সেন্টমার্টিন অভিযানঃ ১৯৯৪ (৪র্থ পর্ব) পাগলা ঢেউয়ের কবলে

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১৮/০৪/২০০৯ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/23495 ]তৃতীয় পর্ব এখানে[/url]

পাগলা ঢেউয়ের দাপাদাপি

নৌকা ছাড়ার আগ মুহুর্তে কাঁধে ক্যামেরা ব্যাগ ঝুলিয়ে এক ভদ্রলোককে উঠে আসতে দেখলাম। আরে, ইনি তো রুমী ভাই। এলাকার সিনিয়র ভাই। টেকনাফে একটা মেরিন গবেষনা প্রতিষ্টানে চাকরী করেন। আমাদের দেখে রুমী ভাই তাজ্জব। বললেন উনি সেন্টমার্টিন যাচ্ছেন অফিসিয়াল কাজে কিছু সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রানীর ছবি তুলতে। ইকবাল সমুদ্রে বিপদের আশংকার কথা বলতেই 'দুর বোকা' বলে হেসে উড়িয়ে দিলেন। 'দুই তিন ঘন্টার যাত্রা। কোন ব্যাপার? কতবার গেছি!! ডালভাত হয়ে গেছে।' অচেনা যাত্রায় ভরসা করার মতো এরকম একজন পরিচিত মানুষ পাওয়া অতি ভাগ্যের ব্যাপার। আমি আর ইকবাল সাঁতার জানি না। নৌকার মাঝামাঝি বসলাম সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা দেখে। রুমী ভাই আমাদের সামনা সামনি বসলো। আমাদের বাকী চারজনের দুজন বসেছে মাঝি আবদুল্লাহর পাশে সবচেয়ে উচু জায়গায়, আর দুজন আরেকটু নীচে।

সরু খাল বেয়ে নৌকাটা নাফ নদীতে পড়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই ঝলমলে সূর্য হেসে উঠলো আকাশে। আলোর পরশে ভয় কেটে ভ্রমনের আনন্দ জেগে উঠলো। এত সুন্দর একটা নদী আছে বাংলাদেশে!! পানিটা এত সুন্দর! টলটলে নীল। যেন বিশাল একটা সুইমিং পুল। নদীর একপাশে বাংলাদেশ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টে ঘেরা। অন্যপাড়ে বার্মার উঁচু উঁচু পাহাড় দেখা যাচ্ছে দুরে। দারুন মনকাড়া সৌন্দর্য। রুমী ভাইয়ের হাতে লম্বা জুমলেন্সের ক্যামেরা। যন্ত্রটার দিকে তৃষিত নয়নে চেয়ে থাকি আমি। বহুদিনের লোভ এমন একটা জিনিসের মালিক হওয়া। তিনি ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। নৌকাটা ছন্দে ছন্দে দুলছে। এই নদীটা দেশের অন্য যে কোন নদীর চেয়ে ভিন্ন। এটার সাধারন স্রোতেই অনেক বড় বড় ঢেউ। সমুদ্রের আদলে নদী। শুনেছি এটা নাকি আসলে সমুদ্রেরই সম্প্রসারিত অংশ বিশেষ। তাই প্রকৃতিটা অন্যরকম।

আধাঘন্টা পর আমরা মূল সমুদ্রে গিয়ে পড়লাম। এই কী সত্যিকারের বঙ্গোপসাগর? ঢেউয়ের সাইজ আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলো। নৌকার দুলুনিতে পার্থক্যটা টের পাচ্ছিলাম। নাফ নদীর ঢেউগুলি 'রেলগাড়ী ঝমঝম' টাইপের ছিল। এখনকার ঢেউগুলি ছন্দ বিহীন। 'তুলে তুলে আছাড় মার' টাইপের। পানির রংটাও বদলে গেছে। সবুজাভ নীল। এটাকে বোধহয় 'ওশান গ্রীন' বলে। অপূর্ব সুন্দর। আগে বিদেশী সিনেমায় এই রঙের পানি দেখে কত আহা উহু করতাম। অথচ নিজের দেশেই এই ঐশ্বর্য পড়ে আছে। পেছনের দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ প্রান্ত যেটা দেখা যাচ্ছে সেটার নাম শাহপরী দ্বীপ। সামনে অফুরান সমুদ্র। বঙ্গোপসাগরে ভাসতে ভাসতে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের নৌকা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে আছি। কারো মুখে কথা নেই। তবে ঢেউগুলি যেভাবে বাড়ছিল অবচেতনে সুক্ষ্ণ একটা ভয়ের রেখা জাগিয়ে দিচ্ছিল। সামনে কোন দ্বীপের চিহ্ন নেই। নাকি আছে। ওটা কী? ওই যে দুর দিগন্তে কালো সুতোর মতো দেখা যাচ্ছে। ওটাই কী সেন্টমার্টিন? রুমী ভাই অভয় দিয়ে বললো, 'ঘাবড়াচ্ছো নাকি। আরে এতো সামান্য ঢেউ, ভয়ের কিছু নেই। আমি আছি। সমস্যা হলে বলবো।' রুমী ভাই পাশে থাকাতে ভরসা পেলাম। উনি অভিজ্ঞ মানুষ বিপদের আভাস আগে ভাগেই টের পাবেন। এখনো তেমন বিপদ নাই।

সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রকৃতি দেখতে দেখতে আকাশের দিকে খেয়াল করা হয়নি। একসময় খেয়াল করলাম আকাশের প্রকৃতি অন্যরকম হয়ে গেছে। সূর্য মুখ লুকিয়েছে কালো মেঘের অন্তরালে। নৌকা যতই সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি যাচ্ছে ঢেউগুলো কেমন অস্থির হয়ে উঠছিল। টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে একটা রীফ দ্বারা সংযুক্ত। ফলে এই জায়গায় সমুদ্র সাধারনের চেয়ে একটু উত্তাল থাকে। নৌকাগুলো সরাসরি সেন্টমার্টিনে ভিড়ে না তাই। ঢেউ এড়িয়ে একটু ঘুরে গিয়ে কূলে ভেড়ে। ঢেউয়ের দোলা বাড়তে বাড়তে আশংকাজনক পর্যায়ে পৌঁছাল। এখন যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটা নিছক দোলা নয়। চতুর্মূখী ঝাঁকুনি। নৌকাটা নাচতে শুরু করেছে সামনে-পেছনে, ডাইনে-বাঁয়ে। মাঝি আবদুল্লাহর দিকে তাকালাম, সে হাল ধরে নির্বিকার বসে আছে। ঢেউয়ের ঝাপটে নৌকার ভেতরে পানি এসে পড়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের। মনের ভেতরের ভয়টা শিরদাড়া দিয়ে ওঠানামা করছে। নৌকা কখনো ঢেউয়ের মাথায় উঠছে, কখনো ঢেউটা নৌকার মাথায় দেখা যাচ্ছে। দুলুনির কারনে নৌকাটা মাঝে মাঝে ৬০-৭০ ডিগ্রীও কাত হয়ে যাচ্ছে। ভয় পেতে শুরু করেছে অন্য যাত্রীদের কেউ কেউ। মাঝির উদ্দেশ্যে চিৎকার করছে। আমার পাশে ইকবাল। সে লাইফজ্যাকেট পরে ফেলেছে। রুমীভাইয়ের চেহারাটা সুবিধের ঠেকলো না। ইকবাল বললো তার লাইফজ্যাকেটের ফিতাটা শক্ত করে লাগিয়ে দিতে। আমি জীবনে এই জিনিস লাগাইনি। কোনমতে ফিতা লাগালাম। সে নীচের খোলের তক্তায় গিয়ে বসলো রুমীভাইয়ের পাশে। রুমী ভাই মুখে কিছু বলছে না। কিন্তু খেয়াল করলাম তাঁর একটা হাত আমার হাঁটুর উপরটা আঁকড়ে ধরেছে এবং সেটার চাপ ক্রমশঃ বাড়ছে। আমি আর ভরসা করতে পারলাম না ওনার উপর। বিপদ এত কাছাকাছি এখন ওনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে বিব্রত করার মানে হয় না। উনি নিজেই প্রান বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

জনা ত্রিশেক যাত্রী দুলছি জীবন মরনের দোলায়। পুরো নৌকায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেছে। কেউ বলে যাত্রীদের সামনের দিকে সরে যেতে, কেউ বললো ওজন কমাতে। কেউ বলছে ইট বাঁশ এগুলো ফেলে দিতে। এত কোলাহলের মধ্যেও দেখি আবদুল্লাহ নির্বিকার। বরং সে দুর দিয়ে যাওয়া অন্য নৌকার মাঝিদের 'তোম্মারেচুদিইয়া' বলে খিস্তি করছে। এইটা একটা সেন্টমার্টিনের আদিম জনপ্রিয় গালি। ফিরে এসে অনেকদিন চর্চা করেছি আমরা। আবদুল্লাহর দিকে চেয়ে আমি একটু ভরসা পেলাম। তবু নানান চিন্তা ভর করলো। যদি নৌকা ডুবে যায়, কেউ বাঁচবো না। কেউ জানবেও না আমাদের সলিল সমাধি হয়ে গেছে এই মাঝ সমুদ্রে। এই জীবনে তো অনেক কিছু করার বাকী রয়ে গেল!

ইকবালের চোখ মুখ ফ্যাকাসে। সে ঢেউয়ের ভয়ংকর রূপ না দেখার জন্য নীচের খোলে নেমে গেলেও আমি ওকে ভরসা দেবার জন্য ইংরেজী সিনেমার কায়দায় 'ওয়াও' করে করে চিৎকার করছি একটু পর পর। যেন খুব উপভোগ করছি পাগলা ঢেউয়ের দোলাগুলো। হঠাৎ একটা শয়তানি বুদ্ধি আসলো। ইকবালকে বললাম, 'দেখ দেখ ওইতো সেন্টমার্টিন দেখা যায়'। ইকবাল যেখানে বসেছে সেখান থেকে সমুদ্র কিংবা দ্বীপ কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমার জায়গা থেকে যদিও সেন্টমার্টিন বেশ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল কিন্তু দুরত্ব বেশ কয়েক মাইল হবে। ইকবাল আমার কথায় মাথাটা উচু করতেই ভয়াবহ একটা ঢেউ নৌকার ডানদিকে উদয় হলো। দ্বীপের বদলে এত্তবড় ঢেউ দেখে ভয়ে ইকবাল 'দুত্তারি' বলে নীচে বসে পড়লো আবার। মাঝি আবদুল্লাহ কীভাবে যেন ঢেউটা কাটিয়ে নৌকাটাকে বাঁচালো। নৌকাটা বিপরীত ঢেউয়ের আঘাতে সামনে বেশী এগোতে পারছে না। একপা এগোয় তো, ঢেউয়ের দোলায় দুই পা পিছোয়।

যে ঢেউগুলি আঘাত করছে সেগুলো ডানদিক থেকে ছুটে আসছিল। আমরা দুর থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম ফেনায়িত ঢেউয়ের চুড়াগুলো ছুটে আসতে। এরকম দেখতে দেখতে একটু পর ঢেউ চরিত্র শিখে ফেললাম। যে ঢেউয়ের মাথায় সাদা ফেনা থাকে সেগুলো অধিক ভয়ংকর। সেই ঢেউ দেখার সাথে সাথে শক্ত করে ধরে থাকতাম পাটাতন। প্রতিটা ঢেউ গড়ে আট দশফুট হবে উচ্চতায়। আবদুল্লাহ যেভাবে ঢেউগুলোর মোকাবেলা করছিল, সেই শারীরিক কসরত দেখার মতো দৃশ্য। এরকম একটা ঢেউ নৌকার উপর ঠিকমতো আছড়ে পড়লে নিমেষেই তলিয়ে যাবো আমরা। কিন্তু আবদুল্লাহ কায়দা জানে। ঢেউ কাছে আসা মাত্র সে কীভাবে যেন নৌকার গলুইটা ঘুরিয়ে দিয়ে আঘাতটা পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত সেই ক্যারিকেচার। আবদুল্লাহর ক্ষমতার উপর আমাদের অবাক শ্রদ্ধা চলে আসলো। ওই একজনের হাতের দক্ষতার উপর নির্ভর করছে এতগুলো মানুষের জীবন মরন। পরে আমরা 'গ্রেট আবদুল্লাহ' নামে ভুষিত করেছিলাম তাকে।

পাগলা ঢেউয়ের তান্ডব দেখতে দেখতে শ্রীকান্তের সমুদ্রে সাইক্লোন ঘটনাটা মনে পড়লো। এরকম একটা দুর্লভ দৃশ্য প্রানের ভয়ে উপভোগ করা থেকে বিরত থাকবো? শ্রীকান্তের ষ্টাইলে ভাবলাম, মরন তো একদিন না একদিন হবেই, কিন্তু তার আগে উপভোগ করেই যাই এই ভয়ংকর সৌন্দর্য। দার্শনিক ভাবালুতায় ভয়কে জয় করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ক্ষীন আশা আছে হয়তো টিকে যাবো এ যাত্রা। কারন পাঞ্জাবী-সানগ্লাস পরা সেন্টমার্টিনের আরেকটা ছেলে আমাদের সামনে বসা ছিল যার হাতে ইকবালের মতো লাইফ জ্যাকেট। তাকে পরিস্থিতির মিটার বানিয়ে নজর রাখছি, সে যদি লাইফ জ্যাকেট পরে ফেলে, বুঝতে হবে রক্ষা নাই আর। কিন্তু সে এখনো লাইফজ্যাকেট পরে নি, হাতেই ধরে আছে। সেই ভরসায় আমি সাহসে খানিক উজ্জীবিত ছিলাম অন্যদের চেয়ে।

ঢেউয়ের সাথে ঘন্টাখানেক যুদ্ধ চলার পর নৌকা সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি চলে এল। ইকবালকে বললাম তীরের কাছে চলে এসেছি। কিন্তু ইকবাল তখনো আমাকে মিথ্যেবাদী রাখাল মনে করে উপেক্ষা করলো। কারন একটু আগে ওকে সেন্টমার্টিন এসেছে বলে ডেকে বিশাল এক ঢেউ দেখিয়েছি। লাইফজ্যাকেট পড়ে জুবুথুবু হয়ে বসে রইল নীচে। নৌকা বালির চড়ায় ধাক্কা খেয়ে থামলেই সে উঠে দাঁড়ালো।

জুনায়েদ আমাদের দুজনের কাছে এসে ইকবালের লাইফ জ্যাকেটের দিকে তাকিয়ে বললো, "কিরে তোর এটা কে বাঁধছে, নীচের ফিতাটা তো খোলাই, বাঁধা কিচ্ছু হয় নাই, পুরা ঢিলা রয়ে গেছে, জীবনে লাইফ জ্যাকেট বাঁধস নাই?"

ইকবাল বিষ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো যেন আমি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফিতাটা বাঁধি নাই। তাড়াতাড়ি বললাম- "আরে আমি কী জীবনে এই জিনিস বাঁধছি নাকি। আর ওই ঢেউয়ের আছড়ানিতে ফিতা টাইট দিতে পারি নাই। মরলে তো মরতিই, এখন তো বাইচা আছস, এত চেতস ক্যা?"

নৌকা থেকে নামার আগে প্যান্ট গুটাতে হলো। হাঁটু পানিতে নেমে তীরে যেতে হবে। এই আমাদের স্বপ্নের সেন্টমার্টিন? তীরে বেশ কিছু মানুষ উৎসুক দাঁড়ানো। এতক্ষন দুর থেকে দেখছিল আমাদের নৌকার পাগলা নাচন। তিন ঘন্টা সমুদ্রে কাটিয়ে প্রিয় সেন্টমার্টিনের বালিতে পদস্পর্শ করলাম।

[চলবে]

নীড় সন্ধানী
১৮ এপ্রিল ২০০৯


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

লেখাটি বেশ প্রাণবন্ত চলুক
---
দু/একটি ছবি যোগ করলে আরো চমৎকার হতো! আর আমাদের মতো কম্পু-কানাদের কথা মনে রেখে যদি ছোট ছোট প্যারায় লিখতেন!! হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ, কিন্তু ছবিগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে অযত্নে, তাই স্ক্যান করলাম না।

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

এই জীবনে তো অনেক কিছু করার বাকী রয়ে গেল!

যেমন বিয়ে!! কি বলেন? ঠিক বলেছি না?
অবিবাহিতদের মাঝ সমুদ্রে মরে যাবার আগে এই কথাটা একবার হলেও মনে পড়ে। চোখ টিপি

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

বলেন কী? বিয়ের মতো দিল্লীকা লাড্ডু নিয়ে আফসোস করবো, আসলে আফসোসটা ছিল প্রেম নিয়ে, যেটা মজে ওঠার আগেই ফুড়ুৎ.......... হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এরকম হলে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া আর হবেনা। লেখাটা আসলেই প্রাণবন্ত। মনে হচ্ছিল নিজেই ঐ নৌকায় বসে আছি। গ্রেট আব্দুল্লাহ না থাকলে আপনার এই লেখা আমরা কোথায় পেতাম!

...............................
নিসর্গ

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

এরকম উথাল পাতাল হওয়াতেই আমাদের যাত্রাটা সার্থক হয়েছিল যেটা ফিরে আসার সময়ে শান্ত বোরিং সমুদ্র দেখে টের পেয়েছি।

এইমাত্র আপনার নিসর্গ থেকে ঘুরে এলাম। মুনতাসিরের সেন্টমার্টিন বর্ননা পড়ে মুগ্ধ হলাম। আজই ধরবো আরো কিছু ছবির জন্য। সেন্টমার্টিনের আন্ডারওয়াটার ছবি এই প্রথম দেখলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।