পুরোনো গ্রাম, রাস্তার সংস্কার, নতুন গ্রাম অথবা গ্রামের রূপান্তর…

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/০৩/২০১২ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের ছোট্ট শহর থেকে গ্রামের দূরত্ব কিলোমিটারে মাপলে ১২ অথবা ১৫। দুইটা দূরত্ব হওয়ার কারণ দুইটা রাস্তা। একটা সময় ছিল যখন দুইটা রাস্তাই ছিল শুধুই মাটির। অর্থাৎ কাঁচা। তাই ১২ কিলোমিটারের রাস্তাটাই ছিল জনপ্রিয়। তবে সেই ১২ কিলোমিটারের রাস্তাতেও ছিল কিছু বাইপাস। একএক ঋতুতে আমাদেরকে ব্যবহার করতে হত আলাদা আলাদা বাইপাস। কারণ রাস্তার মাটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কোন কোন স্থানে বর্ষাতে এতই কাদা হয়ে যেতো যে তার জন্য তৈরী হয়ে গিয়েছিল অনেকটা বেলেমাটিতে তৈরী একটা টেমপোরারি/সাময়িক রাস্তা। শীতকালে কোথাও কোথাও এত ধুলা হয়ে যেত যে সেখান দিয়ে হেটে বা সাইকেলে চেপে যাতায়াত ছিল খুব কষ্টের কাজ। তারজন্যও ছিল কয়েকটা বাইপাস, যেগুলো একটু ঘোরানো হলেও সুবিধা দিত খানিকটা। এই সব রাস্তাতে যাতায়াতের জন্য গ্রামের মানুষেরা ব্যবহার করত গরু, মহিষ অথবা ঘোড়ার গাড়ি। মানুষের যাতায়াতের জন্য বোধহয় ঘোড়ার গাড়ির জনপ্রিয়তাই ছিল বেশি। বর্ষার সময় আমরা শহর থেকে যখন গ্রামে যেতাম তখন গ্রাম থেকে হাজির হয়ে যেত ঘোড়ার গাড়ি। ১৯৯০ এর আগে যখন কোন ধরণের টেলিফোন বা মুঠোফোনের ব্যবস্থা আমাদের বাড়িতে ছিল না তখন কিকরে এই ঘোড়ার গাড়িকে শহরে ডেকে আনা হত তা আমার কাছে আজো এক বিষ্ময়। এই ঘোড়ার গাড়ির গাড়োয়ানকে আমরা তোয়া দাদা বলে ডাকতাম। আমার অনেক দিন পর্যন্ত ধারণা ছিল আমাদের গ্রামে বোধহয় আর কোন গাড়োয়ান নেই। আমি একটা সময় পর্যন্ত আমাদের গ্রামের এই গাড়োয়ানের ঘোড়াকে পর্যন্ত চিনতে পারতাম। উনি হঠাৎ করে আগের ঘোড়া পালটে ফেললে প্রথমে আমার মন খারাপ হত এমনও মনে পড়ে।

শীতের সময় গ্রামে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল আবার রিক্সা। সেই রিক্সাও আবার চালাতো আমাদের বাড়িতে কাজ করতেন যে বয়স্ক মহিলা, তার ছেলেরা। নামগুলো এখনো মনে করতে পারি। পরিমল আর স্বপন। ওনাদের রিক্সাতে করে মাঝে মাঝে স্কুলেও যেতাম। এই রিক্সাতে করে গ্রামে যাওয়ার মজাটা ছিল বেশি। কারণ রাস্তাতে কাদা না থাকায় আমরা মাঝে মাঝেই রিক্সা থামিয়ে নেমে যেতাম সর্ষে ফুল তুলে আনতে। কখনো বা কুড়িয়ে আনতাম লাল শিমুল ফুল। তারপর রিক্সাতে ফিরে এসে দেখতাম হয়তো পরিমল কাকা আখ চিবাচ্ছে। আমরা আবার রিক্সাতে উঠে বসলে আমাদের হাতেও চলে আসতো খানিকটা আখ।

তো মোটামুটি ভাবে গ্রামের বাড়িতে পৌছাতে প্রায় শোয়া এক ঘন্টার মত লেগে যেত। তবে শহরে ফিরে আসার সময় আমরা সবসময়ই ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করতাম। না করে উপায় থাকত না। কারণ তখন আমাদের সাথে থাকত বেশ কিছু জিনিসপত্রের বস্তা। কখনো বা খেজুরের গুড়ের ভাড়(পোড়ামাটির পাত্র), মুড়ি বা খৈয়ের টিন, কখনো কখনো মাটির বিভিন্ন ধরণের পাত্র ( আমার একবার একটা বড় মাটির পাত্র, স্থানীয় ভাবে যাকে কুলা বলে, এত পছন্দ হয়ে গিয়েছিল যে আমি সেটা সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম, পানি রাখব বলে), ঘর ঝাড় দেয়ার জন্য খড়ের তৈরী বাড়ুন যা আমরা বছরে একবারই আনতাম…. এই রকম আরো অনেককিছু।

একশীতে গ্রামে গিয়ে দেখি আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাতে একটু দূরে দূরে নতুনপোড়া ইট পড়ে আছে। জানতে পারলাম আমাদের গ্রামের রাস্তাটাতে সলিং হবে। তবে ১২ কিলোমিটারের রাস্তাটা নয়। ১৫ কিলোমিটারের রাস্তাটাতে। তাতে আমাদের গ্রামের কারো কারো মন খারাপ। শহরের সাথে তাদের গ্রামের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে। যদিও রাস্তাটা আগে থেকেই ছিল, কিন্তু আমাদের গ্রামের মানুষের কাছে তার কদর ছিল খানিকটা কম। এখন সলিং করা রাস্তাটাকে কদর না করেও উপায় নেই। সেটাই যে এখন সরাসরি শহরের সাথে লেগে গেছে। কিছু দিনের ভেতরে এই রাস্তাতেই একটা বাস সার্ভিসও চালু হয়ে গেল। জাহানারা এন্টারপ্রাইজ। একটাই বাস। তবে এক ঘন্টা পর পরই সেটা আবার ফিরে আসে। আমরা দেখতে পেলেম আমাদের যাতায়াত দূরত্ব বেড়ে গেলেও সময় গেছে কমে। আমি জানি না আমাদের গ্রামের জন্য সেটাই প্রথম শহরের সাথে প্রকৃত যোগাযোগ তৈরী হওয়া কিনা। তবে দ্রুত মোটরযোগে সহজ যোগাযোগ তৈরী এটা নিশ্চিত।

এই নতুন রাস্তা বা পুরানো রাস্তার নতুন রূপ বেশ কিছু পরিবর্তন টেনে আনল গ্রামে। বলা যায় আধুনিকতার ছোয়া লাগা শুরু এই রাস্তার হাত ধরেই। বছর কয়েক পরে আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গায়েও লাগল পরিবর্তনের ছোয়া। নতুন করে স্কুলের জন্য ঘর উঠল। আগের ঘরগুলো পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ল। বাবার কাছে শুনেছি তিনি ওই পুরানো স্কুল ঘরেই শুরু করেছিলেন তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। কিছুদিনের ভেতরেই গ্রামের বাজারটা খুব বিপদে পড়ল। মানুষ উন্নত রাস্তা দিয়ে সহজেই দুই গ্রাম পরের বড় বাজারে যাতায়াত শুরু করল। কেউ কেউ তো চলে আসত শহরেই। তাদের কারো কারো সাথে দেখা হয়ে যেত বাবার। অথবা তারা হয়তো কোন ঝামেলাতে জড়িয়ে যেত বলে আসতে হতো কোর্টে। যদিও বেশির ভাগই জমিজমা কেন্দ্রিক সমস্যা। বাবা ফৌজদারি আদালতের উকিল বলে তাদের তেমন একটা কাজে আসতেন না। তবে বাবার সাথে তাদের যে দেখা হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটতে শুরু করেছে সেটা টের পেতাম।

কেউ কেউ আবার শহরে আসতো সিনেমা দেখার জন্য। ছবিঘরই কোনকারণে তাদের কাছে বেশি জনপ্রিয় ছিল চান্দা বা প্রিয়া হলের থেকে। একটা কারণ হতে পারে আমাদের গ্রাম থেকে শহরে আসার পথেই পড়ে যায় সিনেমা হলটা। নতুন ধরণের বিনোদনের সাথে একটু ব্যাপাকভাবেই পরিচয় হয়ে যেতে থাকে গ্রামের মানুষদের। সময়টা মোটামুটি ভাবে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬/৯৭ পর্যন্ত। এর পর আমার সাথে গ্রামের যোগাযোগ কমতে শুরু করে। আমি স্কুলের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। ছুটির সময় পার করার জন্য এখন বন্ধদের সঙ্গই বেশি পছন্দ করি। হয়তো গ্রামের/গ্রামের মানুষের সাথে শহরের/শহরের মানুষের পার্থক্য কামে আসার কারণে গ্রামের প্রতি আমার আগ্রহও কমতে থাকে। আমারো আগ্রহ বাড়তে থাকে আরো বড় কোন শহরের প্রতি। কলেজ হিসেবে বেছে নিলাম রাজধানীর একটা নামী কলেজ। কোন কারণে যে কলেজে আমার বাবা/মারা পড়েছেন সেটাতে পড়তে ইচ্ছা করতো না। আর তাই গ্রামের খোজ নেয়া কমে গেল অনেক। ছুটিতে তখন থেকে আমি আর গ্রামে যাই না, যাই ছোট শহরে। এর মধ্যে শুনতে পাই গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ গেছে। গ্রামের বাজারটা সরে গেছে অন্য একটা পাশে। প্রথম তার জৌলুস ছিল বেশ কম। আস্তে আস্তে সে ঠিকই জাকিয়ে বসেছে নতুন জায়গায়। গত কয়েক বছরে এখন আমাদের গ্রামের বাজারটা হয়ে উঠেছে আশপাশের কয়েকগ্রামের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ অবশ্য একটা আছে। যে রাস্তাটা দিয়ে আগে আমরা যাতায়াত করতাম সেটাও এরই ভেতরে পাকা হয়ে উঠেছে। আমি জেনেছি বেশ পরে। ফলে আমাদের গ্রামে একটা নোড তৈরি হয়ে গেছে। ফলে বাজার হওয়ার জন্য বেড়ে গেছে গ্রামের উপযোগীতা।

আমার সাথে গ্রামের যোগাযোগ কমে গেলেও সবার সাথে যে তেমনটাই ঘটছে তা কিন্তু না। আমাদের বাবাদের যে জেনারেশন একসময় উন্নত জীবিকার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে এসেছিল তাদের যোগাযোগ গেছে বেড়ে। তারা অনেকেই এখন শখের বসে বা খানিকটা বাড়তি লাভের আশায় হাতের জমানো টাকা দিয়ে কিনতে শুরু করলেন গ্রামের ফসলী জমি। এতে বেড়ে যেতে লাগল জমির দাম। প্রথম দিকে কেউই তেমন একটা জমি বিক্রি করতে চাইতো না। কারণ এই জমিই তাদের আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু যখন গ্রামের বাজারে বেড়ে গেল ব্যবসার সুযোগ তখন অনেকেই ব্যবসার দিকে নজর দিল একটু বেশি। ব্যবসার প্রাথমিক পুঁজি যোগাড়ের জন্য তাদের কেউ কেউ বেচে দিল তাদের পৈত্রিক জমি। বেশির ভাগই তাতে লাভ দেখল। আস্তে আস্তে যাদের জমির পরিমাণ ছিল কম তারাও কেউ কেউ বিক্রি করতে শুরু করল জমি। তাতে যে টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে ব্যবসা করবে বলে।

কারো আরো ক্ষেত্রে ঘটল অন্য রকম ঘটনা। যেমন আমাদের ঘোড়ার গাড়ির গাড়োয়ান। এখন আর লোকজন তাকে খুব একটা ডাকে না। ঘোড়ার গাড়ির প্রয়োজন একরকম ফুরিয়েই গেছে। মাঠ থেকে ফসল ঘরে আনার জন্য কখনো কখনো তার গাড়ি ধার করলেও বেশির ভাগ সময়ই তাকে থাকতে হয় বেকার পড়ে। ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই সে বাধ্য হল ঘোড়া বেচে দিতে। ঘোড়াও গেল, গাড়িও গেল। কিন্তু গাড়োয়ান কি করবে এখন। আমি ঠিক জানি না কি করেছিলেন তিনি। শুনেছিলাম কয়েক বছর পর তিনি মারা গেছেন। আর তার দুই ছেলেই চলে এসেছে শহরে। বছর তিনেক আগে আমি গ্রামে গিয়ে জেনেছি, তাদের বাড়ি আগে যে জায়গাতে ছিল , সেই জায়গার জমির দাম বেশি হওয়ায় তারা সেটা বেচে দিয়ে চলে গেছেন গ্রামের অন্য পারে, যেখানে জমির দাম খানিকটা কম।

এই রকম ঘটনা আরো আছে আমাদের গ্রামে। কয়েক পুরুষ ধরে যে জমির কোন হাতবদল হয়নি তা হাত বদল হতে শুরু করেছে। বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে গ্রামের সম্ভ্রান্তদের হাতে অথবা একসময় গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসা কিছু মানষদের হাতে। আর তাই বাড়ছে গ্রামের ভূমিহীনের সংখ্যা। অথবা কমে যাচ্ছে জমির মালিকের সংখ্যা। অনেকেই তাদের চিরায়ত পেশা পরিবর্তন করে ফেলছে। চাষবাসে লাভ কম হয় বলে। অথবা নতুন ধরণের পেশার সুযোগ বাড়ছে বলে।

এই যে সুযোগ বাড়া সেটা একধরণের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। চিরায়ত সমাজ ব্যবস্থাতে মানুষের পেশা পরিবর্তনের সুযোগ হত খুব কম। শিক্ষার সুযোগ পেত খুব কম মানুষই। গ্রামের খুব কম ঘরেই লেখাপড়ার চল ছিল। শহিদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তকেও তো তেমনটাই দেখি। প্রধানত মিয়া বাড়ি আর সৈয়দ বাড়িতেই লেখাপড়ার চল। আর খানিকটা হিন্দু মহাজনের বাড়িতে। কিন্তু আমাদের গ্রামে কোন হিন্দু আমি দেখিনি। দাদার কাছেও শুনেছি আমাদের গ্রামে নাকি কোন হিন্দু ছিল না। হয়তো কোন একসময় একবারে গ্রামের সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। ঠিক কবে সেটা, তা আমার জানা নেই। তবে সেদিনের এতবড় একটা রূপান্তর (গ্রামের সবার ধর্মান্তর নাকি প্রথম বারের মত ধর্ম গ্রহণ -কে নিশ্চিত করে বলতে পারে?) গ্রামের জন্য ঠিক কতটুকু পরিবর্তন অনিবার্য করে তুলেছিল সেটা খুব জানতে ইচ্ছা করে। সামান্য একটা রাস্তার রূপান্তর যে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তা কি কেউ ভেবেছিল? নাকি অনেক ভেবে চিন্তেই ঘটানো হয়েছে এই পরিবর্তন?

রাজীব রহমান


মন্তব্য

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে যে বিষয়গুলো মিস হয়েছে তা হলো বছরে এক বা দুইবার মাল্টিমোডাল পরিবহনে চেপে বাড়ি যাওয়ার উত্তেজনা, বেশ একটা বিরতিতে নানী/দাদীর সাথে সাক্ষাত এবং তাদের আদিরসমিশ্রিত বচনগুলো শোনা, শান্ত দুপুরে পুকুরপাড়ে বসে ঘুঘুর ডাক শোনা, ইত্যাদি। তবে এখন যাতায়ত সহজ হয়ে পড়াতে গ্রামের দিকে যাওয়ার ফিকোয়েন্সি বেশ বেড়েছে, বিশেষকরে যারা কাছের বা অল্প দুরের শহরগুলোতে বসবাস করে। আজকাল দেখি গ্রামের মানুষগুলোর মধ্যেও কেমন যেন একটা শহুরে ভাব চলে এসেছে। গ্রামের মেয়েরা-ছেলেরা এখন প্রতিদিন শহরে এসে কলেজ করে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছে, অসুস্থ মানুষদের তাড়াতাড়ি করে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে, আবার গ্রাম্য বদগুলো দিনের দিন শহরে এসে যৌনপল্লী থেকে ঘুরে যাচ্ছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির সাথে এই পরিবর্তনগুলো অনিবার্য।

রূপান্তরের ধর্মীয় দিকটা আসলে অন্যরকম। এখানে দারিদ্রটাই মূখ্য বিষয়। বাংলাদেশে যেমন হিন্দুইজম থেকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত হওয়ার আধিক্য, তেমনই জানামতে একটা একদা-মুসলিমপ্রধান আফ্রিকান দেশে এখন ক্রিশ্চিয়ানিটি সংখ্যাগুরু।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাজীব রহমান এর ছবি

রূপান্তরের ধর্মীয় দিকটা আসলেই অন্যরকম ।।। সহমত।।।
পড়ার জন ধন্যবাদ।।।

পথিক পরাণ এর ছবি

চলুক

পরিবর্তনগুলো খুব সুন্দর ধরা পড়েছে আপনার বর্ণনায়।

লিখতে থাকুন।

------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

রাজীব রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।