শুধুই একটি গল্প

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৪/০৪/২০১০ - ৭:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাগল মন

১.
চোখ মেলেই দেখি নীল আকাশ। আহা, কতদিন এরকম আকাশ দেখি না। শহুরে মেকি ব্যস্ততায় ফুরসতই মেলে না মাথাটা উপরে দিকে করার। সারাক্ষনই সবাই ব্যস্ততার ভান করছে।

শুয়ে ছিলাম, উঠে বসলাম। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখি কোনই গাছপালা নেই শুধুই ধু-ধু মাঠ। আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। কিছুই মনে পড়লো না, কিভাবে, কেন আমি এখানে। এটা কোন জায়গা সেটাও বুঝতে পারলাম না। তবে শুধুই মনে হল, ...

১.
চোখ মেলেই দেখি নীল আকাশ। আহা, কতদিন এরকম আকাশ দেখি না। শহুরে মেকি ব্যস্ততায় ফুরসতই মেলে না মাথাটা উপরে দিকে করার। সারাক্ষনই সবাই ব্যস্ততার ভান করছে।

শুয়ে ছিলাম, উঠে বসলাম। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখি কোনই গাছপালা নেই শুধুই ধু-ধু মাঠ। আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। কিছুই মনে পড়লো না, কিভাবে, কেন আমি এখানে। এটা কোন জায়গা সেটাও বুঝতে পারলাম না। তবে শুধুই মনে হল, অনেকদূর যেতে হবে। দাঁড়িয়ে একদিকে হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে নিজের দিকে তাকালাম। গায়ে দামী শার্ট, পরনের প্যান্টটাও দামীই, যা সাক্ষ্য দেয় আমি এলেবেলে কেউ না। তবে আমার পায়ে কোন জুতা নেই, যা আমাকে খুবই আশ্চর্য করলো। আশ্চর্য হলেও হাঁটা থামালাম না। চলতে লাগলাম অচেনা, অজানা পথে।।

চলতে চলতে আমি নিজের সম্পর্কে কিছু জানি কিনা আবার মনে করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু হায়! মনে হল, আমি আমার স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি। মন অস্থির হয়ে উঠলো। নিজেকে সান্তনা দিলাম, কুউল ম্যান, ডোন্ট বি স্কেয়ারড। ইউ অয়ের অলওয়েজ এ কুউল ম্যান। সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন মনে পড়লো আরে আমি যে সবসময় শান্ত, ঠান্ডা মাথার মানুষ এটাতো মনে আছে, তারমানে আমি পুরোপুরি স্মৃতিহীন হয়ে যাইনি। মনটা খানিক শান্ত হল।

কতক্ষণ হাঁটলাম সেটা বুঝতে পারছি না হাতে কোন ঘড়ি নেই বলে, তবে আন্দাজ আধঘন্টাতো হবেই। শরীর অবসন্ন লাগছে, ক্ষুধাও লেগেছে মনে হল। হঠাৎ মনে হল, পিঠে কিছু একটা আছে। হাত দিয়ে বুঝতে পারলাম, এটা একটা ব্যাগপ্যাক। এতক্ষণ কেন বুঝিনি সেটা নিয়ে খানিকক্ষণ চিন্তা করলাম, কিন্তু নিস্ফল সময়ক্ষেপণ। ব্যাগ খুলে দেখি ২টা বিস্কুটের প্যাকেট আর পানির একটা বোতল। আমি যেন হাতে স্বর্গ পেলাম। বিস্কুটের প্যাকেটটা খুলে বিস্কুট মুখে পুরে চিন্তা করলাম, কতদূরে লোকালয় তাতো জানি না। তাই বেশি খেলাম না, পানিও অল্পই খেলাম। কিছুক্ষন বসে জিরিয়ে নিলাম। এরপর আবার হাঁটা শুরু করলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পরে মনে হলো, ব্যাগটা একবার খুঁজে দেখি আর কিছু পাই কিনা। আমি হাঁটা থামিয়ে ভালো করে ব্যাগটা খুঁজা শুরু করলাম। কিচ্ছু নেই আর। হতাশ না হয়ে মনে হল, শার্ট, প্যান্টের পকেটও খুঁজে দেখি। সব হাতড়ে শুধু একটুকরো কাগজ পেলাম। সেখানে লেখা “বাসা নং ১৫বি, মহাখালী ডিওএইচএস”। আমি সেটা দেখে কিছুই বুঝতে পারলাম না। এটা কার বাসা, কিভাবে যেতে হয় আর কেনইবা আমি সেখানে যাব কিছুই মনে করতে পারলাম না। তবে একটি বিষয় বুঝতে পারলাম আমি সম্ভবত এখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই বের হয়েছি। তারপরে আবার মনে হল তাহলে ব্যাগপ্যাক নিয়ে কেন? আমার মাথায় সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে আবার। আমি চিন্তা করা বন্ধ করে দিলাম।
আবার হাঁটতে শুরু করলাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সূর্যটা হেলে পরছে, বুঝতে পারলাম সন্ধ্যা হতে হয়তো আর বেশি দেরী নেই। আমি হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলাম, রাত নামার আগেই লোকালয় খুঁজে বের করতে হবে। আর নাহলে কি হবে সেটা চিন্তা করারই সাহস পাচ্ছি না। এসব চিন্তা করছি আর দ্রুতগতিতে হাঁটছি হঠাৎ কিছু একটায় পা বেধে হোঁচট খেয়ে ধপাস এবং জ্ঞান হারালাম আমি।

২.
জ্ঞান হবার পরেই আমার মনে পরে গেল, আমি কে? আমার নাম, পেশা, কি হয়েছে সব। আমি আবীর, পেশায় একটি বেসরকারী ব্যাংকের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার। বয়স অনুপাতে পদটা বড়ই। অবশ্য এটা আমার প্রাপ্য কেননা আমি প্রচন্ড পরিশ্রমী আর সৎ। আমাদের চার বন্ধুর কুয়াকাটা যাওয়ার কথা। অনেকদিন থেকেই যাব যাব করা হচ্ছিল কিন্তু সবার সাথে সবার সময়টা ঠিক মিলছিল না। আমরা সেই স্কুলজীবন থেকেই বন্ধু, তারপরে কলেজে একসাথেই পড়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যদিও আলাদা হয়েছিলাম কিন্তু যোগাযোগটা আগের মতই ছিল।সেদিন হঠাৎ করেই ঠিক করলাম সবাই যে, না এবার যেতেই হবে, দরকার হলে চাকরীই ছেড়ে দিব তবুও যাবই।সে উদ্দেশ্যেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। যাচ্ছিলাম জীয়নের বাসায়, ওর বাসাই মহাখালীতে, ওর ওখানে সবার আসার কথা। তারপরে রওয়ানা হব কুয়াকাটার পথে। প্রায় সময়ই আমি ঠিকানাটা ভুলে যাই বলে লিখে রাখা, জীয়ন নিজেই লিখে দিয়েছিল। একবার ওর বাসায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল, আমি সেই মত বেরও হয়েছি কিন্তু মহাখালী পৌছে আর বাসা খুঁজে পাইনা। দুইদিন আগে মোবাইলটাও হারিয়েছি, আর মোবাইলের জন্য নাম্বারটাও মুখস্থ নেই। অনেকক্ষন খুঁজাখুঁজি করে শেষে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। এরপরই ও রেগেমেগে আমাকে ওর ঠিকানাটা লিখে দিয়েছিল। এসমস্ত কিছুই আমার ক্ষণিকের মধ্যে মনে পরে গেলো।

চোখ এতক্ষন বন্ধই ছিল। আস্তে আস্তে খুললাম। দেখি আমার তিন বেস্ট ফ্রেন্ড আমার দিকে শংকিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমার চোখ মেলা দেখে সাজু বলল, যাক মরিসনি তাহলে? মাহিন বলে উঠল, এই শালা সহজে মরবে না। ও মরলে আমাগো পেইন দিব কে? শালা কি ভয়টাই না পাওয়াইয়া দিছিল। জীয়ন বলল, অ্যাই তোরা থাম। বেচারা এরকম একটা অ্যাক্সিডেন্ট করছে, ওরতো কোন দোষ নেই। মাহিন বলল, ওর দোষ নাই মানে? ওরই তো সব দোষ। শালা রিক্সায় বসে কিসের ধ্যান করতাছিল কে জানে, নাইলে গাড়ির সামান্য একটা ধাক্কায় এইভাবে কেউ পরে? আর পরবি তো পর কিন্তু পইরা মাথা ফাটায়ে টাটায়ে এরাম রক্তের বন্যা বসায় দেয় কেউ? সাজু বলল, হ্যাঁ, কথাটা ঠিক। তা আবীর তুই রিক্সায় বসে কিসের চিন্তা করছিলি বলতো?

আমি এতক্ষন ওদের কথা শুনছিলাম, আর মজা পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি কত লাকি যে ওদের মত কিছু বন্ধু পেয়েছি। সাজুর কথায় সম্বিত ফিরে পেলাম। আমতা আমতা করে বললাম, ইয়ে মানে, তেমন কিছু না, এই কুয়াকাটা গিয়ে কি করবো এইসবই। মাহিন ক্ষেপে গিয়ে বলল, শালা যায়ই নাই এহনো, চিন্তা করতে গিয়া আমাগোরে চিন্তায় ফালায়ে দিয়া এহন আবার মানে মানে করতাছে। মনে লয় দেই একটা ঠুয়া, ফাটা মাথাটা আবার ফাটায়ে দেই। আমি বললাম, দোস্ত এবারের মত মাফ করে দে। এরপর থেকে রিক্সার হাতল শক্ত করে ধরে রাখবো, যাতে রিক্সা উল্টে গেলেও আমি না পড়ি।মাহিন গেল আরো ক্ষেপে, বলল দেখলি তোরা, শালা আবার ফাজলামিও করে, দিমু নাকি একখান ঠুয়া? জীয়ন সামান্য হেসে বলল, দিস পরে, আগে সুস্থ হোক তারপরে। সুস্থ হলে ওর বিচার হবে, আমাদের বেড়ানোর প্ল্যানটা এভাবে মাটি করে দেয়ার জন্য। আপাতত স্থগিত কর তোর ঠুয়াটা। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তুই বেশ ভাগ্যবান। যার গাড়ির ধাক্কায় তোর এ দশা সে তোকে তার গাড়িতে করেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। শুধু তাইনা, আমাদেরকেও খবর পাঠিয়ে তার গাড়িতে করেই এখানে নিয়ে এসেছে। এইসময় এরকম কেউ করে না।আমি বললাম, উনি কোথায়? আছেন না চলে গেছেন? সাজু বলল আছে, বাইরে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছেন তোর জ্ঞান ফেরার জন্য। জীয়ন বলল, চল আমরা বাইরে যাই, আর উনাকে পাঠিয়ে দেই। ওর কিছুক্ষন বিশ্রাম দরকার। আমরা এখানে থাকলে ওর বিশ্রাম হবে না। আমি না না করে উঠলাম। বললাম, তোদের বাইরে যাওয়ার কোন দরকার নেই। আমার বিশ্রাম হবে। জীয়ন বলল, না। আমরা বাইরে যাই। আমরা আছি, কিছুক্ষন পরে পরে এসে তোকে দেখে যাব। ডাক্তারও তোকে রেস্টে থাকতে বলেছে। ঠিক আছে থাক তাহলে আমরা বাইরে আছি, আর উনাকে ভিতরে পাঠিয়ে দিচ্ছি। রুম থেকে চলে যাওয়ার সময় মাহিন আমাকে চোখ টিপে দিয়ে গেল। আমি কিছুই বুঝলাম না।

৩.
আমি শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম, কে সেই ভালোমানুষ যে আমার জন্য এত কষ্ট করেছেন? তার নিশ্চয়ই আমার মত কোন ছেলে আছে অথবা ছিল। আমি নিশ্চয়ই তার সেই ছেলের কথা মনে করিয়ে দিয়েছি এজন্যই উনি আমার জন্য এত করেছেন।অথবা এম্নিতেই উনি ভাল মানুষ, মানুষকে সাহায্য করেন।
রুমের পর্দা সরিয়ে যিনি ঢুকলেন, তার সাথে আমার এতক্ষনের ভাবনার কোন মিলই নেই। আমার মনে হল, আমি আবার স্বপ্নের জগতে চলে গেছি যেখানে সবই অসাধারণ, অপূর্ব সুন্দর, পরীর মত, বাস্তবে যেরকম সম্ভব না।আমি দেখলাম, কল্পনার ডানাকাটা পরীটি আমার দিকেই আসছে, আমি তার শরীরের গন্ধ পেলাম। মনে হল, আমি যেন কোন রজনীগন্ধার বাগানে আছি। কারও শরীর থেকে এরকম গন্ধও আসতে পারে। পরীটি এখন আমার খুবই কাছে, চাইলেই আমি হাত বাড়িয়ে তাকে ধরতে পারি, কিন্তু আমার স্বপ্নটা ভেঙ্গে যাবার ভয়ে কিছুই করলাম না। মনে হচ্ছিল, পরীটি কিছু বলছে, কিন্তু আমিতো কিছুই শুনতে পাচ্ছিনা। ভাবলাম, স্বপ্নে মনে হয় অন্য কারো কথা শোনা যায় না।
কিছুক্ষন পরে হঠাৎ শরীরে কারো স্পর্শ পেতেই আমার সম্বিত হল, তাকিয়ে দেখি কল্পনার পরীটিই আমার সামনে দাঁড়িয়ে মানুষরূপে। আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, আপনি ঠিক আছেন তো? আমি কি ডাক্তার ডাকবো? আমি তড়িঘড়ি করে বললাম, স্যরি। হ্যাঁ, আমি ঠিক আছি। আপনি ভালো আছেন? উনি হেসে ফেললেন। আমি আমার সারা জীবনেও এরকম সুন্দর হাসি দেখিনি। আমি বললাম, হাসছেন যে? উনি বললেন, অসুস্থ আপনি আর আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন আমি ঠিক আছি কিনা, এটা কি হাসার মত না? আমি বললাম, আসলে কি বলব বুঝতে পারিনি তাই এটা জিজ্ঞাসা করেছি। উনি বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে। আমি অপ্সরা। আমি ভাবলাম, এ নাম ছাড়া আর কোন নামেই আপনাকে মানাতো না।উনি অবশ্য আমার মনের কথা শোনেননি, বলে চলছেন, আপনার নামটি আমি এতক্ষনে জেনে গেছি। আপনি তো আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। কেউ রিক্সা থেকে পরে এরকম রক্তারক্তি কান্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারে আপনাকে না দেখলে আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না।আমি আর কি একটা বিব্রতমার্কা হাসি দিলাম।উনি অবশ্য সাথে সাথেই বলে উঠলেন, না, না, আপনার বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আসলে দোষতো আমার গাড়ির ড্রাইভাবেরই, ওইতো ধাক্কাটা দিয়েছিল।আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামনের মাস থেকে ওর চাকরী নট। আমি বললাম, ওর আর তেমন দোষ কি? আসলে আমি রিক্সা ধরে বসিনি, তাই এরকম বিশ্রীভাবে পড়ে গিয়েছিলাম।

আমি দেখলাম উনি দাঁড়িয়ে আছেন। তাড়াতাড়ি করে বললাম, প্লিজ বসুন, দাঁড়িয়ে আছেন কেন? উনি বিছানার সাথের চেয়ারটিতে বসলেন। বললেন, শুনলাম আপনাদের নাকি কুয়াকাটা বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল? আমি আসলেই খুব দুঃখিত, আমার জন্য আপনাদের বেড়ানোটা মাটি হয়ে গেল। আমি বললাম, আপনি এভাবে আমাকে বারবার স্যরি বলেতো বিশাল লজ্জায় ফেলে দিচ্ছেন। এতে বরং আমার নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে। অপ্সরা বলে উঠলেন, আচ্ছা ঠিক আছে, আর বলবো না তাহলে। কিন্তু আপনি বলুন যে আমাকে ক্ষমা করেছেন? আমি বললাম, ক্ষমা? আরে আপনিতো দোষই করেননি, ক্ষমার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? আচ্ছা আপনি যখন বলছেন, করলাম আপনাকে ক্ষমা।কিন্তু এক শর্তে, আপনি আমার বন্ধু হবেন? অপ্সরা হেসে বললেন, হ্যাঁ, আজ থেকে আমরা বন্ধু। আমি মনে মনে বললাম, “আজীবনের বন্ধু”।

অ.ট. সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা...


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

১)
গল্প ভাল্লাগেনি!
প্রথমে যাও শুরু হলো... শেষটায় একেবারে বাংলা সিনেমার কথা মনে পড়ে যায়! দেঁতো হাসি
অবোদ্ধার কড়াসুরে ঘাবড়ে যাবেন না, লিখতে থাকুন.. হাসি

২)
[চোঁখে> চোখে, আধঁঘন্টা> আধঘন্টা, পিঠেঁ> পিঠে,

ক্ষনিকের> ক্ষণিকের, এতক্ষন> এতক্ষণ, কিছুক্ষন> কিছুক্ষণ

না পরি> না পড়ি, পরে গিয়েছিলাম> পড়ে গিয়েছিলাম

বসায় দেয়> বয়ায়/বইয়ে দেয় ]

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, তিথী। "চোঁখ" দেখে আমি আর গল্পের ভেতর ঢুকতে পারিনি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ এরকম বোল্ড (দুঃখিত, এটার সঠিক বাংলাটা মনে করতে পারলাম না)।
"চোঁখ" বানানটার জন্য লজ্জা লাগছে...কিভাবে যে এটা হল বুঝতে পারছি না...অ্যাঁ
অন্যগুলো শিখলাম... হাসি
আর ঘাবড়ে যাইনি, একটু ভয় পাইছি...দেঁতো হাসি

পাগল মন

মর্ম এর ছবি

শুরুটা ভালো লেগেছে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে...

পাগল মন

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরুটা ভালোই ছিলো। কিন্তু মাঝখান থেকে একটু কেমন যেন ..........

ব্যাপার না! ধীরে-ধীরে হয়ে যাবে ..... হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক হলে তো ভালই...মন খারাপ
ধন্যবাদ জিয়া ভাই...

পাগল মন

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে ........... মানে ...........

আমাকে সচলায়তন-এ নিক নামে ডাকলে ভালো হত না ........

- মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহলে কি বলে ডাকবো? বিহঙ্গ ভাই না মুক্ত ভাই? খাইছে

পাগল মন

সচল জাহিদ এর ছবি

মামুন এটা মনে হয় সচলে তোমার প্রথম গল্প। এর আগে আত্মজীবনীমূলক দুটি পোষ্ট দেখেছিলাম। লেখা প্রসংগে কিছু কথাঃ

আবীরের জ্ঞান ফেরার পর গল্পটা শেষ হয়ে গেলে ভাল হতো, শেষের নাটকীয়তা কিছুটা হলেও গল্পকে ম্লান করেছে। শুধু প্লট নয়, পুরো গল্পের তুলনায় শেষের অংশের বুননও আমার কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে, কিছুটা অতিকাব্যিক।

আরো লিখ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম, সচলে না জীবনেরই প্রথম গল্প লেখার চেষ্টা এটা... হাসি
শেষ প্যারাটা নাটকীয় হয়ে যাচ্ছে সেটা লেখার পরই বুঝতে পেরেছি কিন্তু বদলাতে ইচ্ছে করেনি। ইয়ে, মানে...
ধন্যবাদ স্যার, অনুপ্রেরণার জন্য...

পাগল মন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

'পাগল মন' ভাই কি বুয়েটিয়ান নাকি ?? জাহিদ ভাইকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করছেন দেখি... কোন ব্যাচ বস ??

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম, বুয়েটিয়ান ই... ০২ ব্যাচ... আপনি কোন ব্যাচ?

পাগল মন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমি ০৬ ব্যাচ ভাই। ...

আপনার আরো নিয়মিত লেখা আশা করবো।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লেগেছে।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শুরুটা ভালো ছিলো, আশাকরি পরের গল্পটা আরো অনেক সুন্দর হবে। চালিয়ে যান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।