মুখ ও মুখোশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/১২/২০০৯ - ৫:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝনননননননন............................................ যাহ!আবার ও কিছু একটা ভাঙলো!প্রতিদিন কোন না কোন অঘটন আর মিরার চিলচিৎকার এভাবেই রোজ ভোর হয় আমার ৪ কামরার এই ফ্ল্যাট এ।ব্যাংকার আমার ব্যস্ত জীবনে চাকরি যেখানে প্রায় নটা-আটটা ভোরবেলার এই আলসেমির সময়টুকু একান্ত আমার মনে হয়।চায়ের উষ্ণ ধোঁয়ার ফাঁকে বহুতল ফ্ল্যাটে আমার এক চিলতে আকাশ দেখা,ভোরটা কখনো ঠিক তুলতুলে পাখির মত অথবা হয়ত কখনো চকলেট গলে যাওয়া স্বাদটুকুর মত ভীষন ভাল লাগে।এই সময়টায় প্রায় ফেলে আসা গ্রাম খুব মনে পড়ে।গ্রামের খোলশ ছেড়ে আজকাল পুরোদস্তুর শহুরে তবু খুব মনে পড়ে সেই দলবেধে রস চুরি,জোছনায় ব্রিজে বসে আডডা,বাড়ী ফিরেই ```বন্ধু,কি খবর বল,কতদিন দেখা হয়নি!হঠাৎ মিরা ঘরে ঢোকে।রাগে ওর ফরসা মুখ লাল হয়ে আছে।"দেখলে,ফ্লাক্স ভেঙ্গে ফেলেছে!চড় দিয়ে বিদায় দেয়া দরকার মেয়েটিকে "আমি চায়ের কাপটি নামিয়ে রেখে বলি,"মিরা, শোন,ভুল তো মানুষের ই হয়।এভাবে চিৎকার করার কিছু নেই।মেয়েটা আমাদের মেয়ের মতই" পরপর ২টা বাস ছুটে গেল।এর পরেরটা ধরতেই হবে নাহলে আজ বসের ঝাড়ি জুটবে কপালে।এইতো আসছে।হাচড়ে পাচড়ে উঠে যাই। কি আস্চর্য আস্ত একখানা সিট ও পেয়ে যাই!আরাম করে বসে হঠাৎ দেখি একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে দাঁড়িয়েআছে র আমার ই কিছু স্বজাতি মেয়েটিকে চোখ দিয়ে গিলছেন!উঠে গিয়ে সিট ছেড়ে দেই।হঠাৎ দেখি মেয়েটি কটমট করে আমার দিকে তাকাতে তাকাতে নেমে গেছে!উপকারের প্রতিদান দিতেও জানেনা!যত্তসব! অফিসে পৌঁছে ফাইল গুলোতে নাক ডুবানো আর ২০ মিনিটের লাঞ্ছ ব্রেেক দম খুলে শ্বাস নেয়া এভাবেই চলে যায় সময়।আজ পাশের ডেস্ক এর মিসেস নেয়াজ বেশ চুপচাপ।লাঞ্ছ ব্রেকে ও চেয়ার থেকে উঠছেননা!নাহ ,দেখতে হয়।ওনার ডেস্ক এ গিয়ে বসি।কথা বলতে গিয়ে দেখি ঠোটেঁর কাছটায় ফুলে নীল হয়ে আছে।ডান চোখ বন্ধপ্রায়!আতকে উঠে বলি এ কি!চুপ করে থেকেন উনি।বুঝে যাই পতিদেবতাটির কান্ড!ওনার হাতটা আলতো করে ধরে বলি 'এভাবে র কতদিন?আপনার মত শিক্ষিতা চাকুরে একটা মেয়ে কেন মার খেয়েও মুখ বুজে সংসার করে যাবেন?আপনি যদি বলেন তাহলে কিন্তু এখনি এ্যকশন নেয়া যায়।আপনি চাইলে কিছুদিন আমার বাসায় থাকুন না।মিরা বুঝবে" উনি ধরা গলায় বলেন"তা হয়না"ধ্যাৎ বাঙ্গালি নারী! অফিস থেকে বের হতে গিয়ে দেখি শঙ্কর দাড়িয়ে আছে।জিজ্ঞেস করি "কেমন আছো?'ও বলে "স্যার।ভাল নাই।বউ অসুস্থ।কেমনে কি করুম বুঝিনা"এই বোকাসোকা সরল স্টাফ টিকে আমার ভালই লাগে।১০০০ টাকা বের করে দেই, নাও রাখো।ও ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ কেঁদে উঠে বলে"স্যার,আপনে দেবতা!" আমি বলি "বউটারে নিয়ে অফিসে ঘুরে যেয়ো একদিন" রাত ১১টায় ঘরে ঢুকি।ভীষন ক্লান্ত লাগছে।মিরা এগিয়ে আসে"কি আস্চর্য তুমি একটা কল তো দেবে!কল করলেও ত ধরোনা।এত রাতে কই যাও বলে দিলে তো র টেনশন করিনা"কষে একটা চড় বসাই ওর গালে"ভ্যাজর ভ্যাজর করা মেয়েমানুষ আমার পছন্দ না।টেবিলে ভাত দাও"ভাত খেয়ে এসে দেখি মিরা শুয়ে আছে।ঘুমাচ্ছে বোধহয়।কি আর করবে,যাওয়ার ত জায়গা ও নেই।ভাইয়ের সংসারে যাবে সেই আশা তো নেই।যত্তসব!অর মুখের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ মিসেস নেয়াজ এর কথা মনে পড়ে।আজ হাত ধরলাম ওনার।চট করে হাত সরিয়ে নিলেন না!খেয়াল করেন নি নাকি ইচ্ছে করেই!ভুদ্রমহিলার আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে অবশ্য।আজকের বাসের মেয়েটি ও বেশ।সিট দেবার ছলে মেয়েটিকে ছুঁয়ে দিয়েছিলাম বলেই অমন করে নেমে গেলো! মিসেস নেয়াজ এর সাথে কথা বলতে আমার ভালই লাগে।শঙ্কর এর কথা ভেবেই আমার মুখে অজান্তেই হাসি ফুটে উঠে।ওর বউটিও বেশ দেবী দেবী দেখতে!ছেড়া শাড়িতেও মেয়েটি দারুন!আবার ও হাসি আমি দেবতাই বটে!বারান্দাই গিয়ে দাঁড়াই।অন্ধকারে সিগারেট এর ধোয়াঁয় উড়ে যায় অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো........।...


মন্তব্য

স্বপ্নহারা এর ছবি

গল্পটা ভালই। কিন্তু এত বানান ভুল, যতিচিহ্ণের ভুল ব্যবহার, আর এক প্যারায় লেখার কারণে পুরোটা পড়তে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রেশনুভা এর ছবি

অনেক ধরনের মুখোশ আছে; একটা জানলাম। ভালো লেগেছে।
বানান আর ফরম্যাটিং এর প্রতি আরো একটু যত্নবান হবেন।
লিখতে থাকুন। ও, আপনার নিক নেই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখার শেষে নামটি লিখতে ভুলে গেছেন বোধহয়। ভেতরে ঢোকার আগেই গল্প শেষ হয়ে গেল। আরেকটু বড় হলে বোধহয় ভালো হত। সেই সঙ্গে দু'একটি প্যারা করে লিখলে পড়তে আরাম হয়। মন্তব্য কেবল মন্তব্যই। লেখক চিরস্বাধীন। ইচ্ছেমতো লিখুন। মন খুলে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তিথীডোর এর ছবি

"নক্ষত্র " বিবি নাকি ?
উমম্ ,সেটাই তো মনে হচ্ছে !এই প্লটটার কথাই তো সেদিন বলেছিলি, তাই না ?
তা মাদমোয়াজেল----তুমি তো আমার মতন তিড়িং বিড়িং স্বভাবের নও,,, তবে ??
একটু ধীরে ,বানান -টানানগুলো সামলে ,,ধুমসে লিখতে থাক!!!!!!!

----------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বপ্নহারা,পুরোটা এক প্যারা কি করে হয়ে গেল বুঝলামনা! তিথীডোর , লিখতেই এতক্ষন লাগে যে শেষ পর্যন্ত আমি ও অধৈর্য!।এখন এতগুলো বানান ভুল দেখে লজ্জা লাগছে! আর নিক দিতে ভুলে গিয়েছিলাম দাদারা!*নক্ষত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল।

স্পার্টাকাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ফরম্যাট,বানান সব বাদ দিয়ে শুধু ভাল বললেন সেজন্যই ধন্যবাদ!*নক্ষ্ত্র

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সত্যি করে বললে, লেখাটা পড়ি নাই। চোখ বসাতে পারতেছি না। লেখাটা যে ভালো হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ রাখছি না, কিন্তু ফরম্যাটিং-এর কারণে এই লেখাটা উপভোগ করা হলো না আমার। আপনার পরবর্তী লেখা পড়ার আশায় রইলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা না পড়েই ভালো বলা পাঠক পেয়ে আমি ধন্য!হা হা!ফরম্যাট খেয়াল করেই নেক্সট এ লিখব।*নক্ষ্ত্র

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভয়াবহ ফরম্যাটিং সমস্যা, তবে পড়ে ভালো লেগেছে। যখন বললেন অফিসে পরের স্ত্রীর হাত ধরেছে ব্যাটা তখনই বোঝা গেছে ঘটনা সুবিধার না। তবে আরেকটু রয়ে সয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে লেখলে ভালো হত না? প্লটটা সুন্দর, পরের বার আরেকটু সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে লাফ না দিয়ে লিখুন, আর নিক টা জানাবেন না?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

হাত ধরেছে তাতেই ঘটনা বুঝে গেছেন!হা হা আমেরিকায় থাকতে থাকতে দেখি আ বলতেই আমেরিকা বুঝে যান!র ফরম্যাট?ও জিনিস ঠিক না করে আর লিখছিনা!ধন্যবাদ।*নক্ষ্ত্র

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এখানে উদাম হয়ে চলে বলে ব্যক্তিগত দুরত্বের ব্যাপারটা কিন্তু উধাও হয়ে যায় নি, এখানে ফাঁকতালে এসে কারো হাত ধরে দেখেন, তখন বুঝবেন ব্যাপারটা। সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট রিভিউ বোর্ডের সামনে বসতে হলে খুব একটা অবাক হব না। আ বলতে আমিরেকা বুঝি না, যেটার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন, সেটাই বুঝেছি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি hurt হয়েছেন।হয়ে থাকলে সরি।আমি ওভাবে কিছু বলিনি।যাস্ট মজা করেই লেখা!*নক্ষত্র

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গল্পটা ভালো, কিন্তু খুব তাড়াহুড়া দেখলাম... রয়েসয়ে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

তাড়াহুড়ায় আমি গল্পটা লিখিনি আসলে।আমার বাংলা টাইপিং এর কি অবস্থা সেটা তো নিশ্চয় বুঝেই গেছেন!সেজন্যই হয়ত কিছুক্ষন লিখলেই আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়।ধন্যবাদ*নক্ষ্ত্র

তানবীরা এর ছবি

প্রথম প্রথম টাইপিং এ অনেক সময় যায় খুব সত্যিই। লিখতে থাকলেই স্পীড এসে যাবে।
গল্পটা ভালো নক্ষত্র।

স্বাগতম এ আসরে।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

থ্যান্কু আপু!*নক্ষত্র

দিশা এর ছবি

চমৎকার লাগলো লেখাটি !! আমাদের সমাজের মুখসটা নিজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার সাহসটা অসাধারন !! বানান নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না আমি কারন আমরা বিশ্বাস ভাষা ব্যবহার মনের ভাব প্রকাশের জন্য ও যোগাযোগের জন্য !! ভাল থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম ভাষা যোগাযোগের জন্য ঠিক ই আছে।তবে ভুল কিছু চোখে তো লাগেই!্ধন্যবাদ আপনাকে।ভাল থাকুন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।