The Last Lecture

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০০৮ - ৪:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৪৬ বছর বয়স্ক র‌্যান্ডি পাউশ পেন্সিলভেনিয়ার কার্নেগী মেলন ইউনিভারসিটির একজন প্রফেসর। তিনি terminal pancreatic cancer এ ভুগছেন। গত অগাষ্ট মাসে ডাক্তার রা তাকে জানিয়ে দেন তার হাতে আর মাত্র ৩ থেকে ৬ মাস সময় আছে। এই ধরনের খবরে যে কেউ ভেঙ্গে পরবে এটা এ স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি অন্য ধাতুতে গড়া মানুষ।
আমার এক বিজনেস ক্লাসের জন্য তার একটা বক্তৃতা শুনতে হয়েছিল। প্রথমে আমি ও ভেবেছিলাম হাবি জাবি কন লেকচার হবে। কিন্তু লেকচার শোনার পর বুঝলাম, এটা না শুনলে কি মিস টাই না করতাম!
এই লেকচার এর নাম দা লাস্ট লেকচার, যা বিশ্বব্যাপী অনেক মনযোগ লাভ করেছে। যাদের হাতে ১ ঘন্টা মত অবসর সময় আছে, তারা দেখতে পারেন...।আমি নিশ্চিত, দেখার পর আপনি নিজেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন এটা দেখেছেন বলে।
আমরা কত ফালতু জিনিস দেখে সময় নষ্ট করি...হিন্দি সিনেমা ইত্যাদি... এক ঘন্টা আমাদের জবনের তুলনায় তেমন বর কিছু না, বরং, এই লেকচার থেকে আপনি যা শিখবেন, তা আপনার জীবনের গতিপথও পালটে দিতে পারে...আর। হ্যা, লেকচারটি মোটেই বোরিং না...

http://wms.andrew.cmu.edu/001/pausch.wmv%20 (উইন্ডোস মিডিয়া প্লেয়ার লাগবে)

অথবা http://video.google.com/videoplay?docid=-5700431505846055184&q=randy+pausch&total=165&start=0&num=10&so=0&type=search&plindex=0]এখানে

(রেনেট)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অভ্র তে অভ্যস্ত না বলে কিছু বানান ভুল থেকে গেল...

অতিথি লেখক এর ছবি

একবারে সব জরুরি কথা বলতে ভুলে যাই...যদি কেউ ২য় লিঙ্কটা থেকে দেখেন, তাহলে প্রথম ৭ মিনিট বাদ দিয়ে দেখতে পারেন, যদি হাতে বেশি সময় না থাকে...প্রথম ৭ মিনিট অন্যান্য লোক তার সম্পর্কে বলছে...
আর বানান ভুল গুলো ঠিক করার চেষ্টা করলাম...করতে দিল না!!!
আর একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল...রেন্ডির বয়স এখন ৪৭।
ধন্যবাদ সকলকে আপনাদের সময় এর জন্য।

উদাস এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে শুনলাম পুরা লেকচারটা। অসাধারন লাগল। এমন অসাধারান মানুষগুলো এমন ক্ষণজন্মা কেন হয় কে জানে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে পুরো লেকচারটা শোনার জন্য।
~রেনেট

শিক্ষানবিস এর ছবি

Really Achieving Your Childhood Dreams

নাম শুনেই বুঝতে পেরেছি লেকচারটা কত ভালো লাগবে। কিন্তু, নেটের এই স্পিডে তো লেকচার দেখা বা শোনা কোনটাই সম্ভব না। ডাউনলোড করার কোন উপায় থাকলে দেখা যেতো। ডাউনলোডের কোন লিংক দিতে পারেন কি?

Randy Pausch এর মৃত্যুমুখী যাত্রা আরও সাফল্যমণ্ডিত হোক, এই কামনা করছি। অধিকাংশ মানুষই না জেনে এই যাত্রা শুরু করে। তিনি তার গস্তব্য ও পরিণতি জানেন। তাই সাফল্যের হার শতকরা ৯০ ভাগ। আমরা যদি তার এই যাত্রা থেকে মৃত্যুর অর্থ কিছুটা হলেও বুঝতে পারি, তাহলেই তিনি সফল।

ছোটবেলায় না কেবল, এখনও আমার দেখা বাস্তবানুগ স্বপ্নগুলো হয় সম্পূর্ণ অবাস্তব। আর অবাস্তব স্বপ্নগুলো কেমন হয় তা না-ই বা বললাম। জানি কিছু করতে পারবো না, তার পরও ধরে নেই পারবো। অন্যরকম লাগে, ভাবতে ভালো লাগে তখন।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

গুগলে কী না পাওয়া যায়! ভিডিওটি .flv ফরম্যাটে। সাইজ: ২৬৪ মেগাবাইট।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সন্ন্যাসী ভাই!

শিক্ষানবিস এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ। ডাউনলোড শুরু করে দিয়েছি।

শিক্ষানবিস এর ছবি

র‌্যান্ডি পাউশচেহারা দেখে কি মনে হচ্ছে আপনাদের? দ্য লাস্ট লেকচারের সময় তার চেহারা মোটেই এমন ছিল না। ততদিনে অনেক পরিবর্তন এসেছে মুখখানাতে। রোগ শোকে না হলেও মৃত্যুমুখী যাত্রার পথে পথে এরকম পরিবর্তন আসবে সবার মুখে। অনেকে সেই পরিবর্তন দেখে হাঁপিয়ে উঠবেন, আর পাউশের মত প্রত্যয়ীরা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে যাবে সে পরিবর্তনকে।

নিঝুম এর ছবি

মৃত্যু সব মানুষের জীবনেই আসবে।এই সত্যি।আমি সবসময়ি একটা কথা বলি, আমরা সবাই একটা কিউ তে আছি।কেউ জানিনা কেবল আমার নাম্বার টা কত। প্রায়ি একটা কথা কানে আসে, কোন বিশেষ ব্যাক্তি মারা গেলে বা নেতা,পাতি নেতা,উপ নেতা কেউ মারা গেলই খবরের কাগজ কিংবা মানুষের মুখে শুনেছি"অমুক মানুষ মৃত্যুকে জয় করলেন"

মৃত্যুকে কিভাবে জয় করা যায় এটা কোন কালেই আমার মাথাতে ঢুকেনি।আমার কথা হলো মৃত্যু তো মৃত্যুই।

এই লেকচার দেখলাম।শুনলাম।বুঝলাম।

জানলাম।মৃত্যু মানুষের কাছে কিংবা র‌্যান্ডি পাউশদের মত মানুষের কাছে কোন ঘটনাই না।কারন এঁরা অনেক বড়,অনেক মহান।মৃত্যুই এঁদের দেখলে লজ্জা পায়।

---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতিথি লেখক এর ছবি

আবারো ধন্যবাদ সবাইকে। আমি লেকচারটা প্রথম শুনি গত সেপ্টেম্বেরে। এরপর থেকেই আমি র‌্যান্ডির ভক্ত আমি। আর তার লেকচার সবাইকে জোর করে শুনাতে ইচ্ছা করে।
৬ মাস ছলে গেছে, তিনি এখন জীবীত। পরম করুনাময় এর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি আরো কিছুটা সময় আমদের মাঝে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

@ শিক্ষানবিস , না ভাই, ডাউনলোড করার কোন লিঙ্ক আমার জানা নেই।
খারাপ লাগছে আপনি দেখতে পারছেন না বলে। এটা হচ্ছে তার ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইটঃ

http://download.srv.cs.cmu.edu/~pausch/
এখানে আরও অন্যান্য রিলেটেড লিঙ্ক পাবেন।
আর এতা হচ্ছে তার ব্যাক্তিগত ডায়েরির মতঃ
http://download.srv.cs.cmu.edu/~pausch/news/index.html
পরবর্তীতে তার সম্পর্কে আপ টু ডেট জানার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।