সেন্ট্রাল স্টেশন (সেন্টার ডি ব্রাজিল) : মানবিক সম্পর্কের এক অদ্ভুদ সুন্দর উপাখ্যান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৬/২০১২ - ১২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৮০ এর দশকের পর থেকে হলিউড যখন ব্যস্ত হয়ে উঠে মুলত প্রযুক্তি ভিত্তিক, মাফিয়া কিংবা চটুল চলচ্চিত্র নির্মাণে, ঠিক তখনো ইউরোপ, ইরান কিংবা ৩য় বিশ্বের দেশগুলোতে চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য মানবিক আবেগ আর সম্পর্কের উপাখ্যান। ব্রাজিলিয়ান ফিল্ম মেকার ওয়াল্টার স্যালেস এর তৈরি “সেন্ট্রাল ষ্টেশন” ব্রাজিলিয়ান ৯ বছরের অনাথ বালক জসুয়া আর রেলষ্টেশন এর চিঠি লেখিকা মধ্যবয়স্কা ডোরা এর সম্পর্কের পটভূমিতে তেমনি অদ্ভুদ সুন্দর আর সরল এক গল্প যা গড়ে উঠেছে মানবিক আবেগ, সম্পর্ক আর ধর্ম বিশ্বাস এর উপর ভিত্তি করে।

ডোরা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা, রিও ডি জেনিরো এর সেন্ট্রাল রেল ষ্টেশন এ অশিক্ষিত লোকজনের চিঠি লিখে দেয় টাকার বিনিময়ে। তবে সেইসব চিঠি সে পোষ্ট করে না, এমনকি কিছু চিঠি ছিড়েও ফেলে দেয়। একদিন তার কাছে ৯ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে এক মা আসে চিঠি লেখাতে, যেখানে সে তার ছেড়ে আসা স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চায়, আর ৯ বছরের সেই ছেলেটি, জসুয়া, যে কখনো তার বাবাকে দেখেনি, সে অপেক্ষায় থাকে তার কাছে রিয়েল লাইফ হিরো যিনি কাঠ দিয়ে পৃথিবীর সব কিছুই বানাতে পারে, সেই বাবার কাছে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায়। কিন্তু ষ্টেশন এর সামনেই বাস দুর্ঘটনায় জসুয়ার মা মারা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ডোরা জসুয়াকে ঘরে নিয়ে চলে এবং পরবর্তীতে ১ হাজার ডলারের বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে দেয়। ডোরা সম্বন্ধে একটু বলি। শৈশবেই তার মাতাল বাবা তাদের ছেড়ে যায় আর তার কিছুদিন পরেই তার মা কেও সে হারায় আর হয়ত এই কারণেই অনাথ একাকী বেড়ে উঠা ডোরা পরিণত হয় স্বার্থপর, ভালোবাসাহীন এক মানুষে, যেই কারণে অনাথ অসহায় ৯ বছরের বালক জসুয়াকে বিক্রি করে দিতেও সে দ্বিধা বোধ করে না। কিন্তু পরবর্তীতে এই ঘটনায় সে তীব্র অনুশোচনায় দগ্ধ হয়, আর তার কারণে ঠিক পরের দিনই জসুয়াকে সে উদ্ধার করে এবং তাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। ঘটনার শুরু এভাবেই ... ...

জসুয়াকে সাথে নিয়ে ডোরা বেড়িয়ে পড়ে, বেশ কয়েকবার ছেড়েও যায়, আবারও ফিরে আসে। তাদের এই যাত্রাপথের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল চিরাচরিত স্বার্থপর ডোরার একটু একটু করে বদলে যাওয়া, মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সেই মানবিক গুনগুলো, নারীর চিরাচরিত মাতৃরূপ, যা পাথর চাপা ছিল এতটা বছর, জসুয়ার প্রতি জন্মানো মায়া, ভালোবাসা তা এক এক করে বেরিয়ে আনে...চিরচেনা সাইনিক্যাল ডোরার এই পরিবর্তনের ছবি চলচিত্রকার এঁকেছেন ছোট ছোট আবেগময় কিছু দৃশ্যের সাহায্যে অদ্ভুদ সৌন্দর্যে। একটা দৃশ্যের কথা বলি, প্রার্থনার সময়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ডোরা যখন ভোর বেলায় জ্ঞান ফিরে নিজেকে দেখতে পায় জসুয়ার কোলে ঘুমিয়ে, সেই দৃশ্যে, রক্তের বাধন ছাড়াও চিরাচরিত মা-ছেলের সম্পর্কের এত সুন্দর দৃশ্যায়ন হৃদয় ছুয়ে যায়...অদ্ভুদ রকম স্নিগ্ধ সুন্দর!

এবার আসি এই চলচ্চিত্র এর অন্য আরেকটি বিষয় এ। চরিত্রগুলোর ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ না করলেও, এই ফিল্ম এ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হিসেবে এসেছে স্পিরিচুয়েলিটি। ব্যাকগ্র্যাউন্ড মিউজিক এ “God will give the destiny”, সেইন্টদের সাথে জসুয়া আর ডোরা এর যাত্রা,তাদের প্রার্থনা সংগীত, ভক্তদের উন্মাতাল প্রার্থনা এর সময়ে ডোরা এর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আর চরিত্র হিসেবে পাওয়া ফান্ডামেণ্টালিষ্ট ক্রিশ্চিয়ান ট্রাক ড্রাইভার, যার গাড়িতে জিসাস ক্রাইস্ট এর ছবি থাকে। এই ড্রাইভার যাত্রাপথে তাদের সাহায্য করে এবং এক পর্যায়ে ডোরার তার প্রতি দুর্বলতা জন্মে এবং যখনি সে বুঝতে পারে, এই দুর্বলতা মূলত জৈবিক চাহিদার, তখনি সে চলে যায়, যা চলচিত্রকার উপস্থাপন করে ফান্ডামেণ্টালিষ্ট ক্রিশ্চিয়ানদের স্ট্রং মোরালিটি এর বহিঃপ্রকাশ রুপে। আর ফিল্মের চরিত্রের নামকরনে ক্রিশ্চিয়ান মাইথলজির জসুয়া, জিসাস, ডোরা এর ব্যবহার ছিল ব্রাজিলিয়ান সাধারণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি।

৯ বছরের বালক জসুয়াকে নিয়ে এগিয়ে চলে ডোরা। সময়ের সাথে সাথে আমরা দেখতে পাই, ডোরা এর মধ্যকার পরিবর্তনগুলো, চিরাচরিত স্বার্থপর, মানবিক আবেগশুন্য ডোরার মাঝে জেগে উঠা বিবেকবোধ আর শাশ্বত মাতৃরূপ। আরকটি লক্ষ্যনীয় বিষয় ছিল, মনের জমে থাকা সব কালিমা মুছে শ্বেত শুভ্র হয়ে ডোরার যে পুনর্জন্ম, প্রকৃতপক্ষে তাই ই ছিল ডোরার স্যালভেশন, যা বিকশিত হয় জসুয়ার সংস্পর্শে ঠিক যেমন “বুক অফ জসুয়া” এর জসুয়া একদল ইস্রাইলিটিসদের (মিশরের ফারাওদের দ্বারা অত্যাচারিত ক্রিশ্চিয়ান ট্রাইব) নিয়ে যায়, তাদের মুক্তির লক্ষ্যে প্রমিসড ল্যান্ড এ। ডোরা ছিল একই সাথে জসুয়ার জীবনে প্রকৃতই “গিফট অফ গড” (উল্লেক্ষ্য,গ্রীক ডোরা শব্দের অর্থ “গিফট অফ গড”), ৯ বছরের এই সহায় সম্বলহীন এই বালকের তার পিতার কাছে ফেরার একমাত্র আশা ছিল ডোরা, ডোরা এর সাহায্যে পিতাকে খুঁজে না পেলেও, সে অবশেষে খুঁজে পায় তার পরিবারের সদস্যদের, তার পরম স্নেহশীল সৎ দুই ভাই আর হারিয়ে যাওয়া পিতা জিসাস এর রেখে যাওয়া চিঠিতে ফিরে আসার অঙ্গীকার। আর ডোরা...জসুয়াকে তার নিজের ঘরে স্নেহময় নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে হেটে চলে যায় একাকি...পেছনে পড়ে থাকে স্মৃতি আর ... ... মায়া... ... ...

প্রকৃতপক্ষে, এই চলচ্চিত্রে ডোরা ছিল সমাজ ও জীবনব্যবস্থার প্রতি চিরকালীন আশাহত মানুষের প্রতিচ্ছবি। শৈশব এ তার মাতাল বাবা তাদের ত্যাগ করে আর মা মারা যান, নিষ্ঠুর বাস্তবতার এই শৈশবের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই তার পরবর্তী হতাশাগ্রস্ত জীবনে। যদিও সময়ের সাথে সাথে আমরা দেখতে পাই, জসুয়ার সংস্পর্শে ডোরার নিজের হ্রিদয়ের সৌন্দর্যের উপলব্ধি , একি সাথে এপিয়ারেন্স আর এটিটিউডেও সুন্দর হয়ে ওঠা ডোরাকে। অপরপক্ষে, জসুয়া ছিল স্বপ্নবাজের চোখে দেখা ভবিষ্যতের ব্রাজিল, যে শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও কখনো আশা ছাড়েনি। ডোরার নেগেটিভিটি, হাজারো বাস্তবিক প্রতিকূলতা কোনটাই তাকে তার পিতা জিসাস (মানব মুক্তি তথা স্যালভেশনের প্রতিমূর্তি) কে ফিরে পাওয়ার আশা থেকে দূরে ঠেলতে পারেনি। অবশেষে সকল বাঁধা দূরে ঠেলে সে ঠিকি তার পরিবারকে খুঁজে পায়, যা আশাবাদী মানুষের সমৃদ্ধ ব্রাজিলের স্বপ্নের কথাই বলে।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এর মেকিং নিয়ে প্রায় ই বলা হয়, তিনি সেলুলয়েডের ফিতায় কবিতা লিখতে পারতেন। ওয়াল্টার স্যালেস এর এই ফিল্ম দেখে আমারও তাই ই মনে হয়েছে। পুরো ফিল্মটা জুড়ে ছিল আবেগে মাখামাখি অনিন্দ্য সুন্দর সব দৃশ্যের চিত্রায়ন। তবে একি সাথে ইউরোপিয়ান নিও-রিয়েলিজম দ্বারা প্রভাবিত ‘রোড ফিল্ম’ ঘরানার এই চলচ্চত্রে ফুটে উঠেছে সমকালীন ব্রাজিলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার চালচিত্র। চলচ্চিত্রের ঠিক প্রথম দৃশ্যেই রিও ডি জেনিরো এর ট্রেডমার্ক কোপাকোবানা বিচ দিয়ে এই ফিল্ম শুরু হয়নি, বরং তা শুরু হয়েছে জনাকীর্ণ সেন্ট্রাল স্টেশন দিয়ে, চারপাশে অসংখ্য মানুষ, হকার, ট্রেনে প্রচন্ড ভিড়... ... শুরুতেই বুঝিয়ে দেয়া হোল, এটা কোন ফিকশান ফিল্ম নয়, বরং বাস্তবতার নিখাদ প্রতিচ্ছবি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুরুর দৃশ্যে যখন ডোরা চেয়ার টেবিল নিয়ে চিঠি লিখতে বসে, তখন সাধারণ মানুষ ভেবেছিল, তা বাস্তব, আর তাই তারা তার কাছে চিঠি লিখতে আসে আর সেই বাস্তব দৃশ্যকেই পরিচালক ফিতাবন্দী করেন আড়ালে থেকে ছোট একটা ক্যামেরার সাহায্যে।

৭০ এর দশকে ব্রাজিলে রেপিড ইন্ডাসট্রিয়ালাইজেশন এর শুরুতে তৎকালীন সামরিক সরকার দ্বারা ঘোষিত ‘ইকনোমিক মিরাকল’ এর ইল্যুশান এর প্রভাবিত হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাখ লাখ লোক ঘর ছাড়ে দক্ষিণের শহরের উদ্দ্যেশে আর ফলাফলে জনাকীর্ণ এসব শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেকারত্ব আর শহর জুড়ে ভাইয়োলেশন এর তীব্রতা। আর সেই অবস্থার কথাই ফিল্মে ফুটে উঠে যখন দেখা যায়, সামান্য চুরির কারণেই এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয় প্রকাশ্য দিবালোকে। ফিল্মের শেষে রিও ডি জেনিরো ছেড়ে জসুয়ার পারিবারের কাছে গ্রামে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে পরিচালকের ব্যক্তিগত মতামতের কথা প্রকাশ পায় , কেবল জনাকীর্ন নগরায়ন নয়, বরং শেকড়ের কাছে ফিরে গিয়ে ট্রেডিশনাল ব্রাজিল এর উন্নয়নই হতে পারে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাড়ানোর হাতিয়ার। বেলা শেষের ডাক তাই, ‘চল ফিরে মাটিরও টানে’।

কাব্যময় ছন্দের এই অসাধারণ মানবিক উপাখ্যান চিত্রায়নে ওয়াল্টার স্যালেস হয়ত ভিত্তেরিও ডি সিকা এবং জীন রেনয়রের শিল্পময় উপস্থাপন দ্বারা কিছুটা প্রভাবিত এই ফিল্মের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিল অসাধারন, বিশেষত পিয়ানোর মাধুর্যময় ব্যবহার তাকে দেয় অন্য রকম মাত্রা। ডোরা এর চরিত্রে ফারনান্দা মন্টেগ্রো এর অভিনয় ছিল এক কথায় অনবদ্য (এটা খুব অবাক করা বিষয় যে, তারপরো তিনি অস্কার পাননি, সেক্সপিয়ার ইন লাভ এর গিনেথ প্যালেট্রো এর কাছে হেরে!!)। তবে জসুয়া চরিত্রে রুপদানকারী শিশুশিল্পী ভিনিকিয়াস অলিভেইরা এর অদ্ভুদ সুন্দর অভিনয়ের কথা আলাদা করে না বললেই নয়। বিশেষত, বেশ কিছু দৃশ্যে তার এক্সপ্রেশন ছিল মুগ্ধ হওয়ার মত।

তবে অদ্ভুদ বিষয় হলেও সত্য, এই ফিল্মে ডোরা এর চরিত্র রূপায়নকারী ফারনান্দা মন্টেগ্রো ছাড়া বাকি সকল অভিনেতার জন্যই এটা ছিল ডেব্যু ফিল্ম, জসুয়ারূপী ভিনিকিয়াস অলিভেইরা ছিল জুতা পালিশ বয় আর পরিচালক তাকে খুঁজে পান রিও ডি জেনিরোর সেন্ট্রাল স্টেশনেই!! এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রায় অর্ধেকের জন্যও এটাই প্রথম ফিল্ম ছিল। ওয়াল্টার স্যালেসের মতে, অল্প কিছু লোকের অভিজ্ঞতা আর বাকিদের প্রবল উৎসাহ আর উদ্দীপনাই শ্রেষ্ঠ বিদেশী চলচ্চিত্র বিভাগে একডেমি নমিনেশন পাওয়া এবং ৪৮তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন বিয়ার জেতা এই ফিল্মটাকে পরিনত করেছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলোর একটিতে।

সব মিলিয়ে, নিঃসঙ্গ দুজন মানুষের মানবিক সম্পর্কের এমন সুন্দর উপস্থাপন বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে খুব বেশি হয়নি, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

পরিশেষে, জয়তু ওয়াল্টার স্যালেস।

লেখক পরিচিতিঃ The Shaikat Debnath

ছবি: 
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

অস্বাভাবিক এর ছবি

দারুণ লাগ্ল আপনার লেখা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো। চলুক

সৌরভ কবীর

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সময় করে জমিয়ে দেখবো বলে আমি বেশ কিছু মুভি বাক্সবন্দী করে রেখেছি। তার মধ্যে এই মুভিটাও আছে। এই মুভিটা দেখার সিরিয়ালে আরো পিছিয়ে থাকতো, যদি আপনার এই লেখাটা না পড়তাম। চমৎকার রিভিউটার জন্য ধন্যবাদ। ছবিটা এই সপ্তাহেই দেখে ফেলতে হবে হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ধুসর জলছবি এর ছবি

চলুক দারুন লাগল রিভিউ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখাটা দারুণ হয়েছে।

শিরোনামে অদ্ভুদ > অদ্ভুত

বন্দনা এর ছবি

মুভিটার রিভিউ করেছেন বেশ যত্ন নিয়ে, দারুন লেগেছে , ঝটপট নামিয়ে কাল্কেই মুভিটা দেখে ফেললাম। এমন আর ও কিছু মুভি আপনার থলেতে থাকলে ঝটপট রিভিউ লিখে পোস্ট করে দেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বন্দনা, ধন্যবাদ। ওয়াল্টার স্যালেসের দি মোটর সাইকেল ডাইরিস দেখা না হয়ে থাকলে দেখে ফেলেন, খুব ভালো ফিল্ম।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেকটা কথা বলি, ফিল্ম টা বোঝার জন্য জরুরি না, ফিল্মের সাথে তেমন রেলেভেন্ট ও না, তারপর ও হিব্রু বাইবেলে জসুয়ার গল্পটা এক্টু বলি,

হিব্রু বাইবেলের ‘বুক অফ জসুয়া’ এর মূল চরিত্র জসুয়া। মিশরীয়দের অত্যাচারে ক্রিশ্চিয়ানদের একটা ট্রাইব ‘ইস্রাইলেটিস’দের প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, ঠিক সেসময় প্রফেট মোসেস এর নেতৃত্বে তারা বেরিয়ে পড়ে প্রফেট আব্রাহামকে করা গড এর ‘প্রমিসড ল্যান্ড’ এর উদ্যেশ্যে। ‘বুক অফ নাম্বারস’ এর মতে, জসুয়া ছিল সেই ১২ জন স্পাইদের একজন যাদের প্রফেট মসেস পাঠিয়েছিলেন, প্রমিসড ল্যান্ড এর খোজে, আর সে আর কালেব ছিল সেই ২ জন, যার প্রমিজড ল্যান্ড বা ল্যান্ড অফ ক্যানান এর খোজ এনে দেয়। ৪০ বছর মরুভূমিতে ঘুরে ঘুরে অবশেষে তারা এসে পৌছায় জর্ডান নদীর তীরে, যার অপর পাড়েই অপেক্ষা করছে তাদের এতদিনের স্বপ্নের ‘প্রমিজড ল্যান্ড’। যাত্রাপথে তার এক ভৃত্যকে হত্যার পাপে ‘মসেস’ গড এর করা প্রমিসড ল্যান্ড এ যেতে পারবেনা আর এরকম অবস্থার ‘মসেস’ এর মৃত্যুতে দলের নেতৃত্বের ভার আসে জসুয়ার উপর এবং এই জসুয়ার নেতৃত্বেই উত্তাল জর্ডান নদী পার হয়ে অবশেষে তারা পৌঁছে তাদের কাছে ঈশ্বরের অঙ্গীকার করা ‘প্রমিসড ল্যান্ড’ এ।

ফাহিম হাসান, ধন্যবাদ, বানানের ব্যাপারে পরের লেখাগুলোতে আরো সচেতন হব।

সকলকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

The Shaikat Debnath

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।