আসুন আমরা মানুষের মতোই বাঁচি (সৈয়দ জাহিদ হোসেন)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০২/২০১৩ - ৯:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটা লিখবো না ভেবেছিলাম। আজকের এই অভূতপূর্ব গণজাগরণের মূহুর্তেও যারা বিভিন্ন ধোঁয়াশার বিকিকিনিতে ব্যস্ত তাদের পথে আনার মতো কোন কথার যাদু আমার জানা নেই। এই স্বতঃস্ফূর্ত বাঁধ ভাঙ্গা গণজোয়ারে যারা রাজনীতির আবর্জনা খুঁজে পান, বা যারা এই গণস্রোতে নানা আবর্জনা মিশিয়ে এর প্রবাহকে আবদ্ধ করতে চান, অথবা যারা এই জোয়ারে কোন ভাবেই ভাসতে পারলেন না, এই অধমের সামান্য কথায় সেই হতভাগাদের ধ্যান-ধারণা বা মনবাসনার কোন পরিবর্তন হবে সেই আশা সুদূরপরাহত। তবে এদের ছড়ানো আবর্জনা যেন জনসাগরের ঢেউকে অপবিত্র করতে বা আমাদের অন্তরকে কলুষিত করতে না পারে সেই প্রত্যাশা থেকেই এই লেখা।

কিছু মানুষের জীবনটাই ব্যয় হয় অন্যকে বিভ্রান্ত করে, সাদা-কালোর মাঝে সবসময় ধুসর জায়গা খুঁজে। কেউ করে নিজের স্বার্থে, কেউ ধর্মীয় কারণে, কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, আর কেউবা কেন করে তা সৃষ্টিকর্তারও অজানা। আবার আমার মতো অনেকই আছেন যারা বিভ্রান্তিতে বিতৃষ্ণ হয়ে প্রতিবাদ করি। উলু বনে মুক্তা ছড়াই। এরপর প্রতিজ্ঞা করি যে অনেক হয়েছে আর না, মানুষ হাবিজাবি যাই বলুক প্রতিবাদ করবো না। এক কান দিয়ে ঢোকাবো, আরেক কান দিয়ে বের করে দিবো। কিন্তু সহসাই নিজের কাছে করা শপথ নিজেই ভাঙি। কি করবো? কিছু কথা কানে ঢুকে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যুত্তর না দিলে বের হতে চায় না। কান থেকে মগজে গিয়ে প্রবল নাড়া দেয়। ভয় হয় এসবের জবাব না দিলে আবার না নিজের মগজেই পঁচন ধরে। তাই না পেরে আবারও প্রতিবাদের ভাষা ঠিক করি, উত্তর লিখতে বসি।

বাকী লেখাটুকু পড়বার আগে একবার বুকে হাত রেখে নিজের প্রতি কিছু প্রশ্ন রাখুন। আপনি কি বাঙালি জাতির সবচাইতে বড় অর্জন হিসেবে ৭১-কে আপনার চেতনায় ধারণ করেন? আপনি কি ৭১-এর ত্যাগের ইতিহাস স্বীকার করেন যে ইতিহাস অগণিত শহীদ আর ধর্ষিতার কথা বলে? আপনি কি মানেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মানবতা বিরোধী বর্বরতায় আমাদের দেশীয় ঘাতক দোসররাও পুরোদস্তুর জড়িত ছিল? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের সমতুল্য কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন বাঙালি জাতি কখনো হয় নাই? আপনি কি একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার চান? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে অপরাধী হিসেবে যাদের বিচার চলছে তারা একাত্তরের স্থানীয় ঘাতকদের মধ‍্যে সবচাইতে নেতৃস্থানীয়? আপনার বিবেচনায় উপরোক্ত কোন একটি প্রশ্নেরও জবাব যদি ঋণাত্মক হয় তবে আমার আজকের লেখা আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়। অনুগ্রহ করে আপনার মূল্যবান সময় আর নষ্ট করবেন না।

যেকোন বিবেকবান মানুষ মাত্রই সকল হত্যা, ধর্ষণ, দুর্নীতি তথা যাবতীয় অপকর্মের বিরোধী। আমরা সবাই প্রতিদিন সংঘটিত সকল অপরাধের বিচার প্রত্যাশা করি। কিন্তু যে হতভাগারা আর দশটা অপরাধের সাথে গণহত্যা আর জাতিকে মেধাশুন্য করার জঘন্যতম পরিকল্পনার হোতাদের অপরাধকে এক পাল্লায় মাপতে চায় তাদের ধমনীতে কোন শ্বাপদের রক্ত প্রবাহিত হয় তা এই জাতি ঠিকই আন্দাজ করতে পারে। লক্ষ শহীদ আর ধর্ষিতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ৭১-এর গণহত্যার বিচারের দাবীতে যে কাপুরুষ এখনও সোচ্চার হতে পারে নি তার কোনো দাবী বা প্রতিবাদের মূল্যায়ন এই জাতি করবে তা প্রত্যাশা করা কি অযাচিত না?? এর অর্থ এই না যে আমরা জাতি হিসেবে অতীত ও বর্তমানের বাকী অপরাধ/অভিযোগগুলোর বিষয়ে উদাসীন। কোনক্রমেই না। সমস্ত অপরাধেরই বিচার হবে। হতেই হবে। কিন্তু গণমানুষের প্রাণের দাবীকে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পানি মিশিয়ে ঘোলা করার অপচেষ্টা ধরতে না পারার মতো অপদার্থ জাতিও আমরা না।

আমাদের দেশের বিচার হীনতার সংস্কৃতি পরিবর্তনের লড়াইয়ে ইদানিং যারা নতুন করে শামিল হচ্ছেন তাদের শুধু একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ করেও যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের জোরে বিনা বিচারে ৪০ বছর পার করা যায়, মন্ত্রী-সাংসদ হয়ে জাতির মর্যাদাকে লাথি মারা যায়, সেই কলঙ্কজনক সংস্কৃতির পুরোধা কিন্তু এই যুদ্ধাপরাধী আর তাদের রাজনৈতিক দোসররাই। এই কুলাঙ্গারদের গুণেই আজ রাজনৈতিক রঙ চরাতে পারাটাই যেকোন অপরাধের রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছে। এ সংস্কৃতি থেকে যারা মুক্তি চান তাদের অবশ্যই আজকের চলমান লড়াইয়ে শামিল হতে হবে। অন্যথায় সবাই বুঝে নিবে যে আপনাদের এই নব্য মানবতাবাদ প্রকারন্তরে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছাড়া আর কিছু নয়।

শুনতে যতোই তেঁতো লাগুক, এই আন্দোলনকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলার কোন উপায় নেই। সাংগঠনিক রাজনীতির সীমিত পরিধির বাইরেও বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত রাজনৈতিক আদর্শের বলয়। সে অনুসারে এই আন্দোলন কোন অবস্থাতেই অরাজনৈতিক নয়। এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা নিয়ে এসেছে। এই আন্দোলন সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে এসেছে যে সমাজে প্রতিক্রিয়াশীলতার কোন স্থান নেই, যে সমাজ ধর্মকে বর্ম করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপরাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠাবে। আমাদের সকল রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যক্তিত্ব আর তাদের সমর্থকদের সামনে তাই এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এই গণজাগরণ। এতদিন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতো তাদের অন্তর খোলাসা করে অন্তঃস্থলের সত্যটাকে ঠিকই টেনে বের করবে এই আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী হিসেবে যারা বিভিন্ন সময় সন্দেহের ঘেরাটোপে ছিলেন এই আন্দোলন তাদের মুখোশও চিরদিনের জন্য উন্মোচন করবে, যে মুখ বর্জ্য ছাড়া আর কিছু দিয়েই ঢাকা যাবে না কখনও।

এ পৃথিবীর সবখানেই বিশ্বাসঘাতকেরা যেকোন গণজাগরণকে অপঃপ্রচার আর সন্দেহের তীর দিয়ে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে চেয়েছে। আমাদের এই গণমানুষের আন্দোলনকে প্রভাবিত করতেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারীরা যেন সফল না হতে পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকার দায়িত্ব আমাদের সকলের। ত্রিশ লক্ষ শহীদের কাছে এ আমাদের রক্ত ঋণ। জেনে রাখবেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যদি আপাত সাফল্য পেয়েও যায়, চূড়ান্ত জয় তারা কখনোই অর্জন করতে পারবে না। আমাদের ইতিহাস এর সাক্ষী।

এখন সময়টা খুব অন্যরকম। নবজাগরণের অনুঘটকদের ভাষায়, কিছু কুমীরেরা এখনও ঘুমাচ্ছে, গরুরা ঘাস খেয়ে যাচ্ছে আর ছাগলরা খেয়ে বেড়াচ্ছে কাঁঠাল পাতা। তবে মানুষরা যারা পারছে তারা গণজাগরণের ঢেউয়ে শামিল হয়ে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ফুসফুস ভরে শাহবাগের বাতাস নিচ্ছে। নানা প্রতিবন্ধকতা যাদের শাহবাগ যেতে দিচ্ছে না তারা দীর্ঘশ্বাস ফেললেও এই গণজাগরণের সাথে নিঃশর্ত সংহতি জানাতে কুন্ঠা বোধ করছে না, কোন শর্তের বেড়াজালে এই জাগরণের শক্তিকে দাবাতে চাচ্ছে না। যাই হোক - গরু, ছাগল আর কুমীররা এভাবেই বাকী জীবন কাটিয়ে দিবে। সে ব্যাপারে বিচলিত হবার কোন কারণ দেখি না। তবে ভয় মানুষদের নিয়ে। গরু ছাগলের খাদ্য কখনই মানুষের গেলার চেষ্টা করা উচিত হবে না। যার জন্য যেটা বরাদ্দ তাকেই সেটা গিলতে দিন। তাই আসুন আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতির চির অবসানের প্রতিজ্ঞা করি, প্রত্যাশা করি যেন বাকী দিনগুলি শুধু মানুষের মতোই বাঁচি।


মন্তব্য

কুমার এর ছবি

যে হতভাগারা আর দশটা অপরাধের সাথে গণহত্যা আর জাতিকে মেধাশুন্য করার জঘন্যতম পরিকল্পনার হোতাদের অপরাধকে এক পাল্লায় মাপতে চায় তাদের ধমনীতে কোন শ্বাপদের রক্ত প্রবাহিত হয় তা এই জাতি ঠিকই আন্দাজ করতে পারে।

চলুক
যুদ্ধাপরাধীর বিচারে কোন "তবে" নাই। খুজলী সাফ না করলে ঘাতকব্যাধি আসন্ন।
প্রত্যাশা করি যেন বাকী দিনগুলি শুধু মানুষের মতোই বাঁচি।

হিমু এর ছবি

ইদানীং দেশে "কিন্তু" পার্টি আর "গেস নাই পানি নাই" পার্টি খুব রমরমা। কিন্তু পার্টির লোকজন বলে, "আমিও বিচার চাই ...", তারপর কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেয়, তারপর বলে, "...কিন্তু...", তারপর বিরাট এক ফিরিস্তি দেয়। এক চিমটি স্বচ্ছতা, এক মুঠ নিরপেক্ষতা আর আধাসের আন্তর্জাতিক মানের কথা বলে। আরও কী কী যেন বলে।

গেস নাই পানি নাই পার্টি অন্যরকম। তারা বলে, বিচার আমিও চাই, সেই সঙ্গে আমাদের বুঝতে হবে, দেশে গেস নাই, পানি নাই, ইউটিউব নাই, ঘরে ঘরে হাহাকার, উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল, এগুলির সমাধানও শাহবাগ করে দিবে। নাহলে শাহবাগ কীসের শাহবাগ?

কুমার এর ছবি

চলুক

জাহিদ এর ছবি

ঠিক কথা। প্রথমে যারা শাহবাগকে উপহাস করেছে ও পরবর্তীতে সন্দেহ করেছে তারাই এখন শাহবাগের আন্দোলনকারীদের জাতির সকল সমস্যা একবারের সমাধানের দাবি জানাচ্ছে। এর চাইতে হাস্যকর আর কি হতে পারে!

মিলন  এর ছবি

১।

রাজাকার ইস্যুতে নিরপেক্ষতা , মধ্যবর্তী অবস্থান , নীরবতা , তবে , কিন্তু এক ধরণের রাজনীতি ।
আসলে এরা এই মুহূর্তে বিরোধী পক্ষ । সুযোগ বুঝে অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। তবে ফাইনাল সেশন এদের পছন্দ। এদেরকে বলতে পারেন 'নিরাপদ পক্ষ' ।

খেয়াল কইরা, কিছু বিগ-শর্ট ইতিমধ্যে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে নিছে।
এখন হাঠাইলাইতাছে।

২।

গ্যাস নাই পানি নাই, সাগর-রুনির বিচার নাই।
এদের কে বলতে পারেন কূট তর্কবাজ পক্ষ।

'গ্যাস নাই পানি নাই, সাগর-রুনির বিচার নাই' - আসেন শাপলা চত্বর এ বসি ।
'পদ্মা সেতুর' কিছু করবেন না? - আসেন পদ্মার চর এ বসি।
'বিশ্বজিৎ' ... 'ফেলানী' ... - আসেন বসি ।
'সোনালী ব্যাংক' ... 'হলমার্ক' - আসেন বসি।
'কালো বিড়াল' ... ......... - গু খা।
তুই খা , শালা ভণ্ড ... ... ... ... ... - আচ্ছা।

৩।

তুই চুপ কর পার্টি।

এরা বড় জ্যাঠার মত। চোখে কানা চশমা ।
এদের অনেক গুণ। এরা ট্যাগ মাস্টার ও বটে। ফোকাস দইরা রাখইন্না পার্টি।

ইয়ে মানি, বলছিলাম কি ... youtube খুইলা দিলে আন্দোলনে কাজে লাগতো । সরকার এইডারে ......
তুই চুপ কর। বে ফোকাস হইব। তোর ' ' এই ট্যাগ ।

তয় ফোকাস রে আটকাইতে হইবে। রেটিনা বন্দ করতে হইবে। নো ধর্ম রাজনীতি ...... নো ৭১ বিরোধীদের রাজনীতি । ......আসিফ নজরুল ...পিয়াস করিম রে বয়কট। ............ ............... জি জ্যাঠা ।

রাজাকার এর বিচার ? পরেও করন যাইব । ... জি জ্যাঠা ।

৪।

বুক ফাটা আর্তনাদ পার্টি।

গন্ধ পাচ্ছেন কিছুর ? হ একটু পাচ্ছি।
কার যেন কলিজা পুড়ে যাচ্ছে।

ক্যামনে কি? সব করলাম আমি । আমারে কেউ পাত্তাইল না। আমি তো শেষ ।

৫।
চললাম শাহবাগ । জয় রামজীকি।

জাহিদ এর ছবি

সহমত।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কালকে একজন 'নিরপেক্ষ' লোক বলছিল, বিচার হোক ঠিকাছে। আম্রাও চাই দোষীর শাস্তি হোক। কিন্তু দেশের আরো কত কত সমস্যা, সেগুলা নিয়ে শাহবাগীদের মাথাব্যথা নাই কেন? (চরম উদাস ফরমূলা)

বললাম, হুমম....দেশের সব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব এখন শাহবাগীদের ঘাড়ে। চাল্লু

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

জাহিদ এর ছবি

কিছু ইস্যুতে নিরপেক্ষতার কোন স্থান নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে নিরপেক্ষতার ভেক ধরা কপটতা ছাড়া আর কিছু না। ভন্ড নিরপেক্ষরাও সেটা জানে। ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর অগণিত ধর্ষিতার কান্না ৪২ বছরেও যাদের প্রতিবাদী করতে পারে নি তারা কোন মুখে অন্য সমস্যার কথা বলেন। আর one thing at a time বলেও একটা কথা আছে। দাবির ফোকাস যত বড় হতে থাকবে মূল দাবি উপেক্ষিত হবার সম্ভাবনাও ততো বাড়বে। এই মূহুর্তে মূল দাবিতে সোচ্চার থাকাই তাই বাঞ্ছনীয়।

তমসা এর ছবি

দাবির ফোকাস যত বড় হতে থাকবে মূল দাবি উপেক্ষিত হবার সম্ভাবনাও ততো বাড়বে। এই মূহুর্তে মূল দাবিতে সোচ্চার থাকাই তাই বাঞ্ছনীয়।

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।