ওরা আমায় ভিনগ্রহে নিয়ে গেল

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: রবি, ১০/০২/২০০৮ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইদানিং নতুন সব ফন্দির কথা শুনছি। বিজ্ঞান আর বিশ্বাসকে একসাথে করা পাকানো হচ্ছে মহা জগাখিচুড়ি। আর এ ধরণের খিচুরির সেরা উপাদান নিঃসন্দেহে আধুনিক ধর্ম নামে কথিত দুর্বল সামাজিক আন্দোলনগুলো। এমনই একটি আধুনিক ধর্মের নাম রায়েলিয়ান। রায়েল নামের এক ফরাসি সাংবাদিক প্রচার শুরু করেছেন বলে নাম রায়েলিয়ান। জনৈক রায়েলিয়ান ধর্মপ্রচারকের সাথে এক সন্ধ্যা কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। সৌভাগ্য বললাম কারণ, ব্যতিক্রমী নতুন অভিজ্ঞতাকে আর কিছু বলা যায়না। বিষয়টা গোড়া থেকে বললেই ভাল শোনাবে।

রায়েলিয়ানদের কীর্তিকলাপ প্রথম জেনেছি ক্লাস টেনে থাকতে। তখন রায়েলিয়ান মদদপুষ্ট একটি বিজ্ঞান সংস্থা মানুষ ক্লোন করেছে বলে দাবী করেছিল, তাই নিয়ে পত্রিকায় কিছু ফিচার আর সেখান থেকেই জানা। স্কুল জীবনে জানা আর ভার্সিটি জীবনে প্রত্যক্ষ করা, এমনটি আমার খুব বেশী হয়নি; রায়েলিয়ান দর্শন তার মধ্যে একটি। ভার্সিটিতে এসে রায়েলিয়ানদের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। নিছক কৌতূহল, হওয়ারই কথা। যে কাহিনী ওরা শোনায় তা তো রীতিমত ভয়ংকর: ১৯৭৯ সালের এক দিনে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে রায়েল এক জায়গায় যাওয়ার তাড়া অনুভব করেন। প্যারিসের পাশেই এক পাহাড়ের ধারে সে জায়গাটি, পিকনিক করতে সচরাচর মানুষজন গেলেও সে সময়ে কেউ যায়না। গেলেন রায়েল। আকাশ থেকে নেমে আসল অদ্ভুত উড়ন্ত চাকি (ইউএফও)। দেখা হল এক ছোট্ট সবুজ মানুষের সাথে। চাকির ভেতর নিয়ে গিয়ে জানালো, অনেক ভেবেচিন্তে তাকেই পৃথিবীতে তাদের নবী মনোনীত করতে যাচ্ছে ভীনগ্রহীরা। জন্মের পর থেকেই নাকি রায়েলের সাথে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে তারা। এরপর নিয়মিত সশরীরে যোগাযোগ হতে লাগল। রায়েলের উপর অবতীর্ণ হল তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ "দ্য ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন"। বইয়ের ভাষ্য মতে, পৃথিবীতে জীবনের বিকাশের আগে অনেক দূরের কোন গ্রহ থেকে এই ছোট্ট সবুজ মানুষদের গ্রহ থেকে কয়েকজন বিজ্ঞানী এখানে আসে। উদ্দেশ্য মানব ক্লোনিং পরীক্ষা করা। নিজ গ্রহে গবেষণা নিষিদ্ধ হওয়ায় এখানে তারা নিজেদের ক্লোন করে পার্থিব মানুষ তৈরী করে। এক পর্যায়ে মানুষ যখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠে তখন তারা চলে যায়। এখন আবার আসতে চাচ্ছে, কারণ আমরা নাকি বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়নে সেই যুগের কাছাকাছি চলে আসছি। এ মুহূর্তে তাদের কথা বোঝার সাধ্য আমাদের আছে।

কাহিনীটা আজগুবি লাগল তো? এই আজগুবি কৌতূহলের বশেই রেজিস্ট্রেশন, আর তার থ্রুতেই পেলাম একটা মেইল। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমর নামে এক রায়েলিয়ান জানিয়েছেন, ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি বাংলাদেশে আসছেন। বনানীর কোরিয়ান হাউজে সপ্তাহ খানেক থাকবেন। তার শিডিউল পাঠিয়ে দিলেন, জানালেন আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারলে প্রীত হবেন। এই সুযোগ আর মিস করি কেন। শিডিউলে দেখলাম অনেকগুলো সেমিনার, সভা সমিতি আর ভিডিও শোর কথা। ক্লাসের সাথে মিলিয়ে একটা ফাঁকা সময় বেছে নিলাম। আর ক্লাসমেটদের মধ্যে অতিরঞ্জিত কথা ছড়িয়ে আরও তিনজনকে যোগাড় করে নিলাম। মোট চারজনে মিলে যাত্রা করলাম কোরিয়ান হাউজের উদ্দেশ্যে। ভেবেছিলাম না জানি কত জাঁকজমক করে কিসব সেমিনার করবে, কয়জন জানি থাকে। গিয়ে দেখি পুরো কোরিয়ান হাউজ ঘুমাচ্ছে। পরিচয় জানাতে গেটে নেমে এলেন স্বয়ং আমর। ছয় ফিটের উপর লম্বা, লিকলিকে গড়ন, লম্বা চুল, হাতে ব্রেসলেট, গলায় নেকলেস। পড়নে হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি। আমরজিকে এ অবস্থায় দেখব ভাবিনি। ভেবেছিলাম আমাদের কোন হল রুমে নিয়ে যাওয়া হবে আর সেখানে দেখা দিবেন আমর মশাই।

নতুন স্টাইল ধরছে বোধহয়! গিয়ে দেখি। হোটেলের চিপাচুপা পেরিয়ে আমাদের নিয়ে গেলেন তার রুমে। আসলে সেমিনারের অংশগ্রহণকারী আমরা চারজনই। বোঝেন ব্যাপারটা, আমি রেজিস্ট্রেশন না করলে কি হত? যাহোক প্রথমেই অবোধ্য ইংরেজি জানিয়ে দিলেন তিনি ইংরেজি প্রায় জানেন না বললেই চলে। অবশ্য ধর্মপ্রচারক হতে হলে ভাষা জানতে হবে এমন কোন কথা নেই। অ্যাপিয়ারেন্স আর মুখভঙ্গি দিয়েই স্বধর্মে রুপান্তরিত করা যায়। তার আবার সেটাও নেই। একটা ল্যপটপের সামনে বসে কি যে বললেন বোঝাই দায়। সুবিধা একটাই, ভিডিওগুলো অর্ধেক কথা বলে দিচ্ছে। রায়েলিয়ান ধর্ম নিয়ে যতটুকু জানি তার চেয়েও কম বুঝিয়েছেন উনি, অবশ্য বাস্তবতাটা জানতাম না। এখান থেকে সেটাই জানলাম। বাস্তবতা হল: রায়েলিয়ানরা জীবনে কিভাবে একটু মৌজ-মাস্তিতে থাকা যায় তার উপায় সন্ধানে ব্যস্ত। রায়েলের এমন কোন ছবি পেলাম না যেখানে দুপাশে দুটি স্বল্পবসনা নারী নেই। তাদের সম্মেলনটি মূলত বিরাট এক কনসার্টের মত। নাচ গান আর সুখে থাকার পায়তারা। অবশ্য একটু বাড়িয়ে বলছি বোধহয়। নিজেদের মোরালও ওরা ঠিক করেছে- আসলে ঈশ্বর বলে কেউ নেই, সেই ছোট্ট সবুজ মানুষেরাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তারা যেহেতু আবার আসতে চাচ্ছে তাই আমাদের দায়িত্ব তাদের অভ্যর্থনা জানানো। আর সুখে থাকার জন্য ধ্যানসহ আরও বেশকিছু পন্থা নাকি সেই ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনাররাই বাতলে দিয়েছে।

আমর কাঁচা হাতে করা অনেকগুলো ভিডিও দেখালেন; সবগুলোই ইউএফও যে এসেছে তার প্রমাণ নিয়ে। দেখে একেবারে সত্যি মনে হয়। তবে কথা হল সম্প্রতি হিস্টরি চ্যানেলে "ইউএফও" নামে যে সিরিজ চলেছে তাতে এর চেয়ে বেশী দেখানো হয়েছে। যাই হোক, সন্দেহ ঘনীভূত করার জন্য উনি ভিডিওগুলো দিতে রাজি হলেন না, আমি পেন ড্রাইভ নিয়ে গিয়েছিলাম। চারজন চারটা ছোট বিস্কুটের প্যাকেট দিলেন। তাদের ধর্মগ্রন্থের বাংলা অনুবাদ "চূড়ান্ত বার্তা" দিলেন একটি করে এবং আরও ই-বই সমৃদ্ধ একটি সিডি দিলেন। শেষে যা বললেন তা শুনে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারলাম না, "মনে রাখবেন ওরা আসবেই। আর পৃথিবীর সবার উচিত তাদের স্বাগত জানানো (না জানালে যে কি হবে?)। সবাইকে কনভিন্স করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আপনাদের গুরুত্ব অনেক। আপনারাই এদেশের ভবিষ্যৎ।" শুনে তো নিজেকে প্রধানমন্ত্রীরও চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল, যত্তোসব! বললেন, আবার আসবেন বইগুলো পড়ে রেডি হয়ে থাকতে। উল্লেখ্য তিনি আবার এসেছিলেন ২০০৭-এর অক্টোবরে। প্রথমবার তো সর্বসাকুল্যে পাঁচজনের (আমরা চারজন সহ) সাথে দেখা করেছিলেন। এদেশের কেউ রায়েলিয়ান হয়েছে কিনা এখনো জানিনা। দ্বিতীবার আর দেখা করতে যাইনি।

অবশ্য ব্যাপারটা একটু রহস্যময় করে বললে ভাল শোনায়। রায়েল বলেছেন, তাকে নাকি এলিয়েনরা তাদের গ্রহে নিয়ে গিয়েছিল, "আমাকে ওরা ভিনগ্রহে নিয়ে গেল" এ নামে একটা বইও লিখেছেন। সাইন্স ফিকশনের মত করে শুনতে চাইলে আমি এভাবে বলব: ভিনগ্রহে আমাদের চেয়ে বুদ্ধিমান সভ্যতা হয়তো আমাদের ওপর প্রভুত্ব করতে চাইছে, তাই এ ধরণের ফন্দি এঁটেছে। ওরা হয়তো বুঝেছে, পৃথিবীর মানুষ ধর্ম জিনিসটা নিয়েই সবচেয়ে বেশী গোড়ামি করে। কিন্তু এ বিজ্ঞানের যুগে ধর্ম নিয়ে এলেন কেন? বিজ্ঞান নিয়ে এলেইনা সহজে বুঝতে পারতাম, কি আর করা; এই অপবিজ্ঞানের পতনের অপেক্ষায় থাকি।

মুহাম্মদ২০১৭


মন্তব্য

গৌতম এর ছবি

এরিক ফন দানিকেন মহোদয় ব্যবসা করেছিলেন ঈস্টার দ্বী, মায়া, অ্যাজটেক সভ্যতা ইত্যাদি নিয়ে। আর রায়েলিয়ানরা ধরেছে ইউএফওকে।
কিন্তু জানেন, অনেকেই এগুলো বিশ্বাস করে! যদিও বিশ্বাসের পক্ষে কোনো যুক্তি দেখাতে পারে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশ্বাস তো করেই। শুনলাম, বিশ্ব জুড়ে রায়েলিয়ান ধর্মের নাকি ৫৫,০০০ অনুসারী রয়েছে। অস্ট্রেলীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, যেন আইন করে আমাদের স্রষ্টা সেই জাতিকে পৃথিবীতে আনার ব্যবস্থা করা হয়। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়াতে যেন একটি আন্তঃগ্রহীয় দূতাবাস তৈরী করা হয়। এতোদূর গড়িয়েছে বিষয়টা।

মুহাম্মদ২০১৭

কনফুসিয়াস এর ছবি

ইন্টারেস্টিং!

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রায়হান আবীর এর ছবি

আরও একটা মজার তথ্য আছে। প্লেবয়ের মালিক Hugh Hefner এর সাথে রায়েল সাহেবের খুবি ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমি চুড়ান্ত বার্তা পড়েছিলাম। সেখানে রায়েল সাহেব বলেছিলেন, এলিয়েনরা যখন তাকে নিয়ে যায় এলিয়ানদের গ্রহে সেখানে তার সাথে মুহাম্মদ, ঈসা, মূসা সহ আরও অনেকের সাথে দেখা হয়েছে। তারা নাকি বলেছেন, রায়েলের মতো তারাও এই এলিয়ানদের মনোনীত নবী। তারাও পৃথিবীতে এই দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। আহারে!

Man can do what he wants, But he can't want what he wants

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এক কাজ করেন। আপনি তো মালমশলা কিছু হাতিয়ে নিয়েছেন। এবারে সেগুলো পূঁজি করে কিছু শিশুতোষ ফ্যান্টাসী লিখে ফেলেন। আপনার এই নতুন ধর্মসাধনার সর্বোচ্চ ব্যবহারিক প্রয়োগ হবে সেটাই হো হো হো

লেখাটা সুখপাঠ্য হয়েছে।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

সাধনাই বটে, ভার্সিটিতে তো রীতিমত রায়েলিয়ান নামে আখ্যা পেতে শুরু করেছিলাম।

মুহাম্মদ২০১৭

অয়ন এর ছবি

নতুন নাম মুহাম্মদ রায়েল ছিলো নাতো? তাইলে কিন্তু সাবধান।

নজমুল আলবাব এর ছবি

আরেকবার আসলে আমার লগে একটু যোগাযোগ করায়া দিয়েনতো। হের ফটোক কালেকশনগুলা একটু দেখতাম। এইবার হয়ত ভিডিও পাওয়া যেত। শয়তানী হাসি

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

রায়েল ধর্মে 'মেয়ে' দের সংখ্যা কত????দেঁতো হাসি

---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"

অতিথি লেখক এর ছবি

সজ্ঞানে বলছি। নারীসঙ্গ চাইলে রায়েলিয়ান হয়ে যা।

মুহাম্মদ২০১৭

হিমু এর ছবি

আমি আর আমার এক জুনিয়র মাঝে ঠিক করেছিলাম এক নতুন ধর্ম চালু করবো। ধর্মের নাম নিওবৈষ্ণবিজম (নামকরণের পেছনে বেশ অশালীন ব্যাখ্যা আছে)। এ ধর্মে আমি আর রাজীবই ছিলাম পয়গম্বর। আমাদের ধর্মের বিশেষত্ব ছিলো, আমরা কেবল সুন্দরী এবং উষ্ণগড়নের মেয়েদেরই কনভার্ট করতে চেয়েছিলাম। আমাদের বিশেষ কোন উপাস্য ছিলো না, শুধু মাঝে মাঝে পয়গম্বরদের সাথে মিলে মেডিটেশন (আহেম!), ধর্মালাপ (আহেম!), ভাবনৃত্য (জড়াজড়ি করে) ও পানাহার (মুরীদরাই বিল দেবে) করা হবে। রাজীব গাধাটার আলস্যের কারণে ধর্মটা আর দাঁড়া করানো গেলো না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমেরিকা-প্রবাসী এক রুশ-ইহুদি লেখক মিখাইল আর্মালিনস্কি তাঁর ব্যঙ্গাত্মক লেখাগুলোর মাধ্যমে প্রায়ই প্রমাণ করতে চান যে, পৃথিবীতে শুধু একটি ধর্মই আছে, যার নাম GENITALIA-ISM দেঁতো হাসি । নিজেকে এই ধর্মের পয়গম্বর ঘোষণা তিনি করেন সুযোগ পেলেই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

রায়েলের মাথায় শিউর এই ধরণেরই কোন বুদ্ধি খেলেছিল। পার্থক্য শুধু আপনারা পারলেন না, আর পেরে গেল রায়েল.....

মুহাম্মদ২০১৭

অতিথি লেখক এর ছবি

এদেরত দেখি বাংলা ওয়েবও আছে।

http://bn.rael.org/rael_content/index.php

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধু কি আর বাংলা ওয়েবসাইট, তাদের প্রতিটি বইয়ের বাংলা অনুবাদও আছে। প্রফেশনালদের দিয়ে হয়তো করিয়েছে। আমার জানামতে কোন বাঙালি রায়েলিয়ান নেই।

মুহাম্মদ২০১৭

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেবার বার্লিনে সাইন্টোলজিস্টদের পাল্লায় পড়েছিলাম। হেন তেন করে এক সুন্দরী আমার স্ট্রেস মেপে শেষে আমার যাবতীয় সমস্যা নিরূপণ করে বিশ ইউরোর একটা বই ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলো। বলছিলো বাংলাদেশে যেনো আমি তাদের ক্যাম্পেইনে সহায়তা করি। আমি উল্টো তাকে অফার দিয়েছি আমার হয়ে কাজ করার জন্য।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

দ্রোহী এর ছবি

মজার লেখা। প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলোর এতকিছু দেখেও মুগ্ধ হতে পারি না। আর এইসব পাতি ধর্মের কথা কি বলব?


কি মাঝি? ডরাইলা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।