নায়াগ্রাকাহন (পর্ব ১)

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৯/০৮/২০১১ - ৮:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলাতেই পড়েছিলাম নায়াগ্রা ফলসের কথা, এর রূপের বর্ণনা। কানাডা আসার পরে এসে উঠলাম ওয়াটারলু শহরে। এই শহরে কিছুই দেখার নেই, একটা মাত্র পার্ক আছে আর আছে সবেধন নীলমণি ইউনিভার্সিটি। আশেপাশের শহরের মধ্যে আছে টরেন্টো। নতুন এসেছি ভাবলাম গাড়ি ছাড়া কি আর টরোন্টো ঘোরা যায়। তাছাড়া এখানকার সিনিয়র ভাইরাও গাড়ি ছাড়া টরোন্টোতে যান না দেখে আমার সে ধারনা আরো পোক্ত হল। যাওয়ার মধ্যে যাওয়া যায় নায়াগ্রা ফলস দেখতে। অনেক সস্তায় নাকি যাওয়া যায়। নায়াগ্রাতে অনেক ক্যাসিনো আছে তারাই বাসে করে নিয়ে যায় আবার দিয়েও যায়, খরচ মাত্র ১০-১৫ ডলার সাথে দুপুরের বুফে লাঞ্চ। ভাবলাম যাই দুজনে মিলে ঘুরে আসি।

ক্যাসিনো এক্সপ্রেস নামে একটা ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে কখন, কোথা থেকে বাস ছাড়ে সেসব খোঁজ খবর নেয়া যায়। আমি সেখান থেকে দেখে একদিন ঠিক করলাম আমরা নায়াগ্রা দেখতে যাব। যথারীতি যাত্রার দিন দুজনে বাসের ওখানে এসেছি। বাসে আমরা ছাড়া আর সবাই বুড়োবুড়ি। একজনকে পাওয়া গেল যার ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি। ম্যারেজ অ্যানিভার্সারিতে দিনটা নিজের মত কাটানোর জন্য একা একা যাচ্ছে জুয়া খেলতে। আমরা ছাড়া আর বাসের সবারই একটাই উদ্দেশ্য, টাকা উড়ানো। আমরা আর আমাদের অভিলাষ বললাম না, যদি ঘাড় ধরে নামিয়ে দেয়।

ওয়াটারলু হতে নায়াগ্রা, দুরত্ব খারাপ না, আর বাসে যেতে তো অনেকক্ষণ লাগে। বাসে আসতে আসতে একজনের সাথে পরিচয় হল, ক্যারিবিয়ান। আমরা কোন দেশের বলার পরে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, ক্রিকেট খেলি কিনা? আমি উত্তর দিতেই উনি বললেন উনিও খেলেন। কানাডার জাতীয় দলেও নাকি খেলেছিলেন একসময়। বাসের কন্ডাকটর (আসলে ম্যানেজার) মহিলা বেশ মিশুক, সবার সাথে আলাপ করছেন। উনি অনেককে চেনেনও। আমরা সবচেয়ে কম বয়সী দেখে আমাদের সাথেও কিছুক্ষণ আলাপ করলেন। এভাবে বেশ মজা করেই আমরা প্রায় দুপুরের দিকে পৌছালাম। কিন্তু আসার পথে আমার মনে একটু খুঁতখুঁত করছিল, ভাবছিলাম দূর থেকে নিশ্চয়ই নায়াগ্রা দেখা যাবে। আসার পথে নায়াগ্রা না দেখতে পেয়ে, এমনকি পানির শব্দও না পেয়ে ভাবলাম যে রাস্তা থেকে মনে হয় দেখা যায় না। বাস থেকে নেমেই সবার ক্যাসিনোতে ঢুকতে হয়, আগে রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। আমরা ভেতরে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলাম তারপরে রিসিপশনিস্টকে জিজ্ঞাসা করতেই মাথার উপরে বাজটা পরলো। আমরা যেখানে এসেছি সেটা নায়াগ্রার কাছের ক্যাসিনোই না, এটা সম্পূর্ণ অন্য এলাকার। তখন যে আমার নিজেকে কিরকম গাধাটাইপ মনে হচ্ছিল সে আর বলার নয়। আমি ভেবেছিলাম যে ওই ওয়েবসাইটের সবগুলো বাসই নায়াগ্রা যায় তাই আর প্রত্যেকটা বাসের গন্তব্য আলাদা করে চেক করার দরকার মনে করিনি। তার ফলেই এরকম ধরা খেলাম।

কী আর করার? এসে যখন পরেছি, এই বাস ছাড়াতো আর ফিরতে পারবো না। তাই আমরা সারাদিন ক্যাসিনোর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে কাটিয়ে দিলাম, ক্যাসিনোতেতো আর আমাদের কোন কাজ নেই। লাঞ্চের সময় ক্যাসিনোতে ঢুকে ধীরেসুস্থে আমরা বুফে খেলাম। কিন্তু তারপরেও মনে হচ্ছিল সময় যেন কাটেই না। অনেক অনেক অনেকক্ষণ পরে ফেরার সময় হল। এই ধরা খাওয়ার কথা এর আগে অবশ্য কাউকে বলিনি। আজই প্রথম। হাসি

এর কিছুদিন পরেই আমরা আবার নায়াগ্রা যাওয়ার চিন্তা করলাম, এবারে আর আগের মত ভুল করিনি। যে বাস নায়াগ্রা যায় সেটাতেই চড়ে বসলাম। এই বাসেও আমরাই সর্বকনিষ্ঠ। নায়াগ্রার কাছে যেতেই দূর থেকে নায়াগ্রা দেখে আমার বউ বলল, “কী ময়লা পানি, দেখতে ভালো না। আসাটাই বৃথা হল মনে হয়।“ আমি শুনে খুবই অবাক হয়েছিলাম। যাহোক সামনাসামনি দেখে অবশ্য ওর ভুল ভেঙেছিল। প্রথমবার যেদিন নায়াগ্রা যাই সেদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ছিল এটা মনে আছে। অবশ্য বৃষ্টি আমাদের তেমন কোন বাঁধার সৃষ্টি করতে পারেনি, শুধু মেমোরি কার্ড ভর্তি করে ছবি তুলতে পারিনি চোখ টিপি । আমরা মনের আনন্দে নায়াগ্রা দেখে, ছবি তুলে দুপুরে ক্যাসিনোতে গিয়ে প্যাকেজে ইনক্লুডেড বুফে লাঞ্চ সেরে গেলাম “মেইড অফ দা মিস্ট” দেখতে। এটার অনুভূতি অসাধারণ, ভাষায় বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই। লঞ্চে করে আমরা দুটো ফলেরই অনেক কাছে যেতে পেরেছিলাম। যদিও হর্সসু ফলের অত কাছে যাওয়া যায় না তবুও যতটুকু যাওয়া যায় তাতেই অনেক আমাদের জন্য। নায়াগ্রা ফলস দেখতে গিয়ে মেইড অফ দা মিস্ট টাই ছিল সবচেয়ে বড় পাওয়া।

Horseshoe falls1

Horseshoe falls2
হর্সসু ফলস, কানাডা

Maid of the mist
মেইড অফ দি মিস্ট

এর পরেরবার নায়াগ্রা আমরা মনে হয় কয়েকমাসের ব্যবধানেই গিয়েছিলাম, এবারও সেই মেইড অফ দা মিস্ট। দ্বিতীয়বারেও এর আমেজ কোন অংশে কম ছিল না, যদিও খুব কম সময়ের ব্যাবধানে দুইবার আসায় নায়াগ্রা আর তত ভালো লাগছিল না। প্রতিবার এসেই আমেরিকার ফলসটা দেখে ওদের জন্য মায়া লাগছিল। এজন্যই ওরা ওদের ফলসটা সংস্কার করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু অনেক খরচসাপেক্ষ হওয়ায় পরে সে চিন্তা বাদ দেয়। আসলে ওদের ফলের সৌন্দর্যটা ফলের নীচে পরে থাকা বড় বড় বোল্ডারগুলোই অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে।

American falls1
আমেরিকান ফলস

আমাদের আমেরিকার ভিসা না থাকায় প্রথম দুবারেই কানাডার অংশ দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। দূর থেকে রেইনবো ব্রিজ আর ওপাশের বিল্ডিংগুলোর ছবি তুলেই তুষ্ট হয়ে ফিরে আসি আর মনে মনে বলি ভিসা হইলে যামু একদিন আমরাও। এছাড়া ফেরার বাস ছাড়ে বিকাল ৫টায় এজন্য রাতের ফলসও আমরা প্রথম দুবারে দেখতে পারিনি। রাতের ফলস দেখতে হলে নায়াগ্রাতে রাতে থাকতে হবে অথবা গাড়ি নিয়ে আসতে হবে যেটা তখন সম্ভব ছিল না। (চলবে)


মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

১৩ মাস হল আম্রিকার ভিসার জন্য অপেক্ষা করছি ইদানিং মেইল করে স্ট্যাটাস কি জানতে চাইলেও কোন উত্তর দেয়না! যাবনা আপনাদের দেশে, নর্থ আমিরিকান্রা লোক ভালো না। এর চেয়ে আমার নিরীহ ইউরোপেই ভালো, বেশি ভাব নিলে নিজেরাই একটা নায়াগ্রা বানায়ে ফেলব দেঁতো হাসি তাও কানাডা আম্রিকা যাবনা
[ছবি খুব সুন্দর হয়েছে]
মাহমুদ

পাগল মন এর ছবি

কানাডা ভালু দেশ, সহজে ভিসা দেয়। এজন্যইতো কানাডা আসছি। আপনি আবেদনপত্র চেঞ্জ করে কানাডায় করে ফেলেন, দেখবেন ঠিকই পেয়ে গেছেন। হাসি
আর ইউরোপতো ভালই, খারাপ কে বলল? চোখ টিপি খালি সেখানে কোন নায়াগ্রা নাই। দেঁতো হাসি

[ছবি খুব সুন্দর হয়েছে]

লইজ্জা লাগে

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আর্য এর ছবি

কি বলেন ভাই, আমি গত বৃহস্পতিবার আবেদন করলাম আমেরিকার ভিসার, শুক্রবার ভিসা লাগায়া পোস্ট করে দিছে, আমি সোমবার পেয়ে গেছি। আব্বাক ব্যাপার!

পাগল মন এর ছবি

আপনে ভাই বিশাল সৌভাগ্যবান। সাধারণত মেয়েরা দুইতিনদিনে ভিসা পায়। খুব কম ছেলেই দুতিনদিনে ভিসা পেয়েছে আমার জানামতে। আমার পেতে লেগেছিল পাক্কা দুইমাস।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নিটোল. এর ছবি

আমরা ইন্টারনেটে ছবি দেইখাই খুশি! আহারে! কবে যে এইসব জিনিশ নিজ চোক্ষে দেখমু!!!

পাগল মন এর ছবি

চলে আসেন, আসলেই দেখতে পাবেন।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভেবেছিলাম দুজনেই যখন পানিসম্পদ এঞ্জিনিয়ার, তখন নায়েগ্রার জল নিয়ে আপনাদের মধ্যে আলোচনার অনেকটুকুই শেয়ার করবেন। কিন্তু এ দেখি সেই বর্ণনা, "ভগবান, তুমি এই দুটি চোখ দিয়েছিলে..."। যাক পানিসম্পদের চাইতে পানিসৌন্দর্য বোধকরি বেশী উপাদেয়। লেখায় উত্তম জাঝা!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পাগল মন এর ছবি

রোমেল ভাই, পানিসম্পদের ইঞ্জিনিয়ার দেখেই পানি নিয়ে আলোচনা করিনা খালি পানির ছবি তুলি। দেঁতো হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

guest_writer এর ছবি

আমি একবার ইত্যাদিতে নায়াগ্রা দেখেছি। শুনেছি এটা নাকি পূর্নিমা রাতে সম্পুর্ণ অন্যরূপ ধারন করে। পূর্ণিমাতেই নায়াগ্রা নাকি সবচেয়ে সুন্দর?
ছবিগুলো অনেক সুন্দর।

দীপাবলি।

পাগল মন এর ছবি

আমিও প্রথম মনে হয় ইত্যাদিতেই নায়াগ্রা দেখেছিলাম।
পূর্ণিমার রাতে নায়াগ্রা দেখা হয়নি। মন খারাপ
আপনার কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হলেও একবার নায়াগ্রা দেখতে পূর্ণিমার রাতের আলোয়। তবে পূর্ণিমার রাত না হলেও কিন্তু নায়াগ্রার রূপ খারাপ না।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আকামের আবদুল এর ছবি

নায়াগ্রা কানাডার দিকটাই আসল, আমেরিকার ভাগে পড়েছে চার আনা; পানি-প্রবাহ এ পারে খুবই কম। কাজেই আপনার আফসোসের কোন কারণ নেই।

পাগল মন এর ছবি

আমি আফসোস করছি না আসলে। তারপরেও আমেরিকার এত কাছে এসে আমেরিকা যেতে না পারাটা বেশ মন খারাপ করা ব্যাপার।
তবে পরেরবার অবশ্য গিয়েছিলাম। সে এক বিরাট ইতিহাস। পরের পর্বে লিখব। হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

guest_writer এর ছবি

নায়াগ্রা জল প্রপাত রাতে না দেখলে মিস করবেন, রাতের সৌন্দর্য আসলেই অন্য রকম, যদিও বিশেষ কোন আয়োজন থাকে না, আমার খুব ভালো লেগেছে। তবে একটা কথা আছে (জানতে চাইলে ইনবক্সে বলতে পারি)!!!

========
আমি জানি না

পাগল মন এর ছবি

হুমম, রাতের নায়াগ্রা আসলেই অন্যরকম। সেটা পরে দেখেই বুঝতে পেরেছি।
আর আয়োজন কিন্তু থাকে ভালোই, লাইটিং, সামারে ফায়ারওয়ার্কস।

অ.ট. আপনি ইনবক্সে বলতে পারেন কী বলতে চান।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

guest_writer এর ছবি

কিছু ব্যাপার আছে, পাবলিক এর সামনে কইলে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়ব, এইজন্যই বললাম সেটা পারসনালি বলাই ভাল।

(ইনবক্সের ঠিকানা না থাকলে কেমনে কি?)

========
আমি জানি না

পাগল মন এর ছবি

হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

guest_writer এর ছবি

মেইল দিসি, চেক কইরেন দেঁতো হাসি

পাগল মন এর ছবি

মেইল পাইসি। আরে এগুলানতো এখানেও বলতে পারতেন।
তবে আমি আবার ভালা পোলা তো এগুলান খাইনা। চোখ টিপি রাতের বেলা আসলেই নায়াগ্রা অনেক সুন্দর। আমরাও অনেকক্ষণ ছিলাম আর নায়াগ্রার বিভিন্ন রূপ উপভোগ করেছি।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

guest_writer এর ছবি

নাহ, এগুলান এইখানে কইলে মাইনষ‌্যে কি কইব?

ভাল থাকুন, সবসময়।

পাগল মন এর ছবি

তা অবশ্য ঠিক।

আপনিও ভালো থাকুন সবসময়। ঈদ মোবারক।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পাগল ভাই, ছবিগুলোতে এরকম শ্যাওলা ধরেছে কেন? চোখ টিপি

পাগল মন এর ছবি

পিপিদা, ছবিগুলো ফেসবুকে ছিল অনেকদিন। পরে থাকতে থাকতে শ্যাওলা ধরে গেছে মনে হয়। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নায়াগ্রা অনেক দূর মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পাগল মন এর ছবি

চলে যাবেন একদিন, দেখবেন দূরত্ব কোন ব্যাপার না। পারলে একটা কনফারেন্স খুঁজে বের করেন, তাহলেই নিখরচায় যেতে পারবেন। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছবি কম - তাই মাইনাস খাইছে

কতদিন হল কানাডা আছি, নায়াগ্রা যাওয়া হয় নাই। তাও ভাল, লেখার মাধ্যমে কিছুটা পরিচিতি হল

পাগল মন এর ছবি

আপনার মত ছবি তুলতে পারলে সচল ভাসায়ে ফেলতাম ছবি দিয়ে। চোখ টিপি

চলে যান, দেখার মত একটি জায়গাই বটে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

কৌস্তুভ এর ছবি

দেখা হয় নাই মন খারাপ

পাগল মন এর ছবি

কৌস্তুভদা ঘুরে আসেন একবার।
টাকা উসুল হবেই, নাহলে মূল্য ফেরত। হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অপছন্দনীয় এর ছবি

হুম...

পাগল মন এর ছবি

চিন্তিত

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চমৎকার লেখা আর ছবি, মামুন ভাই!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

সুমন তুরহান এর ছবি

লেখায়-ছবিতে উত্তম জাঝা!

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।