অ্যা জার্নি বাই বাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৮/২০১১ - ৮:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

রাত আটটার সময় হঠাৎ সিদ্ধান্ত হলো আজ রাতেই ঢাকা ফিরতে হবে। কাজটা এমন ছিল যে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় ছিলোনা। প্রফেসর ফরিদ কোনভাবেই সময় দিতে পারছিলেন না, আর সময় যখন আর হলো তখন রির্পোটটা জমা দেয়ার সময় পার হয়ে গেল। বাড়তি সময় পাওয়া গেল তিনদিন, কিন্তু ফরিদ সাহেবের কাজ আর শেষ হয়না। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ মাহবুব সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন, কাজটা যতটুকু হয়েছে, ততটুকুই খসরা রির্পোট হিসেবে জমা দেয়া হবে এবং রাতের মধ্যেই ঢাকা ফিরতে হবে।

লুব্ধক একটা কনসাালটেন্সি ফার্মে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করে। মূল কাজগুলোই করে। পরে সিনিয়র কোন প্রফেসর কাজ রিভিউ আর ঘসামাজার কাজটা করে। মোটামুটি ছাপোষা টাইপ কনসালটেন্ট লুব্ধক। তাই কাজের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহনে তার মতামত তেমন জোরালোভাবে কখনই গৃহীত হয়না। অগত্যা উপায় নেই। রাত বারটা চল্লিশ মিনিটের বাসের টিকেট কাটা হলো। ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটের কোন এসি বাসের টিকেট জার্নির ২/৩ ঘন্টা আগে পাওয়া একেবারেই পাওয়া সম্ভব না। অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া গেল না। কি আর করা সিদ্ধান্ত হলো নন-এসি বাসেই জার্নি হবে।

মোটামুটি জমা দেয়ার মত একটা খসরা রেডি হলো রাত সারে এগারটায়। কোন রকমে খেয়ে সব গুছিয়ে লুব্ধক আর মাহবুব সাহেব বাস ছাড়ার ঠিক আগ মূহুর্তে কাউন্টারে পৌছাঁলো। প্রফেসর ফরিদ চট্রগ্রামেই থাকেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি চলে গেলেন বাসায়। কিন্তু সাথে যুক্ত হলো মাহবুব সাহেবের এক বন্ধু। ওরা বসল পাশাপাশি সিটে। লুব্দক বসল আলাদা অপরিচিত একজনের সাথে।

(২)

ঘুম আসছেনা লুব্ধকের। বাসে এমনিতেও ঘুম আসেনা, তার উপর বাইরে বৃষ্টি। কেমন যেন সাফোকেটিং একটা পরিবেশ। ভারী ভারী লাগছে মাথাটা। গত রাতের অঘুম, সারাদিনের কাজের ক্লান্তি আর সাফোকেশন কেমন যেন বিষিয়ে তুলছে মন আর শরীর। নিজের কপালে হাত দিয়ে দেখল লুব্ধক, একটু একটু করে ঘামছে। পেট থেকে সবকিছু উগরে আসতে চাইছে। ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নিজেকে হালকা করতে চেষ্টা করছে লুব্ধক। এক সময় শরীর শীতল হয়ে এল। জয় হলো ক্লান্তির। তন্দ্রাচ্ছন্নতা গ্রাস করল লুব্ধককে। তারপরও মস্তিস্কে একটা অর্ধ-চেতনতা কাজ করছে। একটা শংকা থেকে তৈরী এ অর্ধ-চেতনতা ।

হঠাৎ ধরমর করে উঠে বসল লুব্ধক। একটা তীব্র ভেঁপু এবার তাকে পূর্নমাত্রায় সচেতন করে তোলে।

বাসটা এত প্রচন্ড গতিতে চলছে কেন? লুব্ধকের মনে প্রশ্ন জাগে। এখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ভেজা রাস্তায় সাত গিয়ারের হিনো বাসটা দানবীয় গতিতে চলছে।

লুব্ধক বাসের গতিবেগটা অনুমান করার চেষ্টা করলো । একশ কিলো পার আওয়ারের কম হবেনা। জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে বাইরের দিকটা দেখার চেষ্টা করল সে।

হায় ঈশ্বর! মুখ থেকে নিজের অজান্তে বের হয়ে আসে শব্দটা। আতংকিত লুব্ধক দেখতে থাকে শত শত ট্রাক রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো আর মাঝ দিয়ে কি ভয়ংকর গতিতে ছুটে চলছে বাসটা। মনে হচ্ছে ভিডিও গেমের রেসিং চলছে।

লুব্ধক সাভারে একসিডেন্ট হওয়া একটা বাস দেখেছিল একবার। বাসটার বামদিকের উপরের অংশ একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। বামপাশের সব যাত্রীই নাকি মারা গেয়েছিল ।সে দূর্ঘটনার দৃশ্যপটটা ফুটে ওঠে ওর মনে। মনে হতে লাগল এখনই বুঝি মালবাহী একটা দাঁড়ানো লরির সাথে লেগে যাচ্ছে বাসটা।

‘ড্রাইভার ভাই একটু আস্তে চালান’। সামনে থেকে কেউ একজন বলে উঠল।

‘বইলা লাভ নাই, বেশী কইলে আরো জোরে চালাইবো’। লুব্ধকের পাশের সিটের লোকটা বিড়বিড় করে বলতে থাকে।

লুব্ধক অবাক হয়ে দেখতে দেখতে লাগল, ড্রাইভারের কোন ভ্রুক্ষেপই হয়নি। একই গতিতে চলতে লাগল বাসটা। ভয়টা ধীরে ধীরে জেঁকে ধরতে থাকে লুব্ধককে। গভীরতর মানসিক চাপ তৈরী হতে থাকে মনে।

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলোর সারি পেছনে চলে যায় ক্রমশ। বাসটা এখন চলছে মোটামুটি ফাঁকা মহাসড়কে। গতিটা আগের চেয়েও বেশী হলেও একটু হালকা বোধ করতে লাগল লুব্ধক। আকাশটাও পরিস্কার হয়ে এসেছে। ধীরে ধীরে একটা দুটো তারা উঁকি দিতে থাকে আকাশে। তারা দেখার দিকে মনোযোগী হতে চেষ্টা করে লুব্ধক। কিন্তু মানসিক চাপটা পুরোপুরি প্রসমিত করতে পারেনা লুব্ধক।

দুরে গাড়ীর লম্বা একটা সারি দেখা যাচ্ছে। কাছাকাছি আসতেই দেখা গেল এটা মালবাহী লরি আর ট্রাকের সারি। আবার ড্রাইভার আগের মত ভিডিও গেমের রেস খেলতে শুরু করল। একটা একটা করে গাড়ীকে ভয়ংকর গতিতে ওভারটেক করছে বাসটা। হঠাৎ মুখোমুখি হয়ে গেল বিপরীত দিক থেকে আসা একটা ট্রাকের। কিভাবে যেন ফাঁক গলে বেড়িয়ে গেল বাসটা।

’এই ড্রাইভার আপনাকে না বলছি গাড়ী আস্তে চালাতে’। চিৎকার করে উঠল আগের লোকটা।

সাথে একজন বলে বলে উঠল, ’ওনাকে ওনার মত চালাতে দেন। আপনি পেছন থেকে গাইড করলেতো উনার কনসেনট্রেশন নষ্ট হবে’।

‘আস্তে চালাইলে আগামীকাল রাত বারটা বাজবো ঢাকা পৌছাঁইতে’। বলে উঠল আরেকজন।

লুব্ধকের ভ্রু কঁচকে উঠল। কিছু একটা জবাব দিতে যাবে বুঝতে পেরে পাশের লোকটা লোকটা আস্তে আস্তে বলল, ‘ভাই কিছু বইলা লাভ নাই, কথায় কথা বাড়বো, বাংলাদেশের মানুষ এমনই’।

চারদিক থেকে কোন সাড়া না পেয়ে নিজেকে সামলে নিল লুব্ধক।

সমথর্ন পেয়ে ড্রাইভার দ্বিগুন উৎসাহে ওভারটেক করতে লাগলো। বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হলো কয়েকটি বাস আর ট্রাকের। মনে হতে লাগলো এখনি বুঝি শেষ! কিভাবে যেন ফাঁক গলে বেরিয়ে আসতে থাকলো বাসটা। মনে হচ্ছে ছত্রিশজন যাত্রীর জীবন পকেটে নিয়ে একটা রেসিং গেম খেলছে ড্রাইভার।

এর মধ্যে ড্রাইভারের দক্ষতায় মুগ্ধ একজন বলে ফেলল, ’খুব ভাল ড্রাইভার’। ড্রাইভারের আহ্লাদ যেন আর ধরেনা।

এমন সময় অন্য একটা বাস ওভার ওভারটে করে পেছনে ফেলে দিল লুব্ধকদের বাসটাকে। বেশ ইজ্জতে লাগলো আহ্লাদী ড্রাইভারের। শুরু হয়ে গেল ওভার ওভারটেক খেলা। একটা বাস ট্রাকের সারিকে ওভারটেক করছে সেইসাথে অন্য একটা বাসকে পাশাপাশি ওভারটেক করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিপরীত দিক থেকে আসা বাস আর ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের আগ মূহুর্তে নিজেকে আড়াল করে নিচ্ছে কোন ক্রমে। মৃত্যভয় জেঁকে ধরেছে লুব্ধককে। আশংকাটা মনে আনেক দৃশ্যপট তৈরী করে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে মৃত্যু যেন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

(৩)

মাহবুব সাহেবের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো লুব্ধকের। তীব্র মানসিক চাপে কখন যে লুব্ধক ঘমিয়ে পড়েছিল খেয়াল করতে পারলো না।

’রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতি হযেছে, নামবেন।

‘হ্যাঁ।’

ওরা ফ্রেশ হয়ে কোনার দিকে একটা টেবিলে বসলো।

‘খুব তাড়াতড়ি চৌদ্দগ্রাম পৌছাঁলাম না?’ মাহবুব সাহেব বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বললেন।

‘হ্যাঁ, গাড়ীর ড্রাইভার খুব এক্সপার্ট।’ বন্ধু উত্তর দেয়।

লুব্ধক এদের বোধ দেখে অবাক হয়ে যায়।

এবার প্রশ্ন করে। ‘এক্সপার্ট ড্রাইভার একসিডেন্ট করে না নাকি?’

চুপ করে থাকে দুজনই।

‘একসিডেন্ট কিন্তু সবার প্রত্যেকদিন হয়না, একবারই হয়, আর তখন সব শেষ হয়ে যায়।’ লুব্ধক আবার বলে।
এবারও চুপ করে থাকে অন্য দুজন। খাবারের দিকে মনোযোগী হয় ওরা ।

(৪)

যাত্রাবিরতি শেষে ভোর পৌনে চারটায় আবার বাস ছাড়ে। মৃত্যুভীতি মাথায় নিয়েই দুই রাত না ঘোমানো লুব্ধক কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গে বাসটা থামার সাথে সাথে। বাসটা থেমে আছে দাউদকান্দি ব্রিজ পার হয়ে। সকাল হয়ে গেছে।

গাড়ী থামার কারন র‌্যাবের চেক পোস্ট। এক দল র‌্যাব উঠে প্যাসেঞ্জারদের ব্যাগ আর দেহ তল্লাসি করছে। ওরা সাদা পোষাকে সবাই। শরীরে জ্যাকেট না থাকলে আচরন আর চেহারায় এদের প্রথমে ডাকাত বলে মনে হতে পারে অনেকের।

‘আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক’ পেছন থেকে বলে উঠলো একজন।

’কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান আপনি?’

’চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের।’

’তো স্যার বলেনতো বাংলাদেশে এমন কোন আইন আছে নাকি যার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে চেক করা যাবেনা?’

চুপ করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহোদয়।

বেকুব গাধাটার বোকার মত পরিচয় প্রদান ও অপমানিত হওয়াটাতে বেশ মজা পায় লুব্ধক। তার একটা নিজস্ব বিশ্বাস আছে যে এদেশে কখনও প্রকৃত মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেননি। তাই এরা কখনই জ্ঞানী হয়ে ওঠেনা।

র‌্যাব সদস্য এবার উপদেশ প্রদান করে। ‘স্যার আপনার মত কিছু শিক্ষিত মানুষ নিজেদেরকে আইনের উর্ধে ভাবেন এবং আইনকে শ্রদ্ধা করেননা। এটা জাতির দূভার্গ।’

মনে মনে সহমত পোষন করল লুব্ধক।

‘স্যার কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি শোনেন। আমারও এক ভাই ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ডক্টরেট করা। আবার জাতিসংঘেও চাকরি করেন। বেতন পান দেড় লাখ। কিন্তু উনি দেশের কোন কামেই আসতেছেন না। আপনারা স্যার শুধু বড় বড় কথাই বলেন দেশের কোন কাজেই আসেন না।’

গাধাটার শোচনীয় অবস্থা দেখে লুব্ধক আর হাসি চেপে রাখতে পারল না।

এবার প্রফেসর সাহেবের পাশের সিটের লোকটাকে চেক করা শুরু করল র‌্যাব। এক সময় লোকটাকে সিট থেকে তুলে নিচে নিয়ে গেল ওরা। কিছক্ষন পর লোকটার কাছ থেকে কালো টেপে মোড়ানো একটা বস্তু পাওয়া গেল। কিছুক্ষন পর র‌্যাবের এক সদস্য এসে জানালার বাইরে থেকে যাত্রীদের একটা প্যাকেট লাল রংয়ের বস্তু দেখালো।
একজন জানালো ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

যাত্রীদের মধ্যে একটা গুঞ্জন উঠল।

একজন বলে উঠল,‘ আমি আগেই লোকটাকে সন্দেহ করেছিলাম।’

ওপাশ থেকে অন্য একজন প্রশ্ন করল, ‘ইযাবা দেখতে কেমন?’

‘লাল রংয়ের গোল গোল।’ কেউ একজন জবাব দিলো।

সবাই চেকিংয়ের বিরক্তি ভূলে নিচে নেমে গেল দেখতে। বোঝা যাচ্ছে যাত্রীদের জীবনে এটাই প্রথম এধরনের অভিজ্ঞতা।

ইয়াবার কথা শুনে মনোযোগী হয়ে দেখার চেষ্টা করল লুব্ধক। এক পলকে দেখে নিল প্রফেসর সাহেবকে। তিনিও অপমান ভুলে কৌতুহলী হয়ে সব দেখছেন।

(৫)

র‌্যাব চেকপোষ্টের ্আনুষ্ঠানিকতা সারতে বাসটার এক ঘন্টা লাগলো। ড্রাইভার, হেলপার আর গাইডকে মামলার স্বাক্ষী করা হলো।

বাসটা চলতে শুরু করেছে আবার। ঘড়িতে সময় দেখে নিলো লুব্ধক। সাড়ে সাতটা বেজে গেছে। এখান থেকে ঢাকা পৌছাঁতে আরো ২ ঘন্টা সময় লাগবে। এখন রাস্তাটা অনেক ফাঁকা। মেঘনা ব্রিজের আগে আবার একটা হাইওয়ে পুলিশের দল হাত ইশারা করে গাড়ী থামাতে বলল। হেলপার জানালা দিয়ে মাথা বাড়িয়ে চেক হয়েছে বলতেই আর চেক না করে ছেড়ে দিল।

সামনে একটা বাজার পড়ল। বাজারের শেষ মাখায় রাস্তায় এতটা কুকুর শুয়ে আছে। এবার একটুও স্লো হলোনা বাসটা। একবারও হর্ন বাজালো না। কুকুরটাকে পিষে চলে গেল গাড়ীটা। যেন ওর সাথে হাজার বছরের শত্রুতা ছিল ড্রাইভারের। বাকরুদ্ধ হয়ে ঘটনাটা দেখলো লুব্ধক।

‘ভাই কুকুরটাকে মেরে ফেললেন?’ হাহাকার করে ওঠে লুব্ধক ।

এবারও সাড়া দেয়না ড্রাইভার। এমন ভাব করল যেন কিছুই হয়নি। আগের মত অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে কোন সাড়া আসলো না। যেন সবাই দেখেও না দেখার ভান করে আছে।

গাড়ী এগিয়ে চলে। লুব্ধকের মনটা পড়ে থাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওযা কুকুরটার কাছে।

একটুপর বাসটা এসে থামে মেঘনা ব্রিজের মাঝখানে।

’সামনে অনেক জ্যাম। কাঁচপুর পর্যন্ত।’ হেলপার বলে।

হায় হায় করে ওঠে সবাই।

একজন বলে ওঠে, ’তাহলে তো দুপুর গড়িয়ে যাবে ঢাকা যেতে।’

হাহাকার করে ওঠে তার কথা শুনে সবাই। শুধু লুব্ধকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ওর মন পড়ে থাকে ওই কুকুরটার কাছে।

লেখকের নাম Saif Jewel


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পড়তে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি। লুব্ধক লুব্ধক লুব্ধক! সর্বনাম জিনিসটা ব্যবহার করে বেচারা বিশেষ্যকে খানিকটা ছাড় দিলে ভালো হত।
লিখতে থাকুন। লিখতে লিখতেই লেখিয়ে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ জুয়েল এর ছবি

অনার্যদা, আসলেই বিশেষ্যটা বেশী হয়ে গেছে। পরেরবার চেষ্টা করব যাতে সর্বনাম দিয়ে গল্প সাজাতে পারি। গল্প লেখার সময় কিভাবে যেন এটা হয়ে যায় আমার।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

বন্দনা দিদি অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে হয়েছে আমাদের দেশে এই ভীতিটা অনেকেই ফিল করে। তাই লিখে ফেললাম। কমন ফিলিংসগুলো নিয়ে লেখা সবসময় দরকারী মনে হয় আমার কাছে।

বন্দনা এর ছবি

লুব্ধকের এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আমার ও হতো, অন্য সবাই নির্বাক থাকলে ও আমি পারিনা। আমাদের দেশের চালকরা এত ফাযিল কিসিমের যে বলার পর এরা আসলেই স্পিড বাড়িয়ে দেয়। খুব কমন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ভালো লাগলো পড়ে যেতে, সাথে সাথে আমি ও এক্সপিরিয়েন্স করছি এমন একটা অনুভূতি হোল।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই, জানিনা আরো ভালো লাগাতে পারবো কিনা। তবে চেষ্টা করবো।

তানিম এহসান এর ছবি

ভালো লাগার চাইতে অপেক্ষায় থাকবো আরো ভালো লাগতে থাকার। শুভেচ্ছা পাশে বসে থাকা জুয়েলকে!

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভয়ানক অভিজ্ঞতা। ভালো লেগেছে পড়তে।

...........................
Every Picture Tells a Story

সাইফ জুয়েল এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাই, আমার মনে হয় এই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি অনেকেই হয়, তাই গল্পটা লিখে ফেললাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আয়নামতি1 এর ছবি

ভয়ানক বাস জার্নি! একেই তো বাস চালক নিয়ম না মেনে বাস চালান, আর তাকে উৎসাহ দেন কিছু কিছু যাত্রী। ধরে ধরে এদের ফাইন করা দরকার রেগে টং লিখতে থাকুন ভাইয়া। একদিন আমার মত আপনিও ব্যাপক লেখক হয়ে যাবেন চোখ টিপি আমি তো ইতিমধ্যে দিবাস্বপ্নও দেখে ফেলেছি। কোনো এক একুশের বই মেলায় আমার বই বের হয়েছে আর আমি অটোগ্রাফ দিতে দিতে পেরেশান শয়তানী হাসি তবে সবাইকে অটোগ্রাফ দিলেও সচলের একজন মডুকেও অটোগ্রাফ দেবো না, কাভি নেহি রেগে টং

সাইফ জুয়েল এর ছবি

আশা করছি সামনের একুশের বইমেলাতে আমিই হব আয়নামতির প্রথম অটোগ্রাফ শিকারী। আর মডুরা তো সিরিয়ালই পাবেনা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল লেগেছে ... লিখতে থাকুন চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ত্রিমাত্রিক কবিকে অনেক ধন্যবাদ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভয় পেয়েছি। এরকম অভিজ্ঞতা আমারো আছে বেশ কিছু। বেপরোয়া গাড়ি চালানোকে বাহাদুরী মনে করে বিশাল সংখ্যক ড্রাইভার। মগজে যাদের এই রোগ আছে তারা দুর্ঘটনা ঘটাবেই। এটার জন্য তারা কেউ লজ্জিত না। বিন্দুমাত্র অনুশোচনা থাকলে রাস্তায় এত দুর্ঘটনা ঘটতো না। সতর্ক হয়ে যেতো। ওভারটেক সকল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। অথচ এটা নিয়ন্ত্রনের কোন ব্যবস্থাই দেখা যাচ্ছে না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাইফ জুয়েল এর ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা যায় বাংলাদেশে। অথচ নিয়ন্ত্রনের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বরং টাকা খরচ করলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যায়।

নীড় সন্ধানীকে অনেক ধন্যবাদ।

ফ্রুলিক্স.. এর ছবি

সপ্তাহ দুয়েক আগে সস্ত্রীক সিলেট থেকে ঢাকা হানিফ পরিবহনে যাত্রা শুরু করি। এতো ছোট রাস্তায় সে কি ভয়ানক অভারট্রেকিং। আমি নিজে ২৩০/২৪০ কি.মি তে গাড়ি চালাই। কিন্তু দেশের রাস্তায় ৩০ কি.মি তে ও বিপজ্জনক।

দুজন ড্রাইভারের পেছন থেকে বারবার আস্তে চালাতে বলতেছি। কে শুনে কার কথা। বউ আমাকে একটা লাঠি এনে ড্রাইভারের মাথায় বাড়ি দিতে বলতেছে।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন খুবই সাধারন ব্যাপার হয়ে গেছে। একটি মাত্র দুর্ঘটনায় অনেকগুলো তাজা প্রান অকালে ঝরে যায়।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ধন্যবাদ ফ্রুলিক্সকে। এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্য। আসলে এ বিষয়ে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষের এক্সপেরিয়েন্সই মনে হয় একই রকম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।