আমার গ্রীষ্মকালীন অধ্যয়ন পর্ব ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৮/২০১০ - ৮:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মে মাসের এক সন্ধ্যায় ডির্পাটমেন্ট থেকে বের হবো। হঠাৎ সুপারভাইজারের ডাক।বেশ একটু উচ্চস্বরে। ভাবলাম আবার কোন কাজ করতে হবে। পরে দেখি বেশ চমৎকার এক হাসি খুশি ভাব । রুমে যেতেই বলা শুরু করলেন আগামী সামারে তোমার তো কাজ নেই। দেশে তো যাচ্ছো না। তার চেয়ে বরং জার্মানিতে একটি ট্রেনিং আছে ঘুরে এসো, একটু ইতস্তত করতেই বললেন ওরা তোমার সব খরচ দেবে আর ইরাসমুস প্রোগ্রাম তো তাই টাকা পয়সা যে একেবারে মন্দ হবে না সেই এই নিরেট মাথাতে বহু আগেই হিসেবে করে ফেলেছিলাম।
জার্মানি যাচ্ছি, যদিও খরচ ওরা দেবে তাও সস্তা দেখে একটা প্লেনের টিকেট কাটলাম। কিপটেমি করে পয়সা বাচানোর রোগ আর গেল না। যদিও এয়ারপোর্টে যেয়ে মনে হচ্ছিল এই নামে মনে হয় কোন কোম্পানি নেই ।ার থাকলেও সেটা কয়েকদিন আগে পটল তুলেছে। যাই হোক ও মা এ কি !! বিল বোর্ডে আমার ফ্লাইটের নাম্বার। তার মানে এই টা পুরোপুরি হায় হায় কোম্পানি না!!
সাধু সাধু বিমানে বসে টের পেলাম সস্তা প্লেনের চড়ার কি মজা। তোমার যদি জুস খেতে ইচ্ছা করে তাহলে ২ ইউরো ফেলো।আর যদি দুপুরের আলু সেদ্ধ এর সাথে এক ফালি স্যামনের সেদ্ধ টুকরো দেখতে চাও তাহলে ৭ ইউরো গুনে ফেল শিগগির। এতোদিন জানতাম বিমান বালা সদাই সেবা করেন। এখন দেখি শ্রীমতি পুরো ক্যালকুলেটর নিয়ে হাটছেন। আমার কাছে শুধাই এই তোর কিছু লাগবে। না বলতেই একটা প্রি লোডেড কাষ্ঠ হাসি দিয়ে চলে গেল। যাই হোক আমার পাশে আলজেরিয়ার এক লোক। যর হাবভাব দেখে বাংলাদেশের খেজুরে আলাপী মনে হল্ োআমার সন্দেহ অমূলক নয়। মুখে একটা হতাশার ভার ফিিটয়ে বলা শুরু করলো জানো আমার ভাইয়ের আজকে বিয়ে কিন্তু প্লেন লেট। যথারীতি সহানুভূতির দৃষ্টিতে আহা আহ্ াকিন্তু মশাই একটু পরে শুরু করলেন খাওয়া । মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ীর খাওয়া মনে এখান থেকেই শুরু করবেন ।

যাই হোক লাটভিয়াতে নামলাম। লাটভিয়ার বিমানবন্দর দেখে কেন জানি আমার জেমস বন্ডের ক্যাসিনো রয়্যাল ছবিটার কথা মন পরছিল আমি বুঝতে পারছিনা।বুঝলাম না ছবি টা কি এখানে শুট করেছিল কিনা।
অত:পর দুই ঘন্টার এক বিশাল জার্নি শেষ করে হ্যানোভার বিমান বন্দরে উপনীত হলাম। একটা জিনিসে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না যে জার্মন অধ্যাপকের নিখুঁত পথ নির্দেশনার কথা না বললেই নয়। তারপর কি আর ২০ কেজির একখানা স্যুটকেস ঠেলিতে ঠেলিতে আর ট্রেন আর পাতাল ট্রেনের এক নাতিদীর্ঘ ভ্রমণ শেষ করিয়া অবশেষে হোটেলের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হলাম। আজকে এই পর্যন্ত। তারপরই না শুরু হবে মজার শুরু

সন্ধি

Email:


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।