দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া, পর্ব-২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/০৪/২০০৯ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্রস্থল থেকে ৩৩ কিলোমিটার বা ২২ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঢাকা-আরিচা সড়কের উপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত

স্মৃতিস্তম্ভ এবং এর প্রাংগনের আয়তন ৩৪ হেক্টর (৮৪ একর) এছাড়াও এর সাথে রয়েছে একে পরিবেষ্টনকারী আরো আরো ১০ হেক্টর (২৪ একর) বিশিস্ট বৃক্ষরাজি পরিপূর্ণ এবটি সবুজ বলয়।

স্মৃতিস্তম্ভটি যেন জাতির আত্নত্যাগের বিজয-গৌরব ফিনীক্স এর মতো নবদেহ ধারণ করে উথ্থিত হয়েছে দূর থেকে এর শংকুবৎ শীর্ষদেশ আকাশমুখী হয়ে নীলিমায় লীন হয়ে যাছ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে এবং প্রতিফলিত করেছে জাতির দৃঢ় প্রত্যয় ও সাহসকে

এটি মৃত এবং জীবিতদের বিজয় ও সাফল্যের অনন্ত বন্ধনে আবদ্ধ করে গৌরব ভরে দাড়িয়ে রয়েছে, । বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দেলনের সাতটি পর্যায়কে তাৎপর্যপূর্ণ করে সাতটি ত্রিভুজাকৃতি মিনারের শিখরদেশ ক্রমশ: সরু হয়ে উপরের দিকে উঠে গেছে, এই সাতটি পর্যায়ের প্রথমটি সূচিত হয় বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। , পরবর্তীতে চুয়ান্ন,আটান্ন,বাষট্টি, ছেষট্টি ও উনসত্তরের গণ-অভূত্থানরুপে অগ্রসর হয়ে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মিনার বা স্তম্ভটি ৪৫ মিটার (১৫০ ফুট) উচু এবং জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ প্রাংগনের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত; প্রাচীর , পায়ে চলার পথ এবং অন্যান্য নির্মাণ কাঠামো লাল ইটের তৈরি । এখানে একটি কৃত্রিম হ্রদ,সাকো এবং স্মৃতিস্তম্ভ পরিবেষ্টকারী মনোরম বাগান রয়েছে

একটি প্রাকৃতিক স্রোতধারা এলাকাটিকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে এর উপর দুটো সাকো রয়েছে, দর্শকরা সাকো পার হয়ে । স্মৃতিসৌধ প্রাংগনে যেতে পারেন
মাতৃভূমির জন্য উৎসর্গীকৃত অগণিত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এই পবিত্র স্থানপটতে ১০টি গণসমাধি রয়েছে, সমাধির পার্শ্ববর্তী প্রাচীরগাত্রে
মুরালের সাহায্যে স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রতিফলিত করা হয়েছে, এছাড়াও সৌধ প্রাংগনে রয়েছে উম্মুক্ক মঞ্চ , অভ্যথর্না কেন্দ্র ,মসজিদ, হেলিপ্যাড ও ক্যাফেটেরিয়া

১৬ ডিসেম্বর,১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, ১৯৭৮ সালের জুনে মিনারের নক্শা আহবানের জন্য প্রতিযোগিতা আহবান করা হয় এবং এত ২৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে
স্থপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেনের স্থাপত্য নকশাটি নির্বাচন কমিটি অনুমোদন করে।ন
অন্যান্য নকশা প্রণয়ন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থাপত্য অধিদপ্তর

স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ কাজ তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হয় ।

তথ্যসূত্র: অফিসিয়াল তথ্যকণিকা[b]


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

তথ্যবহুল লেখার জন্য অভিনন্দন

এটি মৃত এবং জীবিতদের বিজয় ও সাফল্যের অনন্ত বন্ধনে আবদ্ধ করে গৌরব ভরে দাড়িয়ে রয়েছে

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ক্ষেত্রে আমরা 'মৃত' শব্দটি ব্যবহার নাও করতে পারি।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।