নৈঃশব্দের ভেতর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৫/১০/২০১২ - ২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার কেন জানি মনে হয় আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে । কিছু মানসিক সমস্যা থাকে না ,যা বাইরে থেকে খুব্ একটা সপষ্ট নয়, কিন্তু খুব সর্ন্তপনে খেয়াল করলে ঠিক ই চোখে পড়ে।
ওকে বিয়ে করাটা আমার জীবনের সেরা ভুল না হলেও দিতীও তৃতীয় ভুল অবশ্যই হয়েছে।আবার মাঝে মাঝে মনে হয় ওকে বিয়ে না করলে আজ যে আমি নিজেকে নিয়ে ভাবছি সেই ভাবনাটুকু ভাববার মত অনুভূতিও আমার জাগত না।ওর মত করে এমন তীব্র ভাবে কেউ কখনো আমাকে অনুভব করবে তা আমি কখনো ভাবতেও পারিনি।ভাববার কোনো কারন ও ছিল না।আমি খুবই আউলা ঝাউলা টাইপের মানুষ।আউলা ঝাউলা শব্দটা ওর দেওয়া।আমাদের আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে ও না হলেও লক্ষবার বলেছে তোমার মতো একটা আউলা ঝাউলা গাধাকে বিয়ে করে আমার জীবনের বার আনাই মিছে হয়ে গেছে।
আমি তখন ওকে জিজ্ঞেস করতাম বার আনা কেন?তাহলে আর চার আনার কি অবস্থা?ও বলত আর চার আনা বরবাদ হয়ে গেছে তোমার সাথে দেখা হওয়ার পরই।উত্তরে আমি হেসে বলতাম যাক বাবা তবু ভাল যে ষোল আনাতেই আমি আছি।
খুনসুটির জীবন আমাদের।সারাদিন চাকরি করে রাতে বাসায় ফিরে আমাদের টোনাটুনির সংসার।ছোট্ট একটি বাসা।বাসাটা ছোট হলেও ভাড়া নেহায়েত কম নয়।এর মধ্যে ওর শখের আর শেষ নাই।ওকে শখের রানী বললে কম বলা হয়।ও হচ্ছে শখের মহারানী।এই বাড়ি করবে, গাড়ি কিনবে, দেশের বাইরে বেড়াতে যাবে, শুধু দেশের বাইরে না দেশের ভেতরেও যেসব বিখ্যাত জায়গা আছে সেসব জায়গায় বেড়াতে যাবে, বাগান করবে, বই কিনবে , লাইব্রেরী দেবে, আর বেশ কিছু টাকা জমে গেলে গরীব বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্য একটা ট্রাষ্টি বোর্ড বানাবে।ওর ভাবটা এমন যে সকালবেলা রুটি বানানোর জন্য ময়দার খামির যেমন বানাতে হয় ট্রাষ্টি বোর্ডও ময়দার খামিরের মতো।পানি ঢালো আর কাই করো । তারপরও চলছিল আমাদের জীবন। টোনাটুনির সংসারে ছোট্ট টুনটুনির কথাও ভাবছিলাম আমরা।আবার কখনো কখনো মনে হতো আরেকটু গুছিয়ে নেয়া দরকার।
হাসপাতালের বিছানায় ওর কাতরানো মুখ দেখে আমার ভেতরে কিছু একটা মোচড় দিয়ে গলার ভেতর বুদবুদ করতে থাকে।আমি ঢোক গিলি আর অসহায় চোখে আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকি।কী অসম্ভব রকম স্বপ্নবাদী মেয়েটি এই মুহূর্তে কী ভীষণ অসহায়। তারচেয়েও বেশি অসহায় আমি।
একসিডেন্টটা যে এত মারাত্নক হয়েছে তা অনেকেই বুঝতে পারেনি।হয়তো আমিও পারতাম না যদি ডাক্তার আমাকে স্পষ্ট করে বলতেন।
একসিডেন্টের ধাক্কা সামলে নিয়েছি আমরা। লম্বা সময় লাগবে। লাবণ্য আরও অনেক কষ্ট পাবে।এই শারিরীক কষ্টের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই ওর সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।কারণ চিকিৎসার ধরনটাই এমন।
এক্সিডেন্টের আঠার দিনের মাথায় আবিষ্কার করলাম নতুন কষ্ট।
লাবণ্যর শরীরটা দিনে দিনে খারাপ হয়ে যায়। ও কিছু খেতে পারেনা।কিছু খেলেই বমি করে দেয়।চোখ মেলতে পারেনা। অফিস থেকে ফিরে কখনো কখনো দেখি ও চোখ বন্ধ করে বিছানায় পড়ে আছে।এমন ভাবে পড়ে আছে যে ভয় পেয়ে আমি ওর বুকের কাছে কান লাগিয়ে শুনি স্পন্দন আছে কিনা। আমার গলাটা শুকিয়ে আসে| চোখে পানি চলে আসে।অনেক কষ্টে সেই পানি আমি সংবরন করি।
লাবণ্যর মেনস্ট্রুয়েশন বন্ধ আছে দুমাস ধরে। এটা নিয়ে অবশ্য আমার বাড়তি চিন্তার কিছু ছিল না ।কারণ এটা লাবণ্যর স্বাভাবিক শারিরীক প্রক্রিয়া। তারপরও কেন জানি মনে হলো ইউরিন টেষ্ট করে দেখতে পারি ।ইউরিন টেষ্টের রিপোর্ট পজিটিভ। নিঃসন্দেহে দারুণ আনন্দদায়ক খবর হওয়া উচিৎ ছিল আমাদের জন্য।কারণ আমরা একটা টুনটুনির প্রত্যাশায় ছিলাম।যদিও কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্ন ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে খবরটা কেমন যেন স্তব্ধ করে দিল আমাকে। আতংকিত হয়ে উঠেছে আমার মন।অনেকটা বিয়ের আগে প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের জৈবিক সুখের কারণে হঠাৎ করে সন্তানের উপস্থিতি টের পেলে যেমন আতংকিত হয়ে উঠে ঠিক সেরকম।
লাবণ্য তার স্বভাবসুলভ পাগলামীর মতো উচ্ছাসিত হয়ে বললো,ও মা কী অদ্ভুত! আমার পেটে বাবু!কথা শেষ করতে পারেনি। তার আগেই আবার বমি।
আমার মাথার ভেতরে ভোঁতা যন্ত্রণা শুরু যায়।দমবন্ধ দমবন্ধ লাগছে ঘরটাতে ।ভয়ঙ্কর এক বিপদ সামনে অথচ এ কথা আমি লাবণ্যকে কেমন করে বোঝাই ।নিজেকে বাঁচাতে আমি রাস্তায় হাঁটতে থাকি। উদ্দেশ্যহীন হাঁটা।সিআরবি হয়ে নিউমার্কেট । সিআরবি দিয়ে হাঁটার সময় মনে হয় এখানেই তো লাবণ্য পড়ে ছিল সেদিন । সড়ক দুর্ঘটনা শব্দটি আমাদের জীবনের সাজানো সুখটাকে চোখের পলকেই এলোমেলো করে দিয়েছিল । লাবণ্যর ভয়ঙ্কর গোঙানি আমার ভেতরটাকে তোলপাড় করে দিচ্ছিল অথচ কী ভীষণ অসহায় ছিলাম আমি!
বিকেলের রোদটা মরে আসছে।ঘরে ফিরতে মন চাচ্ছে না।কারণ আমি জানি লাবণ্য আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে । সে নিশ্চয়ই এরই মধ্যে শুয়ে শুয়ে তার ভবিষ্যত সন্তান নিয়ে হাজারটা স্বপ্ন সাজিয়ে ফেলেছে। গাইনি ডাক্তারের নম্বর নিতে আমি অনিককে ফোন করি । ওর বউয়ের বাচ্চা হয়েছে মাস দুয়েক আগে ।
যা ভেবেছি তাই । লাবন্য আধশোয়া ভাবে হেলান দিয়ে আছে খাটে । ওর চোখেমুখে ক্লান্তি । আমাকে দেখে হাসার চেষ্টা করল । বিনিময়ে আমিও।
তারপর লাবণ্য বলল, এই বলো তো আমাদের বাবুটা কি ছেলে হবে নাকি মেয়ে ?
আমি চুপ করে থাকি ।
ও আবার বলল, এই তুমি কথা বলছ না কেন ?
লাবণ্যর চোখের দিকে তাকানোর পর হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়াই আমার চোখের ভেতর গরম তাপ লেগে চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে উঠে।
ও নরম গলায় বলল, তুমি খুশি হওনি?
ও এমন আবেগী গলায় বলল যে আমার চোখে পানি প্রায় চলে আসছিল। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম ,খুশি হতাম যদি তুমি সুস্থ থাকতে এবং আমাদের বাবুও ।
ও আমার দিকে বিস্ময় ভরা দৃষ্টি নিয়ে বলল, সুস্থ তো হবো। কিছুটা কষ্ট যাচ্ছে এই আর কি! বাবুর কি হয়েছে?
আমি গলাটা্ একটু ঝাঁঝালো করে বললাম ,তুমি বুঝতে পারছ না কিছু?
ও বলল, কি ?
আমি বললাম , তোমার শরীরে কতবার এক্স রে করা হয়েছে বলো?শরীরে ভ্রুন থাকা অবস্থায় এক্স রে করলে ভ্রুন সুস্থ স্বাভাবিক থাকে না এ কথা জানো না ?তুমি সায়েন্সে কী পড়েছ ?
ও কিছু না বলে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ।এক্স রে’র এক্স রশ্নি ভ্রুণের জন্য ক্ষতিকর। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কখনোই এক্সরে করা যায় না। দেখবে প্রতিটা এক্স রে রুমের সামনে লিখা থাকে প্রেগন্যান্ট মহিলারা এক্স রে করার আগেই যেন কর্তব্যরত টেকনিশিয়ানকে তাদের প্রেগন্যান্সির কথা জানায় । আর এক্সরে ছাড়াও গত ১৮ দিন ধরে কি পরিমান পেইনকিলার আর এন্টিবায়োটিক তোমার শরীরে দেয় হচ্ছে বলো?অথচ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় অতি সাধারণ প্যরাসিট্যামল খাওয়া পর্যন্ত ক্ষতিকর ।
আমার কথা লাবণ্যর কানে গেছে কিনা বুঝতে পারছি না ।ও ঘরের সিলিং এর দিকে তাকিয়ে আছে ।সেখানে মাকড়সা জাল বুনেছে ।পুরো ঘরটা যেন মাকড়সার জালে ভরে গেছে।
লাবণ্যকে কথাটা কীভাবে বলব তাই ভাবছি ।
লাবণ্যর দৃষ্টি এখন আমাদের বিছানা বরাবর দেয়ালটিতে । আগে মাঝে মাঝে ও বলতো যখন আমার পেটে বাবু আসবে তখন এ দেয়ালটাতে সুন্দর একটা বাবুর ছবি লাগাব ।যেন আমাদের বাবুটাও অনেক সুন্দর হয় । বাচ্চাদের নাম রাখার সুন্দর নামের বই কিনব ।
সেসব কথা মনে পড়তেই বুকের ভেতরে আবার কিছু একটা মোচড় দিয়ে ওঠে। কেন যে একটু পরপরই চোখ দুটো ভিজে উঠতে চায়।
আমি লাবণ্যর মুখে হাত রাখি । ও হাসার চেষ্টা করে । আমি দুষ্টমি করে বলি কী গো বাবুর মা ।ওর চোখে পানি চলে আসে ।আমিও নিজেকে সংযত রাখতে পারি না । ও আমাকে বলে, তুমি একটুও মন খারাপ করো না , দেখবে আমাদের বাবু একদম সুস্থ আছে ।
গাইনি ডাক্তারের চেম্বারে খুব ভিড় । সব প্রেগন্যান্ট মহিলা মনে হয় একসাথে জড়ো হয়েছে । অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলাম।মধ্যবয়সী ডাক্তার লাবণ্যকে চেকআপ করে সব শুনে বললেন ,সো স্যাড । ভাগ্য খারাপ হলে আসলে কিছু করার থাকে না । সিদ্ধান্ত আপনাদের ।কারণ একটি প্রাণ তো আমরা জেনেশুনে হত্যা করতে পারি না । তারউপর আপনাদের ফার্স্ট ইস্যু। তবে এটাও ঠিক জেনেশুনে একটা অসুস্থ শিশুর জন্ম দেয়াটা খুব একটা যৌক্তিক মনে হয় না । এক্সরে টা একেবারে আরলি স্টেজে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিটা বেশি। এসব ক্ষেত্রে বাচ্চার লিউকোমিয়া হওয়ার আশংকা থাকে। আবার বাচ্চা প্রতিবন্ধীও হতে পারে ।লাবণ্য ভয়ানক বিষন্ন দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ ডাক্তারের দিকে আবার কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকাচ্ছিল।ডাক্তার বোধহয় লাবণ্যর বিষন্নতা বুঝতে পেরেছে।
তাই হয়তো বললেন ,আবার সুস্থও হতে পারে । কারণ সব কিছুর পরও সুপার পাওয়ার বলে কিছু আছে। সৃষ্টিকর্তার হাতে সব কিছুই সম্ভব। মিরাকল বলে একটা শব্দ আছে না। তবে বিষয়টা ঝুঁকিপূর্ণ এটা মাথায় রাখতে হবে।
গাইনি ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করে নিচ্ছিলাম ডাক্তারের পরামর্শ মতো।আশ্চর্য! ছোট্ট একটা রক্তপিন্ড।এটা আমাদের ভ্রুণ!আমি কম্পিউটারের মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে নেই।কারণ এত কঠিন বাস্তব আমি সহ্য করতে পারছি না ।
আমি ভেবেছি ডাক্তারের কথা লাবণ্য ভাল ভাবেই বুঝেছে।এখন আর আমাদের কোনো সমস্যা হবে না । কিস্তু না ঐ যে বললাম ওর মানসিক সমস্যা আছে। ও দিব্যি বাসায় ফিরে আবার বাচ্চার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছে।আর বলছে, সব মানুষের তো আর একসিডেন্ট হয় না,এক্সরে ও হয় না।তাহলে তাদের বাচ্চা অসুস্থ হয় কেন?মানুষ তো আর জানেনা ভবিষ্যতে কি হবে!তাহলে ঐ ডাক্তার কিভাবে নিশ্চিত যে আমার বাবু সুস্থ হবে না? আর ডাক্তার নিজেই তো বলল মিরাকল বলে একটা শব্দ আছে। সৃষ্টিকর্তা সব পারে।
আমার খুব রাগ হয়।এটা কি ধরনের পাগলামী!
খুব অস্থির লাগে সবকিছুতে।কোনো কাজে মন বসে না । মানুষের জীবন কত আজব!এ কদিনে মনে হচ্ছে বয়স অনেক বেড়ে গেছে। কত জটিল বিষয় কত সহজে কোনো রকম জড়তা ছাড়াই সামনে চলে এসেছে।
ঘরে গেলে দম বন্ধ বন্ধ লাগে।আবার বাইরে থাকলে মনে হয় ও ভাল আছে তো!
লাবণ্য ভাল নেই।অ্যানিমিয়া রোগীর মতো গায়ের রঙ দিনে দিনে ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে।ম্যাক্সি জাতীয় এই কিম্ভুত পোশাকে ওকে আরও বেশি রোগা লাগছে।
রাতে হঠাৎ করে কেমন একটা শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।মোবাইলের আলোতে দেখি লাবণ্য কাঁদছে।আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে? ও কিছু না বলে আমার হাত টেনে ওর পেটের উপর চেপে ধরে।ওর পেটের উষ্ঞতায় নাকি নিজের অস্তিত্ব বলেই হয়তো আমার ভেতর কেমন একটা অনুভূতি জেগে উঠে।
আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই। আকাশে এখন র্পূণ চাঁদ ।আমি দিন গুনে দেখি ৬৩ দিন। মাত্র ৬৩ দিনে যে কঠিন মায়া কাজ করছে তাহলে একটা র্পূণ শিশুর মায়া কত তীব্র।যে এখনো শুধুই একটা অনুভূতি তার কথা ভেবে পরির্পূণ মানুষটাকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়ার মতো উদারতা দেথানো আমার পক্ষে সম্ভব না ।
লাবণ্য হাসপাতালে শুয়ে আছে।ওর চোখের কোণে পানি ।জ্ঞান ফেরার পর এই প্রথম আমি রুমে ঢুকলাম ।চোখ মেলে ও যখন আমার দিকে তাকাল মনে হলো ও আমাকে দেখছে না,দেখছে একজন খুনীকে ।
আমি তো আসলেই খুনী ।আমি স্বজ্ঞানে সেই ফর্ম পূরণ করেছি যেখানে লিখা ছিল আমি স্বেচ্ছায় আমার সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখাতে চাই না ।আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই তাকে খুন করার জন্য আমি নির্দেশপত্রে স্বাক্ষর করলাম ।
আমি তো খুনীই ।
গাইনি ডাক্তার দেখানোর পর থেকে ওর অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া বন্ধ ছিল।আর এতেই ওর একসিডেন্টের ঘাতে পচন ধরেছে।
আজ থেকে আবার এন্টিবায়োটিক চলবে ।লাবণ্য সুস্থ হয়ে উঠবে।আবার আমাদের সংসারটা খুনঁসুটিতে ভরে উঠবে।শুধু লাবণ্যকে নিয়েই আমি আমার এই জীবনটা কন রকম অপুর্ণতা ছারাই কাটিয়ে দিতে পারব।কিন্তু ও না থাকলে আমি নিজেই অপুর্ণ রয়ে যাব।পুর্ণতার ভাবনায় কষ্ট চাপা দিয়ে আমি তাকিয়ে থাকি আমার স্বপ্নবাদী স্ত্রীর দিকে। ও তাকায় শূণ্যের দিকে ।

মোহছেনা ঝর্ণা


মন্তব্য

মেঘা এর ছবি

চোখে বুলিয়ে গেলাম। তেমন ভাল করে পড়ি নি। বানানের ভুলগুলো খুব চোখে লাগছে ঝর্ণা আপু। বানানের দিকে যত্নবান হবেন পরের বার আশা করি।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

বানান ভুলের বিষয়টার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

পাঠক এর ছবি

নতুনত্ব এনেছেন। কিন্তু সবমিলিয়ে মোটামুটি লেগেছে, কেন জানি মন স্পর্শ করেনি শেষপর্যন্ত।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ সময় ব্যয় করে গল্পটা পড়ার জন্য।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

এলোমেলো হয়ে গেলাম। মন খারাপ করে দিলেন। মন খারাপ

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

রাজা ভাই, মন খারাপ হলো কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়া গেল না,তবে অবশ্যই লিখবেন !!
বুড়া মকবুল।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

পড়া গেল না-কেন? জানতে পারি?

অতিথি লেখক এর ছবি

বাক্য গঠন ও সংলাপ খুব ধীর ছিল।গল্পকে সাথে নিয়ে সামনে যাওয়া যাচ্ছিল না।
এটা সম্পূর্ণই আমার অভিমত।
সেই জন্যই বললাম অবশ্যই লিখবেন যাতে ভবিষ্যতে পড়তে পারি।
বানান ভুল গুলো এখনও ঠিক করা হয় নি।
বুড়া মকবুল

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

বানান ভুল গুলো এখনও ঠিক করার সুযোগ আছে কি?
আমি নিয়মটা জানতে চাচ্ছিলাম।
যদি আপনার জানা থাকে ,নিয়মটা আমাকে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার গল্প।পড়তে গিয়ে চোখে পানি চলে আসলো।
লাবণ্য'র প্রতি তার স্বামীর ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছিল ভালোবাসা তো এমনই হওয়া উচিৎ।
আপনার লেখনী বরাবরই চমৎকার।তবে ভুল বানান চোখ এড়ায়নি।
আরো লেখা পড়ার আশায় থাকলাম।

তন্ময়

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ।
যাক তবু স্বস্তি যে গল্পটা কারো ভালো লেগেছে। হাসি
আমি তো কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। মন খারাপ
এটা আমার নিজের খুব প্রিয় একটা গল্প।
বানানের বিষয়টা নিয়ে আমি প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করেছি।ভুল বানান নিয়ে আমি নিজেই বিব্রত।
কিন্তু তাই বলে গল্পটা পড়ার মতো হয়নি এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে।
ভালো থাকবেন।
লেখা পড়ার আশা পূরণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। হাসি

সাত্যকি এর ছবি

খুব সুন্দর গল্প।
বানানগুলো ঠিক করে নেবেন।
স্বজ্ঞানে > সজ্ঞানে (কিন্তু 'স্বেচ্ছা' ঠিকাছে)
খুনী > খুনি
পুর্ণতা > পূর্ণতা
আচ্ছা, গল্পটা এই লাইনে শেষ হলে কেমন হত -- 'আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই তাকে খুন করার পত্রে স্বাক্ষর করলাম' ?

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ সাত্যকি।ভালো লাগছে গল্পটার জন্য অনেক সময় দিলেন দেখে। হাসি
বানান কি এখন নীড় পাতায় ঠিক করে দেয়ার কোনো সুযোগ আছে?
কোনো বাবা-মা ই তো স্বেচ্ছায় এই নির্মম কাজটি করে না।এখানেও এই নির্মমতার কারণ ব্যাখ্যার জন্যই ঐ লাইনটিতে গল্পটি শেষ করা যায় নি।
ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ গল্প!! মন ছূঁয়ে গেছে।
আপনার লেখার হাত খুব চমৎকার।
আরো গল্প চাই।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
গল্প মন ছূঁয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো।

তাপস শর্মা এর ছবি

গল্পটার প্লট দারুণ। পরিচিত। নতুন কিছু নয় কিন্তু একটা মনকাড়া আবেদন আছে

০২

আপনার মধ্যে গল্প বলার দক্ষতা আছে। আরও গল্প লেখেন

০৩

মূল কথায় আসি। এই গল্পটা ভালো হয়নি। ভালো হয়নি বর্ণনার জন্যে। ভালো হয়নি ভাষার বিস্তার এর জন্যে। অজস্র বানান ভুল। পড়তে পড়তে পাঠক হোঁচট খায় বারবার। এই দিকটা বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন। অভ্রতে লিখতে পারেন যদি ইউনিকোডে সমস্যা হয় এরপর বানানের জন্যে অভ্র স্পেল চেকার ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন। গল্পের কিছু অংশ বোঝা যায়না বুনট এর কারণে। যেমন এই লাইনটা -কিছু মানসিক সমস্যা থাকে না ,যা বাইরে থেকে খুব্ একটা সপষ্ট নয়, কিন্তু খুব সর্ন্তপনে খেয়াল করলে ঠিক ই চোখে পড়ে।- লক্ষ করে দেখেন সেন্টেন্স ভুল বানান ভুল - এই দুই মিলে লাইনটার আবেদন পুরোপুরো ব্যর্থ। এই জিনিষগুলি খেয়াল রাখেন। এবং অবশ্যই হাত খুলে লিখতে থাকেন

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ তাপশ শর্মা।
ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বলার জন্য।
ভালো থাকবেন।

শিশিরকণা এর ছবি

বিষয় নির্বাচন সুন্দর । অনেক বাবা মা রাই এই কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে রাখে। বানান গুলো পীড়া দিলেও লেখাটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ সময় দিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য।
ভালো থকবেন।

তারেক অণু এর ছবি
মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

গল্প ভাল লেগেছে কিন্তু প্রথম প্যারা পড়ার পর অন্য কিছু আশা করেছিলাম গল্পের শেষে।
বানানভুল নিয়ে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে তাই নতুন করে কিছু বললাম না।

আপনি সরাসরি না লিখে আগে একটু খসড়া করতে পারেন। খসড়াতে একটু চোখ বুলিয়ে নিলে অধিকাংশ বানানই সংশোধন হয়ে যেত। হাসি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য।
আর ভালো লেগেছে বলে কৃতজ্ঞতা। হাসি
ভালো থাকবেন।

সবজান্তা এর ছবি

আমার গল্পটা ভালো লেগেছে- বর্ণনাটা চমৎকার ছিলো। বানানের ব্যাপারটা প্রায় সবাই বলেছেন- পরের লেখাতে সেটা মাথায় রাখতে পারেন। অবশ্য বাংলা টাইপিং প্রথম প্রথম করতে গেলে এই সমস্যাগুলি হতে পারে, বিগ ডিল না এগুলি হাসি

অচল এর ছবি

আমার খুব পছন্দ হয়ছে গল্পটা হাসি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

গল্পটা পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম। হাসি
ভালো থাকবেন।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। হাসি
আর বানান ভুলের বিষয়টা মার্জনা করেছেন বলে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।

holud himu এর ছবি

ভালো লাগলো । চলুক

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ , হলুদ হিমু । আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।