শেষোক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৩/১২/২০১০ - ১০:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তুমি ভালোবাসতে চেয়েছ বলেই,

আমি ভালোবাসতে দিয়েছি,

তুমি হাতটা ধরতে চেয়েছ বলেই,

আমি হাতটা বাড়িয়েছি,

তুমি প্রেমের কবিতা শুনবে বলে-

আমি রাতের পর রাত জেগে রচনা করেছি তেরশ দুইটি কবিতা,

তুমি বৃষ্টি ভালোবাসতে বলেই-

আমার চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি ঝরত,

রাতের পর রাত কতটা বৃষ্টি জড়ো করেছি -

তুমি তাতে ভিজলেও না!

তুমি আমাকে দোষারোপ করবে বলেই-

আজো আমি কাউকে বলিনি-

আমার সবটাই ছিলো ভালোবাসা,

আর তোমার ছিলো বালুকাবেলার শুয়োপোকাদের বাসা।

- অমিত বান্ধব


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মন্দ না। কিন্তু বালুকাবেলায় শুয়োপোকার বাসা হয় নাকি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বালুকাবেলায় শুয়োপোকার বাসা আমার মনের তৈরী কারন আমি কখনো বালুকাবেলায় যাইনি।

বন্দনা এর ছবি

"রাতের পর রাত কতটা বৃষ্টি জড়ো করেছি -

তুমি তাতে ভিজলেও না!"

অনেক ভাল লাগলো। এত সাবলীল করে লিখেন কেমন করে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার ভাবনা অনেক সরল তাই হয়ত

নীরদ চন্দ্র সাহা এর ছবি

হুম, বুঝলুম!! ভাল কবিতা। তা, আমারও সেই শেষের লাইনটা একটু কেমন কেমন লেগেছে আর কি!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল......আরো লিখুন

-অতীত

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ট্যাগের "তেরশ দুইটি কবিতা"র মানে কী?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অমিত বান্ধব [অতিথি] এর ছবি

তেরশ দুইটি কবিতা আসলে সংখ্যার কোনো হিসাব নয়,তেরশ দুইটি কবিতা শিরোনামের আমার একটি কবিতা ছিলো যা আমি আমার খুব পছন্দের মানুষের জন্য লিখেছিলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালোই এগোচ্ছিলো, কিন্তু শেষটায় গিয়ে, ভালোবাসা আর বাসার অন্ত্যমিল? তাও বালুকাবেলায় শুঁয়োপোকাদের? হাসি

আর ১৩০২ ব্যাপারটা কী প্রশ্নটা আমারও।

অমিত বান্ধব [অতিথি] এর ছবি

বালুকাবেলার প্রতি সবসময় একটু দুর্বলতা ছিল,আজো আছে,এরকম থাকাটা ঠিক নয়,তবুও আছে।
আর তেরশ দুইটি কবিতা বিষয়ে উপরে লিখেছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রাতের পর রাত কতটা বৃষ্টি জড়ো করেছি -

তুমি তাতে ভিজলেও না!

সবচেয়ে ভালো লাগলো এই দুটো লাইন।

শেষ লাইনটা ভালো লাগে নি! লিখতে থাকুন নিয়মিত।

অমিত বান্ধব [অতিথি] এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ,আমি চেষ্টা করে যাব।

দময়ন্তী এর ছবি

আরে বাঃ বাঃ|

ইয়ে, শুঁয়োপোকা বড্ড কুটকুট করে| আচ্ছা ধরেন শেষটা যদি এরকম করি
'আমার সবটাই ছিল ভালবাসা চুপিচুপি
আর তোমার ছিল শুধু উইপোকার ঢিপি'

কিম্বা ধরেন
আমার সবটাই ছিল ভালবাসা তাজা
আর তোমার ছিল কাঁঠাল রসা খাজা'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হো হো হো

অমিত বান্ধব [অতিথি] এর ছবি

হা হা ধন্যবাদ,আমি চেষ্টা করব

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

১৩০২ এর ব্যাপারে, আমার মনে হয় ট্যাগে এটা দেয়া হয়েছে কারণ কবিতার ভেতরে আছে "আমি রাতের পর রাত জেগে রচনা করেছি তেরশ দুইটি কবিতা,"। এখন কথা আসতে পারে, "তেরশ দুইটি" কেন? কে জানে। হয়ত কাব্যিক শোনানোর জন্য। কবিই ভালো বলতে পারবেন এ ব্যাপারে।

তবে সুনীলকেও জিজ্ঞেস করা যেতে পারে, "বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম" - এখানে ১০৮টা নীল পদ্ম কেন? অথবা হুমায়ূন আহমেদকেও জিজ্ঞেস করা যেতে পারে, "হিমুর হাতে পাঁচটি নীলপদ্ম" - এখানে নীলপদ্ম পাঁচটিই কেন? দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

১৩০২ জানি না কী কারণে, কিন্তু ১০৮টা পদ্ম সরাসরি অকালবোধনের রেফারেন্স। দেবী দুর্গাকে ঐ সংখ্যক পদ্মই দিয়েছিলেন রামচন্দ্র, এবং শেষমেশ নিজের চোখ উপড়ে। ৫টি পদ্মের ব্যাপারটা অজানা।

ইশতিয়াক এর ছবি

৫টি পদ্ম বলতে সম্ভবত মানুষের ৫টি রিপুকে বুঝানো হয়েছে। এটা অবশ্য আমার ভাবনা।

১০৮টা পদ্ম সরাসরি অকালবোধনের রেফারেন্স

ধন্যবাদ রেফারেন্সের জন্য।

মূলত পাঠক এর ছবি

রিপু তো ৬টা, কাকে বাদ দিলেন? আর স্রেফ সংখ্যা মেলাতে হলে পঞ্চভূত ভাবলেও তো হতো, লেখক রিপুকে নিয়ে পড়বেন কেন?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এটা জানা ছিল না। থ্যাঙ্কু। নেক্সট টাইম কেউ বললে, এই রেফারেন্স টানা যাবে। হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তবে সুনীলকেও জিজ্ঞেস করা যেতে পারে, "বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম" - এখানে ১০৮টা নীল পদ্ম কেন?

নিঃসন্দেহে অকালবোধনের রেফারেন্স। তবে নানারং পদ্মের সমাহার আছে কিন্তুল এরমধ্যে অন্যতম লীলাপদ্ম। কৃষ্ণের ছিলো ৩০০৮ টি লীলাপদ্ম। এই সখিদের ১০৮ টি ছিল মক্ষিরাণী, আর ৮ টি তো একেবারেই 'এক্সক্লুসিভ এন্ড স্পেশাল'।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অমিত বান্ধব [অতিথি] এর ছবি

তেরশ দুইটি কবিতা ব্যাপারে আমি উপরে লিখছি,একটু পড়ে নিবেন,তাহলে আর সমস্যা হবেনা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।