দুঃসহ একাকীত্ব কিংবা অবহেলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৩/২০০৮ - ৩:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(ক্যামেলিয়া আলম)

পিউর বয়স চার। বাবা মা দুজনেই ডাক্তার। পিউ স্কুলে যায়- কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখে, একা একা ছবি আঁকে, একা একা খেলে। বাড়ির কাজের মেয়েটা সুযোগ পেলেই তাকে ধমকায়। পিউ বোঝে মা যখন মেয়েটাকে বকা দেন তখন মেয়েটা পুরো শোধ পিউর উপর দিয়ে নেয়। আগে জোরে জোরে চিমটি দিতো। পিউ ভয়ে মাকে বলতেও পারতো না। বললে যদি মা পিউকে ধমকায়?

বাবা মা যখন বাসায় আসে তখন দুজনে ঝগড়া করে। নাহলে মা ফোনে কথা বলে আর বাবা সারাদিন টিভি দেখে অথবা খবরের কাগজ পড়ে। পিউ যখন বাবা মায়ের কাছে আসে, মা একটু আদর করেই রিনার কাছে দিয়ে দেয় খেলা করার জন্য। পিউ গিয়ে দাঁড়ার বাবার কাছে। বাবা তখন বন্ধুদের নিয়ে তাস খেলতে ব্যস্ত। বাবা অন্য ঘরে যাবার জন্য বলে। সেই ঘরে অনেক সিগারেটের ধোয়া। সেই ধোঁয়ায় পিউ দেখে ওর সাথী এক ভুতের বাচ্চা।

পিউর এখন ভালোই সময় কাটে। সারাদিন ওর সাথে খেলে আর ওর মনের সব কথা খুলে বলে। হঠাৎ মায়ের চোখে পড়ে যে পিউ একা একা কথা বলে। পিউকে জিজ্ঞেস করেও কোনো উত্তর পায় না। বাবাকে বলে। দুজন কিছুদিন অবজার্ভ করে পিউকে নিয়ে যায় মনোরোগ ডাক্তারের কাছে। আবিস্কৃত হয় পিউর চরম একাকীত্ব: পিউ একা। একেবারে একা। নিজের বানানো ভূত ছাড়া কারো সাথেই মন খুলে কথা বলতে পারে না পিউ। তার সাথেও বলে না কেউ


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।