একজন রুমানা মঞ্জুর এবং আমাদের ঘূণে ধরা সমাজ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৬/২০১১ - ১:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের দেশের মানুষগুলো বড়ই অদ্ভূত প্রকৃতির। দেশের আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে নানা ধরণের অপরাধ সংগঠিত হয়, কোনটি ছোটখাট, কোনটি বা দেশকে নাড়িয়ে দেয়ার মত। যেসমস্ত অপরাধমূলক কর্মকান্ড দেশের সচেতন মহলের চিন্তাভাবনায় প্রবলভাবে নাড়া দেয়, সেইসব অপরাধের পেছনে দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীদের পক্ষে প্রায়সময়ই দেখা যায় আমাদের দেশের মানুষেরা সচেতন বা অবচেতনভাবে পক্ষপাতিত্ব করে। এসমস্ত পক্ষপাতিত্ব মাঝে মাঝে নির্লজ্জ্বতার সীমা এমনভাবেই ছাড়িয়ে যায় যে, ঐসব মানুষের কাছে মনে হয় তারা যে নরকের কীটসদৃশ ঐসব দোষী ব্যক্তিদের পক্ষাবলম্বন করছে, সেটাই সঠিক, যুক্তি বিশ্লেষণ না করে বা ঘটনার পেছনের সত্য ঘটনা না জেনেই দোষী ব্যক্তিদের নির্লজ্জ্ব পক্ষাবলম্বন করাটাই তাদের কাছেই যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরের ওপর অমানবিক, নারকীয় অত্যাচারের ঘটনার পরও তেমনি কিছু লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঘটনার পেছনে দায়ী রুমানার স্বামী সাঈদের পক্ষাবলম্বন করে আসছে। সাঈদ ধরা পড়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সামনে নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার সময় বলেছে যে রুমানা'র কানাডায় অবস্থানকালীন সময়ে কথিত ইরানী বন্ধু'র সাথে তাঁর অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে ধ্বস্তাধ্বস্তি তে রুমানা আহত হয়ে থাকতে পারে, আরও অনেকভাবে ঐদিন সে রুমানা মঞ্জুরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। আর তার সেই বক্তব্যকে ধ্যান-জ্ঞান ভেবে সমাজের বহু মানুষ উদ্ভট সেই ফেসবুকীয় বন্ধু তত্ত্ব-কে পুঁজি করে ঘটনার পেছনে রুমানা-কেই মূল দায়ী করে আসছে। সাঈদের প্রথমদিনের বক্তব্যের পর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিন পুলিশের বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছিল যে সাঈদ নিজের দোষ স্বীকার করেছে। তার এই স্বীকারোক্তিকেও অনেকেই বাঁকা চোখে দেখেছে। আমার অফিসের একজন সহকর্মী পুলিশের ঐ বক্তব্যের পর বললেন যে, পুলিশ নাকি সাঈদের প্রথমদিনের বক্তব্য পুরোপুরি পাল্টিয়ে দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত বক্তব্য সাজিয়ে নিয়েছে!!!

আমার সহকর্মীর উপরের ঐ বক্তব্য ছোট্ট একটি টুকরো ঘটনা মাত্র, এমন আরো ভুরি ভুরি উদাহরণ দেয়া যাবে যেখানে রুমানা'র কথিত সেই উদ্ভট ও বানোয়াট ফেসবুকীয় সম্পর্ককে বড় করে দেখিয়ে পুরো ঘটনার দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে আমাদের কথিত এই সুশীল সমাজ। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় এটাই যে, যারা রুমানার দোষকে বড় করে দেখছন, তাদের প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত ও সমাজের উঁচুশ্রেণীর বাসিন্দা। তাদের মুখেই যখন এমন যুক্তিহীন ও অসত্য কথা বের হয়ে আসে, তখন সমাজ হিসেবে আমরা কতটা নিচে নেমে গিয়েছি সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। সাঈদের ছোটবেলা থেকেই যে তার রেকর্ড ভাল না, সেটা একটু পড়াশুনা বা খোঁজখবর রাখলেই এতদিনে সবার জেনে যাওয়ার কথা। বাবা-মা'য়ের যৌন মিলনের দৃশ্য লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে সেটা বন্ধুদের কাছে বর্ণনা যে করতে পারে, সে চারিত্রিকভাবে কতটা নোংরা -- সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বেকার ঘরজামাই হয়ে দিনের পর দিন শুশুরবাড়ীর অন্ন ধ্বংস করার পর হীনমন্যতায় ভুগতে ভুগতে অবশেষে এবং স্ত্রীর উত্তরোত্তর উন্নতি সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীর জীবন ধ্বংস করার উদ্দ্যেশ্যে পাঁচ বছরের শিশুর উপস্থিতিতে যেই পশু তার স্ত্রীকে দুই চোখে হাত ঢুকিয়ে চোখ উপড়ে ফেলতে পারে, কামড়ে নাকের অংশিবিশেষ ছিঁড়ে নিয়ে আসতে পারে -- সেই পশুকে যারা নির্লজ্জের মত কোন সুচিন্তিত যুক্তি ছাড়া সমর্থন করতে পারে, তখন বুঝতে বাকি থাকেনা যে আমাদের সমাজ কতটা নিচে নেমে গেছে, সমাজের মানুষগুলো কতটা নিচে নামতে পারলে সাঈদের মত একটা পশুকে সমর্থন করতে পারে???

আমরা এখন একটি ঘূণে ধরা সমাজে বসবাস করছি -- একথা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।

উন্মাদ_নাঈম

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03am

মন্তব্য

guest_writer এর ছবি

আজ পত্রিকায় দেখলাম, রুমানা দেশে ফিরেছেন অন্ধত্ব নিয়ে, চিকিৎসকরা তেমন কিছু করতে পারেননি। কি যে কস্ট লাগছে বোঝাতে পারব না। পিশাচ হাসান সাইদ সুমন কে কেটে একশ টুকরা করলেও তো রুমানা তার স্বাভাবিক জীবন ফেরত পাবেন না।

'অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃনা তারে যেন তৃণসম দহে'---যে বা যারা পিশাচ সুমনের প্রতি সহানুভুতিশীল তারাও একেকজন পটেন্সিয়াল সুমন, এদের চিনে রাখা আর বয়কট করা প্রয়োজন, নিজেদের জন্যই প্রয়োজন।

পিশাচ সুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় আছি।

নীল সমুদ্র

হাসিন এর ছবি

ভাবতেই পারছি না যে উনি দেখতে পারছেন না।

অতিথি_লেখক এর ছবি

দুঃখের বিষয় এটাই যে, এমন মেধাবী একজন শিক্ষক চিরজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে গেলেন, অথচ তার কোন বিচার আদৌ হবেনা, কি অমানবিক আমাদের সমাজ!!!

guest_writer এর ছবি

পিশাচ সুমনের অপমানকর ও অমাণবিক শাস্তি দাবি করছি, সাথে ওইসব ছায়া সুমন (যারা সুমনকে সমর্থন করছে) দের ও শাস্তি প্রাপ্য।

আত্তসুদ্ধি

অতিথি_লেখক(উন্মাদ নাঈম) এর ছবি

শাস্তির আশা ছেড়ে দিয়েছি, এমন জঘণ্যতম অপরাধের জন্য আমাদের শুধু হা-হুতাশ করা ছাড়া কিছুই করার নেই।

তানভীর বলছি এর ছবি

"আমি আমার বাচ্চাটাকে আর দেখতে পারছি না" প্রথম আলোতে এই শিরোনামের লিখাটা পড়ে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেলো। আমার মনে ক্ষীণ আশা ছিল হয়ত রুমানা মঞ্জুর আবার দেখতে পারবেন। সাঈদের কি কোনো বিচার হবে না? এভাবে একজন মানুষের দুই চোখ নষ্ট করে দেয়ার শাস্তি কি হতে পারে? কোন শাস্তিই তো ঐ পাষন্ডের জন্য যথেষ্ঠ মনে হচ্ছে না।

(উন্মাদ_নাঈম) এর ছবি

শাস্তির আশা না করাই ভাল.......এই দেশে যুগে যুগে এভাবেই রুমানারা নির্যাতিত হবে আর আমরা শুধু হা-হুতাশ করব কিন্তু আসল অপরাধী কখনও সবোর্চ্চ শাস্তি পাবেনা..........

Abdul aLIM এর ছবি

Assalamualaikum,
I think the problem's root is even deeper. First of all, just like others I also want the proper investigation & punishment for Rumana's husband. What he did is inhuman and only a pshycho can do this to someone's beloved wife.

Now, I think before the incident take place, Sayeed & Rumana's family or their relatives and closer persons could take initiative to understand the problem's root and could come to a solution in other way. We all are getting aggressive to hang Sayeed. I don't have problem with that. But if the problem's root and solution remains unknown then this kind of incident/torture will take place again and again.

May Allah (SWT) save us all.

অপছন্দনীয় এর ছবি

আর আমি যদি বলি আজকে বাংলাদেশের সমাজ খানিকটাও সভ্য হলে ভদ্রমহিলা ওই জানোয়ারটাকে ডিভোর্স দিতে পারতেন? আমি যদি বলি "প্রবলেমের" "রুট" হলো নারীদের সামাজিক অবস্থা, তাঁদেরকে নিচু চোখে দেখার প্রবৃত্তি, পুরুষমাত্রেই শ্রেষ্ঠতর এই ধরনের মনোভাব - তাহলে? পারিবারিক ভাবে কেউ চেষ্টা করেনি এ ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত?

আপনার কি ধারণা, যে অমানুষ কারো চোখের ভেতরে আঙুল ঢুকিয়ে দিতে পারে তাকে সব পারিবারিক মুরুব্বিরা একত্রে বসে বোঝালেই সে অ-টা ঝেড়ে ফেলে মানুষ হয়ে যেতো? এই মান্ধাতার আমলের সবকিছু মুরুব্বিরা এসে ঠিক করে দেবেন জাতীয় ধারণা থেকে কম ঘটনা তো ঘটেনি আজ পর্যন্ত। কখনো মুরুব্বিদের বলতে শুনেছেন, "ছেলের একটু সমস্যা আছে, বিয়ে দিলে ঠিক হয়ে যাবে"?, বলতে শুনেছেন, "বউকে পেটায়, একটা বাচ্চা হলে ঠিক হয়ে যাবে"? এই দুইটা উদাহরণ 'পারিবারিক' এবং 'সামাজিক' সল্যুশনের সবচেয়ে কমন দুইটা। অনেকগুলো পারিবারিক "ইন্টারফিয়ারেন্সের" মাধ্যমে সমস্যার তথাকথিত সমাধান দেখেছি -সেগুলো স্রেফ সমস্যাকে চেপে রাখা ছাড়া আর কিছু নয়। কতগুলো পারিবারিক সালিশ দেখেছেন যেখানে বলা হয়নি "পুরুষের অমন দুই একটা ব্যাপার থাকেই..." "মেয়েদের অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়..."?

আল্লাহ (সুবহানাতাআ'লা) রুমানা মঞ্জুরকে বাঁচাতে আসেননি, তাঁর সন্তানকেও বাঁচাতে আসেননি, পৃথিবীর কাউকে যদি তিনি আদৌ বাঁচাতে আসতেন তাহলে পুরো পৃথিবীতে একটা অপরাধও ঘটতো না। আপনার যদি মনে হয় তিনি আপনাকে বাঁচাবেন, তাহলে নিজে বাঁচার জন্য দোয়া করে চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকুন। আমার বাঁচার জন্য আল্লাহর দয়া নয় বরং দুই একটা ক্রিমিন্যালকে গাছে ঝোলানো প্রয়োজন, আমি সেটাই করি।

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

(উন্মাদ_নাঈম) এর ছবি

এই পোষ্টের সেরা মন্তব্য এটা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপনার মন্তব্যটা বড় পছন্দ হলো!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অপছন্দনীয় এর ছবি

সমাজের মানুষগুলো কতটা নিচে নামলে সাঈদের মত একটা পশুকে সমর্থন করতে পারে?

অনেকটা - এবং সেখানে তারা এখন নামেনি, অনেক আগে থেকেই নেমে ছিলো।

পাঠক100 এর ছবি

আজকে এখানের পত্রিকাতেও খবর এসেছে।
http://www.windsorstar.com/news/university+student+beaten+blinded+husband/4983797/story.html

ফারহান এর ছবি

আমাদের সমাজের চারিদিকে নানা রকম অপরাধী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এদের কোন শাস্তি নেই। যদি থাকত তবে দেশে এত অশান্তি থাকত না।
সমাজের উচ্চশ্রেণী থেকে একদম নিচুশ্রেণী পর্যন্ত অসংখ্য অপরাধী রয়েছে, যারা শুধু নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে।
অপরদিকে, দেশের সাধারণ জনগণ ভয়ের মধ্যে দিন কাটায়। বড়-বড় রাজনৈতিক নেতারা, যাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা, তারা কি কারো সেবা করেছেন কখনো? নির্বাচনের আগে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, আর কাজের প্রতিশ্রতি দেওয়া, এই পর্যন্ত্যই। এরপর তারা শুধু নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে।
সরকারী দল বিরোধী দলের নিন্দা করে, বিরোধী দল সরকারী দলের নিন্দা করে। এভাবেই পাঁচ বছর চলে যায়। দেশের আইন-শৃংখলার উন্নতি আর হয় না। মানুষ যেই প্রত্যাশা করে, তাদের সেই প্রত্যাশা আর পূরণ হয় না...।
নেতারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশ নিয়ে ভাবেন। যদি তা না হত তাহলে মানুষের কষ্ট কেনো দূর হয় না? মানুষ কেনো সুবিচার পায় না? নেতাদের চাপে কেনো পুলিশ অনেক অপরাধীকে ছেড়ে দেয়? কেনো অনেক মেধাবী জনগণকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়? কেনো?
এই যে বড়-বড় সেমিনার হয়, এগুলোর উদ্দেশ্য কি? সত্যি কি কোন উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা?

সত্যিই যদি দেশে সাধারণ মানুষ সুবিচার পেত, তবে অনেক জীবিত গরীব বীর-মুক্তিযোদ্ধারা দু'বেলা খেতে পেত.........।
হায়রে বাংলাদেশ...। এই দেশের কপালে এই লিখা ছিল!!!!!!!!

ফারহান এর ছবি

আমাদের সমাজের চারিদিকে নানা রকম অপরাধী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এদের কোন শাস্তি নেই। যদি থাকত তবে দেশে এত অশান্তি থাকত না।
সমাজের উচ্চশ্রেণী থেকে একদম নিচুশ্রেণী পর্যন্ত অসংখ্য অপরাধী রয়েছে, যারা শুধু নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে।
অপরদিকে, দেশের সাধারণ জনগণ ভয়ের মধ্যে দিন কাটায়। বড়-বড় রাজনৈতিক নেতারা, যাদের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা, তারা কি কারো সেবা করেছেন কখনো? নির্বাচনের আগে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, আর কাজের প্রতিশ্রতি দেওয়া, এই পর্যন্ত্যই। এরপর তারা শুধু নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে।
সরকারী দল বিরোধী দলের নিন্দা করে, বিরোধী দল সরকারী দলের নিন্দা করে। এভাবেই পাঁচ বছর চলে যায়। দেশের আইন-শৃংখলার উন্নতি আর হয় না। মানুষ যেই প্রত্যাশা করে, তাদের সেই প্রত্যাশা আর পূরণ হয় না...।
নেতারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশ নিয়ে ভাবেন। যদি তা না হত তাহলে মানুষের কষ্ট কেনো দূর হয় না? মানুষ কেনো সুবিচার পায় না? নেতাদের চাপে কেনো পুলিশ অনেক অপরাধীকে ছেড়ে দেয়? কেনো অনেক মেধাবী জনগণকে অকালে প্রাণ হারাতে হয়? কেনো?
এই যে বড়-বড় সেমিনার হয়, এগুলোর উদ্দেশ্য কি? সত্যি কি কোন উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা?

সত্যিই যদি দেশে সাধারণ মানুষ সুবিচার পেত, তবে অনেক জীবিত গরীব বীর-মুক্তিযোদ্ধারা দু'বেলা খেতে পেত.........।
হায়রে বাংলাদেশ...। এই দেশের কপালে এই লিখা ছিল!!!!!!!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।