(অ)বিশ্বাসের সাতকাহন-১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৩/০১/২০১১ - ২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ধরুন, আমি দেখালাম আমার কোন পুর্বপুরুষ তার প্রিয়তমাকে লিখা চিঠিতে "গীতাঞ্জলি" শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং সেটা রবীন্দ্রনাথের "গীতাঞ্জলি" কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগেই করেছেন। এখন যদি আমি দাবি করি রবীন্দ্রনাথের আগেই যেহেতু আমার পুর্বপুরুষ "গীতাঞ্জলি" লিখে গেছেন, তাহলে আসলে আমার পুর্বপুরুষের নোবেল পাওয়া উচিত। এই যুক্তিটি শোনার পর আপনি নিশ্চয়ই আমার মানুষিক সুস্থ্যতা নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু একই রকম যুক্তি যখন জাকির নায়েক দিচ্ছেন, তখন আপনি হাততালি দিচ্ছেন। আসলে এটাই হল ধর্মান্ধতা। ধর্মান্ধতার কারনে আপনি এই স্বাভাবিক ব্যাপারটাও ধরতে পারছেন না। কোরানে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের কথা লিখা আছে (ধরে নিলাম)। কেন সম্প্রসারন হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, সেই সম্প্রসারনের ফলে কি হবে সেটা প্রমান এবং ব্যাখ্যা করা আর শুধু সম্প্রসারন হচ্ছে এই কথাটা ঘুরিয়ে পেচিঁয়ে বলা এক হতে পারে না। তাই কোরানে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের কথা লিখা আছে, এটা দাবি করা আর আমার পূর্বপুরুষ রবীন্দরনাথের আগেই "গীতাঞ্জলি" লিখে গেছেন - তার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।


তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, ধর্মবাদীদের সব যুক্তি ঠিক। তিনি যা দাবি করছেন, তার সবকিছুই কোরানে আছে। তাহলেও কি প্রমান হয় ইসলামই সঠিক ধর্ম?পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী এমন অনেক কিছু নিঁখুতভাবে বলে গেছেন। তার মানে কি উনারা সবাই ঈশ্বর? আইনষ্টাইন এই মর্তলোকে বসে কাল দির্ঘায়নের মত জটিল ব্যাপার খুব নিঁখুতভাবে ব্যখ্যা করেছেন, তাহলে কি আইনষ্টাইন ঈশ্বর?


অনেক আস্তিককে যুক্তি দিতে শুনি, আমাদের প্রানীদেহ এতো জটিল যে সেটা কখনোই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া নিজ থেকে অথবা ইভোলুউশানের মাধ্যমে হওয়া সম্ভব না। মেনে নিলাম, আসলেই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সম্ভব না। এটা ভাবুন যিনি এরকম জটিল প্রানীদেহ সৃষ্টি করলেন, তাহলে খুব সহজেই আমরা অনুমান করতে পারি সৃষ্টিকর্তা নিজে আরো জটিলতর গঠনতন্ত্রের অধিকারী। তার মানে সৃষ্টিকর্তারও ১জন সৃষ্টিকর্তা থাকবে। যেখানে মানুষের মত জীবের গঠনতন্ত্র দেখে আপনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন, মানুষের সৃষ্টিকর্তা থাকবে। তাহলে সৃষ্টিকর্তার এরকম কীর্তি-কলাপ দেখে এই প্রশ্নটা আসা কি স্বাভাবিক না যে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা কে?


এবার আসি কেন ধর্মবাদীরা সুযোগ পেলেই ধর্মগ্রন্থের সাথে বিজ্ঞান জোড়া লাগাতে চান! দুনিয়ার কোন ধর্মগ্রন্থে আপনি এরকম কিছু লিখা নেই ""ক" কাজটি করলে আপনি "খ" ফল পাবেন"। ধরুন, "পাঁচ বছর ধরে নামাজ আদায় করলে আপনার রোগমুক্তি হবে" কিংবা "দশ বছর রোজা রাখলে আপনি গাড়ি পাবেন" এরকম কোন কথাই পাবেন না ধর্মগ্রন্থগুলোতে। সবগুলো ধর্মগ্রন্থই এই এক জায়গায় এসে পিছলানো শুরু করে, নানারকম হেয়াঁলি কথার মাঝে আর পরকালে বিশাল পুরস্কারের প্রতিশ্রুতির মাঝেই ধর্মগ্রন্থগুলো সীমাবদ্ধ। কিন্তু বিজ্ঞান আপনাকে গ্যরান্টি দিয়ে বলবে যে, "ক" কাজটি করলে আপনি "খ" ফল পাবেন এবং কেন পাবেন সেটার নিখুঁত ব্যাখাও দিবে বিজ্ঞান। তাঁর মানে নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে হলে আপনাকে বিজ্ঞানের দ্বারস্ত হতে হবে। সেই কাজটি করে যান মরিস বুখাইলি, হারুন ইয়াহিয়া, জাকির নায়েকরা। বিজ্ঞান কখনো ধর্মসম্মত হবার দাবি করে না, কারন তার দাবি করা প্রয়োজন নেই বরং ধর্মই বিজ্ঞানসম্মত হবার দাবি করে।


গ্রামবাংলায় ১টি প্রবাদ আছে, "গোয়াঁলা কখনো তার গরুর দুধকে খারাপ বলে না"। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। গোয়াঁলা যেরকম করে দুধ বিক্রি করে তার জীবন ধারন করেন, ঠিক তেমন ধর্মবাদীরাও ধর্ম বিক্রি করে তাঁর জীবন ধারন করে। ধরুন আপনি নাস্তিক হয়ে গেলেন, তাহলে আগে যে টাকা আপনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান করতেন সে টাকা এখন আর দান করবেন না। তাই নিজের ব্যবসাটুকু ধরে রাখার জন্য নানাভাবে ধর্মবাদীরা ভয়-ভীতি, লোভ দেখিয়ে, দরকার হলে আপনার গর্দান কেটেও নিজের ব্যবসাটুকু ধরে রাখবেন।


ধর্ম হচ্ছে বাজারের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। অন্য যেকোন ব্যবসার জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে, শ্রম এবং মেধা দিতে হবে। কিন্তু ধর্মব্যবসায় আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শুধুমাত্র কিছু অনুসারী ৈরী করুন, মগজ ধোলাই করুন, তাদের মনে স্বর্গ-নরকের কাল্পনিক কেচ্ছা-কাহিনি ঢুকিয়ে দিন আর নিজেকে সৃষ্টিকর্তার সেই মহান দূত হিসেবে চালিয়ে দিন। ব্যস! খেল খতম। আপনাকে আর কোন চিন্তা করতে হবে না। আপনি মরে যাওয়ার পরেও আপনার কেচ্ছা-কাহিনি থাকবে অটুট। লোভ, হিংসা, নিজের কামনার সবটুকু চরিতার্থ করার পরেও যুগ থেকে যুগ আপনি বেঁচে থাকবেন মহা মানব হিসেবে। আরেকটি কথা, অবশ্যই আপনার অনুসারীদেরকে এটা শিখিয়ে দিয়ে যাবেন, আপনি এবং আপনার শিখানো কেচ্চা-কাহিনির বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের গর্দান কাটতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
crucified.soul88 [at] gmail [dot] com


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাইরে, এসব তো পুরোনো কথা, যারা জানার তারা জানেই, আর যারা শুনতে চায় না তারা শুনবেই না। অবশ্য আপনার লেখাটা একটু উপর-উপর হয়েছে, তাও লিখেছেন যে সেটা ভাল ব্যাপার।

ধর্ম সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা বই কি। এই আমেরিকাতেই গত দুই শতাব্দীতে তিনটে নতুন খ্রীষ্টধর্ম-ছানাপোনা খুব পুষ্টি লাভ করে বড়সড় হয়েছে - মোরমন, চার্চ অফ ক্রাইস্ট সায়েন্টিস আর সায়েন্টোলজি। আর যৌনকেলেঙ্কারি ও অন্যান্য দায়ে অভিযুক্ত বিশপ এডি লং তো পুরো বিরিঞ্চিবাবা, ধনীতম শিষ্যেরাই তাঁর সবচেয়ে প্রিয়পাত্র। কত আর বলি। লুর্দ-এর সুবিখ্যাত পানিপড়া নিয়ে আমার লেখাটা পড়েছেন কি?

নাজমুস সাকিব [অতিথি] এর ছবি

আপনার যুক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে কোন যুক্তি তুলে ধরবার মত জ্ঞান আমার নেই । কিন্তু অনেকদিন ধরেই কিছু প্রশ্ন আমার মনে আসে । প্রশ্নের গুলো নিয়ে কেউ সময় পেলে একটু ভেবে দেখবেন ।

প্রশ্ন ১: আপনি কি ধর্ম মনে করেন ধর্ম বিশ্বাসী মানেই ধর্ম ব্যবসায়ী?
প্রশ্ন ২: আমার কাছে ধর্ম একটি মানসিক আশ্রয়ের স্থান। তার মানে কিন্তু আমি যুক্তি বিরদ্ধে না । কিন্তু সকল যুক্তি তর্কের শেষে গিয়ে আমি আবেগ নিয়ন্ত্রিত মানুষ হিসেবে স্রষ্টায় বিশ্বাস করি । ( যেমনটা আশা করি বাংলাদেশের শেষ ব্যটসম্যান ১০০ রান করে বাংলাদেশ কে জিতিয়ে দিব । এই আশাটা কোন ভাবেই যুক্তি গ্রাহ্য না, কিন্তু আবেগী আশা ) . তো আপনি যখন যুক্তি তর্কের দ্বারা প্রমান করে দিলেন ধর্ম অসার, তখন আমার জন্য মানসিক আশ্রয়ের স্থানটি কি হবে সে ব্যাপারে ভেবেছেন কি ?
প্রশ্ন ৩: ধর্মাশ্রয়ী ( খেয়াল করে ধর্ম ব্যবসায়ী নয় ) মানুষ গুলোর সামনে যখন যুক্তির উপস্থাপন করছেন তখন তার সামনে বিকল্প হিসেবে কি উপস্থাপন করছেন? বা ভেবেছেন কি তার অবলম্বন কি হবে? ( ধর্ম যত অসার প্রমাণিতই করেন না কেন, আমার মত অনেকেই কিন্তু মানসিক ভাবে ধর্মের উপর নির্ভরশীল - তো এই আমাদের জন্য একটা বিকল্প প্রস্তাব কিন্তু একটু ভাবতে হবে )
প্রশ্ন ৪: সমাজের মানুষের অনেক আচরণের শিক্ষা ( এখানে শুধু ভালো আচরণের কথা বলছি, উদাঃ সততা ) ধর্মীয় ভাবে হয়ে থাকে । যেমন ধরুন আমাকে ছোটবেলা শিখানো হয়েছে কোন প্রাণীকে অকারণে কষ্ট না দিতে, আমি সেটা মেনে চলি ( একসময় হয়ত পাপের ভয়ে, তারপর অভ্যাসবশঃত, এখন পরিণত বয়সে উপলদ্ধি থেকে ) . কিন্তু যখন আমার সামনে ধর্মের বাঁধ থাকবে না, তখন এই সব আচরণে মানুষকে কিভাবে আস্থা রাখবে ( এইখানে এসে আমি ধরে নিচ্ছি, সব মানুষের বিবেচনা বোধ উপলব্ধি নিয়ন্ত্রিত না ।)

আমার মনে হয় নতুন কোন দর্শনে মানুষ কে ভাবতে বলার আগে তার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া গুলোকে নিয়ে ভাবা উচিৎ ।

অতিথি লেখক এর ছবি

১। ধর্ম মানে ধর্ম ব্যবসায়ি না। আপনার ধর্ম আপনি পালন করুন - তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমার ধর্মই সেরা, অন্য কারো ধর্মকে আমি শ্রদ্ধা করব না। নিজের ধর্মকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার কথা সব ধর্মগুলোতেই বলা থাকে। সেখানেই সমস্যার শুরু। ১টা বার ধর্মীয় যুদ্ধগুলো (জিহাদ কিংবা ক্রুসেড) তালিকার দিকে নজর দিলেই বুঝবেন। কোথায় যেন পড়েছিলাম,
"ভালো মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে ধর্মের কোন জুড়ি নেই"

২। সম্পুর্ন আপেক্ষিক প্রশ্ন। আপনার মানুষিক আশ্রয়ের স্থান যা হবে অন্যদেরও কি সেই একই হবে?

৩। প্রচলিত ধর্মের জন্য বিকল্প থাকতে হবে আমি মনে করি না। ধর্ম সমাজ ব্যবস্থার এমন কোন অংশ নয় যা ছাড়া সমাজ অচল।

৪। এই যুক্তিটি আমার কাছে খুব হাস্যকর মনে হয়েছে। ধর্মগুলো যতটা না নৈতিকতার উপর গুরুত্ব দেয়া, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ঐ ধর্মের রিচুয়্যালগুলো কতটা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে। ১টা বার ভেবে দেখুন, ইসলাম ধর্মমতে মাদার টেরেসা কখনোই বেহেস্তে যাবেন না, কিন্তু গোলাম আযম বেহেস্তে যাবেন। কেন যাবেন, কারন মাদার টেরেসা ইসলামের রিচ্যুয়ালগুলো পালন করেননি, গোলাম আযম করেছেন।
ধর্ম কখনোই নৈতিকতার ভিত্তি না। বরং সমাজের প্রচলিত নৈতিকতাকে আশ্রয় করে ধর্ম গড়ে উঠে। এজন্য দেখবেন আব্রাহামিক ধর্মগুলোতে দাস প্রথার মত অমানবিক প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়নি। কারন তখনকার সমাজগুলোতে দাস প্রথাকে অনৈতিক কিংবা অমানবিক ভাবা হত না। আর ধর্ম দিয়ে যে আর যাই হোক নৈতিকতার শিক্ষা হয় না, সেটা বাংলাদেশের দিকে তাকালেই বুঝবেন। আমরা এতো ধর্মপ্রান কিন্তু প্রতিবছর দুর্নীতিতে আমরাই শীর্ষে থাকি।

নতুন কিছু বলার আগে কেন আমাকে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভাবতে হবে। এটাও ধর্ম না মানার আরেকটি বড় কারন। কারন ধর্মগুলো বাক স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যা করে।
"অবশ্যই আপনার অনুসারীদেরকে এটা শিখিয়ে দিয়ে যাবেন, আপনি এবং আপনার শিখানো কেচ্চা-কাহিনির বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের গর্দান কাটতে"
এটার জন্য কি আমাকে ভেবে দেখতে হবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার কথা।

নাজমুস সাকিব [অতিথি] এর ছবি

আপনার যুক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে কোন যুক্তি তুলে ধরবার মত জ্ঞান আমার নেই । কিন্তু অনেকদিন ধরেই কিছু প্রশ্ন আমার মনে আসে । প্রশ্নের গুলো নিয়ে কেউ সময় পেলে একটু ভেবে দেখবেন ।

প্রশ্ন ১: আপনি কি মনে করেন ধর্ম বিশ্বাসী মানেই ধর্ম ব্যবসায়ী?
প্রশ্ন ২: আমার কাছে ধর্ম একটি মানসিক আশ্রয়ের স্থান। তার মানে কিন্তু আমি যুক্তি বিরদ্ধে না । কিন্তু সকল যুক্তি তর্কের শেষে গিয়ে আমি আবেগ নিয়ন্ত্রিত মানুষ হিসেবে স্রষ্টায় বিশ্বাস করি । ( যেমনটা আশা করি বাংলাদেশের শেষ ব্যটসম্যান ১০০ রান করে বাংলাদেশ কে জিতিয়ে দিব । এই আশাটা কোন ভাবেই যুক্তি গ্রাহ্য না, কিন্তু আবেগী আশা ) . তো আপনি যখন যুক্তি তর্কের দ্বারা প্রমান করে দিলেন ধর্ম অসার, তখন আমার জন্য মানসিক আশ্রয়ের স্থানটি কি হবে সে ব্যাপারে ভেবেছেন কি ?
প্রশ্ন ৩: ধর্মাশ্রয়ী ( খেয়াল করে ধর্ম ব্যবসায়ী নয় ) মানুষ গুলোর সামনে যখন যুক্তির উপস্থাপন করছেন তখন তার সামনে বিকল্প হিসেবে কি উপস্থাপন করছেন? বা ভেবেছেন কি তার অবলম্বন কি হবে? ( ধর্ম যত অসার প্রমাণিতই করেন না কেন, আমার মত অনেকেই কিন্তু মানসিক ভাবে ধর্মের উপর নির্ভরশীল - তো এই আমাদের জন্য একটা বিকল্প প্রস্তাব কিন্তু একটু ভাবতে হবে )
প্রশ্ন ৪: সমাজের মানুষের অনেক আচরণের শিক্ষা ( এখানে শুধু ভালো আচরণের কথা বলছি, উদাঃ সততা ) ধর্মীয় ভাবে হয়ে থাকে । যেমন ধরুন আমাকে ছোটবেলা শিখানো হয়েছে কোন প্রাণীকে অকারণে কষ্ট না দিতে, আমি সেটা মেনে চলি ( একসময় হয়ত পাপের ভয়ে, তারপর অভ্যাসবশঃত, এখন পরিণত বয়সে উপলদ্ধি থেকে ) . কিন্তু যখন আমার সামনে ধর্মের বাঁধ থাকবে না, তখন এই সব আচরণে মানুষকে কিভাবে আস্থা রাখবে ( এইখানে এসে আমি ধরে নিচ্ছি, সব মানুষের বিবেচনা বোধ উপলব্ধি নিয়ন্ত্রিত না ।)

আমার মনে হয় নতুন কোন দর্শনে মানুষ কে ভাবতে বলার আগে তার ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া গুলোকে নিয়ে ভাবা উচিৎ ।

অতিথি ১ এর ছবি

সামু ব্লগের মত ক্যাচাল কি আপ্নারা এখানেও শুরু করলেন ? নিশ্চয়ই এই ব্লগে অনেক আস্তিক লেখক আছেন কিন্তু কেউ ত আস্তিক-নাস্তিক ক্যাচাল শুরু করেনাই, আবার কেউ এখানে ধর্ম প্রচারও করতে আসেনাই , আপনি গায়ে পড়ে ক্যাচালটা শুরু না করলেই ভাল হতনা ?

আপনার অবিশ্বাসকে আঘাত দেয়াও কারও পক্ষে ঠিক না , তেমনি কারো বিশ্বাসকেও আপনার আঘাত দেয়া ঠিক না।দোহাই লাগে...ক্যাচালটা এখানেই শেষ করেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।