার ব্যবস্থা করেন। অথচ ডাকবিভাগের সেবাকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করলে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা দেশেই রাখা যেত।

গার্টনারের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর অনেকেই নবউদ্যমে এ সেক্টরে কাজ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন। সবাই যে বুঝেশুনে ঝাঁপ দিবেন তা নয়; বরং না বুঝেই অনেকে কিছু একটা করার চেষ্টা করবেন এবং সেক্ষেত্রে বিফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। আউটসোর্সিঙে বাংলাদেশের ভালো করার মানে এটা নয় যে- কেউ চাইলে কাল থেকেই কাজ শুরু করে দিতে পারে। মনে রাখা দরকার, আউটসোর্সিং অনেক বড় একটা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র এবং এখানে নিজের যোগ্যতা দিয়েই টিকে থাকতে হয়। টেকনিক্যাল বিষয় জানা না থাকলে আউটসোর্সিং থেকে হতাশাও আসতে পারে। এটা এমন নয় যে একবার টাকা বা শ্রম বিনিয়োগ করলে আস্তে আস্তে রিটার্ন আসতে থাকবে। বরং নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা, যারা কাজ দেয় তাদের কাছে নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা যথাযথভাবে তুলে ধরা ও সুনাম বজায় রাখা অনেক জরুরি। এগুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন না করে আউটসোর্সিঙের কাজ শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর এর জন্য দরকার প্রশিক্ষণ।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন না করেও আউটসোর্সিঙে ভালো করা সম্ভব। কিন্তু ইংরেজি ভাষাটা জানতে হবে ভালোভাবে; জানতে হবে কম্পিউটারের বেশকিছু বিষয়ও। ওয়েব সাইট ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, সফটওয়্যার তৈরি, কল সেন্টার ইত্যাদি থেকে শুরু করে ইন্টারনেট টিউশনি বা অনুবাদ করার মতো কাজও বিদ্যমান। কিন্তু সবক্ষেত্রেই ইংরেজির কোনো বিকল্প নেই। কম্পিউটারে যে যেদিকে আগ্রহী, তাকে সেদিকেই নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। আউটসোর্সিং নিয়ে দেশে প্রশিক্ষক বা প্রশিক্ষণ সেন্টারের অভাব রয়েছে। যারা এ বিষয়গুলো ভালো জানেন, তারা সম্ভবত প্রশিক্ষণ বা এ ধরনের কাজে আগ্রহী নন। পত্রপত্রিকায় মাঝেসাঝে আউটসোর্সিঙের বিজ্ঞাপন দেখা গেলেও সেগুলোর মান খুব একটা ভালো নয়। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে আউটসোর্সিঙের কাজ করছে, তারা সীমিত জনসম্পদ ব্যবহার করে হলেও যদি কিছু মানুষকে প্রশিক্ষিত করতে পারে, তাহলে এই প্রশিক্ষণার্থীরাই পরবর্তী সময়ে অন্যদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসাটা খুবই জরুরি। কিছুদিন আগে যখন দেশে কল সেন্টার স্থাপনের হিড়িক উঠলো, তখন ভারতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লো। এর আগেও আইটি প্রশিক্ষণে বেশ কিছু ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এদেশে রাজত্ব করে গেছে। তাদের সিলেবাস ও প্রশিক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও একদল মানুষের কাছ থেকে তারা কিন্তু প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে গেছে। আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণেও এমনটি হতে পারে বলে অনুমান করি।

গার্টনারের দেওয়া এই সুসংবাদে যথারীতি সরকার ভাগ বসিয়েছে। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেজ ওসমান বলেছেন, “তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে”। দেশের যে কোনো অর্জন বা কৃতিত্বে সরকারের ভাগ বসানোটা স্বাভাবিক; কিন্তু আউটসোর্সিঙের ক্ষেত্রে সরকার রুটিন কাজের বাইরে কিছু করেছে কিনা জানা নেই। সরকারের নীতি বা কর্মপন্থার কারণে অনেক সাফল্য আসতে পারে, কিন্তু রুটিন কাজের বাইরে উল্লেখযোগ্য কিছু না করলে সরকার সেখানে কৃতিত্ব দাবি করতে পারে কি? তবে দাবি করলে প্রচলিত সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য প্রধান দায়দায়িত্বও সরকারকে বহন করতে হয়। আশা করব, সরকার আউটসোর্সিঙের অসুবিধাগুলো যতো দ্রুত সম্ভব দূর করার ক্ষেত্রে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করবে।


মন্তব্য

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখা প্রত্যেকটি বাক্যই সত্য। কিন্তু সেটা সরকারকে বোঝাবে কে? সীমাবদ্ধতাগুলো পয়েন্ট বাই পয়েন্ট করে সরকারের কাছে উপস্থাপন করলে হয়তো বা কিছু কাজ হতে পারে বলে আমার মনে হয়।

এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

গৌতম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। সীমাবদ্ধতাগুলো পয়েন্ট বাই পয়েন্ট তৈরি করা যাবে। কিন্তু সরকারের কাছে সেগুলো কীভাবে উপস্থাপন করা যায় তা জানি না। সরকারের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা যাদের আছে, তারা যদি এই কথাগুলো পৌঁছে দিতো, তাহলে হয়তো কিছু অসুবিধা তাড়াতাড়ি দূর করা যেত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

দেশে পরিচিত কয়েকজন এই পেশায় যুক্ত। মাঝে মাঝে নিজেও কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে ইন্টারনেট আর ইলেকট্রিসিটির ঝামেলায় কাজ আগায় খুবই কম। তাই ইচ্ছে থাকলেও দেশে কাজ দিতে ভয় পাই।
কয়েকমাস আগে ফ্লাশের একটি কাজ দিয়ে ধরা খাইছি। হাই লেভেলের ডেভোলপার দরকার অনেক।
ক্রেডিট-কার্ড, পে-পলের কথা নাই বা বল্লাম।
সমালোচনা সহ্য করতে উনাদের এতো অনীহা। শুধু ভালো কাজগুলো অংশীদার উনারা।

গৌতম এর ছবি

আমার পরিচিত কয়েকজন এই পেশার সাথে যুক্ত। তাদের কাউকে কাউকে খুব দ্রুত বেড়ে উঠতে দেখেছি, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন- যে কারণেই আজকে তাদের এই সফলতা। আবার কেউ কেউ অনেকদিন ধরে কাজ করার পরও টিকতে পারেন নি। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই তারা খানিকটা সাপোর্ট পেলে হয়তো ভালো কতে পারতেন। এই পরিস্থিতিতে মনে হয়েছে, সরকারের খুব বেশি কিছু করার দরকার নেই। সামান্য কয়েকটি কাজ করলে বাকিটুকু আমাদের তরুণরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিমুল এর ছবি

গৌতম দা,

পোষ্টে মুল প্রতিবেদনের লিংকটা কি সংযোজন করা যায়! আপাতত কমেন্টে'র ঘরেই দিয়ে যাই।
আউটসোর্সিংয়ের ৩০ মুখ্য দেশ

মন্ত্রী'মহাশয় সম্ভবত গার্টনার'এর মূল প্রতিবেদনটা পড়ে দেখেননি।সেখানে বলা আছে, যে ৬টা দেশের স্কোর "poor", বাংলাদেশ তাদের একটি।তাইলে, বগল বাজানোর আগেই এই সম্ভবনা কিভাবে ধরে রাখা যায়, সেই বিষয়ে কিছু বলতেন।

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান একদিন হবেনা। তবে ধীরগতির ইন্টারনেট, বিকল্প সাবমেরিন কেবল, পেপ্যাল একাউন্ট ইত্যাকার সমস্যা বছরখানেকের মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব।দেশে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা এখন "ফরজে- আইন" হয়ে গেছে। বাংলাদেশ বাদে এশিয়ার বাকী তালিকাভুক্ত দেশ ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনস, ভিয়েতনামে ৩জি টেলিসেবা'র বাণিজ্যিক ব্যবহার আছে।শ্রীলংকা'র ব্যাপারে জানিনা।ভিয়েতনামে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ৩জি প্রযুক্তি ব্যতিরেকেই বাংলাদেশের চেয়ে কয়েক যুগ এগিয়ে।

সেই ২০০৬ সাল থেকে ৩জি লাইসেন্স দেওয়ার কাহিনী শুনতেছি।২০১০ পার হয়ে গেলে।কবে যে "উপযুক্ত" সময় হবে ভগবান মালুম।

তবে টেলিটক ৩জি প্রযুক্তি'র জন্য লোন চেয়ে চীনা ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে দেখলাম।লিংক দিতে পারছিনা, অফিসের নেট থেকে কেনজানি আলু পত্রিকায় ঢোকা যায়না।

এখন ঋনের শর্তগুলো দাদাদের মতো না হলেই হয়!

দিগন্ত এর ছবি

দুঃখের বিষয় শর্তগুলো একই রকম। অর্থাৎ, যা কেনার সব চিন থেকেই কিনতে হবে। বাংলাদেশ ইচ্ছা করলেও কিছু টেকনলজি জাপান, মালয়েশিয়া বা তাইওয়ান থেকে কিনতে পারবে না। ডেইলি স্টারে পড়েছি ঋণের শর্তের কথা। চিনের এক্সিম ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটেও শর্তের লিস্ট কিছু কিছু আছে। এই ঋণের সুদের হার ২% ও ০.৪ শতাংশ ম্যানেজমেন্ট ফি + কমিটমেন্ট ফি। সুদের হার ভারতের ঋণের থেকে কিছুটা বেশী হলেও চিনের দেওয়া আগের ঋণগুলোর তুলনায় কিছুটা কম।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

গৌতম এর ছবি

মূল প্রতিবেদনের লিংকটা যুক্ত করতে ভুলে গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ সেটা দেওয়ার জন্য। হাসি

ইন্টারনেটের যে অবস্থা, তাতে ৩জি এখন ফরজ হয়ে গেছে। ঠিক।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিকেত এর ছবি

গৌতম'দা,

বছরের শেষে এইরকম একটা খবর আমাদের ফোকলা বুকে খানিকটা আশার হাওয়া পুরে দেয়। অনেক ধন্যবাদ এই খবরটা আমাদের সাথে ভাগ করে নেবার জন্যে। আমি নিশ্চিত---এই শীর্ষ ৩০টি দেশের মাঝে বাংলাদেশ যে স্থান করে নিতে পেরেছে---সেটা সম্পূর্ণই ব্যক্তি উদ্যোগের কারনে। আমাদের সরকার সব সময়ে নেপো হয়ে দই মারার তালে থাকেন। আপনি যে যে বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করলেন---বিশেষ করে প্রশিক্ষনের ব্যাপারে সরকার যদি একটু আন্তরিক হয়---আমি নিশ্চিত, আমরা আরো অনেক দূর যাবার ক্ষমতা রাখি----

শুভেচ্ছা নিরন্তর

গৌতম এর ছবি

এই বিষয়ে আমার যতটুকু জ্ঞান আছে, তাতে বলতে পারি, বাংলাদেশের এই অর্জন সম্পূর্ণই ব্যক্তি উদ্যোগের কারণেই হয়েছে। কিছু মানুষ জীবিকার তাগিদে মরিয়া হয়ে কাজ করেছে, সফলতা পেয়েছে। ইন্টারনেটের যুগে এদের সংখ্যা কেবল বাড়ছেই। তবে এই সংখ্যাটা আমাদের দেশে যতো, তার চাইতে বহুগুণে বেশি ভিয়েতনাম বা ভারতে। সরকার কিছু সুযোগসুবিধা দিলে আমাদের দেশে আউটসোর্সিং শিল্প খুব তাড়াতাড়িই যে বিকশিত হবে, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

গৌতম দা
লেখাটা ভীষন ভাল লাগল।তবে কয়েকটা ব্যাপারে জানার জন্য আপনার সাথে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে পারলে ভাল হত।ফেসবুক আপাতত বনধ। আমার মেইল আইডি দিয়ে দিলাম-

ধৈবত

গৌতম এর ছবি

আপনাকে ইমেইল করেছি। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই সেক্টরে সমস্যা ও সম্ভাবনা অনেক।এইখানে বড় বড় সমস্যাগুলো একটু একটু করে আলোচনা করা হয়েছে, কিন্তু এগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার - আলাদা আলাদা ভাবে। টাকা-পয়সা দেশে আনা বা দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে রাখি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

ঠিকই ধরেছেন পাণ্ডবদা। আমি এখানে মূলত মূল সমস্যাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি, কোনোটারই গভীরে যাই নি।

আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

চমৎকার একটা লেখা!

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ পান্থ। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দিগন্ত এর ছবি

আমার মনে হয় আপনি শুধু বটম আপ আউটসোর্সিং এর কথা ভেবে লেখাটা লিখেছেন। কোনো বড় কর্পোরেশন যদি বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর ব্যবসা খোলে তাহলে অন্তত ক্রেডিট কার্ড, থ্রি-জি, ডাকবিভাগ বা পে-পাল কোনো ইস্যু হবে না। ব্যক্তি পর্যায়ে আউটসোর্সিং করতে গেলে অবশ্যই এগুলো সমস্যা বলে গণ্য হবে।

আমার ধারণা ব্যক্তি পর্যায়ের থেকে জব-ক্রিয়েশনের জন্য সামগ্রিক কর্পোরেট আউটসোর্সিং বা আউটসোর্সিং শিল্পের দরকার আছে বাংলাদেশে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে দরকার কিছু বিদেশী/অনাবাসী পুঁজি, বিদ্যুতব্যবস্থার উন্নতি ও ইংরেজী জানা কিছু দক্ষ শ্রমিক। এর মধ্যে বাকি দুটো থাকলে পুঁজি এমনিতেই আসবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইংরেজী জানা ছাত্রেরা বিদেশের দিকে এক-পা বাড়িয়েই থাকে। সেই ক্ষেত্রে দেশে কিছু ভাল লোক পাওয়া গেলেও তারা ক'বছর কোম্পানীতে থাকবে তা হিসাব পাওয়া দুষ্কর।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

গৌতম এর ছবি

ঠিকই ধরেছেন, আমি শুধু বটমআপ আউটসোর্সিঙের কথা ভেবেই এই লেখাটা লিখেছি। কর্পোরেটদের জন্য কোনো সমস্যাই শেষ পর্যন্ত আর সমস্যা হিসেবে থাকে না। এবং সে কারণেই ক্ষুদ্র পর্যায়ে যারা আ্‌উটসোর্সিং করছেন, তাদের কথাটা ভাবতে হয় বেশি করে।
কর্পোরেট আউটসোর্সিং আমাদের দেশে কবে হবে জানি না, তবে ব্যক্তি পর্যায়ের আউটসোর্সিং বাংলাদেশকে যে জায়গায় তুলে এনেছে, তাতে ব্যক্তিপর্যায়টাকে নানা পর্যায়েই সহায়তা করা উচিত।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিমুল এর ছবি

দিগন্তদা, ধন্যবাদ। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটা দেখেছিলাম কিন্তু এই মূহুর্তে খুজে পাচ্ছিলাম না।

বৈদেশিক ঋন সবসময় শর্তযুক্ত থাকে সেটা অস্বীকার করিনা।তবে সেটার বিকল্প আছে কিনা সেদিকেও ভাবা দরকার।যেমন ৩জি টেকনোলজির যন্ত্রপাতি তৈরি কিংবা প্রযুক্তি কোনটাতেই বাংলাদেশের সামর্থ্য নেই; অদূর ভবিষ্যতে তৈরি হবে এমন সম্ভবনাও নাই।টেলিকম ভেন্ডরদের মধ্যে চীনারাই সবচে কমদামে যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি বিক্রি করে।তারপর, কোম্পানীর নিজস্ব সার্থেই কিংবা প্রয়োজনেই চীনা প্রযুক্তিবিদ'দের পরিবর্তে বাংলাদেশিদের দিয়ে তার কাজ করাবে।ফলে কিছু কারিগরী জ্ঞানও স্থানান্তরিত হবে।

ভারতীয় ঋনের ক্ষেত্রে একটা বড় জিনিস হলো এমন কিছু জিনিস আমাদের গিলতে হবে সেগুলো বাংলাদেশ নিজেই রপ্তানী করে যেমন সিমেন্ট-রড।পাওয়ার সংক্রান্ত চুক্তিগুলো পড়লে বোঝা যায় বাংলাদেশি এক্সপার্টদের সেখানে ভাত নাই, ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।আবার কোন প্রজেক্টের অনুমোদনের জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিতে হবে যা অপমানজনক।

ব্যাপারটা এমন না যে আমি বলছি চীনা লোন ভালো আর ভারতীয় লোন বাজে।আমার জাজমেন্ট বিভিন্ন টার্মস এন্ড কন্ডিশনের কারনেই বলা।

যাহোক, আলোচনার বিষয় ভিন্ন।বরং সেদিকে মনোনিবেশ করি।

আপনার কথা ঠিক। আউটসোর্সিং টিকে থাকলে হলে শুধু ব্যাক্তি উদ্দ্যেগ যথেষ্ট না, বড় কর্পোরেট বডি লাগবে।

গৌতম এর ছবি

আলোচনার বিষয় ভিন্ন হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার আর দিগন্তদার কথায় চলে এসেছে। সেগুলোও কাজে লাগবে। ধন্যবাদ। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নৈষাদ এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগল।

আমি অবশ্য দেশে ব্যাপকভিত্তিতে কোন আউটসোর্সিং এর কথা এখনও জানিনা। তবে ষষ্ঠ পাণ্ডব যেমনটি বলেছেন, এই সেক্টরে সমস্যা ও সম্ভাবনা অনেক। এবং এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে।

আমার মনে হয়েছে আউটসোর্সিং এর জন্য প্রথমে ইন্টারন্যাল কাস্টমার (দেশের মধ্যে) সেবা দানের ব্যাপারটায় ভাল করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এরমধ্যেই অনেক উন্নতি করেছে। (ইংরেজি ভাষা একটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার)। আমি জানি ২০০৭ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে একটি কোম্পানির ইনফোরমেশন টেকনোলজি দেশেই পুরোপুরি আউটসোর্সের সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য একটি বিদেশি কোম্পানি একটা স্টাডি করেছিল (রিপোর্টটা পাচ্ছিনা)। তখন তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সম্পূর্ন আউটসোর্স সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন সম্ভব।

কিছু কিছু ভাল দিক উল্লেখ করা দরকার। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের রেগুলেটরি বডিগুলির মধ্যে বাংলাদেশ-ব্যাংক অনেক এগিয়ে আছে। ক্রস-বর্ডার রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যদিও এখনও অনেক পথ যেতে হবে। এবং নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে গুগলের ‘চেকে’ পেমেন্ট করার ব্যাপারটা অবাকই করেছে আমাকে। একসময় ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট প্রসেসের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় এটা বলতে পারি যে অনলাইন ভিত্তিক পেমেন্ট এখন খুব সহজ (ইনওয়ার্ড রেমিট্যন্স)।

ইনওয়ার্ড রেমিট্যন্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তো বেশ সুবি্ধাই দিয়েছে বলতে হয়। এক, ব্যাক্তি ক্ষেত্রে আপনার দেশি ব্যাংক একাউন্ট এবং সুইফট কোড থাকলে সরাসরি সহজেই ইনওয়ার্ড রেমিট্যন্স করা সম্ভব। দুই, ব্যাক্তিক্ষেত্রে প্রপার ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা বিদেশের কোন আয় বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স এক্সাম্পটেড। এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলি আসলে পুরো ব্যাপারটাকে সাহায্য করবে।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করিনা ত্রি-জি প্রযুক্তি আউটসোর্সিং এর অপশনকে কোন ভাবে ব্যহত করছে এই মুহূর্তে।

গৌতম এর ছবি

আপনার রিপোর্টটা আবার খুঁজে দেখবেন? পড়ার আগ্রহ হচ্ছে।

অনলাইনভিত্তিক পেমেন্ট কীরকম সহজ একটু বুঝিয়ে বলবেন? অন্তত বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে?

ত্রিজি প্রযুক্তির অভাব আউটসোর্সিং অপশনকে ব্যাহত করছে বলেই মনে করি। আমাদের দেশের ইন্টারনেট সুবিধার যে অবস্থা, সেখানে ত্রিজি প্রযুক্তি কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং এ বেশ ভালোমানের আউটসোর্সার। পেপ্যাল নিয়ে বেচারাকে বেশ ঝামেলাতেই পড়তে হয় প্রায়ই। তবে ও আইপি বদলে পেপ্যাল ব্যাবহার করতে পারে। যে কারণে ওর পেপ্যাল ব্যাবহার করে বই কেনা থেকে থেকে শুরু করে বেশ কিছু কাজ আমিও করি মাঝে মাঝে। হাসি বিদ্যুৎ সমস্যার কথা নাইই বললাম, কিন্তু হাইস্পিড ইন্টারনেটের জন্যে মাসে মাসে ৫গুন বেশী টাকা দিয়েও কাজ হয়না আজকাল। প্রায়েই লাইন ডাউন থাকে অথবা দরকারমতো স্পিড থাকেনা। ওর থেকে সাহস পেয়ে আমাদের আরও বেশ কিছু বন্ধুও আজকাল আউটসোর্সিং করে। ট্রান্সক্রিপশন বা আর্টিকেল লেখার বেশ কিছু কাজ আমি নিজেও করেছি, লোগো ডিজাইনিং এর মতো কাজেও বেশ ভালো টাকা আসে। সবক্ষেত্রেই যে বিভিন্ন সফটওয়ার সম্পর্কে জানতে হবে তা না, তবে ইংরেজী জ্ঞান ভালো থাকা খুব জরুরী। আর দরকার ধৈর্য্য, বিডিং এর জন্যে। ভারতীয় আউটসোর্সারেরা অনেক কম পয়সায় অনেক কাজের জন্যে বিড করে, এটাও অনেক বড় সমস্যা। কে জানে আমাদের সমস্যা গুলো কবে মিটবে!

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

গৌতম এর ছবি

তুমি আউটসোর্সিং করো? দারুণ তো!
আমার মতে, আউটসোর্সিঙের জন্য খুব বেশি কিছু (বিশেষ করে প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত) জানার দরকার হয় না; কিন্তু ইংরেজিটা জানা থাকলে বেশ সুবিধা হয়।
আর একবার বায়ারের আস্থা অর্জন করতে পারলে কিন্তু পরে আর সমস্যা হয় না। শুরুতে কম পয়সার বিড-ই করতে হয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিমুল এর ছবি

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করিনা ত্রি-জি প্রযুক্তি আউটসোর্সিং এর অপশনকে কোন ভাবে ব্যহত করছে এই মুহূর্তে

ওয়েল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা এখনো মান্ধাতা আমলের এবং আয় বিবেচনায় ইন্টারনেট চার্জ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম বেশি।দেশের সিংহভাগ ব্যবহারকারি এখনো গ্রামীনফোনের জি,পি,আর,এস কিংবা এইজ-সার্ভিস ব্যবহার করে।

জি,পি,আর,এস কিংবা এইজ-সার্ভিস ঠেকায় কাজ চালানোর মতো, প্রফেশনাল কাজে ব্যবহারের অনুপযোগী।

আপনি নিশ্চয় মানবেন ইন্টারনেট স্পীড এখনো বড় সমস্যা।বিটিটিবির ওয়্যারলাইন কানেকশন সমাধান হতে পারতো।কিন্তু তাদের সার্ভিসের অবস্থা তথৈবচ।

হাইস্পীড ইন্টারনেত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।এখন এইটা অনেক উপায়ে হতে পারে।আমি একটা সল্যুশন বলেছি।

সরকারী টেলিটক অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে।৩জি প্রযুক্তি প্রথম চালু করতে পারলে তাদের পক্ষে বাজারে ফিরে আসা সহজ হবে।ভারতের সরকারী সংস্থা ভি,এস,এন,এল শীর্ষস্থানে না থাকলেও গণার মধ্যেই আছে।

স্বাধীন এর ছবি

আপনি নিশ্চয় মানবেন ইন্টারনেট স্পীড এখনো বড় সমস্যা।বিটিটিবির ওয়্যারলাইন কানেকশন সমাধান হতে পারতো।কিন্তু তাদের সার্ভিসের অবস্থা তথৈবচ।

হাইস্পীড ইন্টারনেত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।এখন এইটা অনেক উপায়ে হতে পারে।আমি একটা সল্যুশন বলেছি।

ভীষণ রকমের সহমত। হাই-স্পিড ইন্টারনেট ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়।

গৌতম এর ছবি

একমত। পুরোপুরি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্বাধীন এর ছবি

লেখাটি ভালো লাগলো। বেশ প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে লিখেছো। আউটসোর্সিং হয় জানতাম, কিন্তু বাংলাদেশের একটি ভাল অবস্থান রয়েছে জানতাম না। খবরটি শুনে ভাল লাগলো। পে-পালের বিষয়টি হতাশাজনক। অন-লাইন ভিক্তিক অর্থ লেনদেনের অবকাঠামো এখন সময়ের দাবী। শুধু এই বিষয়টি নিয়েই একটি পুরো লেখা হতে পারে। কোথায় এর সমস্যাগুলো, কি কি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। অন-লাইন ভিক্তিক অর্থ লেনদেন চালু হলে বাংলাদেশেও অনেক কাজের সূযোগ হবে। দেশের ভেতরেও কেনাকাটা অন-লাইনে করা সম্ভব হবে। সূযোগ পেলে এই বিষয়টি নিয়ে লেখো। বাহিরে থাকার কারণে ধারণা নেই, দেশ কোন অবস্থায় রয়েছে এই ক্ষেত্রে।

আরেকটি বিষয়, হাই স্পিড ইন্টারনেট। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে হাই-স্পিড ইন্টারনেটের জন্য কি কি অবকাঠামো প্রয়োজন, বা সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কি কি এই বিষয় নিয়ে পারলে কখনো লিখো। হাই-স্পিড ইন্টারনেট এখনো কেন আসছে না, বা কবে আসবে বা আদৌ হবে কিনা এই বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছি।

গৌতম এর ছবি

দেশের ভেতরে খুব সীমিত পর্যায়ে অনলাইনে কেনাকাটার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেটা এতোটাই সীমিত যে এ ব্যাপারে মানুষের ধারণা নেই বললেই চলে।

...লেখার দুটো আইডিয়া ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

সময় উপযোগী লেখা, সরকার এতে খুশি কিন্তু তাদের অবদান কতটুকু এটা বিচার করা দরকার। in fact, তাদের অবদান রিপোরট অনুযায়ী poor. সেটাও তারা hide করছে।

শামীম আরমান

sal.ahmed2@gmail.com

গৌতম এর ছবি

বাংলাদেশ ৩০-এর মধ্যে আসলেও ক্যাটাগরির দিক দিয়ে সার্বিকভাবে পুওর ক্যাটাগরিতে রয়ে গেছে। সেটা কিন্তু তারা লুকায় নি। বরং কোন কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো (যেমন দাম), কোথায় কোথায় খারাপ (যেমন অবকাঠামো) সেগুলোও প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারের অবদান খুবই সামান্য বলে মনে করি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই চমৎকার এবং সময়োপযোগী একটি লেখা, এই মুহুর্তে আমরা যদি এই বাজার ধরতে না পারি তাহলে শেষ পর্যন্ত ভিষন পস্তাতে হবে, যেমন্টি হয়েছিল সাবমেরিন কেবলের ক্ষেত্রে। আমাদের সরকার এই দিক গুলোতে খেয়াল করবেন কখন, ওনারাতো কাকে বাড়ি ছাড়া করতে হবে, কোন চুক্তি করলে দুই পয়সা ঘরে ঢুকবে এইসব নিয়ে ব্যাস্ত। শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ, সুদিন নিশ্চয় আসবে।

মাহফুজ খান

গৌতম এর ছবি

গার্টনারের এই সুসংবাদটি শেয়ার করার জন্য বেসিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যেহেতু বিজ্ঞান এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন, তাই আশা করি সরকার আগে গুরুত্ব না দিলেও এখন নিশ্চয়ই এই সেক্টরের উন্নতির জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সুসংবাদটা পত্রিকায় পড়েও শিউরে উঠেছি এই ব্যাপারে সরকারের প্রেরণার কথা শুনে।

কারণ আইটি সেকটরে আদিকাল থেকে এ যাবত বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে দুটি বড় সাফল্য হলো র‌্যাব দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি কেন্দ্র আবিষ্কার এবং র‌্যাব ওয়েবসাইটের হ্যাকার বাচ্চা ছেলেটাকে গ্রেফতার।

“তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে”।

এখানে "তথ্যপ্রযুক্তি" শব্দের জায়গায় যে কোন শব্দ বসিয়ে সরকারের তাবৎ সাফল্যের বাক্য রচনা করা যায়।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

গৌতম এর ছবি

"তথ্যপ্রযুক্তি" শব্দের জায়গায় যে কোন শব্দ বসিয়ে সরকারের তাবৎ সাফল্যের বাক্য রচনা করা যায়।

হো হো হো (হোহোহো) হো হো হো
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রু [অতিথি] এর ছবি

এরকম ভালো একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

গৌতম এর ছবি

পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

হেমায়েত এর ছবি

আউটসোর্সএর একটা ভালো বাংলা শুনলাম

বর্হিউৎসায়ন

গৌতম এর ছবি

হা হা হা! বাংলাটা আসলেই দারুণ! তবে কেউ বুঝবে বলে মনে হয় না। মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

কৌস্তুভ এর ছবি

ভালো প্রবন্ধ।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

GetAFreelancer এর মত ফ্রিলন্সিং সাইটে প্রথম ২০০টি প্রোফাইলের মধ্যে বাংলাদেশের ফার্ম মাত্র একটি। সেখানে ভারত পাকিস্তানের ফার্ম অনেকগুলো মন খারাপ
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

গৌতম এর ছবি

এর একটা কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে মূলত ব্যক্তি পর্যায়ে, বড়জোড় কয়েকজন মিলে একটা ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান গড়ে কাজ করে, অন্যদিকে ভারত-পাকিস্তানে এসব কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি রয়েছে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

একজন পাঠক এর ছবি

আউটসোর্সিঙের অধিকাংশ লেনদেনই করতে হয় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। এর বিকল্প পেপল নামক ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাটিও বাংলাদেশে নেই। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়, স্বীকৃত ও নিরাপদ এই অর্থ আদানপ্রদানকারী ব্যবস্থাটি বাংলাদেশে এখনো কেন অনুমতি পাচ্ছে না, তা বোধগম্য নয়। পেপলের ওয়েব সাইটে যেসব দেশের নাম রয়েছে, সেখানে স্বল্পপরিচিত অনেকে দেশের নাম থাকলেও বাংলাদেশের নাম না থাকাটা বেশ পীড়াদায়ক। যারা আউটসোর্সিং বা ইন্টারনেটে লেনদেনের সাথে যুক্ত, তারা সবাই বুঝতে পারেন এ সেক্টরে পেপলের প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু। শুধু পেপলের অনুপস্থিতির কারণে আরো অনেকের আউটসোর্সিং করার মতো দক্ষতা থাকলেও তারা তা করতে পারে না।

গৌতম এর ছবি

কিছু কি বলতে চেয়েছিলেন?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।