স্বপ্ন ভয়ংকর-হরর গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১১/০৫/২০০৮ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্ন ভয়ংকর
নাফে মোহাম্মদ এনাম
প্রথম প্রকাশ: রহস্যপত্রিকা

ইদানীং এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রকি। দিন-দুপুরে, রাতে- মোটকথা চোখে ঘুম এলেই স্বপ্নটা ওকে তাড়া করে বেড়ায়। যে কারণে রাতে ঠিক মতন ঘুমতে পারছে না ও। ফলে দিন দিন কাহিল হয়ে যাচ্ছে রকি। ভেঙে আসছে শরীর। সবাই শুনে হাসবে ভেবে কাউকে খুলেও বলতে পারছে না ও সমস্যাটার কথা।
একদিন বিকেলে পরিচিত এক ডাক্তারের চেম্বারে হাজির হলো রকি। ডাক্তার ভদ্রলোক মন দিয়েই ওর কথা শুনতে লাগলেন।
‘অস্পস্টভাবে, আবছা আবছা দেখলাম আমি বাইরে থেকে বাসায় এসেছি।’ ঘটনাটা বলতে লাগলো রকি। দুঃস্বপ্নের ঘটনা,‘মনে হলো রাতের বেলা। এ ঘর থেকে ও ঘরে যাচ্ছি। চারদিকে আলো-আঁধারীর খেলা। মাঝেমধ্যে কাউকে ডাকছি বলে মনে হলো। এবং যাকে ডাকছি তাকেই সম্ভবত খুঁজছি সারা ঘরময়। এ ঘর থেকে ও ঘরে ঢুকে বাতি জ্বালাচ্ছি। একসময় রান্না ঘরে পৌছুলাম। এবং যা দেখলাম...’ থেমে গেলো রকি। বিভৎস কিছু কল্পনায় এসেছে বলে কথা আটকে গেছে ওর মুখে।
ওকে অভয় দিলেন ডাক্তার,‘রিলেক্স রকি, ধৈর্য্যে নিয়ে বলতে থাকো।’
ঠোঁটজোড়া কেঁপে উঠল রকির। কাঁপাকাঁপা ঠোঁটে আবার শুরু করল ও,‘দেখি...দে-দেখি সারা কিচেন জুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বেসিনে টিপটিপ করে রক্তের ফোঁটা পড়ছে। আর...চুলোয় বিভৎস এক দৃশ্য। চুলোর উপর বসানো এক হাড়িতে সেদ্ধ হচ্ছে কারো ছিন্নমুন্ডু! আরো জনাদুয়েকের কাটামাথা গড়াগড়ি খাচ্ছে ফোরে...উফ্!’ বলতে বলতে দু’হাত দিয়ে মুখ ঢাকলো রকি।
ওকে শান্ত্বনা দিলেন ডাক্তার সাহেব। তারপর প্রাথমিক কিছু টেস্ট সেরে একটা প্রেসক্রিপসন লিখে দিলেন তিনি। বললেন, দিন পাঁচেক ট্রাই করে দেখতে।
প্রেসক্রিপসন হাতে ডাক্তারের চেম্বার ছাড়ল রকি।
নিকটস্থ এক ফার্মেসী থেকে ঔষুধ কিনে বাসায় ফিরলো।
এবং তারপরের দিন ঘটল আসল ঘটনা।

গভীর রাতে ঘুম ভাঙলো রকির। সারা শরীর ঘেমে নেয়ে গেছে। কপালের ঘাম মুখ বেয়ে নামছে রেখা টেনে টেনে।
হাঁপাচ্ছে ও হাপরের মতন।
যেন হিস্টিরিয়া রোগী শ্বাস কষ্ঠে ভুগছে প্রচন্ড।
বেড সুইচ টিপে অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালালো রকি। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।
প্রচন্ড পানির পিপাসা পেয়েছে। প্রতিদিনের মতন আজও সেই একই দুঃস্বপ্ন দেখেছে ও। তবে আজ স্বপ্নে একটু অন্যরকম ছাপ এসেছে। সেই ছিন্নমুন্ডুগুলোকে শনাক্ত করতে পেরেছে রকি। মোটেও বিশ্বাস হচ্ছিল না ওর, স্বপ্নের মধ্যেই। ওগুলো ওর পরিবারের মুন্ডু ছিলো! ওর ছোটভাই, বড় বোন আর মা’র। অসহ্য!
হঠাৎ কিছু একটা ভেবে পাশের ঘরে এল রকি। এ ঘরে ওর মা আর ছোটবোন ঘুমোয়। কিন্তু অন্ধকার ঘরে কিছুই নজরে এল না। লাগোয়া ঘরটা বড়ভাই হাফিজের। ও ঘরে গিয়েও কিছুই দেখতে পেল না রকি। অথচ সবকিছুই কেমন জানি ঠেকছে ওর কাছে। মনে হচ্ছে স্বপ্নের মাঝেই ঘটছে এসব। আসলে হয়ত ঘুমের ঘোর এখনো কাটেনি।
ধীর পায়ে ঠলতে ঠলতে কিচেনের দিকে এগোলো রকি।
ঠিক তখুনী ওর মনে হল কেউ একজন ওকে অনুসরণ করছে। ঝট্ করে চারদিকে নজর ঢালল ও, নাহ্! কেউ নেই!
অল্প অল্প কিচেনের সামনে আসতে লাগলো ও। কিচেনে বাতি জ্বলছে। সেই আলার মধ্যে রকি হতবাক হয়ে ল্য করল কিচেনের ফোর জুড়ে টকটকে লাল তরল পদার্থের বন্যা!
অসম্ভব!
এতো হুবুহু স্বপ্নে দেখা ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটছে!
অজান্তেই আতঙ্কিত চিৎকারের আওয়াজ বেরিয়ে আসছিলো রকির মুখ দিয়ে। চট করে মুখে হাত চাপা দিল ও।
আরো কয়েক কদম এগোতেই স্টোভ থেকে স্পস্ট ফুটন্ত পানির শব্দ কানে ভেসে এল।
জায়েগায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেল রকি!
স্বপ্নটা, স্বপ্নটা কি তবে সত্যি হতে চলেছে!
বিড়বিড় করে উঠল রকি।
এমন সময় পেছনে কারো গরম নিঃশ্বাসের শব্দ স্পস্ট অনুভব করল ও। ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছিল, কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেছে ততণে...!

পুরো মহল্লায় প্রচন্ড আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চারিদিকে ভীষণ গুঞ্জন। একটি বাসার সামনে বেশ ক’টা পুলিশের গাড়ি। আর পুলিশ ও সাংবাদিকদের ছুটোছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।
সীল কওে দেয়া হচ্ছে পুরো বাসা।
উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড় সামলাতে পুলিশের নাজেহাল অবস্থা।
সেই ভীড়ের মাঝে ঘটনা কি কেউ একজন জানতে চাইল। এবং জবাবও দিল কেউ একজন,‘গতরাতে চারটি খুন হয়েছে ভাই্ চারজন মানুষের মুন্ডুহীন লাশ পাওয়া গেছে এ বাসায়...’


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- স্বপ্নে দেখলে যদি ঘটনা সত্যিই হতো তাহলে গতকাল আমার প্রেম, তার দিন কয়েক আগে অসম্ভব মিস্টি একটা মেয়ের সঙ্গে আমার এনগেজমেন্ট আর মাস খানেক আগে খুব সুন্দর শাড়ি পরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকা 'বউ'টার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে যাবার কথা!

কিন্তু এই তিনটা ঘটনার ক্রম আর সময়ের ব্যবধানের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই তো আবার! কেমন মৎস্য মৎস্য ঠেকছে ব্যাপারটা এখন আমার কাছে। চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাফে মোহাম্মদ এনাম এর ছবি

ভাল বলেছেন। থ্যংকু সবাইকে...আর আমার প্রকাশন খুঁজেছ একদল স্বপ্নবাজ হরর রাইটার।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ওর ছোটভাই, বড় বোন আর মা’র।

ইয়ে, আমি একটু confused মন খারাপ চার নাম্বার মুন্ডুটা রকি'র বুঝলাম, কিন্তু খুনী কি একজন (বড়ভাই হাফিজ/মা'র সাথে ঘুমানো ছোটবোন) নাকি দুইজন (হাফিজ +ছোটবোন) ?

নাকি আর কেউ ?

আমিও গতকাল স্বপ্ন দেখেছি কোন এক সচলের ভীষণ সুন্দর এক মেয়ের সাথে ভীষণ জমজমাট, ভীষণ স্ফূর্তির বিয়ে হচ্ছে আর আমরা সব সচলেরা খাচ্ছি হাজী'র বিরিয়ানী, ফখরূদ্দিনের রোষ্ট, বিফ উইথ অনিওন, রাবড়ি, পাটিসাপ্‌টা, রসমালাই..................... ওঁয়া ওঁয়া

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মহোদয়া কি আমার সঙ্গে মশকরা করলেন? মন খারাপ

আমি কিন্তু ঈমানে বলতাছি। উপরে উল্লিখিত ঘটনা আমি সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় এবং হুবহু যাহা ঘটিয়াছে উহাই বলিয়াছি। ইহার এক বর্ণও বানোয়াট নহে।

আমার একজন খোয়াব বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অতিসত্বর যোগাযোগ করা দরকার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্নিগ্ধা এর ছবি

কি আশ্চর্য্য !!! মশ্‌করা করলাম কোথায় ? আপনি স্বপ্ন দেখলে ঠিক আছে আর আমি স্বপ্ন দেখলে সেটা ফাজলামি, না? আপনি করেন না ওরকম একটা বিয়ে? মেনুতে কি কি চাই তো বলাই রইলো।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলে কোনো দোষ হয় না, অপরকে নিয়ে দেখলেই কিঞ্চিৎ পিরোবলেম।

আমি দেখলে ঠিক আছে কারণ আমি আমার বিয়ে দেখেছি, আপনারটা মশকরা কারণ আপনি আরেকজনের টা দেখেছেন।

বলি, ক্যান, নিজেরটা দেখতে পারেন না? নাকি খাওয়ানোর ভয়ে স্বপ্ন দেখায়ও মডুরাম নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন!

মেন্যু ব্যাপার না। সবই হবে। আমার তাতে কোনো আপত্তি নাই। ফিরিস্তি দেখে মনে হলো, এটা বরযাত্রীর খানাপিনা। বৌভাত হলে খানিক দুনোমুনো করতাম। এখন তো মনে হচ্ছে আরও দুয়েকটা আইটেম যোগ করলেও খারাপ হয় না। চিন্তা করে দেখবেন নাকি? চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আপনার স্বপ্নের গল্প পড়ে আমার কিন্তু আসলেই খুব ভয় লাগল ইয়ে, মানে...
খুব ভাল লিখেছেন, পাঁচ তারকা

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নাফে মোহাম্মদ এনাম এর ছবি

আরে আরে!
মুশিফকা মুমু...আপনার চোখ যুগল তো দেখি অবিকল আমার ক্যারেকটারের মতন!
বই থেকে উঠে এলেন নাতো!

মুশফিকা মুমু এর ছবি

এসব কি বলেন ভাই ইয়ে, মানে... ... আমি এমনিতেই অনেক ভিতু টাইপের মশকরা করেন না প্লিজ ইয়ে, মানে...
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতিথি লেখক এর ছবি

সথ্যি বলছি। কসম!

খেকশিয়াল এর ছবি

নাফে মোহাম্মদ এনাম ভাল লিখসেন, ভাল লাগল

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

স্নিগ্ধা এর ছবি

- নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলে কোনো দোষ হয় না, অপরকে নিয়ে দেখলেই কিঞ্চিৎ পিরোবলেম।

দাদা ধূসর গোধূলী - কোথায়, কোন দেশে, কোন কালে, কোন শাস্ত্রে এহেন অপূর্ব নীতিখান আছে একটু যদি জানাতেন -

@নাঃ মোঃ এনাম - আমার প্রশ্নের উত্তরটা কিন্তু পেলাম না, খুনটা কে করলো ?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওঁমা সেঁকি! শাস্ত্রের নাম জানেন না?

দাড়ান খুঁজে দেখতে হবে। অনেক পুরাতন শাস্ত্র তো! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্নিগ্ধা এর ছবি

ওঁমা সেঁকি!

আপনার তো দেখি দিন ঘনিয়ে এসেছে দাদা?!?! এজন্যই কি অচেতনভাবেই সারাক্ষণ 'ইয়া হাবিবি' জপেন ? ওরকম implied sexist comment করলে আপনাকে - হে হে হে - ......... হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে এতো দাদা দাদা করে ধাঁধা করার কী দরকার আছে? এট্টু এদিকে সরে আসেন না গফশফ করি। চোখ টিপি

আপনের আংরেজী তো বুঝি কম। সেক্সি মন্তব্য না কি জানি বললেন? চোখ টিপি
দিন কি আর আইজ ঘনিয়ে এসেছে? সেই কবে থেকেই তো টিকটিক করে এখন এক্স অক্ষের বাম দিকে চলে গেছে দিন। অচেতন ভাবে জপি আর সচেতনেই, এটাই সত্যি- বাকি সব মিছা। এইটা বলতে সেক্সি মন্তব্যের ফ্ল্যাক্সিলোড না করলেও চলে।

খালি আমার লগে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তোলেন- ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্নিগ্ধা এর ছবি

আসলে ধূঃ গোঃ সত্যি কথা বলতে কি, আপনি বয়সের দিক থেকে আমার 'দাদা' হতে পারেনই না - কারণ আমি আপনার চেয়ে বে এ এ শ খানিকটা বড়। দেখলেন আমি কত্ত সৎ এবং সাহসী ?!
বয়সের কথা এভাবে কয়জন বলে, হুহ ! চোখ টিপি

ভাইরে আপনি sexist আর sexy'র মধ্যে পার্থক্যটা শীগগির করে দেখে নেন, নাইলে কখন যে কি বলতে কি বলে রাস্তা ঘাটে পেটাই হবেন - তখন...... মন খারাপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগেই বলিয়াছি আংরেজী বুঝি কম। তাহার পরেও বলিলাম দিন এখন এক্স অক্ষের বাম পাশে চলিয়া গিয়াছে। এইটা বলিতে হইলে কি কোনো কিছুতে ইনভলভ থাকিতে লাগে জনাবা?

গফশফ করার মইধ্যে বড়ছুটুর কী আছে কন দেকিনি!
তয় আমি এইটা বুঝতে পারছি যে আপনার বুকে অনেক সাহস। পুরা শুমি পালোয়ান!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্নিগ্ধা এর ছবি

গফশফ করার মইধ্যে বড়ছুটুর কী আছে কন দেকিনি!

কি যন্ত্রণা !! আমিই বা কখন বললাম গফশফ করার মইধ্যে বড়ছুটুর কিছু আছে?
আপনি যে আমাকে দাদা দাদা ডেকে ধাঁধা করতে না করলেন, তাই বললাম দাদা ডাকাটা আমার নিতান্তই আলংকারিক - মোটেই বয়সানুপাতিক নয় হাসি

আপনার যেমন এক্স অক্ষরের বাম দিকের অবস্থা - আমার অবস্থা 'দাদা' আরো করুণ - চলেন 'মিহি' কন্ঠে বলি "হায় ভৈরবী" !! মন খারাপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভৈরবী কোনো বালিকার নাম? তাইলে মিহি গলায় ক্যা? চিক্কুর দিয়াও বলতে পারি।
আইও রামা চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাহীন হাসান এর ছবি

পড়লাম। লেখাটি নিয়ে যে অনেক কথোপকথন হলো তার সাথেও অংশ নিলাম, অলিখিত ... ,
ধূসর বেশ আছেন বোঝা যায়।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শাহীন ভাই, এইটা একটা কথা বললেন আপনে?
আমি বেশ নাই, ক্লেশ আছি! তিনটা স্বপ্নের রহস্য উদ্ধার করতে না করতেই আজকে দেখলাম চার নাম্বারটা। এইটা আরও ভয়াবহ! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহু বছর একটা ডিশের মধ্যে শুকনো রক্ত দেখতাম আমি
অনেকটা বিয়ে বাড়িতে পোলাও সাজানোর মতো করে ডিশে আমার সামনে এসে হাজির হতো

০২
মুন্ডুর গল্প যখন লিখলেন
তখন নেন
সত্যি সত্যি কাটা মুন্ডুর ছবি দেখেন

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে হয় আপনাকে টানতে পারছি...
বেশ বেশ!
হরর গল্পের পাঠক...ভাবতেই অবাক লাগে মশাই!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হরর গল্প লেখাটা অনেক বেশী টাফ মনে হয় আমার।
আপনার তো মশাই দক্ষতা বেশ ভালো !
চালিয়ে যান।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যি বলছেন আপা!
থ্যংকু!
আমি তো অপেক্ষায় থাকি কখন আমার গল্প সবাই পড়বে..আর বলবে -ওয়া্ও!

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আরে! হরর গল্পের লেখক! ভুল দেখছি না তো? হরর গল্প তো বিশাল একটা জিনিস, মুশকিল হচ্ছে যে শক্তিমান লেখকরা ঐ সাবজেক্ট নিয়ে নাড়াচাড়া করতে অপছন্দ করে! মনে করে ওয়েট কমে যাচ্ছে! সুখের বিষয় যে, হুমায়ুন এবং জাফর ভাতৃদ্বয় এর ব্যতিক্রম! এনাম ভাই, আরো মজাদার লেখা চাই, আর অন্য কারো জন্য না হলেও, আপনার জন্যই হরর গল্প লিখব সচলায়তনে।
আর... আমার জীবনের প্রথম গল্পও কিন্তু ছাপা হয়েছিল রহস্য পত্রিকায়!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্য বলছেন! আপনার লেখা কেব পাচ্ছি? জলদি জলদি!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।