ফলবতী মাঠ, কৃষির দুঃখ ও নাটিকা অভিযান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৬/১২/২০০৮ - ৯:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের মাঠগুলো ফলবতী; অনন্ত দুঃখের মধ্যেও এরা আমাদের সোনা এনে দেয়। তা না হলে কী করে গত পাঁচবছরে দুটো ভয়াবহ বন্যা, একটি সিডর, আর মৌসুমে বীজ-সার-সেচের ক্রমাগত সঙ্কটের পরও রাশিরাশি ফলন। কৃষি, কৃষক ও গোটা জাতির সেকি সৌভাগ্য।

তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল আমাদের কৃষি জীবননির্বাহী। মানে সকলে মিলে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মূল প্রণোদনা আসে এখান থেকে। গত কয়েক বছরে বাম্পার ফলন আর ঊর্ধ্বমুখী দামের যে প্যারাডক্স তৈরি হয়েছিল তাতে আমাদের বোদ্ধামহলের কিছু বুদ্ধু ঠিকমত না বুঝেই হাফ ছেড়ে বাঁচলেন: কৃষকের দিন এল। তারা দাম পাচ্ছে। রাজনীতি যা এদ্দিনে যা দিতে পারেনি, বাজার তা দিল।

বলিহারি!

অন্যান্য সেক্টরে ইনপুট আর আউটপুটের দাম না বেড়ে জীবননির্বাহী ফলনের দাম বেড়ে চললে যেখানে মোট শ্রমশক্তির অর্ধেকর বেশি নিয়োজিত তারাই বাজারের আগুনে বেশি পোড়ে, কেননা খাবার কেনার জন্যই তাদের আয়ের ৯০%-এর বেশি চলে যায়। মানে বাজার যা দিল নিয়ে গেল তার বেশি। দামের চাপে পড়ে অকৃষি শ্রমিকের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। রিয়েল ওয়েজ হাঁটুতে নামল যে।

এমনি এক মহাসঙ্কটে তিনি নাটিকা অভিযানে মাঠে নামলেন। দুই ভাগ্যবান কৃষকের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধানের নির্বাচনী আশ্বাস দিলেন। আমরা আশ্বস্ত হলাম!!
--------
প্রফাইল


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বুঝি নাই।

কাহিনীর লিংক্টা দিবেন, প্লিজ?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।