একটি প্রেমে বিষয়ক প্রবন্ধ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১২ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেন মিছে ভালোবাসা।
মন দিয়ে মন পেতে চাহি,
তবে কেন মিছে এ দুরাশা।

রবিবাবুর কাছে ভালোবাসার ইকুয়েশনটা এতো সহজ হলেও প্রকৃতপক্ষে ভালোবাসার সত্যি কোন ফমূর্লা আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। কিশোর বয়স থেকে প্রেমে পড়ছি, যখন থেকে নারী-পুরুষের জৈবিক বিষয়গুলো আধো আধো বুঝি। আমার এক বন্ধুর যুগান্তকারী বানী ছিলো, আমাদের নারী চিনতে শিখিয়েছে আমাদের স্কুলের ম্যাডামরা। বয়েজ স্কুলে পড়ার দরুন কম বয়সী ম্যাডামরাই ছিলো সে সময়ে প্রেমের দেবী। স্কুলের বেন্চে-বাথরুমের দেয়ালে দেয়ালে লেখা-জোঁকা থাকতো না পাওয়ার কি দারুণ আকুতি, কল্পনার বিভিন্ন গুহাচিত্র। একবার তুমুল বৃষ্টিতে স্কুলের সম্মুখভাগ ডুবে গেলে ছাত্ররা কোমড় পানি হেটে ম্যাডামদের জন্য রিকশা ডেকে নিয়ে আসে। একজন সুন্দরী ম্যাডাম একহাতে শাড়ি গুটিয়ে রিকশায় উঠার আগে অন্য হাতটি যখন সাহায্যের জন্য বাড়িয়ে দিলেন, তখন সে হাত ধরার সৌভাগ্য কেড়ে নিয়েছিলো ক্লাস টেনের কোন বড়ভাই। ম্যাডামের ঠোঁটের কোণে স্বলজ্জিত হাসি আর বড়ভাই মুখভর্তি বিগলিত হাসি দেখে বুক থেকে অজান্তেই এক দ্বীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে, ইস! স্কেল ঘুড়িয়ে মারলেও ম্যাডাম আসলে তো যে কোন নারী।

পাশের বাড়ির মেয়ে না থাকলেও কলোনীর মেয়েদের কে আমরা বন্ধুরা তাদের কোন কিছু না জানিয়েই আপোষে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম। বিকেলবেলা বারান্দায় বিষেশ কেউ এসে দাড়ালে সামনের মাঠটিতে আমাদের রানআপ ডাবল হয়ে যায়। আর বল জানালা গলে বাসায় পাঠাতে পারলে কথাই নেই। উলা লা উলালা। বল আনতে দল বেঁধে যাও। কলিং বেল দাও। সামনে ঠেলে দাও আপাত স্মাট বন্ধুটিকে, পিছনে আমার মতো আনকন্ফিডেন্টরা ঘাড় উঁচু করে দাড়িয়ে। কিন্তু আমাদের প্রায়ই হতাশ করে দড়জা খুলতো কাজের মেয়ে অথবা আন্টি/আঙ্কেল সয়ং । এসকল নারীদের সাথেই ঘুড়ে ফিরে দেখা হতো স্যারের বাসায়। আমার বন্ধুরা অনেকে এই সুযোগে নোট ফটোকপির খাতিরে তাদের সখ্যতা গড়তে পারলেও আমি ক্যানো জানি পড়াশুনায় ঢিলেমীর জন্য স্যারের হাতে প্রায়ই লান্ছিত হওয়ার কারণে কুখ্যাতি অর্জন করলাম আর সে সকল লাবণ্যময়ীদের ফিক ফিক হাসি ছাড়া কপালে কিছুই জুটলো না। তবে একটু সান্তনার কথা যে, রাস্তা দিয়ে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তেনারা একবার হলেও ফিরে তাকাতো। কিন্তু বড্ড জানান দিতে ইচ্ছা করতো আছি। কিন্তু মৌমাছির গুনগুন আর গান হলো না।

(চালানোর ইচ্ছা আছে)
-নকীব


মন্তব্য

অচল এর ছবি

চলুক চলুক । লেখার স্টাইল পছন্দ হইছে।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

লেখনশৈলী বেশ ভাল।

আরেকটু বড় করে লিখুন আর চালিয়ে যান।
শুভেচ্ছা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।