জিএম ফসল ভাবনা ১

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Sat, 04/09/2010 - 4:33pm
Categories:

উইকএন্ড আসলেই বুঝি না আমার বাংলা লেখার জন্য হাত নিশপিশ করতে থাকে। প্রতিবারই মনে করি ঢের হয়েছে বাবা এবার ক্ষান্ত দে। আন্ডার গ্রেডের সময় পত্রিকায় লেখালেখি নিয়ে মেতে না থাকলে জিপিএ টা মনে হয় আরেকটু উপরের দিকে পাখা মেলতো। সে যাই হোক।প্রতিবারই যখন ভুলে যাই, এবার আর বাদ যাবে বা কেন । কদিন ধরে ভাবছিলাম জিএম ফসল নিয়ে যখন এত কথা চলছে কিছু একটা লেখা উচিৎ।

জিএম ফসল নিয়ে লেখা শুরর আগে বলে নেই আমার আন্ডারগ্রেডের মেজর কৃষি হলেও এখন সেখান থেকে আমি বহুদুরে চলে এসেছি। বর্তমান সময়ের পরিবেশ এবং প্রতিবেশ দূষণ নিয়ে আমার কাজকর্ম।কাজেই কেউ আমাকে জিএম ফসলের বেনিয়া দলের ভাবলে কিছুটা ভুল হবে বৈকি।

জিএম ফসলের সূচনা বছর হিসেবে ধরা হয় কিন্তু ১৯৯৬ সালকে।তখর এর ব্যপ্তি ল মাত্র ১.৭ মিলিয়ন হেক্টর মাটিতে। লক্ষ্য করুন মাত্র ছয় বছরের মাথায় এটির বিস্তার ঘটে ৫২.৬ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে!!।এই পরিমাণটা যদি আমরা গোটা পৃথিবীর সাথে কল্পনা করি তাহলে দেখতে পাই পুরো চীনের শতকরা পাঁচ ভাগের সমান এই জমি। এখন মনে হতে পাও আমাদের দেশে মনে হয় পুরো জায়গা জুড়ে এই জিএম শস্যের আবাদ বানিয়ে তুলছে এই বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু প্রথম ছয় বছরে শীর্ষ স্থানীয় জিএম শস্যেও চাষাবাদকারী চাষার দেশের মধ্যে আমাদের দেশটি কখনো ছিলনা। উন্নত দেশের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাঝে ছিল চীন এবং আর্জেন্টিনা। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র যখন জিএম শস্য নিয়ে খেতে দিয়েছে তাদের নাগরিকদের তখন বুঝতে হবে ভালো রকম গবেষণা না করে যে তারা এই কাজটি করেনি তা বুঝতে খুব বেশি মেধা থাকার দরকার পরেনা। যদিও জিএম পণ্যেও তালিকায় মূলত চিনি উৎপাদনের বীট, সরিষা যেটা কিনা আমেরকিাতে কানোলা আর ইউরোপে রেপসীড হিসেবে বেশি পরিচিত আর ভুট্টায় ছিল প্রথম দিকে।

এতো গেল জায়গা জমির কথা ।এরপর আসুক বিটি কর্ণ আর বিটি কটন। এই কথাটি আমরা প্রায়ই উচ্চারণ করি ।বিটি হলো আসলে একধরনের ব্যকটেরিয়াম যার পুরো নাম Bacillus thuringiensis ( এই নামে উইকিপিডিয়াতে সার্চ করে দেখতে পারেন)।একধরনের পতঙ্গ প্রাণসংহারী আমিষ উৎপন্ন হয় এইধরনের ব্যাকটেরিয়ার দেহতে। এই আমিষকে ব্যাকটেরিয়ার দেহ থেকে আলাদা করে শস্যের সাথে মিশিয়ে মার্কিন মুল্লুকে চাষ করার অনুমতি দেয় খোদ EPA ( Environmental Protection Agency)। তারপর শুরু হয় বিটি কটন আর বিটিকর্নের আবাদ।

বিটি কটন আর বিটি কর্ন নিয়ে আরো লিখবো পরের পর্বে

আরিফিন সন্ধি
স্টকহোম, সুইডেন


Comments

হাসান মোরশেদ's picture

সচলায়তনে কি এই প্রথম লিখছেন?
স্বাগতম।

লেখা আরেকটু বড় করতে পারতেন। কয়েকপর্বে হোক, কিন্তু প্রতিটি পর্ব একটা প্রমিত দৈর্ঘ্যের হলে পাঠকের জন্য স্বস্তিকর হয়। এই পর্ব অতিক্ষুদ্র হয়ে গেলো মন খারাপ
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ মতামতের জন্য। I am still not much used to with Bengali writing in my keyboard. Hope to write soon. Thanks once again.

ফরিদ's picture

সামনের পর্বে মনসান্টোর রাউন্ডা আপ আসছে মনে হয় চোখ টিপি

পান্থ রহমান রেজা's picture

আরে সন্ধি যে! সচলে স্বাগতম।
লিখতে থাকো!

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ পান্থ ভাই। অনেকদিন পর দেখা পেলাম । আপনার কেমন চলছে ?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.