আম্রিকা গমন বৃত্তান্ত

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৫/২০১১ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় অনেকের মত আমারো মনে বড় আশা ছিল বড় হয়ে আম্রিকা যামু, কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে সে আশা এক্সপোনেন্সিয়ালি কমতে থাকে। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পরে আবার সে আশার পালে একটুখানি হাওয়া-বাতাস লাগে বড়ভাইদের আম্রিকা যাওয়ার আগ্রহ/সুযোগ দেখে।

কিন্তু যেতে হলে পাড়ি দিতে হবে বন্ধুর পথ, পাশ করতে হবে জি.আর.ই নামক এক পুলসিরাত। থার্ড ইয়ারে উঠে সে পুলসিরাত পাড়ি দেয়ার জন্য বইটই কিনে আনলাম, পড়তেও বসলাম কয়েকদিন। তারপরে ভাবলাম আমার দ্বারা আর যা-ই হোক এই পুলসিরাত পাড়ি দেয়া হবে না। তাই আমার ডিপার্টমেন্টের অনেক স্যারম্যাডামদের মত আমিও সহজে নামায শিক্ষার মত সহজে বিদেশে আসার উপায় ধরলাম, কানাডা চলে আসলাম। অনেক চেষ্টা করসিলাম যাতে টোফেল/আই.এল.টি.এসও দিতে না হয়, কিন্তু কপালের ফেরে পড়ে সেটা অবশ্য দিতে হয়েছিল, সে আরেক ইতিহাস।

কানাডা আসার পরে মনে হল আম্রিকা এত কাছে, তবু অচেনা টাইপ। বাপ-মায় শখ করে এমন নামই রাখছে যে নামের ভয়েই আমি আম্রিকা যাওনের চিন্তা দুইবছর করি নাই। লাদেন সাবের ১০ বছর আগের একখান পবিত্র (!) কামের জন্য আমার মত নাদানদের এহেন দুরবস্থা। যাহোক, কিছুদিন পরে আম্রিকায় একটা কনফারেন্সে যাওয়ার সম্ভাবনায় আমি দোয়া দরুদ পড়ে দিলাম অ্যাপ্লাই করে আম্রিকার ভিসার। ভালোয় ভালোয় সাক্ষাতকারও হয়ে গেল। আমি দুনিয়ার যত ডকুমেন্ট আছে সব নিয়ে হাজির হলাম সাক্ষাতকারের জন্য কিন্তু কোন ডকুমেন্ট একটু ছুয়েও দেখল না ওরা। আমার পাসপোর্টটাও রাখলো না, বলল পাসপোর্ট রাখলে দেরি হলে তুমি চিন্তিত হয়ে পরতে পারো। আহা, আমার চিন্তায় ওদের ঘুম আসতেছে না। আমাকে একটি ইমেইল অ্যাড্রেস লিখে দিল, বলল দুই সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা কিছু না জানাই তাহলে দুশ্চিন্তা না করে এই ঠিকানায় ইমেইল করতে। আমি ঠিক দুই সপ্তাহ পরেই দিলাম একটা ইমেইল। আমাকে জানানো হল, আমার পাসপোর্ট ইনফরমেশন ওরা ভ্যারিফাই করছে, এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত ৬০ দিন সময় লাগে, তবে এর বেশিও লাগতে পারে। আমি বুঝলাম যে আমার এর বেশিই লাগার সম্ভাবনা উজ্জ্বল, কেননা ফেসবুকে কিংবা গুগলে আমার নাম দিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার মানুষ পাওয়া যাবে। এত মানুষ সার্চ করতে একটুতো বেশি সময় লাগতেই পারে। যেদিনই দিক, আমার কনফারেন্সের আগে দিলেই আমি খুশি। পাক্কা ৬০ দিন পরে ওরা আমাকে আমার পাসপোর্ট ইউ.এস কন্স্যুলেটে পাঠাতে বলল। আমি প্রায় ৭০ দিন পরে আম্রিকা যাওয়ার ভিসাসহ আমার পাসপোর্ট পেলাম। ভিসার অ্যাপ্লাই করার আগেই জানতাম স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন নামক এক অদ্ভুত যন্ত্রনার কথা, বেশিরভাগ মুসলিমরা (!) যেটার ভিকটিম। আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে আমার যে নাম তাতে আমার স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন পাওয়া মাস্ট, আর ভিসা পাওয়ার দেরি দেখে আমার এই ধারনা আরো পাকাপোক্ত হল। ভিসা পাওয়ার পরে দেখলাম ভিসায় এক স্টার, যেটার মানে আমরা বের করেছি যে স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন। কী আর করা, মুসলমান হয়েছি, তার উপরে যে নাম তাতে ভিসা যে দিয়েছে এতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত আমার, স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে চিন্তা করার বিলাসিতা করা মানায় না।
ভিসা পাওয়ার পরে হঠাৎ এক আড্ডায় এক আপু জিজ্ঞাসা করল আম্রিকা যাবো কিনা, উনারা সামনের উইকেন্ডে যাচ্ছেন। আমি সানন্দে রাজি হলাম। আমরা যাবো পাঁচজন, টিউলিপ ফেস্টি্ভ্যাল দেখতে। ওয়াশিংটন স্টেটের স্ক্যাগিট ভ্যালিতে প্রতি বছর এপ্রিল মাসে টিউলিপ ফেস্টিভ্যাল হয়, সেটা আর কিছুই না, ওখানে মাঠের পর মাঠ শুধু টিউলিপ আর টিউলিপ ফুটে থাকে (আসলে চাষ করা হয়)। আমি এর আগের বছর এখানকার কয়েকজনের ছবি দেখে সেখানে যাওয়ার জন্য বেশ উৎসাহী ছিলাম। তবে এ বছর ওয়েদারের অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় ভয়ে ছিলাম যেদিন যাবো সেদিন কেমন ওয়েদার থাকে, শেষ পর্যন্ত অবশ্য বেশ ভালো ওয়েদার ছিল। এপ্রিলের নয় তারিখ সকাল সকাল আমরা একটি ভাড়া গাড়ি করে রওয়ানা দিলাম টিউলিপ ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্যে।

একঘন্টার মধ্যেই পৌছে গেলাম আম্রিকান বর্ডারে। সেখানে পৌছানোর পরেই আমাদের সহযাত্রী এক বড়ভাই বললেন, "উফ ভুল হয়ে গেছে। আমিতো দুইটা আপেল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি কিন্তু ফলমূলতো নিয়ে বর্ডার পার হওয়া যায় না।" একথা শুনেতো আমার মাথায় হাত। আমি শুধু আজকের জন্যই আগের দিন বাজার থেকে ফ্রেশ আঙু র কিনে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এসেছি, আপেলও এনেছি, আর বলে কিনা ফলমূল নিয়ে যাওয়া যাবে না! এই দুঃখে আমি কাতর হয়ে পরলাম। বর্ডারে ঢোকার মুখেই আমরা বললাম যে আমরা ভুলে কিছু ফল নিয়ে এসেছি। বর্ডারে অনেকক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হল। অবশেষে অফিসারের সামনে হাতের ছাপ দিলাম, পেয়ে গেলাম "আই ৯৪" মাত্র ছয় ডলারের বিনিময়ে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে আমাকে স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন দিলো না। আমিতো বিরাট খুশি এতে। পরে সব ফর্মালিটি সেরে গাড়িতে এসে দেখি ওরা ফলগুলো ফেলে দেয়নি, আবার খুশি।

বর্ডার পার হয়ে আমরা রওয়ানা হলাম টিউলিপ ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্যে। স্ক্যাগিট ভ্যালিতে পৌছাতে বেশিক্ষণ লাগল না। ছোট্ট শহর কিন্তু ছিমছাম। আমরা কিছুক্ষণ চক্কর দিলাম যে সামনে কোন ক্ষেত পরলে নেমে ছবি তুলবো। কিন্তু অনেকক্ষণ চক্কর দেয়ার পরেও কোন টিউলিপের ক্ষেত চোখে পড়লো না। শেষে আমরা গেলাম শহরের ট্রেন স্টেশন কাম ইনফরমেশন সেন্টারে খোঁজ নিতে, ঘটনা কী। ইনফরমেশন সেন্টারের মহিলা আমাদের সাথে খুব-ই ভালো ব্যাবহার করলো। জানতে চাইল, আমরা কোথা থেকে আসছি। আমরা কানাডা থেকে এসেছি বলতেই আমাদের আম্রিকায় স্বাগতম জানালো। তারপরে যা বলল, তাতে আমাদের আম্রিকা আসার আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। জানালো এবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে টিউলিপের মৌসুম পিছিয়ে গেছে, অন্তত পনেরদিন। আমাদের মাথায় হাত। আমরা সবাই ওয়েদারের চিন্তাতেই কাহিল ছিলাম, টিউলিপও যে না ফুটতে পারে এটা কারো মাথাতেই আসেনি। মহিলা তবু আমাদেরকে একটা ম্যাপ ধরিয়ে দিয়ে বলল, তোমরা এসব জায়গায় গিয়ে দেখতে পারো, কিছু টিউলিপ ফুটলেও ফুটতে পারে। আমরা ভগ্ন মনরথে গাড়িতে চলে আসলাম। এরপরে গাড়ি নিয়ে গেলাম ম্যাপে চিহ্নিত জায়গাগুলোতে। কিন্তু কিছুই নাই। টিউলিপের বদলে মাঠের পরে মাঠ শুধু ড্যাফোডিল ফুটে আছে, তা আবার একই কালারের, হলুদ। দেখতে অনেকটা বাংলাদেশের সরিষা ক্ষেতের মত। আমার যদিও দেশের সরিষা ক্ষেতই বেশি ভালো লাগে। আমরা আর কী করবো, সেই সরিষা ক্ষেতেই ছবি তোলার আয়োজন করলাম। সবাই বিভিন্ন পোজে ছবি তোলা শুরু করলাম, “No Trespassing” সাইন অমান্য করে। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের গাড়ি চলে আসল। আমাদের মত আরো অনেকেই মাঠে নেমে ছবি তুলছিল। আমরা রাস্তার ওপাড়ে পুলিশের গাড়ি আসতে দেখেই গাড়িতে উঠে গেলাম। এরপরে আরো কিছুক্ষণ শহরে চক্কর দিয়ে আমরা রওয়ানা হলাম শপিং আর সিয়াটলের উদ্দেশ্যে। বিকেলে শপিং মলে কিছু কেনাকাটা করে আমরা সন্ধ্যার পরে সিয়াটলে পৌছালাম। আমাদের ইচ্ছা ছিল সেখানে প্রথম প্রতিষ্ঠিত স্টার বাক্স কফিশপটা দেখার। সেটা ডাউনটাউনে। কিন্তু ডাউনটাউনে পৌছে দেখি পার্কিং পাওয়া যাচ্ছে না, যাও আছে সেটা অনেক খরুচে, আমরা অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে একজায়গায় সস্তায় পার্কিং পেয়ে গাড়ি পার্ক করে প্রথম স্টার বাক্স কফিশপে গেলাম, কফি খেলাম, ছবিও তুললাম। কফি আমার কাছে আলাদা মনে হয়নি তবে ওদের কফি বানানোর মেশিনটা আলাদা, সম্ভবত পুরোন ঐতিহ্য বজায় রাখছে। আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পরে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম। আসার পথে স্পীডিং এর জন্য একটা টিকিটও খেয়ে গেলাম, যেটা আবার ঐ ভাইয়ের প্রথম স্পীডিং টিকেট, সেটাও উনি খেলেন মাত্র ১২ মাইল (!) বেশি স্পীড তোলার জন্য যদিও উনি প্রায়ই এর চেয়েও বেশি স্পীডে গাড়ি চালান। কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আর কী?

ফেরার পথে ঐ ভাইয়ের স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন থাকায় আবার ইউ.এস. বর্ডার হয়ে ফিরতে হবে, তো আমাদেরও সাথে যেতে হবে। আমরা ওদেরকে জানায়ে কানাডায় ফেরত আসলাম।

এই হচ্ছে আমার প্রথম আম্রিকা যাওনের কাহিনী। এই ট্রিপের কিছুদিন পরেই একটা সুখবর পেলাম যে আম্রিকান সরকার স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন জিনিশটা বাতিল করে দিয়েছে। এ থেকে আমার জিনিশটা পরিষ্কার হল কেন আমাকে স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন দেয়নি। ওরা তখন এটা বাতিলের প্রক্রিয়ায় ছিল হয়ত।

টিউলিপের ছবিতো তুলিনি (মানে তুলতে পারিনি আসলে), ড্যাফোডিলের ছবিই দিলাম, সাথে একটা টিউলিপের কলি (অনেক খুঁজেপেতে একজায়গায় গিয়ে কিছু টিউলিপের কলির দেখা মিলেছিল, সেটারই আমরা আহ্লাদিত হয়ে অনেক ছবি তুলেছিলাম)।

Daffodil 1

Daffodil 2

Tulip 1
টিউলিপের কলি (এক জায়গায়ই পেয়েছিলাম)

Star Bucks
প্রথম স্টার বাক্স (প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭১)


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার লাগল পড়তে। প্রথম দুই ছবি আরো ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা নিরন্তর

পাগল মন এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেতদা।
আপনাকে শুভেচ্ছা।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

সজল এর ছবি

এই নামে আমিও একটা লেখা লিখেছিলাম হাসি । ছবি দুর্দান্ত হইছে, লেখাও ভালো লাগলো।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

পাগল মন এর ছবি

ওপস, সরি। আপনার লেখাটা পড়েছিলাম কিন্তু আমি যে একই নাম দিয়েছি খেয়াল করিনি।
পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

পাগল মন এর ছবি

উল্লম্ফজনিত ঘ্যাচাং

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

ভালো লাগলো

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

সচল জাহিদ এর ছবি

লেখা মজারু হয়েছে। স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন বাতিলের খবর শুনে ভাল লাগল।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আমারও খবরটা শুনে লাফাতে ইচ্ছা করছিল।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

রু (অতিথি)  এর ছবি

লেখা, ছবি ভালো লেগেছে।

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মজাই লাগলো পড়ে। তবে লেখা ছবির চাইতে বেশি ভালো হয়েছে। ...

ইয়ে, টোফেল দেয়ার ইতিবৃত্ত নিয়া একটা শিক্ষামূলক ল্যাখা দ্যান দেঁতো হাসি

পাগল মন এর ছবি

ছবি ভাল্লাগে নাই? ওঁয়া ওঁয়া

টোফেলের ইতিবৃত্ত নিয়ে মজার কিন্তু করুণ একটা কাহিনী আছে। আর শিক্ষামূলক ল‌্যাখা আমার দ্বারা সম্ভব না। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

টিউলিপের এতো বিরাট মিছিল দেখে প্রথমে ভাবছিলাম সরিষা ক্ষেত!

পাগল মন এর ছবি

আপনি টিউলিপের মিছিল কোথায় পেলেন? এতো ড‌্যাফোডিলের মিছিল। হাসি
আর দূর থেকে দেখলে ড্যাফোডিলের মাঠকে সরিষা ক্ষেত বলে মনে হয় অনেকটা।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

তিথীডোর এর ছবি

টিউলিপের এতো বিরাট মিছিল দেখে প্রথমে ভাবছিলাম সরিষা ক্ষেত!

হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

ভাল্লাগলো। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

পাগল মন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

লেখা এবং ছবি খুবই সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।

পাগল মন এর ছবি

আপনাকেও শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

আয়নামতি1 এর ছবি

ভাগ্য তো ভালোই বলতে হবে স্টার বাক্সে কফি খেতে গিয়ে মুখ পুড়ে যাইনি কারো খাইছে লেখা মজারু হইছে। আপনার টোফেল ইতিহাসের ব্যাপারে আগ্রহবোধ করছি দেঁতো হাসি

পাগল মন এর ছবি

এজন্যইতো কফি ফুঁ দিয়ে ঠান্ডা করে খাই। চোখ টিপি

লেখা মজারু হইছে

লইজ্জা লাগে
টোফেলের ইতিহাস বলবোনে একসময়। হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বর্ণনা তো ভালোই লাগলো। হে একালের বিদ্যাপতি, নিজদেশ ফেলি আর কতকাল র’বে ‘কানা’দের দেশে? আম্রিকা কি আমে ভরপুর, টিউলিপ কি দোপাটির চেয়ে মনোহর? বজ্রবুলি ভাষায় জমবে কি ম্যাপেল লীফের উপমা?

অট। কহ দেখি, রাজা শিবসিংহের রাজধানীর এখন কি হাল-হকিকত?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পাগল মন এর ছবি

থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। হাসি

হে একালের বিদ্যাপতি, নিজদেশ ফেলি আর কতকাল র’বে ‘কানা’দের দেশে? আম্রিকা কি আমে ভরপুর, টিউলিপ কি দোপাটির চেয়ে মনোহর? বজ্রবুলি ভাষায় জমবে কি ম্যাপেল লীফের উপমা?

এর আসলে কোন উত্তর নেই। মন খারাপ

অ.ট. রাজা শিবসিংহের রাজধানী কোনটা সেটাইতো জানি না,সেটার হাল-হকিকত কীভাবে বলি? দেঁতো হাসি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

নাহ! আমাদের সরিষা ক্ষেতই বেশি ভালো। ছবিতে উত্তম জাঝা!

পাগল মন এর ছবি

নাহ! আমাদের সরিষা ক্ষেতই বেশি ভালো

তা আর বলতে?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

অ.ট. আপনি অবশেষে সিগনেচারে 'দাগ' দিতে পেরেছেন? দেঁতো হাসি
আর আপনার সিগনেচারের কথাগুলো পছন্দ হয়েছে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।