শিক্ষা না প্রতিযোগিতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীতে যেদিন হাঁটতে শিখে ছিলাম সেদিন কে যেন মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে বলেছিলো – “ ছুটতে থাক বাবা! ছুটতে থাক!”। সেদিন থেকে ছুটছি, কিসের নেশায় ভাবা হয়নি কখনো।
মাঝে মাঝে যখন পেপারে স্কুলের ভর্তির লাইন দেখি অথবা ছোট্ট শিশুকে বাগের ভারে কুঁজো হয়ে হাটঁতে দেখি তখন ছেলে বেলার কথা মনে পরে যায়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না হয়ে যেন নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানের নাম।
প্রতিযোগিতা যেমন আমাদের মাঝে ছিলো তেমন ছিল আমাদের বাবা-মার মাঝেও। সমাজ- সভ্যতার মাঝেই যেন প্রতিযোগিতার ভুত চেপে বসে আছে।
মনে পড়ে গীষ্মে আম খাওয়া হতো না ঘুম আসবে পড়তে পারব না বলে,বর্ষা কালে রেইন কোট পড়ে ক্লাশে যেতে হতো, বর্ষা ছিল এক প্রাকৃতিক অসহ্যকর ভোগান্তির নাম, শীতে লেপ মুরি দিয়ে ঘুমানোর সু্যোগ ছিল না, গরম কাপড় পরে ক্লাশে যেতে হতো। বছর শেষে যে টুকু সময় পেতাম তা পরের বছর এর জন্য প্রস্তুতি নিতেই কেটে যেতো।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ দিন, সবাই ছুটছে নতুন করে অনেক গুলো চেয়ারের পিছনে, আজ বহু সাধনার ফল পাওয়ার সময় এসেছে আজ, হয়তো সবাই পেয়ে যাবে প্রতিক্ষীত ফল একটি চেয়ার, তাতেই কি শেষ হবে প্রতিযোগিতা ?
বৃষ্টি পড়ছে!! বৃষ্টি আজ কোনো প্রাকৃতিক অসহ্যকর যন্ত্রনার নাম নয় আমার কাছে, বৃষ্টির মনমুগ্ধকর সুর আমার মনকে নতুন করে বাচিঁয়ে তোলে, যেমন করে মরা বৃক্ষে নতুন করে কুড়িঁর জন্ম দেয় তেমন করে। নিজের ভেতর থেকে কে যেন চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে – “ আমি বেচেঁ আছি”। নিজের স্পন্দন শুনতে পাই।
তখন দেখি দূরে কিছু মানুষ আমাকে ইশারা করে বিদ্রুপের সুরে বলছে – “ ও তো বেকার” ।।

নাম: ঈশান

মনে পড়ে গীষ্মে আম খাওয়া হতো না ঘুম আসবে পড়তে পারব না বলে,বর্ষা কালে রেইন কোট পড়ে ক্লাশে যেতে হতো, বর্ষা ছিল এক প্রাকৃতিক অসহ্যকর ভোগান্তির নাম, শীতে লেপ মুরি দিয়ে ঘুমানোর সু্যোগ ছিল না, গরম কাপড় পরে ক্লাশে যেতে হতো। বছর শেষে যে টুকু সময় পেতাম তা পরের বছর এর জন্য প্রস্তুতি নিতেই কেটে যেতো।

ছবি: 
05/31/2007 - 2:46অপরাহ্ন

মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এই লেখায় অনুপ্রেরনা দিয়ে ছিল সানজিদা খান। লেখার মুল ভাবনা আসে আবু সালেহ কে লক্ষ্য করে।। প্রথম লেখা তাই লেখতি তাল গোল পাকিয়েছি আনেক। ক্ষমা করবেন।

অমি_বন্যা এর ছবি

সত্যি বেশ দুর্ভাগ্য আপনার। পড়াশুনার চাপ আর গতবাধা রুটিনে বাধা ছিল আপনার সময় তথা এখনকার অনেক ছাত্র ছাত্রীর সময়। এদিক থেকে আমি ভাগ্যবান অনেক কারন খেলাধুলা, দুরন্তপনা, পরাশুনা এগুল নিয়েই কেটেছে স্কুল কলেজের দিঙ্গুলি। আমের সময় আম খেয়েছি গাছ থেকে পেড়ে , আবার বৃষ্টিতে ইউনিফরম ভিজিয়ে বাসায়ও ফিরেছি।

তবে এখন সবকিছু খুব বেশি কম্পিটিটেটিভ । বাবা মায়েদের টেনশন ছেলেমেয়ের চেয়ে বেশিই দেখি। পরিক্ষার রেজাল্ট নিয়ে সবাই এত ব্যস্ত যে বাহ্যিক আর মানসিক বিকাশ কততুকু ঘটলো সে ব্যাপারে থোড়াই কেয়ার সবার।

আপনার প্রথম লেখা কিন্তু অনেক ভাল হয়েছে। লেখা চালু রাখবেন। চলুক

ঈশান  এর ছবি

আমার সময় ও খারাপ কাটেনি। লেখাটা আমার বন্ধু আবু সালেহ কে নিয়ে লেখা। তবে এখন সময় আরো খারাপ কাটছে, আমার কাজিনদের দেখছি।
আশা করি সামনে ও লিখবো, সবার অনুপ্ররনা পেলে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নামটা লেখার শেষে দেয়া উচিত। প্রথম লেখা বলেই হয়তো লেখাটা গোছাতে সমস্যা হয়েছে। লেখা আসুক আরো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ঈশান  এর ছবি

নীড় সন্ধানী আপনার কবিতার মানে টা বুজলাম না। তবে পড়তে ভালই লাগলো, ছ্ন্দ ট্ন্দ আছে তো এজন্য।
নাম টা নিচেই দিয়েছিলাম, কিভাবে কি হলো বুজলাম না।
পরের বার এমন হবেনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রতিযোগিতা, কোন কোন ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। নম্বর পাওয়ার, চেয়ার দখলের। গ্রাড- পোস্ট গ্রাডদের এখন শিক্ষিত বলাটা টাফ। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এলিজিবল ফর কম্পিটিশান বলা যেতে পারে।

-নাম বলব না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়লাম আর মনে মনে আমার সাত বছরের ছেলেটার কথা ভাবলাম - ওকে দেখে আমার ভীষন ক্ষ্ট হ্য় - বইয়ের ভারে পিঠ কুঁজো করে স্কুলে যায় - বিকেলে বাসার ভেতরেই খেলা করে। ইচ্ছে করলেও ওকে মাঠে খেলতে যেতে দিতে পারি না - মাঠ কই? অথ্চ ওর বয়সে আমি সারাদিন (ত্খ্ন মর্ণিং স্কুল ছিল) মাঠে মাঠে দৌড়ে বেড়াতাম - আপনার লেখা পড়ে শৈশব ও কৈশোর নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে -

চালিয়ে যান ঈশান, ঈশান কোনে আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি, আপনি লিখতে থাকলে সারা আকাশটাই আলোকিত হবে নিশ্চয়।
-অয়ন

বন্দনা এর ছবি

প্রথম লেখা হিসেবে কিন্তু মন্দ হয়নি ঈশান। সচলে স্বাগতম। আরো লিখা পড়বার আশা রাখছি।

নামুস এর ছবি

আমি এই দিক দিয়ে অনেক ভাগ্যবান। আমার ছোটবেলায় ঈদ পড়ত শীতকালে। তাই ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাস পুরো ছুটি। সকালে উঠে খাওয়া তারপরে খেলেতে যাওয়া, দুপুরে এসে গোসল করে খাওয়ার পরে আবার তিনটার দিকে খেলতে যাওয়া, রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা, খাওয়া তারপরে ঘুম। আহা, জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময় দেঁতো হাসি

এখনকার ছেলে মেয়েদের দেখলে বেশ কষ্ট হয়। পড়াশুনার চাপে খেলাধুলা পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

sanjida এর ছবি

সবে মাত্র শুরু বন্ধু । প্রথম লেখার জন্য অভিনন্দন । কোলাকুলি

fariha এর ছবি

অভিনন্দন!!! লেখা সুন্দর হয়েছে।।আমি আশা করি আর ভাল হবে।অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা রইল হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম।
আরেকটু বড় করে লিখুন।

লেখার ধরণ ভাল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।