যেখানে সেবাই স্বাস্থ্য কর্মীদের লক্ষ্য!!!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৫/২০১১ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাস্পাতাল থেকে এসে এক কাপ চা নিয়ে সচলায়তন এ বসেই দেখি ‘স্বাস্থ্যই সকল ব্যাবসার মুল’। ধন্যবাদ রেজোয়ান কে এই পোস্টের জন্য। আমার হাটুর অপারেশান(নী রিপলেস্মন্ট) নয় তারিখে, আজ ছিল প্রি-অপারেশান এপোয়েনমেন্ট। আগেই হাস্পাতাল থেকে জানিয়েছিল এটা অনেক লম্বা সময়ের ব্যাপার। আমার স্বামি ছুটি নিয়েছেন। সকাল নয়টায় আমরা হাস্পাতালে পৌছে অপেক্ষায় রইলাম।

প্রায় মিনিট বিশেক পরে আমার ডাক এলো। একজন রেজিস্টার্ড নার্স আমার দায়িত্বে, আমার ঔষধের লিস্ট বানিয়ে, অপারেশান সম্পর্কে তাদের করনীয় কর্তব্যর ফিরিস্তি দিয়ে, আজকের য়্যপয়েনমেন্টে সময় সুচী জানালো। আমার অপারেশানের পুর্বে এবং পরে কি কি করনীয় সেটা অত্যান্ত ধৈর্য্যর সাথে বিস্তারিত বর্ননা করলো। সমস্ত পেপার ওয়ার্ক, ইনসুয়েরেন্স চেক করলেন, প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিটের ব্যাপার।

আবার অপেক্ষা, মিনিট পনেরো পরে ডাক এলো, আরেকজন নার্স এলেন, অপারেশানের পুর্ব শর্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত নিলেন, আমার ইকেজি করলেন। আবার অপেক্ষা, এবার এনেসঠেটিকের সাথে, তিনি আমার কেসটি রিভিউ করলেন আমার সাথে, জানালেন, মেরুদন্ডে ইনজেকশান দিয়ে ঘুম পাড়াতে, ইন্টারভেনাসের সাথে ব্যাথার ঔষধ দিয়ে অ[পারেশানের টীমের দায়িত্বে আছেন। ইন্টারনাল মেডিসিন ডাক্টার অন কলে, ফ্রন্ট ডেস্কের রিসেপ্সনিস্ট আমাদের এক্স-রে করতে পাঠিয়ে দিলেন সময়ের ভালো ব্যাবহার হোল। সেখানে বড় এক লাইন। বসেই আছি, হটাৎ দেখি সকালের সেই নার্স, (বেশ বয়স্ক, পা টেনে টেনে হেটে) এলেন আমার কাছে। বুঝিয়ে বললেন, তোমার আগের অপারেশানের ফাইলটা আমাদের রেফারেন্স হিসেবে রাখতে চাই, সেটা যেহেতু অন্য হাস্পাতালে হয়েছে, সেহেতু সেটা এই হাস্পাতালে আনার জন্য তোমার অনুরোধ ফর্মে সাইন করতে হবে, তিনি বললেন ‘উই ওয়ান্ট টু সি দি বিগার পিকচার, বিফোর উই স্টার্ট দি অপারেশান, ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’। তিনি জানতে চাইলেন ইন্টারনাল মেড ডাক্তারের জন্য আর একদিন কি আসতে পারি কিনা, আমার স্বামি জানালেন আজকে যেহেতু তিনি ছুটি নিয়েছেন, সেহেতু দেরী হলেও কাজটা আজকেই শেষ করতে চান।

বসে আছি, এক্স-রে ফ্রন্ট ডেস্ক রিসেপ্সনিস্ট আমাকে ডেকে বললেন, ‘ড, মনেরো অন দি ওয়ে টু সি ইউ, গো দেয়ার, ফিনিস ড্যাট পার্ট, কাম ব্যাক এন্ড রিপোর্ট এগেন’। কি আর করা পা টেনে টেনে গেলাম, কিছুক্ষনের মধ্যেই ডাক্টার এলেন রিভিউ করলেন সমস্ত ঔষধ,অপারেশানের আগের রাতে কোন কোন ঔষধ খাবো, ভোরে কোন গুলি খাবো, সেটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন। শুভেচ্ছান্তে বিদায়।

হাস্পাতালের ইমার্জেন্সিতে অন কলে থাকা, সার্লন ডাক্টার ইয়ান এলেন প্রায় দৌড়িয়ে। তিনি সব কিছু দেখলেন, খুটিনাটি সব মন্তব্য পড়লেন। পায়ে ব্যাথা পেলে, পড়ে গেলে, ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে, অপারেশান ক্যান্সেল হয়ে যাবে। সাবধান করলেন। শুভেচ্ছা জানিয়েই ছটলেন তার দায়িত্বে।

ফিরে এলাম এক্স-রে তে। আমার সৌভাগ্য, সেকানকার সময়ের মাপে আমার ডাক এলো যথাসময়েই লাইনের ক্রমানুসারেই। দুইজন স্বাস্থকর্মী অসম্ভব দক্ষতার সাথে বিভিন্ন য়্যঙ্গেলে হাটুর এক্স-রে নিল, অসহায় আমাকে ঠিকমত পজিসনে দাড়ানোর চেস্টায় তাদের অসীম মমতার সাথে সহজোগিতা কতটা কস্টসাদ্ধ্য আমার অগোচরে রইলোনা, আমি খুব লজ্জিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করতেই দুজনে সমস্বরে যা বললো, তার সারমর্ম তারা জাস্ট তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।বললেন ‌‌উই আর স্যরি ড্যাট ইউ আর গোইং থ্রু সো মাচ পেইন, বাট হোপফুলি সুন ইট উইল বি ওভার।‘ পরের পর্বে ফিজিও থেরাপিস্টের সাথে। তিনি অত্যন্ত সহৃদয়তার সাথে আমাকে ক্রাচে হাটানো প্রাক্টিস করালেন, সময় নিয়ে হাটা এবং সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করার টিপস এবং টেকনিক শিখালেন। সব কিছুই শেষ হোল বেলা তিনটের মধো, মোট ছয় ঘনটা সময়ে!!!

একজন মানুষ যখন অসুস্থ হয়, সে তখন অসম্পুর্ন, অসহায়, তার চিকিৎসার সাথে সাথে দরকার, ঔষধ, পথ্য, সেবার সমবেত প্রচেস্টা। এটা বোধহয় অনেকেই জানেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পেইন কিলার হিসেবে পানি ইনজেক্ট করে সাংঘাতিক আহত রোগীকেও ডাক্টার, নার্স চিকিৎসা করেছেন, রোগীকে মনোবল দিয়েছেন, সুস্থ কপ্রেছেন। প্রত্যেক নার্স, ডাক্তার, স্বাস্থকর্মি যখন মুখের দিকে তাকিয়ে বলে ‘ইউ আর সো ব্রেভ, আই য়্যাম প্রাউড অফ ইউ’। তখন আমার মনে ম্যাজিক হয়, মনে হয় আমার অসুস্থতার চাইতে, অসম্পুর্নতার চাইতে আমি অনেক বড়, আমি মানুষ!!! এখানে অবশ্যই অনেক উন্নত ইকুইপমেন্ট আছে, কিন্ত তার সাথে এদের আছে সকলের সমবেত প্রচেস্টা, আন্তরিক, অমায়িক ব্যাবহার, সেবার লক্ষ্য নিবেদিত টীমোয়ার্ক। রিলেরেসের মত!!!

ব্যাবসা ব্যাবসাই, সৎ ভাবে উপার্জন করা হোক, চিকিৎসার সার্ভিস দিয়ে পয়সা নিক কারোরই আপত্তির কিছু নাই। পার্কিং লটে যখন এম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে, তখন একটি প্রয়োজনীয় সেবা কেন দেয়া যাবে না, আমি বুঝতে পারলাম না। সৎ, আন্তরিক চেস্টাটা যদি আমাদের থাকতো, আমি শুধু এটাই আশা করি আমাদের নুতন প্রজন্মের কাছে।

আসমা খান, অটোয়া।


মন্তব্য

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

ক্লান্ত হয়ে চট-জলদি লেখা, দেখলাম অনেকগুলি বানান ভুল, প্রিয় পাঠক নিজগুনে ক্ষমা করবেন আশা করি।আমার উদ্দেশ্য ছিলো, দুই দেশের স্বাস্থ্যকর্মিদের ব্যবহারের তারতম্য, তারা মুখের কথায় ব্যাবহারে অনেক ডিফারেন্স করতে পারেন, অসুখ না হোলেও মন জয় করতে পারেন, যেটা সুস্থতার পুর্ব শর্ত।

রাগ ইমন  এর ছবি

ব্যাবসা ব্যাবসাই, সৎ ভাবে উপার্জন করা হোক, চিকিৎসার সার্ভিস দিয়ে পয়সা নিক কারোরই আপত্তির কিছু নাই।

এইটাই আমারও কথা। এইখানেই "উন্নত" এর সাথে, "সেবার" সাথে, "অনুন্নত" আর "শোষণ" এর পার্থক্য ।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ার জন্য। ‘উন্নত’ এবং ‘সেবা’ এর সাথে ‘অনুন্নত’ এবং ‘শোষন’, পার্থক্যটা কি দৃস্টিভঙ্গীর? কাদের? রোগীর অভিভাবকের, ডাক্টারের?
ভালো থাকবেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্যাবসা ব্যাবসাই, সৎ ভাবে উপার্জন করা হোক, চিকিৎসার সার্ভিস দিয়ে পয়সা নিক কারোরই আপত্তির কিছু নাই। পার্কিং লটে যখন এম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে, তখন একটি প্রয়োজনীয় সেবা কেন দেয়া যাবে না, আমি বুঝতে পারলাম না।

এটা কী-পয়েন্ট। কিন্তু আমরা চলি সোনার হাঁসবধনীতিতে। একজন রোগীর যে রোগ হয়েছে, সেটাকে কম্প্লিকেটেড না দেখাতে পারলে চিকিৎসা সহজ হয়ে যাবে, পার ইউনিটে দাও মারার হার কম হয়ে যাবে। সেবা নিয়ে রোগী সুস্থ হয়ে গেলেও প্রবলেম। তাহলে আর চিকিৎসা করবে কার? ইন জেনারেল, আমরা চলি ঠ্যাক নীতিতে। অসুস্থাবস্থায় যেহেতু জীবন মরনের প্রশ্ন, সেহেতু তখন বড় ঠ্যাক দেয়া সহজ। ফোঁড়া কেটে তো লাখ টাকা নেয়া যায় না!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

সেই অজ্ঞ লোভী চাষী আর বিজ্ঞ লোভী ডাক্তার, তুলনাটা মন্দ না! কমোন হচ্ছে লোভ!! একটু একটু বুঝতে পারছি। অশেষ ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

cadetruhul এর ছবি

আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি জানেন? আমাদের বড় সমস্যা হল আমরা অন‌্যের দোষ বের করে, সেটা নিয়ে গল্প করে খুবই আনন্দ পাই। অন্যকে একটু সাহায‌্য করব, তার দোষ, ভুলটা শোধরানোর জন্য, এটাতে আমরা নাই। আমরা পারি অন‌্যের ব্যর্থতাকে সফল কারো সাথে তুলনা করে তাকে কিভাবে ছোট করা যায়।

আর আপনাদের মানুষদের থেকে এরচেয়ে (এই রকম তুলনামূলক সমালোচনা ছাড়া) ভাল কিছু কোনভাবের আশা করা যায় না। নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়ে অন্যদেরকে নিয়া হাসাহাসি করাটা আপনাদের স্বভাব। একরকম পৈশাচিক আনন্দ লাভ করেন এমনটা করে। কি করেছেন আপনি দেশের চিকিৎসার মান বাড়ানোর জন্য? আপনার কি কোন অবদান আছে?

কানাডার, অটোয়ার হাসপাতালের নার্স আপনাকে এই টাইপের সেবা কেন দেয়? একবার চিন্তা করে দেখেন। আপনি আপনার বেতনের ৩০-৩৫% (ট্যাক্স) সরকারকে দিয়ে দেন। সেই টাকা দিয়ে এইসব নার্স, ডাক্তারদের খুবই ভাল বেতন দেয়া হয়। বাংলেদেশে আপনি আপনার বেতনের কতভাগ ট্যাক্স দেন।

এই ব্যাপারগুলো একবার ভাবুন, সমালোচনা বন্ধ করুন। যদি পারেন নিজের আরাম, আয়েশ কমিয়ে দেশের ফিরে গিয়ে দেশের মানুষের জন্য কিছু করুন।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

তা বেসরকারী হাসপাতালের এই হাল কেনো? তারাতো ঠিকই গলাকাটা ফি নেয়। মানুষ বেশি টাকা দিয়ে যদি বেসরকারী হাসপাতালে গিয়েও সেবা না পায় তাইলে কেমনে কি?

---------------------
আমার ফ্লিকার

রিসালাত বারী এর ছবি

জনাব, আপনি শুরুতেই ক্ষেপে গেলেন কেন বুঝতে পারিনি। এখানে কোথাও হাসাহাসি করা হচ্ছে বলে তো মনে হলো না। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বা সেবার মান নিয়ে খুঁচিয়ে দোষ বের করার কি কিছু আছে? আমরা সবাই জানি সেখানে অনেক সমস্যা। আর সমস্যার সমালোচনা করতে গেলে আগে নিজেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে এই ধরনের গোয়ার্তুমি মার্কা লজিক আর কত? দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে আমি কোন অবদান রাখিনি বলে কি আমি বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দেব, নাকি লোডশেডিং এর সমাধানের জন্য কোন দাবী করতে পারবো না??

আমি আমার বেতনের ১৫-২০% ট্যাক্স দেই। আমিতো কানাডিয়েন স্কেলে বেতন পাই না, এখন কি আমি সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা হারালাম?? সরকার আপনাকে বেতন বেশি দিতে পারে না বলে আপনি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে চাকরি নিচ্ছেন। সেখানে বেশি বেতন নেয়ার পরও আপনি কি আমাকে সঠিক এবং হয়রানি-মুক্ত চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কানাডার, অটোয়ার হাসপাতালের নার্স আপনাকে এই টাইপের সেবা কেন দেয়? একবার চিন্তা করে দেখেন। আপনি আপনার বেতনের ৩০-৩৫% (ট্যাক্স) সরকারকে দিয়ে দেন। সেই টাকা দিয়ে এইসব নার্স, ডাক্তারদের খুবই ভাল বেতন দেয়া হয়। বাংলেদেশে আপনি আপনার বেতনের কতভাগ ট্যাক্স দেন।

সরকার ট্যাক্স নিক, সেবা দিক। ডাক্তার বেতন ভালো পায় না, সেই অজুহাতে চিকিৎসা সেবা দিতে গাফিলতি করা জায়েজ হয় নাকি? বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করা ফ্রেশ লেকচারাররা ৮ হাজার টাকা বেতন পায়, তারা সেই অজুহাতে ক্লাস নেয়া বন্ধ করে নাকি? বাংলাদেশে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই বেতন কম। ডাক্তাররা তো ব্যতিক্রম না, যে বেতনের অজুহাত দেখিয়ে সেবা বন!

আর প্রাইভেটে তো টাকা নিবা? হ। সেবা দিবা? উহু!

বিদেশে সবাই আরাম, আয়েশে থাকে নাকি? সরকার, বিরোধীদল এবং সরকারী ও বেসরকারী মাস্তানবাহিনী হুদা কামে পুটকিতে আঙুল দেয়া বন্ধ করলে অনেক প্রবাসীই কাজের ক্ষেত্র বা বেতনের পার্থক্যকে আমলে না এনে দেশে ফিরতো। কারণ, প্রবাসজীবনে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হতে হয়, যার মূল্য টাকার চেয়ে বেশি। আর দেশের বাইরে থাকলেই দেশের জন্য কিছু করা যায় না, এটা ভাই কোনো প্রাইমারি স্কুলের সামনে গিয়ে বইলেন না, ক্লাস ওয়ান-টুর পোলাপানও হাসাহাসি করবে, আপনার মান-সম্মান কিছু আস্ত থাকবে না।

সমস্যা থাকলে সমালোচনা থাকবে। তাতে কারো পুটকি জ্বললে সমালোচনা বন্ধ করার জন্য চিল্লাবে। কী আর করা!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

cadetruhul ,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়বার জন্য। সচলায়তনে 'স্বাস্থ্যই সকল ব্যাবসার মুল’ পড়ে আমার ঠিক সেইদিনের হাস্পাতালের অভিজ্ঞতাটা লিখেছিলাম 'যেখানে সেবাই স্বাস্থ্য কর্মিদের লক্ষ্য'। আমি বলতে চেয়েছিলাম মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন তার সঠিক রোগ নির্নয়, প্রয়োজনীয় ঔষধ, পথ্য, সেবার সমবেত প্রচেস্টায় ফলে সে সুস্থ হয়।
বেতন বেশী হলেই যদি সেবার মান উন্নত হবে, তাহলে সেটা আমাদের দেশে যখন হচ্ছেনা, তখন হতাশ মানুষ কার কাছে প্রশ্ন করবে??? যার কাঁধে অসুস্থ রোগীর অমানুষিক কস্টের বোঝা, পকেট চিচিং ফাক!??
যেকোন সমস্যার মুলে গিয়ে সেটার সমাধানের চেস্টায় সচেতনতা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, অহেতুক বাক-বিতান্ডা কাম্য হতে পারে না। আসুন আমরা সচেতন হই, মানবিক কারনেই, আমাদের কাজের দায়িত্বটা নিজের কাধেঁ নিয়ে, পাহাড় সমান সমস্যাকে একটু একটু করে এগিয়ে যাই সামনের দিকে!!শুভেচ্ছা রইলো।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আপনার প্রতি গোটাকয় প্রশ্নঃ

আপনি এখানে উপদেশ না ঝেড়ে নিজে কিছু করে দেখাতে পারতেন - করলেন না কেন? সমালোচনা খালি আপনার করার অধিকার আছে আর কারো নেই?

আখের গুছানো কাকে বলে?

আরাম আয়েশে থাকা কাকে বলে?

দেশের বাইরে যাঁরা থাকেন তাঁরা কি ধরনের মানসিক অবস্থায় থাকেন কোন ধারণা আছে আপনার? তাঁরা কেন দেশ ছেড়ে গেছেন সেটা বোঝেন?

বুঝলাম, সমালোচনা খুব খারাপ জিনিস। একজন ট্যাক্সপেয়ারের যদি সরকারের কিছু ভালো না লাগে আপনার মতে তাঁর কী করা উচিত? সরকার গঠন করে 'দেখিয়ে দেয়া'?

বাংলাদেশে আমি আমার বেতনের ১০-২০% ট্যাক্স দিয়েছি। এবং আপনার জ্ঞাতার্থে এখানে যে চাল আমি একশ' ষোল টাকা কেজি দরে কিনি (১৮ কেজি = ২১০০ টাকা) সেটা বাংলাদেশে কিনতাম চল্লিশ টাকার আশপাশে। এবার ওই চল্লিশ টাকা কেজি অবস্থায় ১০-২০% ট্যাক্সরেট বিবেচনা করে একটু হিসাব নিকাশ করে দেখান তো দেখি, যা দিয়েছি তার বিনিময়ে কী কী পেয়েছি? আমার দায়িত্ব আমি পালন করেছি, সরকার তার দায়িত্ব পালন করেছে?

সবশেষে একখানা মন্তব্য করি।

চোখ বন্ধ করে ভালো খারাপ নির্বিশেষে কোনকিছু সমর্থন করা একটা রোগবিশেষ, দ্রুত চিকিৎসা না করলে ব্যাপার ঘোরতর হয়ে যেতে পারে - 'নিজের আখের' এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে এই রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা নেয়া উচিত।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

উদ্ভ্রান্ত পথিক, রিসালাত বারী, অচ্ছুৎ বলাই,
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার পরে মন্তব্যর জন্য। আমদের দেশে চিকিৎসার সমস্যা সত্যি বিরাট এক সমস্যা। আমার কাছে মনে হয় আমাদের সবার মাঝেই সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অসীম ধৈর্য্যর দরকার।
নিজের প্রিয়জন যখন অসুখে কস্ট পাচ্ছে, অখন সবকিছুর বিনিময়ে সে চিকিৎসা কিনতে চায়, কিন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যা আছে সেটায় যদি আলোকপাত করা হয় আরো বেশি, বেশি, শুধু নেগেটিভ ব্যাপার গুলি নয়, পজেটিভ ব্যাপারগুলিও যদি মানুষ বুঝতে পারে, তবে তাদের মনে আশা, প্রত্যাশাগুলি নিয়ে অসুস্থ রোগীর বোঝাটা নিয়ে তার জীবন যাপন অনেক সহজ হয়।

আমি যা বলতে চেয়েছি সেটা হোল সচেতনতা বাড়ানো, চিকিৎসায় ডাক্তার, প্রশাষন, স্বাস্থ্যকর্মী, ঔষধ, পথ্য, সেবার সমবেত চেস্টা, এবং প্রত্যেকের কাজের জবাব দিহিতার একটা ফোরাম গড়ে তোলা। একই সাথে রোগীকে, তার সাথের আত্বীয় পরিজনকে সেই বিখ্যাত উক্তি, ’বি পেসেন্ট পেসেন্ট’। এবং ‘পেসেন্স হেল্প টু হীল দি ডিজিজ’। অসীম ধৈর্য্যর দরকার আমাদের নিজেদের মধ্যে!!

অশেষ ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা সকলের জন্য!!

ওডিন এর ছবি

আমাদের দেশের বেসরকারী চিকিৎসাব্যাবস্থা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। অনেক বড় বড় লোকজন আছেন সেইসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য। আমি আমাদের সরকারী স্পেকট্রামটা নিয়ে একটু বলি। সবাই অনেকদিকে আলোকপাত করেও একটা মেজর জিনিস মিস করছেন, আমাদের দেশের রোগীর সংখ্যা। আমাদের দেশের মানুষের সংখ্যা।

গত তেইশে মে দেশের একমাত্র সরকারী ট্রমা হাসপাতালে রাতের বারো ঘন্টার শিফটে (রাত আটটা থেকে সকাল আটটা) মোট আসা রোগীর সংখ্যা একশ সতের জন। আটত্রিশ জন বড় ধরণের সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। ইমারজেন্সি রুমে অ্যাটেন্ডিং ডাক্তার ছিলেন দুইজন, নার্স দুইজন, ওয়ার্ডবয় দুইজন।

এরমধ্যে একবার জানালা ভাংচুর। রোগী ক্যানো মারা গেলো তাই। আসলেই তো! হায়াত মউতের মালিক ডাক্তাররা হাসি

ভেতরে ইমারজেন্সি ওটিতে ডাক্তার দুইজন, অ্যানেসথেসিস্ট নার্স দুইজন, ওয়ার্ডবয় দুইজন। মোট অপারেশান হয়েছে একচল্লিশটা। স্বাস্থসেবার সাথে জড়িত কাউকে একটু জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন দুইজন সার্জনের পক্ষে বারো ঘন্টায় উইদআউট এ ব্রেক একচল্লিশটা সার্জারি করা কি ব্যপার। আর সবকিছু কিন্তু ঠিকমতো ডেফিনিটিভ কিছু করা যায় না।

উদাহরন- ভাঙ্গা কাঁচে হাত কেটে হাতের প্রায় সব শিরা কেটে গেছে। খুব চমৎকার ফ্রেশ একটা উন্ড। সুন্দরভাবে সবকিছু রিপেয়ার করা যাবে, ঘন্টা চারেক লাগবে হয়তো। কিন্তু বেশি কিছু করা যায়নাই, ধুয়েমুছে রেখে দেয়া ছাড়া। কারণ যতক্ষনে একটা কাটা শিরা রিপেয়ার করা যায় ততক্ষনে চার পাঁচজনকে অন্ততপক্ষে জীবন বাচানোর জন্য একটু সাপোর্টিভ চিকিৎসা দেয়া যাবে। হাত কাটা রোগী স্বভাবতই বিরক্ত। দেশের সবচে' সেরা জায়গায় এসেও এই অবস্থা! সকালে ছুটি দেয়ার সময় বলা হলো হপ্তাদুয়েক পরে আউটডোরে আসবেন, ভর্তি করে অপারেশান করা হবে। আমরা ভালোমতই জানি উনি আসলেও আর সিট পাবেন না। এইসব শতশত হাত পা কোমর ভাঙ্গা লোকদেরই আমরা জায়গা দিতে পারছি না, ফালতু হাতের রোগীদের কে কি জিজ্ঞেস করে। আর বেসরকারী ভাবে হাতের এই চিকিৎসা করানোর সামর্থ আমাদের দেশের অনেকেরই নেই। ভদ্রলোক একজন ক্লার্ক, আর ওইটা তার ডান হাত। যথারীতি গালিগালাজ করতে করতে তিনি বিদায় নিলেন। সবাই চুপচাপ শুনলাম। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই।

ব্লেইম গেমের সবচে বড় সুবিধা হলো কাউকে না কাউকে ব্লেইম করতে পারলেই মনে বেশ একটা শান্তিশান্তি ভাব আসে। যেমন আমি এখন ব্লেইম করছি জ্ঞানকোষের দোকানদারকে, ফালতু মার্কারে কালি আসে না, বই দাগায়া পড়তে পারতেছি না। কালকে পরীক্ষা। হাসি

অপছন্দনীয় এর ছবি

ওডিনদা, একটু লক্ষ্য করুন, কেউ কিন্তু অন্ততঃ এই পোস্টে সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের ধুয়ে দেয়নি। এই পোস্টটা সমালোচনামূলকও মনে হচ্ছে না আমার কাছে। এর আগে একটা পোস্টে বাংলাদেশের বেসরকারী হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরা হয়েছিলো, আর এই পোস্টে দেখছি সেই সূত্রে আরেকটা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বর্ণনা দেয়া হয়েছে, কোন দোষও দেয়া হয়েছে বলে দেখছি না, সমালোচনাও করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

বাংলাদেশের চিত্র সবাই ঠিকই জানেন, রোগীর অনুপাতে ডাক্তারের হার কত কম সেটাও জানেন। ডাক্তাররা যে ওভারলোডেড সেটাও জানেন। কিন্তু তাই বলে যে হাসপাতালের আটটা অ্যাম্বুলেন্স আছে সে যদি মাঝরাতে বলে বসে "আমাদের হাসপাতালে নিয়ে না এলে আমরা অ্যাম্বুলেন্স দেইনা" এটা কি কোন যুক্তিতে গ্রহণযোগ্য হয়? সব অ্যাম্বুলেন্স যদি বাইরে থাকে তাহলে সেটাও তো বলতে পারে যে এই মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স নেই।

ওভারলোডেড থাকলে সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার বাধ্য হয়ে প্রায়োরিটি বেসিসে চিকিৎসা করতেই পারেন, যেমন আপনার উদাহরণে বলেছেন। কিন্তু ডিউটিতে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলেন এরকম কেউ জেগে উঠে "আমাকে জাগালেন কেন" বলে রোগীর উপর চেঁচানোর অধিকার রাখেন কি? ডাক্তার যেমন মনের খুশিতে এরকম ওভারলোডেড প্রফেশনে এসে পড়েন নি, তেমনি রোগীও কিন্তু শখে অসুস্থ হয়নি - কিংবা রোগী ডাক্তারের এই অবস্থার জন্যও দায়ী নয়।

অ্যাম্বুলেন্স এবং ঘুম ভাঙানো আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলা। অ্যাম্বুলেন্সের ঘটনা বেসরকারী হাসপাতালের, আর ডাক্তারের চেঁচামেচি সরকারীর।

ডাক্তারও তো মানুষ, তাঁর চাপ কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা যেমন মানবিকতা এবং নিজেদের স্বার্থেই দরকার, তেমনি এইসব ব্যাপারগুলোও তো ঠিক করা উচিত তাই না? আমার মা নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না ঠিকমত এই অবস্থায় একটা অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে আমার আধ ঘন্টার বেশি লেগেছে, আমি ডাক্তার নই, কিন্তু একজন ডাক্তারের মায়েরও এই অবস্থায় পড়তে কতক্ষণ? সন্তান এমনকি ডাক্তার হলেও জরুরী চিকিৎসা বাসায় করা সম্ভব কিনা সেটা তো আমার চেয়ে আপনি অনেক ভালো জানবেন।

হাসি

ওডিন এর ছবি

অপছন্দনীয় ভাই, আমি কিন্তু পোস্টের সমালোচনা করে কিছু বলিনাই, আমি শুধু আমার কিছু ভিউ শেয়ার করলাম আরকি। হাসি

আপনার জবাবের সূত্র ধরে রেজোয়ান ভাইয়ের পোস্টটা পড়লাম, কিচ্ছু বলার নেই। আমি ওই হাসপাতালেই প্রায় একবছর কাজ করে এসেছি, অনেক কিছুই দেখেছি, আর বুঝেছি ওইসব হাসপাতাল আমাদের চাকরি করার জন্য না, আমাদের বা আপনাদের চিকিৎসার জন্যও না- যদি না আপনার কোন কর্পোরেট হেলথ ইন্সুরেন্স বা অঢেল টাকা থাকে। আপনাকে বুঝতে হবে- তারা 'রেভিনিউ' 'আর্ন; করে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সরকারী হাসপাতাল আর ইন্সটিটউটগুলোই চিকিৎসার জন্য সবচে ভাল জায়গা ছিলো, কিন্তু আস্তে আস্তে অবস্থা হয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়া বা থাইল্যান্ডের মতো, সব বেসরকারী সেকটরে চলে যাচ্ছে। ইন্ডিয়া বা থাইল্যান্ডে কিনতু আমাদের মতো ন্যাশনাল কিডনী ইন্সটিউট বা ন্যাশনাল কার্ডিয়াক হাসপাতাল নাই। কিন্তু ওদের বেসরকারি সেকটর দুর্দান্ত উন্নতি করেছে। আমাদের দেশে গরীব মানুষ এখনো বারান্দায় পড়ে হলেও চিকিৎসা পায়, এখন আস্তে আস্তে সব এইরকম 'কর্পোরেট' হাসপাতাল হয়ে যে সমস্যাটা হবে- ডাক্তাররা বেশী বেতনের জন্য ওইসব জায়গায় জয়েন করবে- আর ওইখানে তো টাকা ছাড়া ট্রলিটাও নড়বে না। আপনার হেলথ ইন্সুরেন্স থাকলে ভিন্ন কথা, কিন্তু যাদের ইন্সুরেন্সের সামর্থ্য নাই তাদের কি হবে?

আমি কিন্তু বলিনাই সব ডাক্তাররাই ভাল, বরং আপনি যাদের কথা বললেন, ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য চেচামেচি করছে- এইরকম অনেকেই আছেন। আমার নিজেরও অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে, কিন্তু আবার এমন অভিজ্ঞতাও আছে যে আমার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া বড় মামাকে এনআইসিভিডির বারান্দায় ফেলে চিকিৎসা করেও জান বাঁচিয়ে দিয়েছে। ওনাকে যদি ওইসব হাসপাতালে নিয়ে যেতাম, হয়ত ওনাকে সিসিউ তে মনিটরিং করে অনেক আরামে রাখা যেতো, কিন্তু বাঁচানো যেতো কিনা সন্দেহ, কারণ ওইখানে আগে টাকা দিতে হবে, আর অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো টাকা জোগাড় করবে কে?

স্বাস্থ্যসেবা আর কর্পোরেট কালচার কক্ষনো একসাথে যায়না। যতদিন পর্যন্ত না আমাদের বেসরকারী হাসপাতাল্গুলো এই 'রেভিনিউ আর্নিং' এর চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে না পরবে ততদিন পর্যন্ত অবস্থা মনেহয় এইরকমই থাকবে।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ ওডিন। আপনি ট্রমার একটি বাস্তব চিত্র দিলেন। আমাদের অনেক অনেক সমস্যা, কিন্তু আমরা যদি বাস্তবচিত্রটা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মির স্বল্পতা, রোগীর আধিক্য, যদি মনের ম্যাপে রাখি, ব্লেম গেমটাকে নিয়ে অহেতুক সময় নস্ট না করি, তবে সমস্যাটার সমাধানের হয়তো, হয়তো একটু একটু করে হোলেও সমাধানের দিকে যাবে।

মৃত্যুর চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে যখন একজন ডাক্টার রোগীকে যমদুতের হাত থেকে ছিনিয়ে আনেন, তিনি নিজেও জানেন, মানুষের ক্ষমতার সীমানা কতটুকু। নিজের প্রিয়জনের অসুখ নিয়েই মানুষ কাতর, কিন্তু ডাক্তারের কাছে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় প্রায়োরিটি ঠিক করে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন। তাই সবচেয়ে প্রয়োজন সবাইকে বাস্তব চিত্রটা জানানো। আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা যেখানে ডাক্তারের নাভিঃশ্বাষ ঊঠছে রোগীর চিকিৎসার জন্য, তখন রোগীর আপডেট উৎকন্ঠিত পরিজনকে কিভাবে জানাবে? কে জানাবে? অজ্ঞতা, অসহায়ত্ব, দারিদ্র, বঞ্চনার বোধের থকেই কি আসে ভাংচুরের কালচার?

আমার মনে হয় আপনার মন্তব্যটি গুরুত্বের মাপকাঠিতে একটি স্বতন্র পোস্ট হিসেবে নীড়পাতায় থাকলে ভালো হোত, সকলের মনে একটা বাস্তব চিত্র এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু আলোচনা হতে পারতো।
অশেষ ধন্যবাদ ওডিন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।