জব্বর সাহেবের নতুন চারটি লেখা এবং কিছু চৌম্বক অংশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৪/০৪/২০১০ - ১০:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জব্বর সাহেব একসাথে ৪ টা দৈনিকে লিখা পাঠিয়েছে ২৩ ই এপ্রিল বিজয়ের ওয়েবসাইটে দেখলাম তথ্যটা, সবগুলোই আস্তে আস্তে পড়তে ছিলাম আর হাসতে ছিলাম কি বলতে চাচ্ছেন এই লোকটা ।

তবে প্রথমেই একটি কথা বলে নেই উনার সাইটের লেখাগুলো সব আসকিতে লেখা ,একজন মানুষ এখনো কি করে আসকিতে নেটে লিখে আমার বোধগম্য নয় । আমাকে কষ্ট করে এগুলো কনভার্ট করতে হয়েছে।

চলুন ওনার লেখার কিছু মজার অংশ দেখি

৭২ সালে দেশে গণপিটুনির জোয়ার বইছিলো। বিচিত্রা খোজে বের করেছিলো যে, একজন তরতাজা তরুণকে বিণা অপরাধে জীবন দিতে হয়েছিলো। আমি এই ডিজিটাল যুগে তেমন একটি ডিজিটাল গণপিটুনির শিকার। তাতে অবশ্য আমার আপত্তি নেই। কারণ আমার নিজের বিবেকটা খুব পরিষ্কার

কে দিলো ডিজিটাল পিটুনি

অন্যদিকে অভ্র ছাড়া আর যেসব সফটওয়্যার যেমন লেখনী, প্রশিকা, প্রবর্তন, ফাল্গুন ইত্যাদি কোন পরিবর্তন ছাড়াই বিজয় কীবোর্ড সরাসরি ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মাত্র তিনটি বোতাম বদল করে একটি জাতীয় কীবোর্ড তৈরী করেছে। এর সবগুলো একেবারে কপিরাইটের লঙ্ঘন

এবার জাতীয় কিবোর্ডও পাইরেসির দায়ে অভিযুক্ত এতক্ষণে বুঝলাম কাগুয়ে কেন আদালতে যায়না পাইরেসির বিরুদ্ধে অভ্রর নাম আসলে জাতীয় কিবোর্ডেরও নাম আসবে তাতে আবার সরকার জড়িয়ে যাবে। জাতীয় কি বোর্ড মাত্ত ৩ টিতে প্রার্থক্য আর অভ্রতে ৮ টি তাহলে প্রথমেই কুব পড়বে জাতীয় কিবোর্ডে।

আমি নিজেও বাংলা সফটওয়্যার তৈরী করেছি

কোন সফওয়্যারটা তৈরি করেছে জানতে চাই

অভ্র তৈরী করে মেহেদী সাহেব অবশ্যই একটি ভালো কাজ করেছেন এবং নিশ্চয়ই জনগণ তাতে উপকৃত হচ্ছে। আমি তাকে পূজনীয় দেবতা মনে করি। এমন মানুষ কয়জন দুনিয়াতে আাছে, যিনি নিজের শ্রমকে অন্যের জন্য দিতে পারেন! আমি হতভাগাও যদি খাওয়া পরার নিশ্চয়তা পেতাম-ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ, মায়ের চিকিৎসার টাকা, সন্তানের পড়ার খরচ, বৌ-এর ইনজেকশনের টাকা বা নিজেদের ইনসুলিন কেনার অর্থ পেতাম কিংবা রাষ্ট্র বা সমাজ যদি আমার নিরাপত্তা দিতে পারতো তবে নিজের শ্রমটাও এভাবেই দিতে পারতাম

আপনার পরিবারের সবাই কি অসুস্হ নাকি ?? যদি সবাই অসুস্হ হয় তাহলে বলতেন আমরা আমাদের সাধ্যমত অবশ্যই সাহায্য করতাম আর আপনিতো বিশাল কম্পিউটার ইন্ঝিনিয়ার আবার বড় বড় পদে আছেন দেখলাম তবুও আপনার টাকার টানাটানি জব্বর সাহেব বিশ্বাসযোগ্য কথা মনে হলোনা। পুজনীয় দেবতা মেহেদীর পিছনে লাগলেন কেন ??উনার কারনে ব্যবসা কমে গেছে নাকি?

লেখক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর প্রণেতা

এত পদ উনার।

মোস্তাফা সাহেবকে আমি শেষমেষ বলতে চাই মোস্তফা সাহেব ইন্টারনেট যুগে আপনি আসকিতে লিখলেন আর আমাকে কষ্ট করে ইউনিকোডে কনভার্ট করতে হলো এটা কি ঠিক হলো ??

আরেকটা কথা জব্বর সাহেব বিজয় অবশ্যই আমাদের অনেককিছু দিয়েছি অস্বীকার করবোনা আপনি বিশ্বাস করেন বা নাই করেন আমি সবসময় সবার আগে কম্পউটার জগত ম্যাগাজিনে আপনার লেখা পড়তাম আপনার লেখা আমার ভালো লাগতে কিন্তু আপনি সেই জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছেন শুধু টাকার নেশায়। কিন্তু আপনার আচরণটা একটু পরিবর্তন করতে পারেন না???

আপনার মত এত বড় পদে যারা থাকে তাদের অবশ্যই টাকার টানাটানি নেই আপনি বিসিএস এর সভাপতি আপনি ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রনেতা আপনি সাংবাদিক আপনি ডিজিটাল পেপারের প্রণেতা আপনি বড় কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার আপনি এত বছর বিজয় দিয়ে ব্যবসা করেছেন তারপরও আপনার টাকার টানাটানি?
।তাই আপনাকে অনুরোধ করবো দয়া করে আমাদের বাংলা ভাষা লিখার অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। দিন না উন্মুক্ত করে বিজয়কে সবার জন্য ।আমি হলফ করে বলতে পারি আপনার টাকা পয়সার অভাব হবেনা।

সবগুলো লেখা পড়তে পারবেন Click This Link চারটা পেপারে চারটা পাঠানো হয়েছে ।এবার খবর আছে মেহেদী ভাইয়ের ।


মন্তব্য

নীল-মডু এর ছবি

আপনার অভিসর্ন্দভমূলক পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু প্রথম পাতায় এ বিষয়ে একটি স্টিকি পোস্ট থাকায় এই পোস্টটিকে নিজ ব্লগে প্রকাশ করা হল।

দ্রোহী এর ছবি

লেখাগুলো কাগুর সাইটে গিয়ে পড়ে এসেছি গত রাতে। দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।