আমার প্রথম তান্দুরী রন্ধন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/০৯/২০০৯ - ৯:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রান্না ব্যাপারটাকে আমি শিল্পের পর্যায়ে না নিয়ে যেতে পারলেও, সেই রান্না যে আমি মোটামোটি স্বাভাবিক জীবনধারনের উপযোগি করে তুলে ফেলতে পারি, এটা আমি দ্রিপ্ত গলায় দাবি করি। এ দেশে (Canada) রন্ধনকর্ম-টা নারী-পুরুষের সীমারেখায় আটকানো নয়। এখানে বিশাল বাজারের অসংখ্য টকিটাকি, হাবিজাবি জিনিস জোড়াতালি দিয়ে লাগিয়ে খাওয়ার উপোযুগি কিছু একটা নিমিষেই তৈরি করে ফেলা যায়। যার জন্য রসনাবিলাসে কালক্ষেপন করার মতন নিম্নবিলাসি মানসিকতা এদেশের স্হূলকায়দেরও নেই।

আমি মোটামোটি সকল কাজে “অকর্মার ঢেঁকি” বিশেষনে বিশেষায়িত হলেও, আমার রন্ধনশৈলীতে এই উপাধি কেউ দিয়ে বসলে, আমার ভ্রম্মতালুর রক্তচলাচলে প্রবল প্রাণসঞ্চার হয়। এইত সেদিন, আমার তৈরি করা টমেটোর চাটনি চেটে পুটে খেয়ে বলে কিনা -“পুঁড়া পুঁড়া লাগছে”(আমি নাকি কর্মে থাকলে অন্ন্যমনস্ক হয়ে যাই বলে প্রায়ই খাবার পুড়িঁয়া ফেলি)…………………আরে বেটা, তুই…………(সেন্সরড!)…………………ভাগ্যিস, অল্পের জন্য খুনোখুনি হয়ে যায় নি।

রান্না-বান্নায় ভাল করার একটা অনাবশক শর্ত মনে হয় “লেগে থাকা” জাতীয় কিছু। এক্ষেত্রে আমি জন্মগতভাবে ধৈযহীন হওয়ার কারনেই বোধহয় অতি আগুনে ঝটপট রান্না করার শটর্কাট পধতি তৈরি করার অভিপ্রায়ে অসংখ্যবার শারীরিক সার্জারীর মধ্য দিয়ে গিয়েছি। যার কিছু স্হায়ী স্মৃতিচিহ্ণ এখনও বয়ে বেড়াছি, আষ্টেপৃষ্টে।

বস্তুত, আইটেমে variation আনার ব্যাপারে কিছুটা conservative হলেও, experimental রান্না-বান্নার ব্যাপারে আমার আগ্রহের কোনো কমতি নেই। পৃথিবীর অনেকেই জানে না, এরকম অনেক গুরুত্বপুণ information বিশ্ব রন্ধনীয় জ্ঞানকোষে সফল সংযোজন করতে পেরে আমি প্রায়শই একধরনের আত্ববিগলন অনুভব করি, যদিও নিকটমহলের সুচ-ফুটানো টিটকারীর জন্য সেই আত্ববিগলন কখনই পুর্নতা লাভ করেনি।

বৈদেশীও উপকরনে দেশিও রেসিপি বানানোর বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিলেও কয়েকটিতে যে যারপরনাই প্রশংসিত(??) হয়েছি, তার কয়েকটি না বললেই নয়। এই ধরেন, আমার প্রথম তান্ধুরী রান্নার গল্পটা। গল্পের শুরুটা এরকম………………এ রে, উঠতে হবে……………চুলা থেকে কেমন জানি পুঁড়া পুঁড়া গন্ধ আসছে।

রিপন,
ওন্টারিও, কানাডা।
২৯ আগস্ট, ২০০৯


মন্তব্য

_প্রজাপতি এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো কিন্তু আপনার বানানো তান্দুরীর ছবিটা দিলেন না কেন, তান্দুরীতো পোড়া পোড়াই মজা।

-----------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

রিপন এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। শিঘ্রী ছবি আপলোড করব।।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পাচক নিজেই রান্না হয়ে গেলেন নাকি? বাকিটুকু কোথায়? খাইছে

রিপন এর ছবি

ধন্যবাদ। বাকিটুকু শিঘ্রী আসছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।