দ্য এসেন্ট অব মাউন্ট এভারেস্ট বাই জন হান্ট পর্ব-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৯/২০১০ - ৮:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কর্নেল জন হান্টের নেতৃত্বে যে অভিযানে হিলারি ও তেনজিং এভারেস্ট জয় করেছিলেন, সেটির পৃষ্ঠপোষক ছিলো রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, কর্নেল হান্ট কয়েক ফর্মার বিশাল এক রিপোর্ট তাদের কাছে জমা দিয়েছিলেন। এই রিপোর্টটি দ্য রয়্যাল জিয়োগ্রাফিকাল জার্নালে ৮ ডিসেম্বর ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। নেভারেস্টঃ পর্ব ১ এ এই রিপোর্টটির কথা উল্লেখ আছে। তথ্যসূত্রে রিপোর্টটির লিংক এর সাথে হিমু ভাই উল্লেখ করেছিলেন "কেউ অনুবাদ করতে চাইলে স্বাগতম"। রিপোর্টটি পড়ে এই অধম অনুবাদে আগ্রহী হয়েছি। জন হান্ট নিবন্ধটি গল্পাকারে লিখেছেন তাই বেশ সুখ-পাঠ্য। আমি আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করেছি। অনুবাদে ভুল থাকলে সম্মানিত মডারেটরগণ আশা করি তা সংশোধন করে দিবেন।

মহামান্যা রানী, সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক, মহামান্য ডিউক অব এডিনবার্গ, মহামান্যা ডাচিস অব কেন্ট, মহামান্যা ডাচিস অব গ্লৌসিস্টার এবং সোসাইটির সম্মানিত সভাপতি ২ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভাল হলে অনুষ্টিত সভায় উপস্থিত থেকে আমাদের কৃতার্থ করেছেন। অনুরূপ সভা অনুষ্টিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর রয়্যাল ফেস্টিভাল হলে এবং ১৯ অক্টোবর সেন্ট্রাল হল, ওয়েস্টমিনিস্টারে যেখানে রয়্যাল জিয়োগ্রাফিকাল সোসাইটি সদস্যগণ, আলপাইন ক্লাবের সদস্যগণ এবং অনেক সম্মানিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রয়্যাল জিয়োগ্রাফিকাল সোসাইটি এবং আলপাইন ক্লাব দ্বারা গঠিত জয়েন্ট হিমালয়ান কমিটির পৃষ্টপোষকতায় অনুষ্টিত উক্ত সভাগুলোতে ব্রিগেডিয়ার স্যার জন হান্ট, স্যার এডমুন্ড হিলারি এবং ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট এক্সপিডিশন ১৯৫৩, এর অন্যান্য সদস্যগণ যে বক্তৃতা প্রদান করেন তার উপর ভিত্তি করে এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।

এভারেস্ট আরোহণের বিবরণ দিতে গিয়ে প্রথমেই আমাকে স্মরণ করতে হচ্ছে যে এটা এমন একটি কাহিনী যা প্রায় গত তেত্রিশ বছর ধরে চলে আসছে। ১৯২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত কমপক্ষে এগারোটি বড় ধরণের অভিযান এভারেস্টের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, যার মধ্যে এই বছরের অভিযানসহ মোট আটটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে রয়্যাল জিয়োগ্রাফিকাল সোসাইটি এবং আলপাইন ক্লাব থেকে যারা একসাথে হিমালয়ান কমিটি হিসাবে কাজ করছে। এই অভিযানগুলোতে এতো বেশি বিপদ এবং সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো যে এবং বিরূপ আবহাওয়া এতো কম সুযোগ দিয়েছিলো যে এই সবগুলো অভিযানে এভারেস্ট শীর্ষে আরোহণের চেস্টা করা সম্ভবপর হয়নি। গত ত্রিশ বছরেরও বেশি সময়ে পুরো তিনটি মৌসুম অতিবাহিত হয়েছে পথ খুঁজে পেতে যার ফলে এই বছরে উদযোগ্‌ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়, এই ঘটনাগুলো ঘটেছিলো ১৯২১ সালে, ১৯৩৫ সালে এবং যুদ্ধের পরে আবার ১৯৫১ সালে।

আমাদের এই অভিযানটি সঠিকভাবে চিত্রায়ন করার জন্য এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে এভারেস্ট অভিযানে অনেক বড় কাজ আমাদের পূর্বগামীদের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে যা এই অভিযানের প্রস্তুতিতে সহায়ক ছিলো। আমাদের পূর্বসূরীরা অধিকাংস সমস্যা চিহ্নিত করেছেন এবং এর অনেকগুলো সমাধান করেছেন, কিন্তু তারা শুধু এইটুকুই করেননি, তারা এই পর্বতের বিভিন্ন উচ্চতায় অনেক উঁচুতে উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন। এভারেস্ট অভিযানের শুরুরদিকে ১৯২৪ সালে নর্টন এবং সামারভেল ২৮০০০০ ফুট উঁচুতে পৌঁছতে পেরেছিলেন। আবার ১৯৩৩ সালে স্মিথ, ওয়েন, হ্যারিস এবং ওয়েজার উত্তরদিক দিয়ে এরকম উঁচুতে উঠেছিলেন। ১৯৫২ সালে সুইস গাইড ল্যাম্বার্ট এবং শেরপা লীডার তেনজিং দক্ষিণদিক দিয়ে ঠিক একই উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছিলেন। আমাদের কাজ ছিলো এই এডভেঞ্চারটা সম্পূর্ণ করা। আমি বরং এটাকে একটা মিশন বলবো যে মিশনে আমাদের পূর্বে অনেক দুঃসাহসী মানুষ অংশ নিয়েছেন এবং এই মিশন সমাপ্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন।

একটি বড় ধরণের অভিযান সংগঠিত করা ভয়ানক দুরূহ কাজ। আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলেন সেপ্টেম্বর ১৯৫২ সালে। প্রায় পাঁচ মাস আগে আমরা নেপালের উদ্দেশ দেশ ত্যাগ করেছিলাম এবং অনেক দিক থেকে এটা আসলে অনেক বিলম্ব যাত্রা ছিল যে কারণে প্রস্তুতি পর্বে আমরা টাইম ম্যানেজ করতে হিমশিম খেয়েছিলাম। অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষাঙ্গিক যেমন জামাকাপড়, যন্ত্রপাতি এবং খাবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি সুউচ্চ গিরিপথে মধ্য শীতে ব্যবহার করেছিলাম এবং অক্সিজেন ইকুইপমেন্টগুলো আমাদের নর্থ ওয়েলসের পর্বতগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছিলাম।

অতীত থেকে পাওয়া একটা শিক্ষা ছিলো এই যে হিমালয়ের যেকোন সুউচ্চ পর্বতে আরোহণ করার আগে অধিক উচ্চতায় অভ্যস্ত হতে হবে, এটা নিশ্চিত করার একটাই উপায়, সেটি হচ্ছে এভারেস্টে চড়ার পূর্বনির্ধারিত সময়ের অনেক আগেভাগে হিমালয়ে গিয়ে হাজির হওয়া এবং অপেক্ষাকৃত নিচু পর্বতগুলোতে আরোহণের পরিকল্পনা নেওয়া যেন অধিক উচ্চতায় অভ্যস্ত হওয়ার ট্রেনিং হয়ে যায়। এভারেস্টে চড়ার সবচেয়ে উত্তম সময় বোধ হয় মে মাসের মাঝা-মাঝি থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ। এই সময়টায় মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়, ঠান্ডা এবং তুষার ঝড় তুলনামূলকভাবে কম হয়। কিন্তু সময়ের এই গ্যাপটাতেও চমৎকার আবহাওয়া পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই যদি না আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান হই। আমরা মে মাসের পনেরো তারিখে অগ্রসর হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই কারণে এবং একই সাথে প্রাথমিকভাবে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আমরা ফেব্রয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারত এবং নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলাম।

ফেব্রয়ারী মাসের বারো তারিখে মূল দলটি সমুদ্র পথে টিলবুরী ত্যাগ করে, এর কিছুদিন পরে একটি ছোট অগ্রগামী দল আকাশ পথে রওয়ানা হয় অগ্রিম প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য। আমরা তেরো জনের একটি দল ছিলামঃ চার্লস ইভান্স, টম বোরডিলন, মাইকেল ওয়েস্টম্যাকট, জর্জ বেন্ড, উইলফ্রেড নোইস, চার্লস ওয়াইলি, এডমুন্ড হিলারী, জর্জ লৌ, আলফ্রেড গ্রেগরী, এবং আমি। ডাঃ মাইকেল ওয়ার্ড অভিযানের ডাক্তার হিসাবে গিয়েছিলেন, ডাঃ গ্রিফিথ পাহ্‌ ছিলেন ফিজিওলজিস্ট এবং টম স্টবার্ট ছিলেন ক্যামেরা ম্যান। আমাদের মধ্যে মাত্র দুইজন এর আগে হিমালয়ে এসেছিলেন।

অভিযাত্রীগণ নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসে সমবেত হয়েছিলেন। সেখান থেকে হিমালয়ের উদ্দেশ্যে আমাদের হেঁটে রওয়ানা হওয়ার কথা, একটি ভ্রমণ যেখানে সতেরোদিন সময় লাগবে। আমাদের সাথে সাড়ে সাত টনেরও বেশি মালপত্র ছিল। যদি প্রত্যেকে ৬০ পাউন্ড ওজন বহন করে তাহলে প্রায় ৩৫০ জন কুলির প্রয়োজন। কাঠমন্ডু থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় আমরা এতো বিপুল সংখ্যক ছিলাম যে আমি সিদ্ধান্ত নেই, আমরা দুইটি দলে ভাগ হয়ে যাবে এবং শুধু দিনের বেলা ভ্রমণ করবো।

আমরা কাঠমন্ডুতে অবস্থানকালে অভিযানের অন্যান্য পূর্ণ সদস্যগণ, শেরপারা তাদের নেতা তেনজিং এর নেতৃত্যে এসে হাজির হয়। এই ছোটখাট বিশজন চমৎকার মানুষগুলোকে আরোহণের উচ্চতর পর্যায়গুলোতে অত্যন্ত কষ্টকর ভারবহন করতে হয়েছিল। হাস্যোজ্জ্বল এবং উদ্ভট পোশাকে সজ্জিত এই মানুষগুলো যারা এর আগে অনেকগুলো অভিযানে দায়িত্ব পালন করেছিলো, এই বড় অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তেনজিং নিজে এদের মধ্য থেকে এগারোজনের একটি ক্লাইম্বিং পার্টি গঠন করে। কয়েক মাস আগে সে একজন সুইসের সাথে এভারেস্টে তার দ্বিতীয় অভিযান থেকে ফিরে এসেছে। আমরা সন্দিহান ছিলাম যে সে আবার এভারেস্টে যাওয়ার জন্য ফিট কি না।
কিন্তু যেই মুহূর্তে তার সাথে আমাদের দেখা হয় তখন আর কোন সন্দেহ ছিল না যে সে আবার পাহাড়ে উঠতে যাচ্ছে।

আমরা কাঠমন্ডু থেকে পূর্বাভিমুখে প্রায় ১৫০ মাইল মার্চ করলাম। আমরা হিমালয়ের পর্বতশ্রেণীর সাথে মোটামুটি সমান্তরালভাবে অগ্রসর হচ্ছিলাম। এর অসুবিধা হচ্ছে এই যে আমরা পাথুরে প্রান্তরটা আড়াআড়ি ভাবে পার হচ্ছিলাম, অনেকগুলা রিজ পার হচ্ছিলাম এবং হাজার হাজার ফুট উচ্চতার গভীর উপত্যকাগুলোতে আরোহণ করছিলাম। কিন্তু বৈচিত্র্যপূর্ণ নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি বড়ই মুগ্ধকর ছিলো এবং আমি খুশি ছিলাম এই ভেবে যে এই পরিশ্রম আসল কাজের জন্য শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার একটি চমৎকার উপায়।
auto
নেপালের মনোরম ভূ-প্রকৃতিতে আমাদের ভ্রমণটা চমৎকার হয়েছিল। ভ্রমণের শুরুর দিকে পাহাড়গুলো কোমল, বিস্তৃত এবং অত্যন্ত উর্বর ছিলো। ক্রমশ উচ্চতর ভূমিতে আমাদের জন্য রূঢ় প্রকৃতি অপেক্ষা করছিলো। এই নিচু পাহাড়শ্রেণীতে আবহাওয়া ছিলো চমৎকার এবং ঈষৎ ঠান্ডা। চারদিকে নানা প্রজাতির ফুলের সমারোহ। উচ্চতর বনগুলোতে রডোডেন্ড্রন, ম্যাঙ্গোলিয়া এবং রাস্তার পাশে রং-বেরঙের ফুল ফুটেছিলো। রিজগুলো পার হওয়ার সময় বাম পাশে উত্তর দিকে উঁচু উঁচু পর্বতশ্রিণীর লোভনীয় রূপ দেখতে পাচ্ছিলাম। রিজগুলো থেকে কখনও আমরা ফেনায়িত প্রবল জলধারার দিকে নেমে যাচ্ছিলাম, কখনও বা এই জলধারগুলোর বিক্ষুদ্ধ জলরাশির একটু উপর দিয়ে চলে যাওয়া কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছিলাম, কখনও বা চেইন এবং কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি ভিষণ দোলয়মান ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে পার হচ্ছিলাম। আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপে সময় নিয়ে এগোচ্ছিলাম আমাদের ভারবাহী কুলিদের শ্লথগতির কারণে। আমরা গোসলের জন্য সময় নিয়েছিলাম এবং রাধুনী থন্ডাপের খাবার তৈরির সময় অপেক্ষা করেছিলাম। দিন শেষে আমরা যেখানে পৌছলাম সেটা পুরাদুস্তর পার্বত্য অঞ্চল, যেন সত্যিকার হিমালয়ের আবির্ভাব ঘটলো। পাহড়গুলো খাড়া এবং পাথুরে, কিছু কিছু জায়গা আদিম বনভূমিতে আচ্ছাদিতো। ধীরে ধীরে তুষার ঢাকা পর্বতরাজি দৃষ্টিগোচর হতে লাগলো, তাদের নৈকট্য যেন আমাদের চ্যালেঞ্জ করছিলো। আমার উত্তর দিকে মোড় নিলাম, গভীর এবং সংকীর্ণ Dudh Kosi উপত্যাকার মধ্যদিয়ে সরাসরি আমাদের গন্তব্যপানে। প্রথম বেস ক্যাম্পে পৌঁছার ঠিক আগমুহূর্তে স্বয়ং এভারেস্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হলো।

(চার পর্বে সমাপ্য)

সত্যান্বেষী


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি নিজেও এই অনুবাদে হাত দিয়েছিলাম। ২-৩ পর্ব লেখার পর আর ধৈর্যে কুলিয়ে উঠতে পারিনি। আশা করি, আপনি সম্পূর্ণ লেখাটাই পাঠকের দোরগোরায় পৌঁছে দেবেন।
লেখা ভালো হয়েছে।

আশফাক আহমেদ

আদনান [অতিথি] এর ছবি

ভাল লাগল!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা আরেকটু ভালভাবে চেক করে আমার পোস্ট করা উচিত ছিলো, বেশ কিছু বানান ভুল দেখতে পাচ্ছি। আফসোস অতিথি লেখকদের জন্য স্পেল চেকারের কোন ব্যবস্থা সচলে নাই! মন খারাপ

সত্যান্বেষী

হিমু এর ছবি
রেজওয়ান এর ছবি

একটি সহজ স্পেলচেকার:

ফায়ারফক্সের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করুন এবং এই বাংলা স্পেল চেকার অ্যাড অনটি যোগ করে দিন:

https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/13660/

এরপর রাইট ক্লিক করে ল্যাঙ্গুয়েজ বেঙ্গলি/বাংলাদেশ ক্লিক করলেই বানান ভুল গুলো লাল আন্ডারলাইনে দেখাবে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের মধ্যে যে কোন ইনপুট বক্সে। ভুল শব্দের উপর রাইট ক্লিক করলে সাজেশন দেখাবে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। ট্রাই করে দেখবো হাসি

সত্যান্বেষী

পৃথি [অতিথি] এর ছবি

রেজা ভাই, অনুবাদতো খুব ভালো হয়েছে। পরের পর্ব গুলি কবে দিবেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

পৃথি, পরের পর্ব যখন আসবে টুইটারের মাধ্যমে যথাসময়ে জানাবো।

সত্যান্বেষী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।