পাশে আছি-আশে আছি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৮/০৪/২০১২ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সায়েম রীতিমত গলদঘর্ম হচ্ছিল বিশাল সাইজের লেগরোস্টটি উদরালয়ে ঢোকাতে যেয়ে। পেটের ডাকে যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশী জিহবার আহবানে এখন তার অবস্থান হোটেল নিউজার্সিতে। জিহবা ও পেটের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তার দেহাভ্যন্তর অচিরেই পরিণত হল পল্টনের রণক্ষেত্রে!

এই আপাত আপৎকালীন সময়েই হঠাৎ করে এক মহা আইডিয়া খেলে যায় সায়েমের চির উর্বর শীরে। পোস্টারে লিডার ওরফে বাবু ভাইয়ের মহীয়সী জননীর ছবি থাকলে কেমন হয়? লিডারের নির্বাচনী পোস্টারটি যথারীতি জোড়া ছবি দিয়েই তার যাত্রারম্ভ করেছে, দলের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতার সংগ্রামী ছবি। এরপর ঢোকাতে হয়েছে কেন্দ্রীয় যুবনেতা বাখর ভাইয়ের ছবি যেহেতু উনার ছত্রছায়াতেই লিডার ওরফে বাবু ভাইয়ের হাতে খড়ি, সড়কি ও আজকের এই বাড়বাড়ন্ত। আর আছে লিডারের প্রবাদতূল্য বাবা হাজি সুলায়মান ফকির, জান্নাতবাসী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যার হাতে ছিল অত্র এলাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, যার ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংগ্রামের কথা এখনো ভুলতে পারে না এলাকাবাসী, অহর্নিশি দু’কান মেলে যাদের শুনে যেতে হয় সুলায়মান ফকিরের কামাল করা সব কেরামতি। এখন এক পোস্টারেই পাঁচ-পাঁচটি ছবি দেখার অসামান্য সুযোগ লাভ করছে রাস্তার আপামর দেয়াল দর্শকবৃন্দ। এমতাবস্থায় আর একখানা ছবি যোগ করা হলে, পোস্টার শোভিত দেয়ালগুলো কি পরিমাণ ঝলমলাবে, তা কল্পনা করা যায়?

আইডিয়াটা নিয়ে যতই ভাবছে, ততই খুশির তুফান বয়ে যাচ্ছে সায়েমের দিল-সাহারায়। কি সাংঘাতিক একটা ভাবনাই না তার মাথাতে এসেছে! এই আইডিয়া লিডার গোগ্রাসে গিলবে সন্দেহ নেই। বাবু ভাইয়ের বাবা যদি অত্র এলাকার প্রধান উন্নয়নপুরুষ হন, তাহলে সেই উন্নয়নের পালে প্রেরণা দিয়েছেন, শক্তি দিয়েছেন, মন্ত্রণা দিয়েছেন বাবু ভাইয়ের মহীয়সী জননী। সায়েমের আর তর সয় না। লিডারকে কথাখানা পাড়ার জন্য বেচাঈন হয়ে পড়ে সে।

প্রমাণ সাইজের লেগরোস্টটি কাটা চামচের নিয়ন্ত্রণ আর মানতে চাইছিল না। তাই চামচ রেখে দিয়ে একসময় জোর হাত লাগায় সায়েম। হাত তলিয়ে যাচ্ছে যাক, তবু দ্রুততর ও নিচ্ছিদ্র হচ্ছে ভোজনপর্ব। ইতিমধ্যে হোটেলের ম্যানেজার দ্বিতীয়বারের মত এসে জিজ্ঞাস করে গেছে, ‘ভাইজান, আর কিছু লাগবো?’ হোটেলে সায়েমই সম্ভবত একমাত্র ব্যক্তি যার দেখভালে নিয়োজিত রয়েছে স্বয়ং ম্যানেজার সাহেব। খানা ভোগের পাশাপাশি এই বাড়তি মনোযোগও কম উপভোগ্য নয় সায়েমের কাছে! আমজনতার কাছে নাকি রাজনীতির দাম পড়ে গেছে, সুযোগ পেলেই নাকি মুখে খিস্তি খেউর ফোটে! কিন্তু সায়েমের অভিজ্ঞতা ভিন্নই বলতে হবে। এমনকি তার মত এক মাঝারি সাইজের কর্মীর পদচুম্বনধন্য হওয়ার সুযোগ হেলায় হারাতে দেখেনি কোন দোকান বা হোটেল মালিককে!

নিজের অজান্তেই ছিনা ফুলে-ফেঁপে উঠে সায়েমের! এলাকার বেশীরভাগ লোকেই এখন তাকে একনামে চেনে। সবাই জানে ও মানে, সে বাবু ভাইয়ের আপনার লোক। রাস্তায় নামলেই সালামের তুবড়ি ছোটে তার দিকে, এমনকি চাচার বয়সী লোকেরাও পিছপা হয়না। আর বাবু ভাই তো বলেই রেখেছে, দলের থানা শাখার নেক্সট সেক্রেটারি পদ তার অবধারিত। সায়েম তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। এখন চারপাশটা কত সহজ! অথচ আজকের এই অবস্থানের পেছনে আছে ত্যাগ ও শ্রমের দীর্ঘ ইতিহাস! সেই কলেজ লাইফ থেকেই পড়া নেই, খেলা নেই, দিনরাত খালি বাবু ভাইয়ের পিছে ঘুর ঘুর আর দূর দূর সইতে হয়েছে। পরীক্ষায় বার কয়েক ফেল মারলেও, উপরওয়ালার অপার ইশারায় এখন পর্যন্ত কোন মিটিং মিছিল ফেল করতে হয়নি তাকে। বরং বিকট স্বরের স্লোগানে গলা ভাংতে হয়েছে, অনেকবার চাইনিজ কুড়োল চালাতে হয়েছে প্রতিপক্ষের উপর, পুলিশবাবুদের হাতে রক্তাক্ত হতে হয়েছে বহুবার, আর এই রক্ত আর ঘামের উপরই না গড়ে উঠেছে সায়েমের আজকের এই আলোকোজ্জ্বল রাজনৈতিক প্রাসাদ!

সায়েমের মা অবশ্য একটু গাঁইগুঁই করছিল তার রাজনৈতিক নিষ্ঠা ও একাগ্রতা নিয়ে। কিন্তু সায়েমের কি ঠেকা তার কথা শোনার যখন ব্যবসায়ী পিতার গ্রিন সিগনাল আগেই পড়ে ফেলেছিল! সায়েমের পিতা বলতেন, ‘দেখ সায়েম, বড় নেতা হইতে পারস কিনা! হইতে পারলে তোর কিচ্ছু কইরা খাওন লাগব না। হাতের উপর সব অটোমেটিক আইসা হাজির হইব।‘ সায়েম অক্ষরে অক্ষরে মানে বাবার বেদবাক্য। বাবা যে এক বর্ণও মিথ্যা বলেনি এখন সে ঢের বুঝতে পারে। সায়েমের বন্ধুরা নামজাদা সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হলেও, সায়েমের দৌড় সরকারী কলেজের বিএ ডিগ্রি পর্যন্তই, তাও একাধিকবারের প্রচেষ্টায় অর্জিত। কিন্তু বাস্তব হল, সায়েমের ঐ বন্ধুরাই এখন সায়েমকে ব্যাপক তোয়াজ করে। তাছাড়া আর কি করবে? বড় কোন নেতার এমনকি আশে-পাশে যাওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত নাই কুতুবগুলার! সায়েম আপন মনে হাসে।

সায়েম এতদিনে বুঝে গিয়েছে, লিডারের আদিকচক্রবাল ক্ষমতার কিঞ্চিত অংশও যদি বাগাতে পারে, তা দিয়েই সারাজীবন শুয়ে বসে কাটিয়ে দিতে পারবে। সবচেয়ে আমোদজনক হল, মানুষকে কিছু বলে দিতে হয় না আজকাল। মানুষ স্বেচ্ছায় স্বহস্তে উপঢৌকনের পসরা সাজিয়ে পাঠায় লিডারের কাছে; মাছটা, মাংসটা, প্লটটা, ফ্লাটটা সব থাকে তাতে, কোন কিছুই বাদ পড়ে না সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে!

এখন একটাই ধ্যান সারা দিনমান - আগামী ইলেকশানে বাবু ভাইকে জিতিয়ে আনা। একবার ক্ষমতায় যেতে পারলে বাবু ভাই হবে এলাকার রাজা, আর সে হবে সিপাহসালার। ভাবতেই রক্ত টগবগিয়ে উঠে সায়েমের। দলের অন্ধ ভক্তকুলের বাইরে অবস্থানকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য ইতিমধ্যেই লিডারের নয়ন মনোহর আর তারুণ্য দীপ্ত পোস্টারে ছয়লাপ করে ফেলা হয়েছে পুরা এলাকা। দেখাদেখি পঞ্চাশোর্ধ প্রতিপক্ষ দবিরউদ্দিনও ইয়াং ফ্লেভারের একখান ক্লাউন মার্কা ছবি লাগাইছে। আপনমনে হাসে সায়েম।

তবে শুধু ছবি না, সায়েম লিডারের জন্য নতুন স্বাদের স্লোগানও পয়দা করছে। ‘নিপীড়িত জনগণের বন্ধু’ - এইসব পুরাতন রদ্দামার্কা স্লোগান শুরুতেই ছেঁটে ফেলেছে সে। সায়েম এবার সবচেয়ে বেশী জোর দিয়েছে জনগণের পাশে থাকার বিষয়টার উপর। কোন ভোটার যেন ভুলে না যায় লিডার তাদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম লিডারের পরিবারটি যে মানুষের পাশে ছিল, মানুষর কাছে থেকে কখনোই দূরে সরে যায় নাই, এই বিষয়গুলোও শ্লোগানের মাধ্যমে ভোটারদের মস্তিষ্কে শক্তভাবে রোপণ করে দিতে চায় সায়েম। আর নতুন ধাঁচের নজরকাড়া স্লোগানগুলি সাড়াও ফেলতে সক্ষম হয়েছে মানুষের মাঝে।

ম্যানেজার কিছুক্ষণ পর আবার সায়েমের পাশে এসে দাঁড়ায়, ‘’ভাইজান, আর কিছু লাগব না?’’ সায়েম বলে, ‘যেই ভারী খাবার খাইলাম, মাঠা না খাইলে তো পেটটা ঠাণ্ডা হইতাছে না।‘ ম্যানেজার উচ্চ স্বরে হাকে, ‘ঐ, কে আছস, ভাইজানরে ফাস্ট ক্লাস মাঠা দিয়া যা।‘ মাঠা তৈরি হতে হতে ম্যানেজার সায়েমকে শুধোয়, ‘আপনেগো ইলেকশান কেমন আগাইতেছে? বাবু ভাই কি টিকিট পাইব?’
সায়েম বলে, ‘বাবু ভাইয়ের টিকিট কনফার্ম। কিছু টেকনিকাল কারণে এখনো প্রকাশ্যে ডিক্লেয়ার করে নাই।‘
ম্যানেজার চিন্তিত মুখে বলে, ‘কিন্তু দলের যেই অবস্থা, বাবু ভাই কি ইলেকশানে জিততে পারব?‘
সায়েম অভয় দেয়, ‘দলের অবস্থায় লিডারের কিছু যায় আসে না। লিডার জিতব নিজের জনপ্রিয়তায়।‘
ম্যানেজার বেরসিকের মত বলে বসে, ‘’কিন্তু ভোট দেওনের সময় মানুষ কি দলের ব্যর্থতা ভুলতে পারব?’
এইবার কিঞ্চিত জ্বলে উঠে সায়েম, ‘’আমাগো ভোট লাগব না যান, আমরা ভোট ছাড়াই জিততে পারুম, বুঝতে পারছেন এইবার?‘
ম্যানেজার জিভে কামড় দেয় আর কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বলে, ‘’মাপ কইরা দিয়েন ভাইজান, কি কইতে কি কইয়া ফালাইছি! আমরা আপনেগো অনেক পুরানো লোক। তয় বাবু ভাইয়ের এন্টি পার্টি কইরাও সেলিম মিয়া এত বড় হোটেল দিলো কেমন কইরা, সেইটাই বুঝতে পারতেছি না।‘
সায়েম প্রমাদ গুনে মনে মনে। সেলিম মিয়া ইতিমধ্যে বড় অংকের টাকার বস্তা দিয়ে গেছে বাবু ভাইয়ের গোপন ডেরায়, যার একটা অকিঞ্চিৎকর অংশ সায়েমও নেড়েচেড়ে দেখেছে। কিন্তু মুখে বলে, ‘ঠিক আছে, সেলিম মিয়ার ব্যাপারটা কি করন যায়, লিডারের সাথে আলোচনা কইরা ঠিক করমু। তবে আপনাগো আগের মতই পাশে থাকা লাগব কিন্তু। আর আজকের বিল কত হইছে, সানু মিয়া?’
ম্যানেজার আবারো জিহবায় কামড় দেয়, ‘কেন লজ্জা দেন, ভাইজান? আপনেগো সামান্য খেদমত করার সুযোগ না দিলে ক্যামনে হইব!’
‘আচ্ছা, তাইলে যাই। দরকার হইলে যোগাযোগ কইরেন। আর নেতার অফিসে পরশু আইসেন একবার’- বলে দৃপ্ত পায়ে হোটেলের দরজা থেকে বেরুতেই এক ভিক্ষুক সায়েমের সামনে এসে দাড়ায়, ‘বাবা, আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দেন!’
সায়েম মনে মনে চরম বিরক্ত হয়, দুনিয়া বদলায় গেছে, অথচ এই শালার ভিক্ষুকগুলাই খালি আগের মত রইয়া গেছে। সুযোগ পাইলেই প্যানপ্যান করে কানের কাছে! যাই হোক, বিরক্তি কৌশলের চাদরে ঢেকে রাখে। এখন ইলেকশান মৌসুম। এই শালার ভিক্ষুকরে দুইডা লাথি দিলে তার কিচ্ছু হবে না, কিন্তু লিডারের ইমেজ নষ্ট হইতে পারে। তাই রাগের বদলে মুখে সমবেদনার নিখুঁত ছবি ফুটিয়ে তোলে সায়েম, পকেট থেকে ১০০ টাকার একটা নোট ভিক্ষুকের দিকে বাড়িয়ে দেয়, ‘দোয়া কইর আমাগো বাবু ভাইয়ের লাইগা, যেন ইলেকশান জিততে পারে।‘
ভিক্ষুক জিগায়, ‘বাবু ভাই কেডা, বাজান?‘
সায়েম বলে, ‘বাবু ভাই আমাগো নেতা। কেন পোস্টার দেখ নাই?’
ভিক্ষুক বলে, ‘পোস্টারে তো অনেক মাইনসের ছবি দেখলাম। নেতা কোনডা?’
সায়েম ভিক্ষুকের ছাগলামিতে মহাবিরক্ত হয়, কিন্তু ধৈর্য ধরে রাখে, ‘সবচেয়ে বড় আর সুন্দর ছবিডা, বুঝলা।’
ভিক্ষুক বলে, ‘হ, এইবার বুঝছি বাবা। বাবু ভাই আমাগো লাইগা কি করবো, বাজান?’
সায়েমের ধৈর্যের বাধ ভাঙ্গার উপক্রম হয়, তবে এতদিনের রাজনীতি তাকে পাকা অভিনেতা হতে শিখিয়েছে, তাই মুখভঙ্গি অপরিবর্তিত রেখে বলে, ‘সে তোমাগো উন্নতির জন্য কাজ করবো, বুঝলা। তোমাগো দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্যই তো ইলেকশানে দাঁড়াইতেছে। হের বাবাও তোমাগো কাজ করতে করতেই সারা জীবন পার করছে। তারা কয়েক পুরুষ ধইরা তোমাগো পাশে আছে। সামনেও থাকব। কোন বিপদ-আপদে তোমাগো পাশ ছাইড়া যাইব না।‘

সায়েম আর ভিক্ষুক এতক্ষণ হোটেলের দরজার সামনে দাড়িয়েই কথা বলছিল। একজন লোক অনেকক্ষণ যাবত উসখুস করছিল ভিতরে ঢোকার জন্য। কিন্তু সায়েমের চওড়া দেহ ভেদ সক্ষম হচ্ছিল না। লোকটা এক সময় সময় অধৈর্য ও ক্রুদ্ধ ভঙ্গিতে বলে উঠে, ‘’দরজার পাশটা ছাইড়া খাড়ান না ভাইজান, অনেকক্ষণ তো দরজা আটকায় রাখলেন, আর কত? আমাগো এইবার একটু ভিতরে ঢুকতে দেন।‘’
সায়েম হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে। লোকটি কি তাকে চিনতে পারেনি? লোকটি কি এলাকায় নতুন?

কাজি মামুন
২৮।০৪।২০১২


মন্তব্য

কল্যাণ এর ছবি

তাপ্পর?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

কাজি_মামুন এর ছবি

তারপর আর কি? শুধুই অন্ধকার!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,কল্যাণদা!

অমি_বন্যা এর ছবি

তারপর সায়েমের রাগ হয়। থাপ্পড়ও হয়তো মারতে মন চাইবে কিন্তু ওই যে রাজনীতির পাকা অভিনয়- মারতে পারবেনা থাপ্পড়।

কাজি_মামুন এর ছবি

বাহ! বেশ বলেছেন! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক

বেশ। ভালো লাগলো।

কাজি মামুন এর ছবি

এমন সাধারণ, নড়বড়ে লেখাও আপনার প্রশংসাধন্য হয়! আপনার ক্লান্তিহীন উৎসাহে আমি মুগ্ধ, কৃতজ্ঞ! মন চায় একটা অসাধারণ কিছু লিখে আপনাদের সীমাহীন সমর্থনের সামান্য প্রতিদান দিতে! সেই দিন কবে আসবে জানি না, তাপসদা!

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

লেখা ভাল লাগল।
আগের চেয়ে আপনার লেখা আরেকটু ঝরঝরে হয়েছে।

চালিয়ে যান।
'পাশে আছি।'

কাজি মামুন এর ছবি

মন্তব্য ও উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রদীপ্তদা! আমাদের রাজনৈতিক নেতারা অনেক ভাল ভাল শব্দকে বিকৃত করে ফেলেছেন। 'পাশে আছি' এমন একটি শব্দ। তারা বংশ পরম্পরায় 'পাশে থাকাতে', সাধারন মানুষের দমবন্ধ অবস্থা! সাধারণ মানুষ আর তাদের পাশে চায় না। সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। সম্ভাবনার দরজা (যা নেতারা আটকে রেখেছে) ভেদ করে তারা এখন ভেতরে প্রবেশ করতে চায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।